কষ্টের জয়ে শুরু কুমিল্লার
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
চোখ ছিল ফাফ ডু প্লেসির দিকে। বিপিএলের শুরুটা কেমন হবে তার? উত্তরটা সুখকর না। ৭ বলে মাত্র ২ রানে বিপিএল অভিষেক হলো ডু প্লেসির। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের শুরুটা ব্যর্থ হলেও তার দলের শুরু হয়েছে জয়ে। সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে হামাগুড়ি দিয়ে জয়ের লাইন ছুঁয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সিলেটের দেওয়া ৯৭ রানের লক্ষ্যে ছুটে মাত্র ২ উইকেটে জিতেছে তারা। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো প্রথম ম্যাচটি হলো লো-স্কোরিং।
মিরপুরের উইকেট নিয়ে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নিজের দ্বিধার কথা বলছিলেন সংবাদ মাধ্যমে। এই উইকেটে বোলার-ব্যাটসম্যান কেউই জানেন না বলটি কী হবে। ডু প্লেসির আউট যেমন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা আগের দিন বলেছিলেন ঢাকার উইকেট লো ও ধীর। কিন্তু পরদিন ম্যাচে বল গুডলেন্থ থেকে হঠাৎ লাফিয়ে ওঠে। যাতে সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টায় আলতো ড্রাইভ করতে যাওয়া ডু প্লেসি বোলারকে দিলেন ফিরতি ক্যাচ। ঠিক এমনই অষ্টম বিপিএলের শুরুর দিন একই পিচে প্রথম ম্যাচ হলো লো-স্কোরিং, অথচ দ্বিতীয় ম্যাচে হলো রান উর্বরা। কালও সেই প্রথা মেনে দিনের শুরুর ম্যাচে লড়াই হলো দলীয় ১০০ রানের নিচেই। কুমিল্লার বোলারদের দাপটে সিলেট আগে ব্যাট করে ১০ ওভার (১৯.১) ব্যাট করেও ১০০ করতে পারেনি। সর্বোচ্চ ২০ রান এসেছে কলিন ইনগ্রামের ব্যাটে। এছাড়া বোপারা ও সোহাগ গাজী করেছেন যথাক্রমে ১৭ ও ১২ রান। উইকেট থেকে আন-ইভেন বাউন্স ও টার্ন পাওয়ায় ভয়ংকর হয়ে ওঠেন স্পিনাররা। তাই পার্টটাইম স্পিনার মুমিনুল হকও ২ ওভার করে ১৪ রানে ১ উইকেট পেলেন। এছাড়া নাহিদুল ২০ রানে নিয়েছেন দুটি আর তানভির ৪ ওভারে ১০ রানে নেন ১ উইকেট। মোস্তাফিজও তার কাটার দিয়ে সফল হয়েছেন ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুমিল্লার সহজ জয় আশা করেছিল সবাই। কিন্তু আসরের অন্যতম ফেভারিটরাও হোঁচট খেতে খেতে এগিয়েছে। শুরুতে ডু প্লেসি বিদায় নিলে ছোট জুটি গড়েন মুমিনুল ও ডেলপোর্ট। ১৯ রানের জুটি থামে ডেলপোর্ট ১৬ রানে ফিরলে। সেই থেকে ২০ রানের মধ্যেই চার উইকেট নেই কুমিল্লার। মুমিনুল ১৫, ইমরুল ১০ ও ৪ রান করা আরিফুলকে হারিয়ে ৫ উইকেটে ৫৫ রানে পরিণত তারা। ম্যাচ তখন যে কোনো দিকেই হেলতে পারে। নাহিদুল ১৬ ও করিম জানাতের ১৮ রানে ম্যাচটা কুমিল্লার দিকেই আসে। শেষে ৫ রানের মধ্যে কুমিল্লা আরও তিন উইকেট হারালে উত্তেজনা ফেরে আবার। তবে মাহিদুল অঙ্গন ৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দেন।
ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে কুমিল্লা অধিনায়ক বলেন, এক ভিডিও বার্তায় ইমরুলের ব্যাখ্যা, ‘একটা দলের মাঝেমধ্যে এমন ম্যাচ হয়, প্রতিদিন কিন্তু হয় না। দল অনুযায়ী আমরা খুবই ভালো দল। প্রতিটা ব্যাটসম্যান তো প্রতিদিন এভাবে খেলবে না। বড় ব্যাটসম্যান যারাই আছেন তারা বড় ইনিংস খেলবেনই। যখন বড় স্কোর করবে তখন দেখবেন পরের ব্যাটসম্যানের জন্য বিষয়টা আরও সহজ হয়ে যাবে।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট : ৯৬/১০ (১৯.১ ওভার) (এনামুল ৩, ইনগ্রাম ২০, মিঠুন ৫, বোপারা ১৭, মোসাদ্দেক ৩, কাপালি ৬, সোহাগ ১২, মুক্তার ০, কেসরিক ৯, তাসকিন ২, অপু ০*; নাহিদুল ২/২০,
মোস্তাফিজ ২/১৫, তানভির ১/১০, শহিদুল ২/১৫, মুমিনুল ১/১৪, করিম ১/৭) ।
কুমিল্লা : ৯৭/৮ (১৮.৪ ওভার) (ডেলপোর্ট ১৬, ডু প্লেসি ২, মুমিনুল ১৫, ইমরুল ১০, নাহিদুল ১৬, আরিফুল ৪, করিম ১৮, অঙ্কন ৯*, শহিদুল ১, তানভির ৩*; তাসকিন ১/১৯, সোহাগ ২/৩০, মোসাদ্দেক ২/১০, অপু ৩/১৭)। ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ২ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : নাহিদুল ইসলাম।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

চোখ ছিল ফাফ ডু প্লেসির দিকে। বিপিএলের শুরুটা কেমন হবে তার? উত্তরটা সুখকর না। ৭ বলে মাত্র ২ রানে বিপিএল অভিষেক হলো ডু প্লেসির। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের শুরুটা ব্যর্থ হলেও তার দলের শুরু হয়েছে জয়ে। সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে হামাগুড়ি দিয়ে জয়ের লাইন ছুঁয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সিলেটের দেওয়া ৯৭ রানের লক্ষ্যে ছুটে মাত্র ২ উইকেটে জিতেছে তারা। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো প্রথম ম্যাচটি হলো লো-স্কোরিং।
মিরপুরের উইকেট নিয়ে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নিজের দ্বিধার কথা বলছিলেন সংবাদ মাধ্যমে। এই উইকেটে বোলার-ব্যাটসম্যান কেউই জানেন না বলটি কী হবে। ডু প্লেসির আউট যেমন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা আগের দিন বলেছিলেন ঢাকার উইকেট লো ও ধীর। কিন্তু পরদিন ম্যাচে বল গুডলেন্থ থেকে হঠাৎ লাফিয়ে ওঠে। যাতে সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টায় আলতো ড্রাইভ করতে যাওয়া ডু প্লেসি বোলারকে দিলেন ফিরতি ক্যাচ। ঠিক এমনই অষ্টম বিপিএলের শুরুর দিন একই পিচে প্রথম ম্যাচ হলো লো-স্কোরিং, অথচ দ্বিতীয় ম্যাচে হলো রান উর্বরা। কালও সেই প্রথা মেনে দিনের শুরুর ম্যাচে লড়াই হলো দলীয় ১০০ রানের নিচেই। কুমিল্লার বোলারদের দাপটে সিলেট আগে ব্যাট করে ১০ ওভার (১৯.১) ব্যাট করেও ১০০ করতে পারেনি। সর্বোচ্চ ২০ রান এসেছে কলিন ইনগ্রামের ব্যাটে। এছাড়া বোপারা ও সোহাগ গাজী করেছেন যথাক্রমে ১৭ ও ১২ রান। উইকেট থেকে আন-ইভেন বাউন্স ও টার্ন পাওয়ায় ভয়ংকর হয়ে ওঠেন স্পিনাররা। তাই পার্টটাইম স্পিনার মুমিনুল হকও ২ ওভার করে ১৪ রানে ১ উইকেট পেলেন। এছাড়া নাহিদুল ২০ রানে নিয়েছেন দুটি আর তানভির ৪ ওভারে ১০ রানে নেন ১ উইকেট। মোস্তাফিজও তার কাটার দিয়ে সফল হয়েছেন ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুমিল্লার সহজ জয় আশা করেছিল সবাই। কিন্তু আসরের অন্যতম ফেভারিটরাও হোঁচট খেতে খেতে এগিয়েছে। শুরুতে ডু প্লেসি বিদায় নিলে ছোট জুটি গড়েন মুমিনুল ও ডেলপোর্ট। ১৯ রানের জুটি থামে ডেলপোর্ট ১৬ রানে ফিরলে। সেই থেকে ২০ রানের মধ্যেই চার উইকেট নেই কুমিল্লার। মুমিনুল ১৫, ইমরুল ১০ ও ৪ রান করা আরিফুলকে হারিয়ে ৫ উইকেটে ৫৫ রানে পরিণত তারা। ম্যাচ তখন যে কোনো দিকেই হেলতে পারে। নাহিদুল ১৬ ও করিম জানাতের ১৮ রানে ম্যাচটা কুমিল্লার দিকেই আসে। শেষে ৫ রানের মধ্যে কুমিল্লা আরও তিন উইকেট হারালে উত্তেজনা ফেরে আবার। তবে মাহিদুল অঙ্গন ৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দেন।
ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে কুমিল্লা অধিনায়ক বলেন, এক ভিডিও বার্তায় ইমরুলের ব্যাখ্যা, ‘একটা দলের মাঝেমধ্যে এমন ম্যাচ হয়, প্রতিদিন কিন্তু হয় না। দল অনুযায়ী আমরা খুবই ভালো দল। প্রতিটা ব্যাটসম্যান তো প্রতিদিন এভাবে খেলবে না। বড় ব্যাটসম্যান যারাই আছেন তারা বড় ইনিংস খেলবেনই। যখন বড় স্কোর করবে তখন দেখবেন পরের ব্যাটসম্যানের জন্য বিষয়টা আরও সহজ হয়ে যাবে।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট : ৯৬/১০ (১৯.১ ওভার) (এনামুল ৩, ইনগ্রাম ২০, মিঠুন ৫, বোপারা ১৭, মোসাদ্দেক ৩, কাপালি ৬, সোহাগ ১২, মুক্তার ০, কেসরিক ৯, তাসকিন ২, অপু ০*; নাহিদুল ২/২০,
মোস্তাফিজ ২/১৫, তানভির ১/১০, শহিদুল ২/১৫, মুমিনুল ১/১৪, করিম ১/৭) ।
কুমিল্লা : ৯৭/৮ (১৮.৪ ওভার) (ডেলপোর্ট ১৬, ডু প্লেসি ২, মুমিনুল ১৫, ইমরুল ১০, নাহিদুল ১৬, আরিফুল ৪, করিম ১৮, অঙ্কন ৯*, শহিদুল ১, তানভির ৩*; তাসকিন ১/১৯, সোহাগ ২/৩০, মোসাদ্দেক ২/১০, অপু ৩/১৭)। ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ২ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : নাহিদুল ইসলাম।