মিরপুরে আজ থেকে টি-২০ ধামাকা
সেরা দুই টার্গেট মুশফিকের
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
উদ্বোধনী দিনে রাতের ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ঢাকা ও খুলনা। দু’রকম লক্ষ্য তাদের। মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা তাকিয়ে আছে ভালো শুরুর দিকে। আর খুলনার চোখ সরাসরি পয়েন্ট তালিকার সেরা দুইয়ে থাকা। ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানালেন ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চান। শুরুটা ভালো থাকলে যেকোনো দলই ধারাবাহিকতা পেয়ে যায়। মুশফিকুর রহিম ফাইনালের পথে চোখ রেখে আগাবেন। সামনে থেকে নেতৃত্বও দিতে চান প্রতি ম্যাচে। তবে এক জায়গায় দুই অধিনায়কের চিন্তা মিলেছে। তা হলো দলগত পারফরম্যান্স।
শক্তির বিচারে ঢাকার চেয়ে বেশ পিছিয়ে খুলনা। নামি তারকা বা বিদেশি হিসেবেও পিছিয়ে মুশফিকুর রহিমের দল। খুলনায় স্থানীয়রাই বেশি। তবে মুশফিকের ভরসার কারণ হতে পারে তার সতীর্থরা সবাই ঘরোয়া লিগের পারফরমার। শুরুর দিকে অবশ্য ওপেনিং নিয়ে ভাবতে হচ্ছে মুশফিককে। করোনা পজিটিভ হওয়ায় শুরুর কয়েক ম্যাচে সৌম্য সরকার খেলাতে পারছেন না। তার জায়গায় তরুণ তানজীদ হাসান তামিমকে ড্রাফটের বাইরে থেকে দলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওপরে পরীক্ষিত ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি, রনি তালুকদার, নিচের দিকে থিসারা পেরেরা, শেখ মাহেদী, ফরহাদ রেজারা আছেন হার্ডহিটিং অলরাউন্ডার হিসেবে। বোলিংয়ে পেরেরা, মাহেদী ও রেজার সঙ্গে কামরুল ইসলাম রাব্বি, নাবিল সামাদ, নাভিন উল হকরা মুশফিকের অস্ত্র। স্থানীয় এই ক্রিকেটারদের নিয়ে বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আক্ষেপ ঘোচাতে চান মুশফিক, ‘যেকোনো দলই চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। আমরাও চাই ইনশাআল্লাহ। শীর্ষ দুইয়ে থেকে যেন লিগ পর্ব শেষ করতে পারি সেই চেষ্টা করব। আশা করি একটা শিরোপা যেন জিততে পারি, আর সেটা যেন এ বছরই হয়। এটা সবার জন্য বড় সুযোগ, বিশেষ করে স্থানীয়দের জন্য। সামনে বিশ্বকাপসহ অনেক খেলা আছে। স্থানীয়দের জন্য অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম। আশা করছি আমার দল ও অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি সবাই সহায়তা করবে, যেন বিপিএল ভালোমতো শেষ করতে পারি। ব্যক্তিগত লক্ষ্যের চেয়ে দলগত লক্ষ্য আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর রানারআপ হয়েছি, দুইবার একশর কাছাকাছি গিয়েও শতক পাইনি। তবে ওই দুই ম্যাচই জিতেছি। এটাই বেশি জরুরি। এবারও এমন চ্যালেঞ্জই থাকবে।’
শুরুতেই নিয়মিত একজন না পাওয়ার আক্ষেপ থাকবে মাহমুদউল্লাহরও। কোমরের চোটের কারণে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে পাচ্ছেন না। এছাড়া লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনও করোনার কারণে আইসোলেশনে। যদিও মাহমুদউল্লাহ লেগস্পিনারকে আক্রমণে আনেন কম। তবুও ঢাকার অধিনায়কের দল গোছানো নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা তারকা আন্দ্রে রাসেল তার দলে। তামিম ইকবালের সঙ্গে বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের নাঈম শেখ ভালো জুটি। এছাড়া শামসুর রহমান, ইমরান উজ জামান, জহুরুল ইসলামরা আছেন ব্যাটিংয়ে। আর পেসার হিসেবে অভিজ্ঞ রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, এবাদত হোসেন, ইসুরু উদানারা আছেন। আরাফাত সানির সঙ্গে শুভাগত হোমকেই সামলাতে হবে স্পিনের দায়িত্ব। জয়ের লক্ষ্যে মাহমুদউল্লাহর বাজি অবশ্যই রাসেল। উইন্ডিজ তারকার ‘গুড মুড’ প্রতি ম্যাচেই চান। আজ সেই মুডে দেখতে চান জ্যামাইকান তারকাকে, ‘রাসেল অনেক বড় প্লাসপয়েন্ট। প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে এরকম খেলোয়াড় আপনার দলে থাকলে তার ওপর ভরসা করতেই পারেন। আশা করি কাল গুড মুডে থাকবে।’ এছাড়া নামি ক্রিকেটার দলে থাকলেও নিজেদের ফেভারিট হিসেবে দেখছেন না মাহমুদউল্লাহ। বড় ক্রিকেটারের কারণে নিজেদের ভালো প্রমাণের চ্যালেঞ্জটাও বেশি দেখেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ‘আমাদের দলটা তারকাবহুল। অনেক দায়িত্বও থাকবে। যখন খ্যাতি বেশি থাকে তখন তা প্রমাণেরও বিষয় থাকে। এই জিনিসগুলো আমাদের সবারই মাথায় আছে। ইনশাআল্লাহ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, আমার দলের ভালো করার সামর্থ্য আছে। আমরা শুরুটা কেমন করি এটা গুরুত্বপূর্ণ। ভালো শুরু পেলে টুর্নামেন্টে মোমেন্টাম পাব। সব টিমই ফেভারিট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটই এমন। একজন খেলোয়াড় ভালো করলে, একজন ব্যাটার ভালো ইনিংস খেললে পুরো দলের চেহারা বদলে যায়। তাই দল হিসেবে ভালো করতে হবে। যার যে দায়িত্ব সেটা যেন নিতে পারি।’
শেয়ার করুন
সেরা দুই টার্গেট মুশফিকের
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

উদ্বোধনী দিনে রাতের ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ঢাকা ও খুলনা। দু’রকম লক্ষ্য তাদের। মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা তাকিয়ে আছে ভালো শুরুর দিকে। আর খুলনার চোখ সরাসরি পয়েন্ট তালিকার সেরা দুইয়ে থাকা। ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানালেন ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চান। শুরুটা ভালো থাকলে যেকোনো দলই ধারাবাহিকতা পেয়ে যায়। মুশফিকুর রহিম ফাইনালের পথে চোখ রেখে আগাবেন। সামনে থেকে নেতৃত্বও দিতে চান প্রতি ম্যাচে। তবে এক জায়গায় দুই অধিনায়কের চিন্তা মিলেছে। তা হলো দলগত পারফরম্যান্স।
শক্তির বিচারে ঢাকার চেয়ে বেশ পিছিয়ে খুলনা। নামি তারকা বা বিদেশি হিসেবেও পিছিয়ে মুশফিকুর রহিমের দল। খুলনায় স্থানীয়রাই বেশি। তবে মুশফিকের ভরসার কারণ হতে পারে তার সতীর্থরা সবাই ঘরোয়া লিগের পারফরমার। শুরুর দিকে অবশ্য ওপেনিং নিয়ে ভাবতে হচ্ছে মুশফিককে। করোনা পজিটিভ হওয়ায় শুরুর কয়েক ম্যাচে সৌম্য সরকার খেলাতে পারছেন না। তার জায়গায় তরুণ তানজীদ হাসান তামিমকে ড্রাফটের বাইরে থেকে দলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওপরে পরীক্ষিত ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি, রনি তালুকদার, নিচের দিকে থিসারা পেরেরা, শেখ মাহেদী, ফরহাদ রেজারা আছেন হার্ডহিটিং অলরাউন্ডার হিসেবে। বোলিংয়ে পেরেরা, মাহেদী ও রেজার সঙ্গে কামরুল ইসলাম রাব্বি, নাবিল সামাদ, নাভিন উল হকরা মুশফিকের অস্ত্র। স্থানীয় এই ক্রিকেটারদের নিয়ে বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আক্ষেপ ঘোচাতে চান মুশফিক, ‘যেকোনো দলই চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। আমরাও চাই ইনশাআল্লাহ। শীর্ষ দুইয়ে থেকে যেন লিগ পর্ব শেষ করতে পারি সেই চেষ্টা করব। আশা করি একটা শিরোপা যেন জিততে পারি, আর সেটা যেন এ বছরই হয়। এটা সবার জন্য বড় সুযোগ, বিশেষ করে স্থানীয়দের জন্য। সামনে বিশ্বকাপসহ অনেক খেলা আছে। স্থানীয়দের জন্য অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম। আশা করছি আমার দল ও অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি সবাই সহায়তা করবে, যেন বিপিএল ভালোমতো শেষ করতে পারি। ব্যক্তিগত লক্ষ্যের চেয়ে দলগত লক্ষ্য আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর রানারআপ হয়েছি, দুইবার একশর কাছাকাছি গিয়েও শতক পাইনি। তবে ওই দুই ম্যাচই জিতেছি। এটাই বেশি জরুরি। এবারও এমন চ্যালেঞ্জই থাকবে।’
শুরুতেই নিয়মিত একজন না পাওয়ার আক্ষেপ থাকবে মাহমুদউল্লাহরও। কোমরের চোটের কারণে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে পাচ্ছেন না। এছাড়া লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনও করোনার কারণে আইসোলেশনে। যদিও মাহমুদউল্লাহ লেগস্পিনারকে আক্রমণে আনেন কম। তবুও ঢাকার অধিনায়কের দল গোছানো নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা তারকা আন্দ্রে রাসেল তার দলে। তামিম ইকবালের সঙ্গে বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের নাঈম শেখ ভালো জুটি। এছাড়া শামসুর রহমান, ইমরান উজ জামান, জহুরুল ইসলামরা আছেন ব্যাটিংয়ে। আর পেসার হিসেবে অভিজ্ঞ রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, এবাদত হোসেন, ইসুরু উদানারা আছেন। আরাফাত সানির সঙ্গে শুভাগত হোমকেই সামলাতে হবে স্পিনের দায়িত্ব। জয়ের লক্ষ্যে মাহমুদউল্লাহর বাজি অবশ্যই রাসেল। উইন্ডিজ তারকার ‘গুড মুড’ প্রতি ম্যাচেই চান। আজ সেই মুডে দেখতে চান জ্যামাইকান তারকাকে, ‘রাসেল অনেক বড় প্লাসপয়েন্ট। প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে এরকম খেলোয়াড় আপনার দলে থাকলে তার ওপর ভরসা করতেই পারেন। আশা করি কাল গুড মুডে থাকবে।’ এছাড়া নামি ক্রিকেটার দলে থাকলেও নিজেদের ফেভারিট হিসেবে দেখছেন না মাহমুদউল্লাহ। বড় ক্রিকেটারের কারণে নিজেদের ভালো প্রমাণের চ্যালেঞ্জটাও বেশি দেখেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ‘আমাদের দলটা তারকাবহুল। অনেক দায়িত্বও থাকবে। যখন খ্যাতি বেশি থাকে তখন তা প্রমাণেরও বিষয় থাকে। এই জিনিসগুলো আমাদের সবারই মাথায় আছে। ইনশাআল্লাহ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, আমার দলের ভালো করার সামর্থ্য আছে। আমরা শুরুটা কেমন করি এটা গুরুত্বপূর্ণ। ভালো শুরু পেলে টুর্নামেন্টে মোমেন্টাম পাব। সব টিমই ফেভারিট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটই এমন। একজন খেলোয়াড় ভালো করলে, একজন ব্যাটার ভালো ইনিংস খেললে পুরো দলের চেহারা বদলে যায়। তাই দল হিসেবে ভালো করতে হবে। যার যে দায়িত্ব সেটা যেন নিতে পারি।’