অথচ আত্মবিশ্বাসী ছিল না বিসিবি
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর শুরু হতে আর ক’দিন বাকি। অথচ এখন বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানালেন এ আসর আয়োজন নিয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী ছিল না। কারণ করোনা পরিস্থিতি। এবার ডিআরএস প্রযুক্তি না রাখার কারণও তাই। বিশ্বের সব টি-টোয়েন্টি লিগগুলোই এখন ডিআরএস ব্যবহার করে। কিন্তু এবার বিপিএলে তা না থাকাটা অন্যরকম ব্যতিক্রম।
বিপিএলে ডিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হলে বিসিবিকে আগে থেকেই যোগাযোগ করতে হতো। ডিআরএসের জন্য আলাদা দুটি প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে। একটি স্নিকো মিটার প্রযুক্তি দেখে আর একটি বল ট্র্যাকিং। দুই প্রতিষ্ঠানে করোনার কারণে লোকবল কমে গেছে। আর বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক খেলা চলায় প্রতিষ্ঠান দুটি কম সময়ের মধ্যে সব দেশে লোক পাঠাতে পারছে না। এ কারণেই ডিআরএস নিতে পারেননি বলে জানান নিজামউদ্দিন। অন্য টি-টোয়েন্টি লিগের সঙ্গে তুলনা না করারও অনুরোধ করেন, ‘এখানে তুলনার কিছু নেই (অন্য কোনো লিগের সঙ্গে)। একেক দেশের পরিস্থিতি একেক রকম। আমরা শেষ মুহূর্তে এসে সূচি দিয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতে বিপিএল করা নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না। এখন আয়োজন করা হলেও প্রোডাকশন টিম ডিআরএস নিশ্চিত করতে পারেনি।’
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে নিজাম উদ্দিন বলেছেন, ‘এই চ্যালেঞ্জগুলো বর্তমান পরিস্থিতির কারণে। কাল আমি ব্যক্তিগতভাবে আইসিসির সঙ্গেও কথা বলেছি। কারণ, আইসিসিরও একটা ‘সোর্স’ আছে। আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্টে যারা কাজ করেন, তাদের সঙ্গেও আমরা কাজ করেছি। আপনারা দেখছেন, প্রচুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হচ্ছে। হক-আই আমাদের যা বলেছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ লোকবল কাজ করছে। ফলে প্রযুক্তি থাকলেও লোকবল বণ্টন নিয়ে খুব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তারা। তারপরও তারা বলেছে, যেহেতু আমরা সরাসরি যোগাযোগ করছি, যদি কেউ আসতে পারে, তাদের ব্যবস্থা করা যায় কি না। সেভাবেই যোগাযোগ রাখছি।’
করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউয়ের কারণ গ্যালারিতে দর্শক না থাকারও ইঙ্গিত দিয়েছেন নিজামউদ্দিন। সরকারের সঙ্গে কথা বলে সম্ভব হলে ঢাকার পরের রাউন্ডে দর্শক মাঠে আসার ব্যাপারটি নিয়ে ভাববে বিসিবি। বিসিবি সিইও বলেন, ‘দর্শকদের ব্যাপারটা আমরা চূড়ান্ত করেছি। সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা দর্শক উপস্থিতিকে নিরুৎসাহিত করছি। যদি পরিবেশ-পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে আসে, পরবর্তী রাউন্ডে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে দর্শক অনুমোদনের চেষ্টা করব।’
শেয়ার করুন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর শুরু হতে আর ক’দিন বাকি। অথচ এখন বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানালেন এ আসর আয়োজন নিয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী ছিল না। কারণ করোনা পরিস্থিতি। এবার ডিআরএস প্রযুক্তি না রাখার কারণও তাই। বিশ্বের সব টি-টোয়েন্টি লিগগুলোই এখন ডিআরএস ব্যবহার করে। কিন্তু এবার বিপিএলে তা না থাকাটা অন্যরকম ব্যতিক্রম।
বিপিএলে ডিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হলে বিসিবিকে আগে থেকেই যোগাযোগ করতে হতো। ডিআরএসের জন্য আলাদা দুটি প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে। একটি স্নিকো মিটার প্রযুক্তি দেখে আর একটি বল ট্র্যাকিং। দুই প্রতিষ্ঠানে করোনার কারণে লোকবল কমে গেছে। আর বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক খেলা চলায় প্রতিষ্ঠান দুটি কম সময়ের মধ্যে সব দেশে লোক পাঠাতে পারছে না। এ কারণেই ডিআরএস নিতে পারেননি বলে জানান নিজামউদ্দিন। অন্য টি-টোয়েন্টি লিগের সঙ্গে তুলনা না করারও অনুরোধ করেন, ‘এখানে তুলনার কিছু নেই (অন্য কোনো লিগের সঙ্গে)। একেক দেশের পরিস্থিতি একেক রকম। আমরা শেষ মুহূর্তে এসে সূচি দিয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতে বিপিএল করা নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না। এখন আয়োজন করা হলেও প্রোডাকশন টিম ডিআরএস নিশ্চিত করতে পারেনি।’
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে নিজাম উদ্দিন বলেছেন, ‘এই চ্যালেঞ্জগুলো বর্তমান পরিস্থিতির কারণে। কাল আমি ব্যক্তিগতভাবে আইসিসির সঙ্গেও কথা বলেছি। কারণ, আইসিসিরও একটা ‘সোর্স’ আছে। আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্টে যারা কাজ করেন, তাদের সঙ্গেও আমরা কাজ করেছি। আপনারা দেখছেন, প্রচুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হচ্ছে। হক-আই আমাদের যা বলেছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ লোকবল কাজ করছে। ফলে প্রযুক্তি থাকলেও লোকবল বণ্টন নিয়ে খুব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তারা। তারপরও তারা বলেছে, যেহেতু আমরা সরাসরি যোগাযোগ করছি, যদি কেউ আসতে পারে, তাদের ব্যবস্থা করা যায় কি না। সেভাবেই যোগাযোগ রাখছি।’
করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউয়ের কারণ গ্যালারিতে দর্শক না থাকারও ইঙ্গিত দিয়েছেন নিজামউদ্দিন। সরকারের সঙ্গে কথা বলে সম্ভব হলে ঢাকার পরের রাউন্ডে দর্শক মাঠে আসার ব্যাপারটি নিয়ে ভাববে বিসিবি। বিসিবি সিইও বলেন, ‘দর্শকদের ব্যাপারটা আমরা চূড়ান্ত করেছি। সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা দর্শক উপস্থিতিকে নিরুৎসাহিত করছি। যদি পরিবেশ-পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে আসে, পরবর্তী রাউন্ডে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে দর্শক অনুমোদনের চেষ্টা করব।’