‘নেগেটিভ’ সাকিব খেলার অপেক্ষায়
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০
সাকিব আল হাসান নিজে চাইছেন খেলতে। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে নিজের করোনা নেগেটিভের খবর জানিয়ে রাত ১টায় মুঠোফোনে বার্তাও পাঠিয়েছেন। অথচ খেলার মধ্যে না থাকা সাকিবকে একাদশে রাখার ব্যাপারে দ্বিধায় টিম ম্যানেজমেন্ট। কাল তো কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেই দিলেন অর্ধেক ফিট সাকিবকে দলে রাখা খুব কঠিন।
কাল সন্ধ্যার বিমানে চট্টগ্রাম চলে যান সাকিব। দলের সঙ্গ যোগ দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলার ইচ্ছেটাও জানিয়ে রাখলেন। অ্যান্টিজেন টেস্ট ও নিজ উদ্যোগে পিসিআর টেস্ট করে নেগেটিভ এসেছেন। তবুও প্রটোকল অনুযায়ী আরেকবার অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে সাকিবকে। সেখানে নেগেটিভ এলেও সাকিবকে খেলাতে হলে আরও অনেক বিষয় নজরে রাখতে হবে বলে জানান পাপন, ‘ওর (সাকিব) সঙ্গে কথা হয়েছে যে, ও নেগেটিভ হলে এখানে আসবে। কিন্তু সে অনুশীলনে নেই, খেলার মধ্যে নেই। ফিজিক্যাল কন্ডিশন কেমন? এটা পুরোটাই মেডিকেল ইস্যু। নেগেটিভ হলে সে শুধু কালকে (আজ) একদিন অনুশীলন করার সুযোগ পাবে। হয়তো সে খেলতে পারে আবার নাও খেলতে পারে, মানে এটা আসলে বলাটা মুশকিল। ওর ওপর নির্ভর করছে, টিমের ওপর নির্ভর করছে এবং মেডিকেল টিমের ওপর নির্ভর করছে। এখানে আবেগী হওয়ার কিছু নেই। এটা পাঁচ দিনের খেলা, আমরা চাইব না ওর জন্য বাড়তি চাপ হোক বা ক্ষতির ইস্যু হয়।’ এদিকে কাল সংবাদমাধ্যমে কোচ ডমিঙ্গোও অনীহা দেখালেন। সাকিবের মতো ক্রিকেটারকে তিনিও চান তবে অনুশীলনের বাইরে থাকা একজনকে সরাসরি টেস্টে খেলানোর ঝুঁকি নিতে নারাজ কোচ, ‘সরাসরি টেস্ট খেলা কিন্তু সহজ কথা নয়। আমাদের সাকিবের অনেক কিছুই দেখে নিতে হবে। সে গত দু-তিন সপ্তাহ ধরে বোলিংই করেনি। যেকেউ ফিট সাকিবকে দলে চাইবে কিন্তু ৫০-৬০ ভাগ ফিট সাকিবকে খেলানো খুব কঠিন।’ ছুটিতে থাকার কারণে শুরুতেই দলের সঙ্গে চট্টগ্রামের অনুশীলনে যোগ দেননি সাকিব। ঈদের ছুটি কাটিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর ১০ মে করোনা পজিটিভ হন। নিয়ম অনুযায়ী তার পাঁচ দিন আইসোলেশনে থাকার কথা ছিল। সেই হিসাবে ১৫ মে শুরু হতে যাওয়া চট্টগ্রামের প্রথম টেস্ট থেকে সাকিব ছিটকে গেছেন বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু টেস্টে তার নেগেটিভ হওয়াটা এ ক্ষেত্রে ‘খেলবে কি খেলবে না’ ধরনের একটা দোলাচল তৈরি করে।
সাকিবের সমস্যাটা বোলিং নিয়ে। সাকিব লম্বা সময় ব্যাটিং করতে পারলেও সমস্যা বোলিং নিয়ে। অনেক দিন না খেলা কোনো ক্রিকেটার কখনই সরাসরি টেস্টে নেমে দিনে ১৫-১৬ ওভার করতে পারে না। ডমিঙ্গো এই বিষয়টি সামনে এনে সাকিবের বদলে মোসাদ্দেক হোসেনকে খেলাতে চান বলে জানান, ‘আমাদের এমন কাউকে নিতে হবে যে কিনা বল করতে পারে। মুমিনুল ১০-১৫ ওভার বল করার মতো আত্মবিশ্বাসী নয়। শান্ত হয়ত ৬-৭ ওভার করতে পারবে। কিন্তু আমাদের এমন কাউকে প্রয়োজন যে ১০-১৫ ওভার করতে পারবে দিনে। সাকিব এখনো এই রকম ফিট নয়, সেদিক থেকে আমরা অবশ্যই মোসাদ্দেক হোসেনকে বিবেচনায় রাখছি।’
সাকিবের মতো একজনকে না করা কোনো দলের পক্ষেই সম্ভব নয়। আবার আনফিট কাউকে একাদশে রাখাও অসম্ভব। তাই হয়ত সাকিবকে নিয়ে দ্বিধায় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে আজ সাকিবকে অনুশীলনে দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা আসবে। নেতিবাচক কিছু হলে মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় ডাক পাওয়া মোসাদ্দেক তিন বছর পর টেস্ট খেলবেন সাকিবের বদলি হিসেবে।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০

সাকিব আল হাসান নিজে চাইছেন খেলতে। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে নিজের করোনা নেগেটিভের খবর জানিয়ে রাত ১টায় মুঠোফোনে বার্তাও পাঠিয়েছেন। অথচ খেলার মধ্যে না থাকা সাকিবকে একাদশে রাখার ব্যাপারে দ্বিধায় টিম ম্যানেজমেন্ট। কাল তো কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেই দিলেন অর্ধেক ফিট সাকিবকে দলে রাখা খুব কঠিন।
কাল সন্ধ্যার বিমানে চট্টগ্রাম চলে যান সাকিব। দলের সঙ্গ যোগ দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলার ইচ্ছেটাও জানিয়ে রাখলেন। অ্যান্টিজেন টেস্ট ও নিজ উদ্যোগে পিসিআর টেস্ট করে নেগেটিভ এসেছেন। তবুও প্রটোকল অনুযায়ী আরেকবার অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে সাকিবকে। সেখানে নেগেটিভ এলেও সাকিবকে খেলাতে হলে আরও অনেক বিষয় নজরে রাখতে হবে বলে জানান পাপন, ‘ওর (সাকিব) সঙ্গে কথা হয়েছে যে, ও নেগেটিভ হলে এখানে আসবে। কিন্তু সে অনুশীলনে নেই, খেলার মধ্যে নেই। ফিজিক্যাল কন্ডিশন কেমন? এটা পুরোটাই মেডিকেল ইস্যু। নেগেটিভ হলে সে শুধু কালকে (আজ) একদিন অনুশীলন করার সুযোগ পাবে। হয়তো সে খেলতে পারে আবার নাও খেলতে পারে, মানে এটা আসলে বলাটা মুশকিল। ওর ওপর নির্ভর করছে, টিমের ওপর নির্ভর করছে এবং মেডিকেল টিমের ওপর নির্ভর করছে। এখানে আবেগী হওয়ার কিছু নেই। এটা পাঁচ দিনের খেলা, আমরা চাইব না ওর জন্য বাড়তি চাপ হোক বা ক্ষতির ইস্যু হয়।’ এদিকে কাল সংবাদমাধ্যমে কোচ ডমিঙ্গোও অনীহা দেখালেন। সাকিবের মতো ক্রিকেটারকে তিনিও চান তবে অনুশীলনের বাইরে থাকা একজনকে সরাসরি টেস্টে খেলানোর ঝুঁকি নিতে নারাজ কোচ, ‘সরাসরি টেস্ট খেলা কিন্তু সহজ কথা নয়। আমাদের সাকিবের অনেক কিছুই দেখে নিতে হবে। সে গত দু-তিন সপ্তাহ ধরে বোলিংই করেনি। যেকেউ ফিট সাকিবকে দলে চাইবে কিন্তু ৫০-৬০ ভাগ ফিট সাকিবকে খেলানো খুব কঠিন।’ ছুটিতে থাকার কারণে শুরুতেই দলের সঙ্গে চট্টগ্রামের অনুশীলনে যোগ দেননি সাকিব। ঈদের ছুটি কাটিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর ১০ মে করোনা পজিটিভ হন। নিয়ম অনুযায়ী তার পাঁচ দিন আইসোলেশনে থাকার কথা ছিল। সেই হিসাবে ১৫ মে শুরু হতে যাওয়া চট্টগ্রামের প্রথম টেস্ট থেকে সাকিব ছিটকে গেছেন বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু টেস্টে তার নেগেটিভ হওয়াটা এ ক্ষেত্রে ‘খেলবে কি খেলবে না’ ধরনের একটা দোলাচল তৈরি করে।
সাকিবের সমস্যাটা বোলিং নিয়ে। সাকিব লম্বা সময় ব্যাটিং করতে পারলেও সমস্যা বোলিং নিয়ে। অনেক দিন না খেলা কোনো ক্রিকেটার কখনই সরাসরি টেস্টে নেমে দিনে ১৫-১৬ ওভার করতে পারে না। ডমিঙ্গো এই বিষয়টি সামনে এনে সাকিবের বদলে মোসাদ্দেক হোসেনকে খেলাতে চান বলে জানান, ‘আমাদের এমন কাউকে নিতে হবে যে কিনা বল করতে পারে। মুমিনুল ১০-১৫ ওভার বল করার মতো আত্মবিশ্বাসী নয়। শান্ত হয়ত ৬-৭ ওভার করতে পারবে। কিন্তু আমাদের এমন কাউকে প্রয়োজন যে ১০-১৫ ওভার করতে পারবে দিনে। সাকিব এখনো এই রকম ফিট নয়, সেদিক থেকে আমরা অবশ্যই মোসাদ্দেক হোসেনকে বিবেচনায় রাখছি।’
সাকিবের মতো একজনকে না করা কোনো দলের পক্ষেই সম্ভব নয়। আবার আনফিট কাউকে একাদশে রাখাও অসম্ভব। তাই হয়ত সাকিবকে নিয়ে দ্বিধায় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে আজ সাকিবকে অনুশীলনে দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা আসবে। নেতিবাচক কিছু হলে মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় ডাক পাওয়া মোসাদ্দেক তিন বছর পর টেস্ট খেলবেন সাকিবের বদলি হিসেবে।