কিছু রানের আক্ষেপ
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০
অসাধারণ এক ম্যাচ। ওয়ানডে ক্রিকেটের সোনালি সময়ের মন মাতানো রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দিল সিরিজের প্রথম ম্যাচ। তাতে হতাশা বাংলাদেশের আর উল্লাস জিম্বাবুয়ের। জোড়া সেঞ্চুরিতে ম্যাচে ফেরার অনন্য উদাহরণ টেনে স্মরণীয় জয় উদযাপন করল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দলটির ৫ উইকেটের এ জয় ২০১৪ সালের পর প্রথম।
ঠিক আগের বিশ্বকাপেই এই দলটি খেলতে পারেনি। সেই আক্ষেপ ঝেড়ে এই কদিন আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফেরা উদযাপন করেছে তারা। তবুও ওয়ানডেতে তো পিছিয়ে। তার ওপর অন্যতম অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস, ক্রেইগ আরভিন ছিলেন না। দুই সেরা বোলার মুজারাবানি ও চাতারাও নেই। একঝাঁক তরুণ অনভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলে। এত না পাওয়ার পরও শুধু ক্রিকেট উজ্জীবনী শক্তিতেই ম্যাচ জিতে নিল জিম্বাবুয়ে। দেশটিতে ক্রিকেটের জোয়ার সত্যি ফিরছে। এই ম্যাচ ঘিরে বাংলাদেশের পরিকল্পনার ভুল স্পষ্ট। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনে এতজন ডানহাতি থাকতেও দলে নেই একজন বাঁহাতি স্পিনার। অথচ গত ম্যাচেই ৫ উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলাম দলেই ছিলেন। বাংলাদেশ নেমেছিল আটজন ব্যাটার নিয়ে। তবুও তামিম ইকবালকে দিন শেষে আক্ষেপ করতে হলো ১৫-৩০ রানের, ‘সত্যি আমরা আরও ১৫ বা ৩০ রান কম ছিলাম। এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। শুরুতে ১০ ওভার সাবধানী খেলার ছিল। এরপর উইকেট সহজ।’ আট ব্যাটার নিয়েও রান কম হওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয় বাংলাদেশকে।
শুধু তাই নয়, ফিল্ডিং মিস বাংলাদেশকে আবারও ভোগাল। এ ক্যাচ মিসের খেসারত কতবার দেবে দল। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা ইনোসেন্ট কাইয়া (১১০) একাই পেয়েছেন তিন সুযোগ। তামিম বলছিলেন, ‘এ ভুলটা আমরা বারবার করছি। আমরা জানি এটা আমাদের কোনো না কোনো ম্যাচে ক্ষতি করবে। আজ সেই কাজটাই হলো।’
অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা সিকান্দার রাজা প্রশংসায় ভাসালেন তরুণ কাইয়াকে, ‘আমাদের জুটিটা দারুণ ছিল। ৩০০ রান তাড়া করতে গেলে অবশ্যই এমন জুটি চাইবেন যা আপনাকে ১৮০ রানের মতো এনে দেবে। আমরা আজ তা করতে পেরেছি। তবে আমি নই, এখানে ইনোসেন্টকেই বেশি কৃতিত্ব দিতে চাই।’ দারুণ খুশি অধিনায়ক রেজিস চাকাভা জানালেন, ইনিংস বিরতিতে তারা যা চেয়েছিলেন তার চেয়ে বেশি পেয়েছেন। আত্মবিশ্বাসে জোর ধাক্কা লাগা বাংলাদেশের জন্য এখন সবদিক থেকেই কঠিন। তার ওপর বাড়তি ঘা গতকাল ম্যাচে পায়ে লিগামেন্টে টান খেয়ে সিরিজ থেকে লিটন দাশের ছিটকে পড়া।
শেয়ার করুন
ক্রীড়া প্রতিবেদক | ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০

অসাধারণ এক ম্যাচ। ওয়ানডে ক্রিকেটের সোনালি সময়ের মন মাতানো রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দিল সিরিজের প্রথম ম্যাচ। তাতে হতাশা বাংলাদেশের আর উল্লাস জিম্বাবুয়ের। জোড়া সেঞ্চুরিতে ম্যাচে ফেরার অনন্য উদাহরণ টেনে স্মরণীয় জয় উদযাপন করল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দলটির ৫ উইকেটের এ জয় ২০১৪ সালের পর প্রথম।
ঠিক আগের বিশ্বকাপেই এই দলটি খেলতে পারেনি। সেই আক্ষেপ ঝেড়ে এই কদিন আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফেরা উদযাপন করেছে তারা। তবুও ওয়ানডেতে তো পিছিয়ে। তার ওপর অন্যতম অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস, ক্রেইগ আরভিন ছিলেন না। দুই সেরা বোলার মুজারাবানি ও চাতারাও নেই। একঝাঁক তরুণ অনভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলে। এত না পাওয়ার পরও শুধু ক্রিকেট উজ্জীবনী শক্তিতেই ম্যাচ জিতে নিল জিম্বাবুয়ে। দেশটিতে ক্রিকেটের জোয়ার সত্যি ফিরছে। এই ম্যাচ ঘিরে বাংলাদেশের পরিকল্পনার ভুল স্পষ্ট। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনে এতজন ডানহাতি থাকতেও দলে নেই একজন বাঁহাতি স্পিনার। অথচ গত ম্যাচেই ৫ উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলাম দলেই ছিলেন। বাংলাদেশ নেমেছিল আটজন ব্যাটার নিয়ে। তবুও তামিম ইকবালকে দিন শেষে আক্ষেপ করতে হলো ১৫-৩০ রানের, ‘সত্যি আমরা আরও ১৫ বা ৩০ রান কম ছিলাম। এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। শুরুতে ১০ ওভার সাবধানী খেলার ছিল। এরপর উইকেট সহজ।’ আট ব্যাটার নিয়েও রান কম হওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয় বাংলাদেশকে।
শুধু তাই নয়, ফিল্ডিং মিস বাংলাদেশকে আবারও ভোগাল। এ ক্যাচ মিসের খেসারত কতবার দেবে দল। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা ইনোসেন্ট কাইয়া (১১০) একাই পেয়েছেন তিন সুযোগ। তামিম বলছিলেন, ‘এ ভুলটা আমরা বারবার করছি। আমরা জানি এটা আমাদের কোনো না কোনো ম্যাচে ক্ষতি করবে। আজ সেই কাজটাই হলো।’
অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা সিকান্দার রাজা প্রশংসায় ভাসালেন তরুণ কাইয়াকে, ‘আমাদের জুটিটা দারুণ ছিল। ৩০০ রান তাড়া করতে গেলে অবশ্যই এমন জুটি চাইবেন যা আপনাকে ১৮০ রানের মতো এনে দেবে। আমরা আজ তা করতে পেরেছি। তবে আমি নই, এখানে ইনোসেন্টকেই বেশি কৃতিত্ব দিতে চাই।’ দারুণ খুশি অধিনায়ক রেজিস চাকাভা জানালেন, ইনিংস বিরতিতে তারা যা চেয়েছিলেন তার চেয়ে বেশি পেয়েছেন। আত্মবিশ্বাসে জোর ধাক্কা লাগা বাংলাদেশের জন্য এখন সবদিক থেকেই কঠিন। তার ওপর বাড়তি ঘা গতকাল ম্যাচে পায়ে লিগামেন্টে টান খেয়ে সিরিজ থেকে লিটন দাশের ছিটকে পড়া।