‘সবচেয়ে স্মার্ট ক্রিকেট মস্তিষ্ক মুশফিক’
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
বলা হয় ল্যান্স ক্লুজনারের নাকি ‘নার্ভ’ (স্নায়ুক্ষয়)-ই নেই। আর মুশফিকুর রহিম নার্ভের দিক থেকে বাংলাদেশ দলের মধ্যে সবচেয়ে শক্ত। এবারের বিপিএলে এ দুজন এক সঙ্গে খুলনা টাইগার্সে। মুশফিকের মুখ থেকে এখনো কিছু জানা না গেলেও ক্লুজনার কাল জানালেন মুশফিকের সঙ্গে কাজ করতে তর সইছে না তার। কোচ হিসেবে মুশফিকের সামর্থ্যে প্রবল আস্থা তার। ডিপেন্ডেবল মুশফিক তার সেরা চয়েজ। জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটারকে স্মার্ট মস্তিষ্কের অধিকারী বলেও প্রশংসা করলেন খুলনার হেড কোচ হয়ে আসা এই গ্রেট অলরাউন্ডার।
ক্রিকেটে ক্লুজনারের ছদ্মনাম ‘জুলু’। নিজেকে কোচ হিসেবে গড়ে তুলছেন দ্রুত। আফগানিস্তানের হেড কোচ হিসেবে কাজ করা ক্লুজনার দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলে। মুশফিকের সঙ্গে এই প্রথম কাজ করছেন তিনি। এই সুযোগকে নিজের জন্য সম্মানের বললেন। তাছাড়া মিডলঅর্ডার ব্যাটারের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করে ক্লুজনার বলেন, ‘মুশফিকের সঙ্গে কাজ করতে আমি অপেক্ষা করে আছি। এর আগে সেই সুযোগ হয়নি আমার। সে সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে স্মার্ট ক্রিকেট মস্তিষ্ক ও সবচেয়ে কঠিন মানসিকতার ক্রিকেটার। আমার জন্য এরকম একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে কাজ করতে পারা সম্মানের। তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে এবং তাকে সহায়তা করতে মুখিয়ে আছি আমি।’
বিপিএলের আবহ জানা আছে সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকানের। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বললেন এই টুর্নামেন্ট দেশি ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট। তাই দলে বিদেশি ক্রিকেটার না থাকলেও চিন্তা নেই ক্লুজনারের। বরং বিপিএলে এবার এক দল সর্বোচ্চ ৮ বিদেশি ক্রিকেটার রাখতে পারবে দলে। কিন্তু একাদশে জায়গা পাবেন মাত্র তিনজন। সে চিন্তাতেই কিনা খুলনা এবার বিদেশি ক্রিকেটার দলে ভেড়ায়নি খুব একটা। সিকান্দার রাজা, থিসারা পেরেরা, নাভিন উল হক ও সেকু¹ে প্রসন্ন এই চার বিদেশি এখন পর্যন্ত আছেন দলটিতে। এ নিয়ে চিন্তায় না থাকা ক্লুজনার জানান, ‘বিপিএল বিদেশিদের প্রভাবের টুর্নামেন্ট এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমি বরং মনে করি এটা দেশিদের টুর্নামেন্ট। এটাই আমরা ফোকাস করছি। আমরা চেষ্টা করেছি সেরা লোকাল প্লেয়ারদের দলে নিতে। এর আগের আসরগুলোতেও দেখেছি দেশি ক্রিকেটাররাই ব্যবধান গড়ে দেয়। আমরা তাই বড় নাম নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশিদের নিয়ে খেলব, সেইসঙ্গে বিদেশিরাও এই পথে সাহায্য করবে। আমরা এখানে আছি টুর্নামেন্ট জিততে। একটু আগে ছেলেদের সঙ্গে এটা নিয়েই কথা হচ্ছিল। আমাদের জন্য এটি না পারার কারণ নেই। আমিও এখানে এসেছি শিরোপা জিততে। জানি, এখানে আরও অনেক ভালো দল আছে। তবে দিনশেষে, তিন সপ্তাহ পর আমরা যদি ট্রফির লড়াইয়ে থাকতে পারি, আমাদের জন্য হবে দারুণ অর্জন।’
শেয়ার করুন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

বলা হয় ল্যান্স ক্লুজনারের নাকি ‘নার্ভ’ (স্নায়ুক্ষয়)-ই নেই। আর মুশফিকুর রহিম নার্ভের দিক থেকে বাংলাদেশ দলের মধ্যে সবচেয়ে শক্ত। এবারের বিপিএলে এ দুজন এক সঙ্গে খুলনা টাইগার্সে। মুশফিকের মুখ থেকে এখনো কিছু জানা না গেলেও ক্লুজনার কাল জানালেন মুশফিকের সঙ্গে কাজ করতে তর সইছে না তার। কোচ হিসেবে মুশফিকের সামর্থ্যে প্রবল আস্থা তার। ডিপেন্ডেবল মুশফিক তার সেরা চয়েজ। জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটারকে স্মার্ট মস্তিষ্কের অধিকারী বলেও প্রশংসা করলেন খুলনার হেড কোচ হয়ে আসা এই গ্রেট অলরাউন্ডার।
ক্রিকেটে ক্লুজনারের ছদ্মনাম ‘জুলু’। নিজেকে কোচ হিসেবে গড়ে তুলছেন দ্রুত। আফগানিস্তানের হেড কোচ হিসেবে কাজ করা ক্লুজনার দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলে। মুশফিকের সঙ্গে এই প্রথম কাজ করছেন তিনি। এই সুযোগকে নিজের জন্য সম্মানের বললেন। তাছাড়া মিডলঅর্ডার ব্যাটারের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করে ক্লুজনার বলেন, ‘মুশফিকের সঙ্গে কাজ করতে আমি অপেক্ষা করে আছি। এর আগে সেই সুযোগ হয়নি আমার। সে সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে স্মার্ট ক্রিকেট মস্তিষ্ক ও সবচেয়ে কঠিন মানসিকতার ক্রিকেটার। আমার জন্য এরকম একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে কাজ করতে পারা সম্মানের। তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে এবং তাকে সহায়তা করতে মুখিয়ে আছি আমি।’
বিপিএলের আবহ জানা আছে সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকানের। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বললেন এই টুর্নামেন্ট দেশি ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট। তাই দলে বিদেশি ক্রিকেটার না থাকলেও চিন্তা নেই ক্লুজনারের। বরং বিপিএলে এবার এক দল সর্বোচ্চ ৮ বিদেশি ক্রিকেটার রাখতে পারবে দলে। কিন্তু একাদশে জায়গা পাবেন মাত্র তিনজন। সে চিন্তাতেই কিনা খুলনা এবার বিদেশি ক্রিকেটার দলে ভেড়ায়নি খুব একটা। সিকান্দার রাজা, থিসারা পেরেরা, নাভিন উল হক ও সেকু¹ে প্রসন্ন এই চার বিদেশি এখন পর্যন্ত আছেন দলটিতে। এ নিয়ে চিন্তায় না থাকা ক্লুজনার জানান, ‘বিপিএল বিদেশিদের প্রভাবের টুর্নামেন্ট এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমি বরং মনে করি এটা দেশিদের টুর্নামেন্ট। এটাই আমরা ফোকাস করছি। আমরা চেষ্টা করেছি সেরা লোকাল প্লেয়ারদের দলে নিতে। এর আগের আসরগুলোতেও দেখেছি দেশি ক্রিকেটাররাই ব্যবধান গড়ে দেয়। আমরা তাই বড় নাম নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশিদের নিয়ে খেলব, সেইসঙ্গে বিদেশিরাও এই পথে সাহায্য করবে। আমরা এখানে আছি টুর্নামেন্ট জিততে। একটু আগে ছেলেদের সঙ্গে এটা নিয়েই কথা হচ্ছিল। আমাদের জন্য এটি না পারার কারণ নেই। আমিও এখানে এসেছি শিরোপা জিততে। জানি, এখানে আরও অনেক ভালো দল আছে। তবে দিনশেষে, তিন সপ্তাহ পর আমরা যদি ট্রফির লড়াইয়ে থাকতে পারি, আমাদের জন্য হবে দারুণ অর্জন।’