
স্পেনের একমাত্র বিশ্বকাপ জয় ২০১০ সালে। কিন্তু সেবার শুরুটা হয়েছিল স্পেনের সুইজারল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে। ২৪ বারের দেখায় সেটিই ছিল একমাত্র হার স্প্যানিশদের। দুই যুগ পর সুইসদের কাছে আবার হারল স্পেন। শনিবার রাতে জারাগোজার মাঠে সুইসদের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে লুই এনরিকের দল। চার বছরের মধ্যে ঘরের মাঠে এটি স্পেনের প্রথম হার, ১৯ বছরে দ্বিতীয়।
এই হারে নেশন্স লিগের গতবারের রানার্সআপ দলের সেমিফাইনালে ওঠাই কঠিন হয়ে পড়েছে। গ্রুপের শীর্ষে থেকে ঘরের মাঠে সুইজারল্যান্ডের কাছে হেরে (১-২ গোল) যাওয়ায় পর্তুগালের পেছনে পড়েছে তারা। শনিবার চেক প্রজাতন্ত্রকে ৪-০ গোলে হারানো পর্তুগিজদের সঙ্গেই আগামীকাল শেষ ম্যাচ স্পেনের। ড্র করতে পারলেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠে যাবে। স্পেনকে উঠতে হলে জিততে হবে পর্তুগিজদের মাঠে।
শনিবার প্রাগে অনুষ্ঠিত খেলার ১৪ মিনিটে নাকে আঘাত পান পর্তুগিজ অধিনায়ক রোনালদো। শূন্যে থাকা বলে হেড দিতে লাফ দিয়েছিলেন তিনি। চেক গোলরক্ষক টমাস ভাসলিকও লাফিয়ে ওঠেন বল ধরতে। বল ক্লিয়ার করলেও তার হাত গিয়ে লাগে রোনালদোর নাকে। রক্তারক্তি অবস্থাতেই পেনাল্টির আবেদন করেছিলেন রোনালদো। তবে অফসাইডে থাকায় মেলেনি। মাঠেই প্রাথমিক শুশ্রƒষা শেষে পুরো ম্যাচই খেলেছেন তিনি।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গোল করেন দালোত। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল করেন ব্রুনো। প্রথমার্ধে রোনালদো তিনটি গোলের সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি। বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে নিজেদের ডি-বক্সে রোনালদোর হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি চেক। প্যাট্রিক শিকের স্পট কিক ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। বিরতির পর ৫২ মিনিটে ফের ব্যবধান আরও বাড়ান দালোত। ৮২ মিনিটে রোনালদোর অ্যাসিস্টে জোড়া গোল করলে সহজ জয় নিশ্চিত হয় পর্তুগালের।
ওদিকে জারাগোজার মাঠে ম্যাচের ২১ মিনিটে ম্যানুয়েল আকাঞ্জির গোলে এগিয়ে যায় অতিথি সুইজারল্যান্ড। ৫৫ মিনিটে জর্দি আলবা সমতা ফেরান স্প্যানিশদের। কিন্তু তিন মিনিট পরই গোল করেন ব্রিল এমবোলো। শেষ পর্যন্ত ওই গোলেই ম্যাচ জেতে সুইসরা। ১৯ বারের দেখায় সুইজারল্যান্ডের কাছে দ্বিতীয় হার এটি স্পেনের। প্রথমটি ছিল ২০১০ বিশ্বকাপে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে। পরে অবশ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেনই। স্প্যানিশ কোচ লুইস এনরিখে বলেছেন, ‘আমরা এমন এক প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলেছি, যারা চাপ তৈরি করেছে, শারীরিকভাবে ছিল শক্তিশালী। তারা আমাদের নিজেদের খেলাটা খেলতে দেয়নি। দ্রুতই এসব শুধরে নিতে হবে। কারণ সামনে পর্তুগালে ফাইনাল। সেখানে গিয়ে আমাদের জিততে হবে। বিকল্প কিছু নেই।’ স্পেনের মাঠে প্রথম পর্বে ১-১ ড্র করেছিল পর্তুগাল।
আগ্রহপত্র জমা দিয়েও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব পায়নি সাকিব আল হাসানের প্রতিষ্ঠান মোনার্ক হোল্ডিংস। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিপিএলের আগামী তিন মৌসুমের জন্য বিপিএলের ৭ দলের স্বত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এই সাত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম নেই মোনার্ক হোল্ডিংসের, যেখানে চেয়ারম্যান সাকিব। মোনার্ক পদ্মা নামে দল গড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
আগ্রহপত্র জমা দিয়েও দলের স্বত্ব পায়নি মোনার্ক গ্রুপ, যেখানে ক্রিকেটার সাকিব জড়িত। এর কারণ হিসেবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমরা সরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে মোনার্ক মার্টের ব্যাপারে নেতিবাচক সব প্রতিবেদন পেয়েছি, যা তাদের নিজস্ব তদন্তে উঠে এসেছে। এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটা সংস্থাও আমাদের ভালো কিছু শোনাতে পারেনি। এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আমাদের সার্বিক যে পর্যবেক্ষণ, তাতে করে আমরা সন্তোষজনক কিছু পাইনি।’
গত ২ আগস্ট তিন মৌসুমের জন্য বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রির লক্ষ্যে আগ্রহপত্র চেয়েছিল বিসিবি। আগ্রহপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৩০ আগস্ট। রবিবার বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যাচাইবাছাই প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত করা সাত প্রতিষ্ঠানের নাম।
ফরচুন বরিশাল স্পোর্টস পেয়েছে বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজি, মাইন্ড ট্রি লিমিটেড পেয়েছে খুলনা ফ্র্যাঞ্চাইজি, প্রগতি গ্রিন অটো রাইস মিলের হাতে ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা, ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড পেয়েছে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের (বসুন্ধরা গ্রুপ) হাতে রংপুর এবং ডেল্টা স্পোর্টস লিমিটেড নিয়েছে চট্টগ্রাম। কুমিল্লা লিজেন্ডস লিমিটেড পেয়েছে কুমিল্লা ফ্র্যাঞ্চাইজি।
ঘুরেফিরে পুরনো নামগুলোই আবার এসেছে নতুন করে। নতুন অতিথি ফিউচার স্পোর্টস লিমিটেড। অতীতে কোনো ক্রীড়া আসরে তাদের উপস্থিতি কিংবা ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা জানা যায়নি, ইন্টারনেট ঘেঁটেও পাওয়া যায়নি কোনো হদিস। যদিও এসব বিপিএলের নিয়মিত দৃশ্য। শোনা যাচ্ছে মাশরাফি বিন মোর্ত্তজাকে সঙ্গে নিয়েই বিপিএলে পা রাখতে যাচ্ছে বেশ কজন লগ্নীকারিকে নিয়ে গড়া এই দলটি।
২০১৮-১৯ এর পর আবারও মাঠে ফিরছে বসুন্ধরা গ্রুপের রংপুর রাইডার্স। তারকাবহুল দল গড়ে সাফল্য পাওয়া দলটিই আসলে বিপিএলের বদলে যাওয়ার নেপথ্য কাহিনীর কেন্দ্রবিন্দু! ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা ডায়নামাইটস ছেড়ে সাকিবের রংপুরে যোগদানের চুক্তি সই অনুষ্ঠানের পরই বিসিবি আর চুক্তি নবায়ন করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে। সেই থেকে বিসিবি নিজেই চালিয়েছে বিপিএলের দল, স্বত্ব দিয়েছে এক মৌসুমের জন্য। এই বছর থেকে আবারও দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি, তাই ফিরেছে রংপুর রাইডার্সও। তবে ফেরেনি ঢাকা ডায়নামাইটস, খুলনা টাইটানসের মতো জনপ্রিয় ও তারকাবহুল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
ফরচুন বরিশালের আগমন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে, এরপর গত বিপিএলে অংশ নিয়ে রানার্স আপ। আগামী তিন বছরেও থাকছে ফরচুন বরিশাল। দলটির মালিকানায় আছে ফরচুন গ্রুপÑযারা পাদুকা শিল্পের সঙ্গে জড়িত। দলটিকে গতবার নেতৃত্ব দেন সাকিব আল হাসান। খুলনার মালিকানা বিজ্ঞাপনী সংস্থা মাইন্ড ট্রি’র হাতে, আখতার গ্রুপের ডেল্টা স্পোর্টস চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স নামে গত কয়েকটি আসরেই অংশ নিয়েছে। পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন। শুরুতে আগ্রহপত্র জমা না দিলেও পরে বিসিবিতে চিঠি দিয়ে সময় বাড়িয়ে আবেদন করেছে নাফিসা কামালের দল। সেই আবেদনে সাড়াও দিয়েছে বিসিবি।
প্রগতি গ্রুপ গেল মৌসুমে ছিল সিলেট সানরাইজারস দলের মালিকানায়। মালিকপক্ষের প্রতিনিধি শেখ কুদরত-ই-ইবতিহাজ জয় জানিয়েছিলেন, তাদের আগ্রহ ছিল পদ্মা নামে ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার। কিন্তু তাদের হাতে এসেছে রাজধানী। জয় দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছেন, ‘আমরা পদ্মা নামেই দল করতে চেয়েছিলাম। মনে হয় এখনো পদ্মা বিভাগ না হওয়াতে পদ্মা দেয়নি, ঢাকা ফাঁকা থাকায় আমাদের এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটিই দেওয়া হয়েছে।’
পদ্মা নামে দল গড়তে চেয়েছিল সাকিবের প্রতিষ্ঠান মোনার্কও। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক আবুল খায়ের গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন মোনার্ক পদ্মা নামে দল গড়তে তারা আগ্রহপত্র জমা দিয়েছেন। সাকিবকে নিয়ে দল গোছানোর কাজেও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বত্বই পেল না মোনার্ক। বেশকিছু বিতর্ক আছে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে। শেয়ারবাজার কেলেংকারিতে নিয়মিতই আর্থিক জরিমানার মুখে পড়ছে মোনার্ক, সেই সঙ্গে জড়িয়েছে সাকিবের নামও। সম্প্রতি মোনার্কের পরিচালকদের মধ্যে শেয়ারবণ্টন সংক্রান্ত চুক্তিতে সাকিবের বাবার নামে ভুল নিয়েও হয়েছে বিতর্ক। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও শেয়ারবাজারে আবুল খায়ের হিরোর সম্পৃক্ততা নিয়েও আছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা মোনার্ক আর বিতর্কের জন্ম দেওয়াকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলা সাকিবের এই যুগলবন্দির বাউন্সারে আপাতত ‘ডাক’ করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
ব্যর্থতা উড়িয়ে ঝড়ের বেগে সফলতা নিয়ে এলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে নিজের করে নিলেন সিপিএলে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের সঙ্গে ম্যাচ। তাতে হয়েছেন ম্যাচসেরা, দলও জিতেছে আর পয়েন্টের তলানিতে থাকা গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স প্লে অফের টিকিটও কেটেছে। বাংলাদেশ সময় গতকাল সকালে নাইট রাইডার্সকে ৩৭ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে উঠেছে গায়ানা। সাকিব ব্যাট হাতে ২৫ বলে ৩৫ রান করার পর বল হাতে ২০ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি নিকোলাস পুরানকে মাত্র ১ রানে সরাসরি থ্রোতে রানআউটও করেছেন।
আগের দুম্যাচে প্রথম বলেই আউট হয়েছিলেন সাকিব। তবুও বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের ওপর আস্থা হারায়নি গায়ানা। এই ম্যাচেও তাকে চার নম্বরেই নামায়। এবার সাকিব আস্থার প্রতিদান দিলেন। সামিত প্যাটেলকে এক ওভারে তিন চার, সুনীল নারিনকে বিশাল ছক্কায় ২৪ বলে ৩৫ করেন। পরে নারিনের বলেই স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন। তার আগে ৪২ বলে ৬০ রান করা রাহমানউল্লাহ গুরবাজের সঙ্গে ৪২ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন সাকিব। পরে বল হাতে প্রথম ওভারেই টিম সেইফার্টের উইকেটে শুরু করেন সাকিব। পরে ১৭ ও ১৯তম ওভারে পরপর দুই ওভারে যথাক্রমে আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারিনকে ফেরান।
অর্থের অভাবে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যখন দুবাইতে ‘এ’ দলের সিরিজ স্থগিত করে, তখন বিপাকেই পড়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সামনেই ভারতের সঙ্গে হোম সিরিজ, তার আগে টেস্ট দলের খেলোয়াড়দের একটু কড়া পরীক্ষায় ফেলে ঝালিয়ে নেওয়াটা যে জরুরি। আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজে লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা টেস্ট ক্রিকেটাররা খেলবেন, তাদের দেখবেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো এটাই তো ছিল বিসিবির পরিকল্পনা। বাদ সাধে আফগানদের অর্থাভাব। বিকল্প খুঁজতে ভারতের বেশকিছু রাজ্যদলের শরণাপন্ন হয়েছিলেন বিসিবি কর্তারা, সাড়া মিলেছে তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে। তামিলনাড়ু রাজ্যদলের বিপক্ষে কিছু ম্যাচ খেলবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা, সংগত কারণেই ‘এ’ দলের বদলে ভিন্ন নামে দল পাঠাবে বিসিবি। কাল মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভির আহমেদ টিটু। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সূচি চূড়ান্ত হবে। কতটি ম্যাচ হবে, কোন সংস্করণের ম্যাচ হবে, সেগুলো আরও কিছু বিষয় নিষ্পত্তি হওয়ার পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন এই বোর্ড পরিচালক।
এদিকে নেপাল ক্রিকেট বোর্ড থেকেও একটি সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছিল বিসিবি। সেখানে একটি দল পাঠানোর ভাবনাও ছিল। তবে জাতীয় লিগের কারণে নেপালে আপাতত কোনো দল পাঠাবে না বিসিবি, ‘ক্রিকেট বোর্ডের একটি একাদশ নেপালে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় জাতীয় লিগ চলবে। বিসিবি একাদশে নেপালে গেলে আমাদের বেশকিছু খেলোয়াড় থাকছে না, যেটা জাতীয় লিগে প্রভাব ফেলবে। সেই কারণে নেপাল আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরে যদি কখনো সময় সুযোগ হয় তখন যাওয়া যেতে পারে।’
প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে লাগাতার স্লেজিং করায় যশস্বী জয়সওয়ালকে মাঠ থেকে বের করে দেন তার দলেরই অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে! গতকাল ভারতের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট দিলীপ ট্রফি ফাইনালের শেষ দিন ঘটেছে বিরল এই ঘটনা। কোয়েম্বাটরে ৫২৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পঞ্চম দিন ব্যাট করছিল দক্ষিণাঞ্চল। দলটির ব্যাটসম্যান রবি তেজাকে ক্রমাগত সেøজিং করতে থাকেন তার কাছেই ফিল্ডিং করা জয়সওয়াল। ভিডিওতে দেখা যায়, আম্পায়ার প্রথমে সতর্ক করে দেন জয়সওয়ালকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন অধিনায়ক রাহানে। জয়সওয়ালের পাশাপাশি তেজার সঙ্গেও কথা বলে পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু জয়সওয়াল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটান ৫৭তম ওভারে। আম্পায়াররা তখন অধিনায়ক রাহানেকে ডাকেন বিষয়টি দেখার জন্য। এরপর রাহানে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা জয়সওয়ালকে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন। বেরিয়ে যান এই ক্রিকেটার। তখন ১০ জন নিয়ে খেলে পশ্চিমাঞ্চল। ৭ ওভার পর অবশ্য আবার মাঠে ফেরেন জয়সওয়াল। পশ্চিমাঞ্চলের ২৯৪ রানে জয়ে তিনি জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ইন্টারনেট
সাত বছর পর শিরোপা ফিরে পাওয়া ঢাকা বিভাগ এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম ম্যাচই খেলবে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ১০ অক্টোবর ঢাকার সঙ্গে রংপুর বিভাগের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে দেশের শীর্ষ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। একই দিনে শুরু হবে আরও তিন ম্যাচ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিলেট মুখোমুখি হবে স্বাগতিক চট্টগ্রামের।
টায়ার-টু’র ম্যাচে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে আসরের সফলতম দল খুলনা ও ঢাকা মেট্রো, রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে রাজশাহী ও বরিশাল। অক্টোবরের ১৭ তারিখে শুরু হবে দ্বিতীয় রাউন্ড, মিরপুরে লড়বে রংপুর-চট্টগ্রাম আর বিকেএসপিতে ঢাকা-সিলেট। কক্সবাজারে মুখোমুখি হবে খুলনা-বরিশাল, চট্টগ্রামে রাজশাহী-ঢাকা মেট্রো। প্রথম দুই রাউন্ডের পর মিরপুরে আর খেলা নেই, এবার দীর্ঘদিন পর জাতীয় লিগের খেলা হবে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে। নারীদের এশিয়া কাপ শেষে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুটো মাঠও ব্যবহার করা হবে জাতীয় লিগের জন্য।
টেস্ট ক্রিকেটে সিলেটের পথচলা শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। অভিজাত সংস্করণে যা ছিল দেশের অষ্টম ভেন্যু। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে পা রাখে দেশের সবচেয়ে সুন্দর এই স্টেডিয়ামটি। তবে মাঠের অভিষেক ম্যাচেই হেরে যায় বাংলাদেশ। তারপর আর কোনো পাঁচ দিনের খেলা গড়ায়নি এই মাঠে। এ নিয়ে স্থানীয়দের আক্ষেপের শেষ নেই।
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে। পাঁচ বছর পর আবারও টেস্ট ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট আয়োজন করতে পারব বলে আশা করছি। এটি আমাদের জন্য খুব একটি উপলক্ষ হবে। কারণ পাঁচ বছর পর সিলেটের মাঠে টেস্ট ক্রিকেট ফিরবে।’
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল সিলেট সফর করেছে। তারা সেখানকার মাঠসহ সব সুযোগ সুবিধা পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সবকিছু দেখে তারা এখানে আরও বেশি ম্যাচ আয়োজনের জন্য উন্মুখ বলে জানিয়েছেন বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান নাদেল।
তিনি যোগ করেছেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল আমাদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেশ মুগ্ধ। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে আমরা তাদের সব প্রত্যাশা ও প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারব।’
এফটিপি সূচি অনুযায়ী চলতি বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজে খেলার কথা নিউজিল্যান্ডের। তবে সিরিজটি হবে দুই ভাগে। প্রথম ভাগে সেপ্টেম্বরের শেষভাগে বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়ানডে খেলবে কিউইরা। এই সিরিজ খেলেই বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে দুই দল।
বিশ্বকাপের পর হবে দুই দলের টেস্ট সিরিজ। নভেম্বরের শেষ দিকে আবারও বাংলাদেশে আসবে কিউইরা। বিসিবি প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী ২১ নভেম্বর ঢাকায় পা রাখার কথা সফরকারীদের। এরপর একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে দলটি। ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্ট।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখতে কুমিল্লায় উড়ে গেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়েছে ম্যাচটি। সালাউদ্দিন ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা খানেক আগে কুমিল্লায় পৌঁছান।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় পাড়ি দিতে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তবে সালাউদ্দিন দূরত্বটা পাড়ি দিয়েছেন হেলিকপ্টারে করে। যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
টাকার অভাবে কদিন আগে নারী ফুটবলারদের অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি বাফুফে। অথচ ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যেতে বাফুফে সভাপতি বেছে নিলেন হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে কুমিল্লার এই যাত্রায় বাফুফে সভাপতির সঙ্গী হয়েছেন সংস্থার নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।