
টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত আর্জেন্টিনা। তাই কাতার বিশ্বকাপে ফেভারিটদের তালিকায় আছে লিওনেল মেসির দল। ফেভারিটের তকমা লাগায় বিষয়টি চাপেরও হতে পারে দলের জন্য। তাই এ বিষয়ে সতর্ক আছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ফেভারিট তকমার ফাঁদে না পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন সতীর্থদের।
২৮ বছরের শিরোপা-খরা গত বছরই কাটিয়েছে আর্জেন্টিনা। জিতেছে কোপা আমেরিকা শিরোপা। এরপর তারা জিতেছে ফিনালিসিমাও। তাই পরিসংখ্যানের বিচারে তাদের এবার ফেভারিট হওয়াটা স্বাভাবিক। মেসি বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি ভালো ফর্মে থেকে। কিন্তু আমরা এই প্রচারের ফাঁদে পা দিতে পারি না যে, আমরা ফেভারিট এবং জিতব। আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে এবং ধাপে ধাপে যেতে হবে।’ আবুধাবিতে ভিন্ন দুজনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন মেসি।
বিশ্বকাপে যেকোনো দলের বিপক্ষে খেলাটাই কঠিন। ইউরোপের দলগুলোর সঙ্গে ম্যাচ কম খেলা হয়েছে আর্জেন্টিনার। মেসি সেই বিষয়টিও মনে করিয়ে দিয়েছেন সতীর্থদের ‘বর্তমানে সব জাতীয় দলের বিপক্ষেই খেলা কঠিন। প্রতিটি দলকেই (বিশ্বকাপে) হারানো কঠিন হবে। ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে আমাদের বেশি খেলা হয়নি।’
মেসি ফেভারিট হিসেবে দেখছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে। পগবা, কন্তেরা না থাকলেও তাদের সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় আছে বলে মনে করেন মেসি ‘ফ্রান্স ভালো দল। তাদের কিছু খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়েছে, তবে তাদের দলে অনেক সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় আছে। তাদের সেরা খেলোয়াড় এবং একজন কোচ (দিদিয়ের দেশম) আছে যারা প্রায় একই গ্রুপে ছিল এবং এর মধ্যেই শেষ বিশ্বকাপ জিতেছে।’
ব্রাজিলেরও দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন মেসি। ব্রাজিলের আক্রমণভাগের জন্য তাদের এগিয়ে রাখছেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা। ‘ব্রাজিলের কাছে অনেক গুণমানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। বিশেষ করে অ্যাটাকিংয়ে, তারা যে কাউকেই হারাতে পারে। তাদের ভালো স্ট্রাইকার আছে। নেইমারও আছে।’
লো সেলসোর দলে না থাকাটা দুর্ভাগ্য বলছেন মেসি। ‘আমাদেরও দারুণ একটি দল আছে। খেলোয়াড়রা উজ্জীবিত। জিও (লো সেলসো) ইনজুরি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। তবে প্রথমে আমাদের উদ্বোধনী খেলায় মনোনিবেশ করতে হবেভ’ সি গ্রুপে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ সৌদি আরবের বিপক্ষে। গ্রুপে আর্জেন্টিনার বাকি দুই প্রতিপক্ষ মেক্সিকো ও পোল্যান্ড।
বর্তমানে ফুটবলে সবচেয়ে বড় নামটা সম্ভবত মেসি। তার ভক্ত আছে দুনিয়াজুড়ে। ম্যাচ খেলার সময় মাঠে ঢুকে মেসির সঙ্গে ছবি তোলা বা তাকে জড়িয়ে ধরার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এসবের খারাপ দিকও দেখছেন মেসি। ‘মেসি হওয়ার অনেক জ্বালাও আছে। মাঝেমধ্যে মনে হয় বিখ্যাত না হলে বোধহয় ভালো হতো। সবাই আমাকে নিয়ে কথা বলছে, অনুসরণ করছে। এভাবে মনোযোগের কেন্দ্রে থাকতে খুব একটা ভালো লাগে না। তবে এখন এসবে অভস্ত হয়ে গেছি।’ মেসি যখন বন্ধু, পরিবারের সঙ্গে থাকেন তিনি তখন অন্য কেউ হয়ে যান। ‘যখন আমি বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে থাকি, আমি মেসি নয়। অন্য এক মানুষ। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোই আমার ভালো লাগে।’ বলছিলেন মেসি।
আর্জেন্টিনার বর্তমান কোচ লিওনেল স্কালোনিকে নিয়েও কথা বলেন মেসি। আর্জেন্টাইন কোচ খেলোয়াড়দের ওপর বিশ্বাস রাখেন। বাইরের কে কী বলল সেটি মাথায় নেন না। এই বিষয়টিই বর্তমানে দলকে গ্রুপ হিসেবে একত্র করে রেখেছে বলে মনে করেন মেসি।
মেসি বিশ্বকাপ জয়ের সবচেয়ে কাছে গিয়েছিলেন ২০১৪ সালে। সেবার জার্মানির সঙ্গে হেরে রানার্সআপ হয় আর্জেন্টিনা। ২০১৪ দলটির সঙ্গে এবারের দলের বেশ মিল পান মেসি। ২০১৪ সালের দলটির বিষয়ে মেসি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। জীবনের অনেক কিছু নিয়ে কথা হতো আমাদের। ২০১৪ বিশ্বকাপে দল যেভাবে এগিয়েছিল ঠিকই ছিল। তবে বিশ্বকাপ ফাইনাল হারের পর যা হয়েছে, ঠিক হয়নি। তা ছিল ফুটবলের বাইরের বিষয়। এমন কথা শুনতে হয়েছে অনেককে, যা ছিল ক্ষতিকর। এমনও হয়েছে পরিবারকে (সদস্যদের) আঘাত করা হয়েছে। সবাই নিজের সেরাটাই দিয়েছিল।’
মেসিকে নিয়ে আলোচনা হয় সব সময়ই। খারাপ করলে শুনতে হয় সমালোচনা। জাতীয় দলে আসার পর থেকেই বিষয়টি ঘটেছে মেসির সঙ্গে। এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি যাই করি না কেন মন্তব্য শুনতে হয়। ২০০৬ সালের আগে আমি জার্মানিতে খেলিনি, তবু সমালোচনা শুনতে হয়েছে। ২০০৭ কোপা আমেরিকা ফাইনালে হারের পর থেকে বিষয়গুলো আরও বড় হতে থাকে।’
অবশেষে দেখা মিলেছে রাসেল ডমিঙ্গোর। সোমবার বাংলাদেশে পা রেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ। কাল গিয়েছিলেন মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ব্যক্তিগত অনুশীলন ব্যস্ত ওয়ানডে দলের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎও হয়েছে জাতীয় দলের কোচের।
সেই যে আগস্ট মাসের ২২ তারিখে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন ডমিঙ্গো, ফিরলেন প্রায় মাস তিনেক পর। মাঝের এই সময়টায় টেকনিক্যাল ডিরেক্টর শ্রীধরণ শ্রীরামের তত্ত্বাবধানে এশিয়া কাপ, আরব আমিরাত সফর, নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশ। ডমিঙ্গোর কোচিং দর্শনের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের টি-টোয়েন্টি সংক্রান্ত প্রত্যাশার অমিল থেকেই এই বিভাজন। মাঝে আরব আমিরাতে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজে ডমিঙ্গোর থাকার কথা ছিল, কিন্তু আর্থিক কারণে আফগানরা সিরিজই বাতিল করে দিলে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আর আসতে হয়নি তাকে। বিশ্বকাপ শেষ, সামনেই ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজ। তাই ডমিঙ্গো ফিরেছেন বাংলাদেশে।
মিরপুরে কাল ডমিঙ্গো দেখা পেয়েছেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। তামিম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানিয়েছেন। মাহমুদউল্লাহকে নির্বাচকরা ছেঁটে ফেলেছিলেন নিউজিল্যান্ড সফর ও বিশ্বকাপের দল থেকে। দুজনেই ওয়ানডের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার, সিরিজকে সামনে রেখে কাল অনুশীলনে ব্যস্ত থাকার সময়ই মাঠে ডমিঙ্গোর দেখা পেয়েছেন দুজনে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটারদের একটা অংশ শ্রীরামপন্থি। সাকিব আল হাসান এই অংশের সবচেয়ে জোরালো কণ্ঠস্বর। সাকিব চাইছেন শ্রীরাম যেন দায়িত্বে থাকেন, তার এই চাহিদার সঙ্গে ক্রিকেট অপারেশনস পরিচালক জালাল ইউনুসেরও অমত নেই। যদিও অনেকেই বলছেন, জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে জিতেই সেরা বিশ্বকাপের তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার কোনো সুযোগ নেই। বরং উদ্বোধনী জুটি নিয়ে বিশ্বকাপের আগে অনেক বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায় সমালোচনাও খানিকটা সহ্য করতে হয়েছে তাকে।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লা ভারী বলেই হয়তো এত পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ পেয়েছেন শ্রীরাম। অন্যদিকে ওয়ানডের সাফল্যে ডমিঙ্গোর কৃতিত্ব খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলটা অনেক গোছানো। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সুপার লিগে একটা সময় উঠেছিল শীর্ষে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব ডমিঙ্গোর আমলেই প্রথম দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কাল তামিমকে ব্যাটিং দেখিয়ে দেওয়ার ফাঁকে নিশ্চয়ই ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আলাপটাও শুরু করেছেন ডমিঙ্গো।
সম্ভাব্য সেরা দলটা নিয়েই বাংলাদেশে আসবে ভারত। ৩ ওয়ানডের সিরিজ যদিও সুপার লিগের অংশ নয়, তারপরও কোনো ছাড় দেয়নি ভারত, রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করে বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদবদের নিয়ে শক্তিশালী দলই আসছে বাংলাদেশ সফরে। হয়তো সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচগুলো বেশ রোমাঞ্চকরভাবে শেষ হয়েছে বলেই কোনো অনভিজ্ঞ তরুণ দল পাঠিয়ে ঝুঁকি নিচ্ছে না বিসিসিআই।
ওয়ানডে সিরিজের পর টেস্ট সিরিজটা অবশ্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। পয়েন্ট টেবিলে চারে আছে ভারত, ফাইনালের রেসে টিকে থাকতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে কোনো পয়েন্ট হাতছাড়া করতে চাইবে না রোহিত শর্মার দল। তাই তো শক্তিশালী দল ঘোষণা করা হয়েছে টেস্ট সিরিজে, শুধু তাই নয়, আগেভাগে ‘এ’ দলকেও পাঠাবে বিসিসিআই।
সব মিলিয়ে সামনে কঠিন সময় ডমিঙ্গোর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফেইক ফিল্ডিং কেলেঙ্কারির আর ৫ রানে হারার কারণে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে প্রত্যাশার চাপটা আরও বেশি থাকবে বাংলাদেশের ওপর। টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ানশিপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দুটো দিয়েই ইতি ঘটবে এবারের চক্রের। দেশে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কোনো ম্যাচ জিততে না পারা বাংলাদেশ অন্তত কিছুটা পয়েন্ট তো আশা করবে নিজেদের মাটিতে।
ডমিঙ্গোকে তাই ফের প্রমাণ করতে হবে নিজেকে, বুঝিয়ে দিতে হবে কোচের দায়িত্বে বাকি মেয়াদটা পর্যন্ত তিনি থাকতে পারবেন। অন্যদিকে যদি মাঠের খেলার ফলটা হয় খারাপ, তখন ফের আলোচনায় চলে আসবেন শ্রীরাম অথবা অন্য কেউ। তখন হয়তো এতটা লম্বা সময় ছুটি কাটানোর সুযোগ ডমিঙ্গো পাবেন না।
জয়ে মৌসুম শুরু হলেও মৌসুমের শুরুর ম্যাচে আবাহনীর খেলা মন ভরাতে পারেনি দর্শকদের। মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল স্বাধীনতা কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা উত্তরা ফুটবল ক্লাবকে হারিয়েছে ২-০ ব্যবধানে।
গত মৌসুমে আবাহনীর আক্রমণভাগের আস্থা ডরিয়েলটন গোমেজ এবার যোগ দিয়েছেন প্রধান প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা কিংসে। নতুন জার্সিতে ডাবল হ্যাটট্রিক করে আবাহনীর আফসোসটাই বাড়িয়ে দেন ডরিয়েলটন। তার জায়গায় আকাশিরা এনেছিল আরেক ব্রাজিলিয়ান গেটারসন আলভেজকে। কাল এই স্ট্রাইকার দলের হয়ে করেছেন প্রথম গোলটি। ৩৪ মিনিটে সাইফ থেকে আসা মেরাজ হোসেনের পাস ধরে গেটারসন নিখুঁত প্লেসিংয়ে গোল করেন। এর ৮ মিনিট পর আবাহনীর ব্যবধান বাড়ে উত্তর এফসি ডিফেন্ডার মোহাম্মদ রাকিবের ভুলে। কর্নার থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠান রাকিব। বড় ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্য পূরণ না হলেও প্রথম ম্যাচ বলেই অতটা অখুশি নন আবাহনীর কোচ মারিও লেমস ‘আমাদের কাছে জয় ও গোলটাই মুখ্য ছিল। সেটি আমরা পেয়েছি। প্রথম ম্যাচ হিসেবে গেটারসন খারাপ করেননি। আশা করছি দলের সঙ্গে দ্রুতই মানিয়ে নিয়ে সে সামনে আরও ভালো খেলবে।’ দিনের অন্য ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে। মুক্তিযোদ্ধার হয়ে জোড়া গোল করেন ফয়সাল।
জাতীয় লিগের একমাত্র শিরোপা জিতেছিল রংপুর ২০১৪-১৫ মৌসুমে। ৮ বছর পর তাদের সামনে এবার দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের হাতছানি। আজ মাত্র ৮৮ রান করলেই ২৪তম আসরের চ্যাম্পিয়ন হবে রংপুর। বগুড়ায় সিলেটকে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬৮ রানে অলআউট করে জয়ের প্রান্তে পৌঁছেছে রংপুর।
জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টায়ার ১ এর শীর্ষে থেকে শুরু করে রংপুর। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিলেটের ছিল ২১ পয়েন্ট। এই রাউন্ডে জিততেই হতো সিলেটকে, বিপরীতে রংপুরের জন্য ড্র-ই যথেষ্ট ছিল। রংপুর সেই পথে হাঁটেনি। ম্যাচ জিতেই শিরোপা উৎসব করবে আকবর আলির দল। ম্যাচে সিলেটের হারের কারণ হতে পারে ব্যাটিং ব্যর্থতা। দুই ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করতে ব্যর্থ হন দলের সব ব্যাটার। দ্বিতীয় ইনিংসে তৌফিক তুষারের ৩৬ রান দুই ইনিংসে দলটির সর্বোচ্চ। এছাড়া স্পিনার নাসুম আহমেদ তিনে নেমে করেন ৩৩। দ্বিতীয় ইনিংসে তাই ১৬৮ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। মিডিয়াম পেসে ৪ উইকেট নেন আসরে রংপুরের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করা অবদুল্লাহ আল মামুন। তাতে মাত্র ৮৭ রানে এগিয়ে থাকে সিলেট। এ রান আজ ম্যাচের তৃতীয় দিন সহজেই টপকে যাবে রংপুর।
জয়ের সমান আনন্দের সুবাস পাচ্ছে ঢাকা মেট্রোও। টায়ার ২ থেকে ওপরের টায়ারে ওঠার সুযোগ তাদের সামনে। ওই গ্রুপে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তারা দুই নম্বরে। আর ২৫ পয়েন্ট নিয়ে রাজশাহী শীর্ষে তবে জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডে খুলনার কাছে প্রথম ইনিংসে ৫৪ রানে অলআউট হওয়ায় রাজশাহীর জয়ের সম্ভাবনা কঠিন। তাই টায়ার ১-এ উন্নীত হওয়ার পথটা মেট্রোর জন্যই সহজ বেশি।
বিশ্বকাপের ওপেনার হিসেবে জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন। বাজে ফর্মের জন্য শুরুতে হারালেন জায়গা। এবার দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ঘরোয়া আসর থেকেও বাদ পড়লেন সাব্বির রহমান। কাল বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ক্রিকেটার্স ড্রাফটে চার দলের কেউ নেয়নি তাকে। শুধু সাব্বির নয়, জাতীয় লিগে ভালো করা এবং অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অনেকেই দল পাননি। এ ছাড়া লিগে খেলছেন না সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, নুরুল হাসান সোহান ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। এই চার ক্রিকেটার খেলবেন আবুধাবি টি-টেন লিগে। তাসকিন আহমেদকে ডেকান দলে নিলেও অনাপত্তি না পাওয়ায় বিসিএলে খেলছেন।
কাল অনুষ্ঠিত হওয়া প্লেয়ার্স ড্রাফটে চার দলই আগের মৌসুম থেকে ৬ জন করে ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পেরেছে। সেই হিসেবে তামিম-মুশফিক-আফিফ-রাব্বিরা ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনে; মাহমুদউল্লাহ, লিটন, সাইফউদ্দিন, তাসকিনরা বিসিবি নর্থ জোনে। বাকি দু’দলের মধ্যে জাতীয় দলের তারকারা আছেন শুধু সেন্ট্রাল জোনে মোসাদ্দেক সৈকত, নাজমুল শান্ত ও সৌম্য সরকার। শুরুতে টুর্নামেন্টের ওয়ানডে পর্ব হবে ২০, ২২, ২৪ নভেম্বর বিকেএসপিতে। আর ফাইনাল হবে ২৭ নভেম্বর মিরপুরে। ভারত সিরিজের আগে বিসিএল করার ব্যাপারে বিসিবি টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান সাজ্জাদুল আলম ববি জানান ‘আমাদের আন্তর্জাতিক সূচি আছে, ওয়ানডে খেলতে হবে। যে কারণে আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এখানে কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। ভারত সিরিজে যা যা করা হবে, বলসহ অন্যান্য যা আছে সব একই রাখার চেষ্টা করছি এখানে যাতে খেলোয়াড়রা অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।’ বিসিএলে রান হওয়ার মতো ভালো উইকেট করার কথা জানান ববি।
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হলেও এবার চার দলের তিনটিকেই চালাতে হচ্ছে বিসিবিকে। ইস্ট জোনের সঙ্গে আছে ইসলামী ব্যাংক। সেন্ট্রাল জোন দলের স্পন্সরশিপ ছেড়ে দিয়েছে ওয়ালটন। এ ব্যাপারে আক্ষেপ করলেন টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান ববি।
আসছে কাতার বিশ্বকাপের সময় রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এখান থেকে একটি স্থায়ী সমাধানও খুঁজে বের করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গতকাল জি-২০ নেতাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়ে ফিফা প্রধান সবার প্রতি শান্তির বার্তা দিয়ে বলেন, ‘বিশ্বকাপ চলাকালীন এক মাসের জন্য অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কিংবা অন্তত মানবিক বিবেচনায় কিছু দিক উন্মোচন করার কথা ভাবুন। অথবা কিছু একটা করুন, যেখান থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩ ধরনের জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর থেকে বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অন্যদিকে উৎপাদন পর্যায়ে তরল করা পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল আমদানিতে প্রতি লিটারে ১৩ দশমিক ৭৫ টাকা করে শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া অন্যান্য জ্বালানি জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েল, লুব বেইজ অয়েল, কেরোসিনের ক্ষেত্রে প্রতি টনে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এত দিন এসব জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল।
আমদানি করা পণ্যের যথাযথ মূল্য নির্ধারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্যের ট্যারিফ মূল্য ও ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাত দুটি হেডিংয়ের আওতায় ১২টি এইচএস কোডের বিপরীতে ট্যারিফ মূল্য এবং একটি হেডিংয়ের আওতায় একটি এইচএস কোডের বিপরীতে ন্যূনতম মূল্য বহাল আছে।
পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাতগুলোর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করার কারণে অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
এলপিজি সিলিন্ডারের বিষয়ে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার তৈরির কাঁচামাল ইস্পাতের পাত (স্টিল শিট) ও ওয়েল্ডিংয়ের তার আমদানির করছাড় সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে।
পেট্রোলিয়াম তেল এবং বিটুমিনাস খনিজ থেকে প্রাপ্ত তেলের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ। নতুন বাজেট অনুযায়ী এসবের প্রতি ব্যারেলের দাম ১ হাজার ১১৭ টাকা (লিটার প্রতি ৭.০২ টাকা) হতে পারে। প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ৯ হাজার ১০৮ টাকা (লিটার প্রতি ৯.১০ টাকা) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।