
পিএসজির বিপক্ষে গেল সপ্তাহে মাঠে নেমেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, করেছিলেন জোড়া গোল। তবে সেটি ছিল সৌদি অলস্টার্সের হয়ে প্রীতি ম্যাচ। আল নাসরের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে রোনালদোর অভিষেক হলো রবিবার রাতে। সৌদি প্রো লিগের সে ম্যাচে নাসর ব্রাজিলের তালিসকার একমাত্র গোলে ইত্তেফাককে হারায়। দল জিতলেও রোনালদোর পারফরম্যান্স ছিল সাদামাটা।
পুরো ৯০ মিনিট খেলে গোল পাননি রোনালদো। মোট ৪১ বার বল স্পর্শ করতে পেরেছেন। শট নিতে পেরেছেন মোট ৪টি। যার দুটি প্রতিহত করেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা। বাকি দুটির কেবল একটি ছিল লক্ষ্যে। সঠিক পাস দিয়েছেন ৮৯ শতাংশ। রোনালদোর কাছে প্রত্যাশাটা আরও বেশি সমর্থকদের। তাকে তাই শিষ্যদের আরও বেশি পাস দেওয়ার তাগিদ দিয়ে আল-নাসর কোচ রুডি গার্সিয়া বলেন, ‘খেলোয়াড়দের স্বাভাবিক খেলার পাশাপাশি ক্রিশ্চিয়ানোকে বল দেওয়ার চেষ্টা করাও গুরুত্বপূর্ণ। আমি তাদের বলেছি মাঠে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে। অবশ্যই যখন ক্রিশ্চিয়ানো বা তালিসকা একা থাকে এবং বল চাইলে আমাদের তাদের বল দিতে হবে। এই দুই খেলোয়াড় পার্থক্য করতে সক্ষম।’
অভিষেকটা ভালো না হলেও খুব শিগগিরই রোনালদো স্বরূপে ফিরবেন বলে প্রত্যাশা করছেন গার্সিয়া। নাসরের পরের ম্যাচ বৃহস্পতিবার আল ইত্তিহাদের সঙ্গে সৌদি সুপার কাপ সেমিফাইনাল।
মাসখানেক আগে দেশের মাটিতে নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে খেলতে না পারার কষ্টটা এখনো পোড়ায় নিগার সুলতানা জ্যোতিকে। টি-টোয়েন্টিতে ৬ ওভারে ৪২ রান করতে না পারাটাই বলে দেয়, এই সংস্করণে মেয়েদের হাত এখনো পাকেনি। এশিয়া কাপের পর নিউজিল্যান্ড সফরেও টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা মেলেনি। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যে আসরে নারী দলের ভাগ্য অনেকটাই তাদের পুরুষ সতীর্থদের মতোই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পুরুষ দল প্রথম অংশ নেয় ২০০৭ সালে, সেই আসরে উইন্ডিজকে হারানোর পর ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত মূলপর্বে কোনো জয়ই ছিল না সাকিব-মুশফিকদের। মেয়েরা প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলে ২০১৪ সালে, স্বাগতিক হিসেবে দেশের মাটিতে। সেবার শ্রীলঙ্কাকে ৩ রানে হারানোটাই এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একমাত্র জয়। এরপর তিনটি বিশ্বকাপে জয়ের দেখা নেই একটিও। অধিনায়ক জ্যোতির অভিষেকই ২০১৫ সালে, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে জিততে দেখেননি জ্যোতি। তবে অধিনায়ক মনে করছেন, এবার বদলাবে ভাগ্যটা, ‘আমার চতুর্থ আর অন্যদের হয়তো পঞ্চম বিশ্বকাপ। তো সবারই ইচ্ছে এবার যেন আমরা হারের রেকর্ডটা এবার ভাঙতে পারি। আমার মোমেন্টাম যেটা অ্যাওয়েতে আছে, সেটা যদি প্রথম ম্যাচে ধরে রেখে সেটা ক্যারি করতে পারি। যাদের সঙ্গে এবার খেলা, গ্রুপ পর্বে দুই তিনটা ম্যাচ বের করে নিয়ে আসা সম্ভব বলে আমার মনে হয়। শুধু একটা মোমেন্টাম দরকার আমাদের’ কাল বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে অফিশিয়াল ফটোসেশন শেষে জানিয়েছেন জ্যোতি। ১ নম্বর গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা।
দক্ষিণ আফ্রিকা বরাবরই পেস সহায়ক কন্ডিশনের জন্য পরিচিত, যা উপমহাদেশের ব্যাটারদের জন্য খুব স্বস্তিদায়ক নয়। জ্যোতি জানিয়েছেন, খুলনার পেস সহায়ক উইকেটে অনুশীলন করেই প্রস্তুতি নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য, ‘খুলনার উইকেট পেস বোলিং সহায়ক, ওইটা দক্ষিণ আফ্রিকায় অনেক বেশি সাহায্য করবে। আপনারা জানেন আমরা ওখানে খুব ভালো উইকেট পাব, স্পোর্টিং উইকেটই কিন্তু একটু বাউন্স থাকবে হয়তো যেটা ব্যাটেও খুব ভালো আসে। সেটার জন্যই খুলনাতে যাওয়া। প্রস্তুতি ম্যাচগুলো আমরা ছেলেদের সঙ্গে খেলেছি। পেসের বিপক্ষে হয়তো ভুগতে হয়েছে কিন্তু এই চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য পরের খেলায় আমাদের সাহায্য করবে।
এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকায় মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলছে বাংলাদেশ। সেই দলের ৪ ক্রিকেটারকে নেওয়া হয়েছে সিনিয়রদের সঙ্গে। ‘আমাদের চেয়ে ওরা ভালো ফ্লোতে আছে। মারুফাকে দেখেছি নিয়মিত ভালো বল করেছে, নিউজিল্যান্ডেও ভালো পারফর্ম করেছে। দিশা তো করছে ভালো। স্বর্ণা তো বরাবরই ভালো ব্যাট করছে, যেটা আমাদের দলের জন্যও লাভজনক হবে’ বলছিলেন বাংলাদেশকে ১২ টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেওয়া জ্যোতি। বলেন, ‘ব্যাটিং নিয়ে অনেক বেশি কাজ করা হয়েছে, যেহেতু এখন অবধি এটাতে ভুগছি বেশি, নিউজিল্যান্ডে যেটা হয়েছে দুয়েকটা ব্যক্তিগত পারফর্ম ছাড়া দলের পারফরম্যান্স হয়নি। আমাদের দলের মূলমন্ত্র হচ্ছে যেন দল হিসেবে পারফর্ম করতে পারি। আমাদের দলে যদি বলি যে ক্রিস গেইলের মতো আহামরি বিগ হিটার নেই, কিন্তু যেটা আমাদের শক্তি, যেটা দিয়ে খেললে ম্যাচ জিততে পারব, সেটা দিয়েই পরিকল্পনা সাজাব।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও উইমেনস উইং-এর প্রধান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল সাংবাদিকদের জানান, ‘মেয়েরা বিশ্বকাপ জিতে ফিরবে এমন প্রত্যাশা করছি না, তবে তারা যেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলে এটাই লক্ষ্য।’ নাদের জানান, মেয়েদের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে এই বছরই চালু হবে লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেট, ‘আমরা টেস্ট মর্যাদা পেয়েছি কিন্তু এখনো টেস্টের উপযোগী ক্রিকেটার তৈরি করতে পারিনি। আমরা এই বছর লঙ্গার ভার্সনটা চালু করতে যাচ্ছি, অন্তত দুদিনের ম্যাচ দিয়ে শুরু করতে চাই। এরপর ধাপে ধাপে হয়তো আগামী বছর মেয়েদের নিয়ে বিপিএলের আদলে টুর্নামেন্টও করা যাবে।’
থিয়েরি অঁরি-রবার্তো পিরেসদের নিয়ে আর্সেন ওয়েঙ্গারের কোচিংয়ে আর্সেনাল সবশেষ প্রিমিয়ার লিগ জিতেছিল ২০০৩-০৪ মৌসুমে। এরপর বেশ কয়েকবার কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত হয়নি জেতা। তাতে একসময় আর্সেনালের লিগ শিরোপা আশা হাসির খোরাক বনে গিয়েছিল। তবে এখন চিত্রটা বদলে গেছে, বলছেন অলেক্সান্দার জিনচেঙ্কো।
ব্যর্থতার পথচলা আর একের পর এক সম্ভাবনার মৃত্যুতে আর্সেনাল সমর্থকদের শিরোপা স্বপ্ন দেখাও যেন ছিল দুঃসাহসের মতো। বাইরে লোকেরা হাসাহাসি করত, ক্লাবের ভেতরও ছিল না বিশ্বাস। দলটির মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছিল লিগ শিরোপা জয় নয়, শীর্ষ চারে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা নিশ্চিত করা। এবার সেই আর্সেনালই ছুটছে শিরোপার দিকে। রবিবার এমিরেটস স্টেডিয়ামে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-২ গোলে হারানোর পর শিরোপা জয়ের আত্মবিশ্বাস জন্মেছে খেলোয়াড়দের মধ্যে। ইউক্রেনীয় ডিফেন্ডার জিনচেঙ্কো বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি যখন এখানে এলাম, ড্রেসিং রুমে কথা বলতে শুরু করলাম। বললাম যে, শীর্ষ তিনে থাকতে চাওয়া বা এই ধরনের ভাবনা ভুলে যাও সবাই, আমাদের শিরোপার কথা ভাবা উচিত। কেউ কেউ তখন হাসছিল। কিন্তু এখন আর কেউই হাসছে না। এখন সবাই স্বপ্ন দেখছে।’ ২০২০-২১ লিগে সব মিলিয়ে ৬১, গত লিগে ৬৯ পয়েন্ট পেয়েছিল আর্সেনাল। এবার ১৯ ম্যাচেই ৫০ পয়েন্ট ছুঁয়েছে গানার্সদের সংগ্রহ। খুব কাছের ম্যানসিটি এক ম্যাচ বেশি খেলেও পিছিয়ে আছে ৫ পয়েন্টে। নিউকাসল ও ম্যানইউর সংগ্রহ ৩৯ করে।
রবিবার ১৭ মিনিটে রাশফোর্ডের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানউই। ২৪ মিনিটে সমতায় ফেরান এনকেতিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে সাকার গোলে লিড নেয় আর্সেনাল। ৫৯ মিনিটে স্কোর লাইন ২-২ করেন লিসান্দ্রো মার্তিনেজ। ৯০ মিনিটে দলের জয়সূচক গোলটি করেন এনকেতিয়ে।
প্রিমিয়ার লিগে লড়াইটা কঠিন। তাই একটু একটু করে এগোনোর কথা বললেন জিনচেঙ্কো। ‘এখনো অনেক খেলা বাকি আছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (ছন্দে) ফিরেছে, ম্যানসিটি তো সবসময়ই লড়াইয়ে আছে। দেখা যাক কী হয়।’ ম্যাচ শেষে ম্যানউই কোচ টেন হাগ খেলোয়াড়দের মানসিকতা বদলাতে বলেছেন। ‘খেলোয়াড়দের বলেছি যদি শিরোপা জিততে চাও মানসিকতা বদল করো। অন্তত এক পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব হলে সেটি নিতে হবে। এমন গোল হজম করা যাবে না।’
সেই প্রথম ম্যাচে জয়। এরপর হারছেই ঢাক ডমিনেটরস। তাদের ষষ্ঠ জয়ের লজ্জায় ডুবিয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স প্লে-অফের পথে এগিয়েছে আরও। এদিকে টানা দুই হারের পর জয়ে ফিরেছে রংপুর রাইডার্স। তাদের কাছে ৫৫ রানে হেরে প্লে-অফ কঠিন হয়ে গেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের।
চোট কাটিয়ে রংপুর রাইডার্সের নেতৃত্বে ফিরেছেন নুরুল হাসান সোহান। যদিও ব্যাটিং করেননি, তবে উইকেটের পেছনে দারুণ স্টাম্পিংয়ে আউট করেছেন খাজা নাফিকে। মিরপুরে টসে হেরে আগে ব্যাট করা রংপুর শোয়েব মালিকের ৪৫ বলে অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে করে ১৭৯ রান। ৫ চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি শোয়েব মালিককে এনে দিয়েছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। মোহাম্মদ নাঈম ৩৪ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই করেন ৪২ রান। ৩ উইকেট মেহেদি হাসান রানার।
জবাবে শুরুতেই রাকিবুল হাসান তুলে নেন উসমান খান ও খাজা নাফির উইকেট, এরপর হারিস রউফ ৩ উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দেন চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইন আপ। অসুস্থতার কারণে ফিল্ডিং করার পর ব্যাট করেননি আফিফ হোসেন, দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ঠা-া ও গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যায় মাঠে নেমেও শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে পারেননি এই বামহাতি ব্যাটসম্যান। ১৬.৩ ওভারে ১২৪ রানেই অলআউট চট্টগ্রাম, হারের পর অধিনায়ক শুভাগত হোম মেনে নিয়েছেন তার দলের প্লে অফের সম্ভাবনা কম, ‘আরও ৫টা ম্যাচ আছে আমাদের, প্লে অফে খেলতে হলে ৫টা ম্যাচই জিততে হবে। আমরা আসলে দল হিসেবে খেলতে পারিনি।’
রাতের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান করে কুমিল্লা। লিটন ২০ ও রিজওয়ান ৩ রান করে আউট হলেও খুশদিল শাহ (৩০*) ও জনসন চার্লস (৩২) এর ব্যাটে সম্মানজনক সংগ্রহ গড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। জবাব দিতে নেমে নাসিম শাহর আগুনে বোলিংয়ে পুড়েছে ঢাকা। ঢাকার সংগ্রহ ১০৪/৯। ১৬তম ওভারে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগানো নাসিম ১২ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : রংপুর রাইডার্স : ১৭৯/৬ (মালিক ৭৫*; মেহেদি রানা ৩/৩৯)। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১২৪/১০ (শুভাগত ৫২; রউফ ৩/১৭)। ফল : রংপুর ৫৫ রানে জয়ী। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৬৪/৬ (জনসন ৩২, জাকের ২০*; নাসির ২/১৯)। ঢাকা ডমিনেটর্স : ১০৪/৯ (উসমান ৩৩; নাসিম ৪/১২)। ফল : কুমিল্লা ৬০ রানে জয়ী।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশে চলে আসবে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল। ২০০৮ সালে তিন ওয়ানডের সিরিজের পর এবারই প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে আইরিশরা। সফরে বাংলাদেশের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ড খেলবে তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ, তিনটি টি-টোয়েন্টি ও একটি টেস্ট।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ঠাসবুনোট সূচি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শেষ হবে ফেব্রুয়ারির ১৬ তারিখে, ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল বাংলাদেশে চলে আসবে ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখেই। তাদের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি-টোয়েন্টির সিরিজ শুরু হবে মার্চের ১ তারিখে, শেষ হবে মার্চের ১৪ তারিখে। ইংল্যান্ড দল দেশে থাকতে থাকতেই চলে আসছে আইরিশরা, মার্চের ১২ তারিখে। দিন দুয়েকের বিশ্রামের পর ১৫ তারিখে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ রাখা হয়েছে সূচিতে, যার প্রতিপক্ষ ও স্থান পরে ঘোষণা করা হবে। ১৮ মার্চ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে প্রথম ওয়ানডে। একই ভেন্যুতে ২০ মার্চ দ্বিতীয় ওয়ানডে এবং ২৩ মার্চ হবে তৃতীয় ওয়ানডে।
সংস্করণ বদলের সঙ্গে সঙ্গে দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ থেকে ভেন্যু বদলে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিনটি টি-টোয়েন্টি হবে মার্চের ২৭, ২৯ ও ৩১ তারিখে। এরপর রাজধানীতে ফিরবে আইরিশরা। এপ্রিলের ৪-৮ তারিখে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে আইরিশদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট। এই টেস্ট ম্যাচ দিয়েই সাড়ে তিন বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরবে আয়ারল্যান্ড। এখন পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড খেলেছে ৩টি টেস্ট; পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে এখনো তারা জয়ের দেখা পায়নি। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড মুখোমুখি হবে টেস্টে। ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রম জানিয়েছেন, ‘১৯৯৭ সালে প্রথমবারের মতো এই দুই দলের দেখা হয়, এরপর থেকেই দুই দলের ভেতর দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে উঠেছে আর আমরা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ প্রত্যাশা করছি।’ বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ‘ভারত ও ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরের পর আয়ারল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর আমাদের ঘরোয়া আন্তর্জাতিক সূচিতে আর একটি উত্তেজনাপূর্ণ সংযোজন। ঠাসবুনোট সূচির মধ্যেই দুই বোর্ডই সিরিজটা আয়োজনে সচেষ্ট ছিল যা আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামসের প্রতি বিসিবির দায়বদ্ধতার নিদর্শন।’
আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ নয়, একমাত্র টেস্ট ম্যাচটিও আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে মে মাসে আয়ারল্যান্ড সফরে যে ৩টি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ, সেগুলো সুপার লিগের অংশ।
২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের বাছাইপর্বের জন্য ৯ জানুয়ারি থেকে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। পারফরম্যান্সের কারণে নারী দল থেকে বাদ পড়েছেন দুজন ফুটবলার আনুচিং মোগিনি ও সাজেদা খাতুন। বাদ পড়ার কষ্টে ফুটবলকেই বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্ট্রাইকার আনুচিং। খাগড়াছড়ির এই মেয়ের বাদ পড়ার কারণটা অজানা বলেই নিজ বাড়ি খাগড়াছড়ি ফিরে অভিমানে বুটজোড়া খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে যখন উত্তল নারী ফুটবল অঙ্গন, তখন নিভৃতেই জাপানি বংশোদ্ভূত ফুটবলার সুমাইয়া মাতসুশিমার সামনে খুলেছে জাতীয় দলের দুয়ার।
নারী ফুটবলের জাগরণের গল্প লেখা হলে আসবে আনুচিং মোগিনির নাম। ২০১৬ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন আনুচিং। বয়সভিত্তিক সেই আসরের পর থেকে জাতীয় দলেও নিয়মিত মুখ ছিলেন এই স্ট্রাইকার। যদিও সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণারানী সরকার, সিরাত জাহান স্বপ্নাদের ভিড়ে সিনিয়র দলের হয়ে বেশিরভাগ সময় তাকে কাটাতে হতো সাইডবেঞ্চে। ছিলেন গত বছর সাফজয়ী দলেরও সদস্য। তাই স্বপ্ন ছিল এপ্রিলের শুরুতে অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তাকে ও সাজেদাকে বাদ দিয়ে শুরু হয়েছে অনুশীলন। সেই অভিমানে ফুটবল ছাড়ার সিদ্ধান্ত আনুচিংয়ের, ‘লিগ শেষে কিছুদিন অনুশীলনে থাকার পর একদিন আমাকে ডেকে বাদ দেওয়ার কথা জানানো হয়। কী কারণে বাদ দেওয়া হলো, পরিষ্কার করে কিছুই জানানো হয়নি। আমার কোথায় সমস্যা, জানলে নিজেকে শোধরাতে পারতাম। এখন যেহেতু দলে নেই, তাই ফেরার সুযোগও কমে গেছে। বাংলাদেশ দলে থাকলে দাম আছে, না থাকলে নেই। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি অবসর নিয়ে নেব।’
মোগিনির বিদায়ের দিনে এসেছে সুমাইয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের খবর। জাপানে জন্ম বেড়ে ওঠা হলেও হৃদয়ে ধারণ করছেন বাংলাদেশকে। তাই এখানেই বসত গেড়ে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগুচ্ছেন। এতদিন বসুন্ধরা কিংসের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন। মালদ্বীপে গিয়ে দুই মৌসুম খেলেও এসেছেন। তবে স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলের জার্সি পরার। সেই স্বপ্ন অবশেষে ডানা মেলতে শুরু করেছে। সদ্য সমাপ্ত লিগে ভালো করায় তাকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডেকেছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা ও মালদ্বীপে ভালো করায় তাকে ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে। অনুশীলনে নিজেকে মেলে ধরতে পারলেই তাকে নেওয়া হবে চূড়ান্ত দলে।’
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে জেলেখা বেগম নামে এক বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে তার বয়স্ক ভাতার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। বিগত ৫ মাস যাবৎ তিনি বয়স্ক ভাতা বঞ্চিত রয়েছেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে তার নাম পরিবর্তন করে আমিনা নামে অন্যজনকে বয়স্ক ভাতার কার্ড বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মেম্বার বাদশার বিরুদ্ধে।
রানীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলেখা বেগম নন্দুয়ার ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামের আ. রহিমের স্ত্রী। পূর্বের চেয়ারম্যান ওই বৃদ্ধার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন।
ভুক্তভোগী বলেন, আমি ভাতার কার্ড পাওয়ার পর থেকে প্রতি তিন মাস অন্তর ১৫০০ টাকা করে পেয়েছিলাম। কিন্তু গত তারিখে আমার টাকার কোনো মেসেজ না আসায় আমি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি আমাকে মৃত দেখিয়ে আমিনা নামে ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন মেম্বার বাদশাহ।
ইউনিয়ন পরিষদে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৃত্যুর নিবন্ধন বইয়ের ২০২১ সালের রেজিস্ট্রারে বৃদ্ধার মৃত্যু নিবন্ধিত নেই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এমন একটি সনদ দেওয়ায় তার ভাতাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি এ বিষয়ে আরও বলেন, আমি জীবিত থাকার পরও মেম্বার বাদশাহ আমাকে মৃত দেখিয়ে আরেকজনের নামে কিভাবে টাকা খেয়ে ভাতার টাকা পরিবর্তন করে দেয়! আমি জীবিত থাকার পরও মেম্বার আমাকে মৃত দেখাল। আমি গরিব মানুষ। আমার কোনো ছেলেমেয়ে নাই। এই টাকা দিয়ে ওষুধ খেয়ে বেঁচে আছি। আমি এর বিচার চাই।
মেম্বার বাদশাহ বলেন, প্রথমবারের মতো এমন ভুল করেছি। সামনের দিকে সর্তকতার সাথে কাজ করব।
নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারী বলেন, জীবিত মানুষ মৃত দেখিয়ে ভাতার কার্ড পরিবর্তনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে মেম্বার যদি করে থাকেন তাহলে খুবই খারাপ করেছেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়নপত্রের ভিত্তিতে জানতে পারি, জেলেখা বেগম ৭ ডিসেম্বর ২০২১ এ মৃত্যু বরণ করেন। তাই ভাতাটি বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ওয়েবসাইটে মৃত্যু সনদ যাচাই ছাড়া সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর কাউকে মৃত দেখাতে পারবে না- সাংবাদিকের এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের এভাবেই হয়। আমরা এভাবেই করে থাকি, প্রত্যায়নপত্র দেখে প্রতিস্থাপন করে থাকি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমাজসেবা অফিসে প্রেরিত প্রত্যায়নটির কোনো তথ্য ইউনিয়ন পরিষদের ফাইলে সংরক্ষণ করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, এটি সংশোধনের কার্যক্রম চলমান। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, এটি একটি গুরুতর অভিযোগ। আমরা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেব।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে আজ রোববার ঢাকা ছাড়া সব মহানগরে পদযাত্রা কর্মসূচি করবে বিএনপি। আজকের পদযাত্রা কর্মসূচির মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী সরকারবিরোধী কর্মসূচির প্রথম ধাপ শেষ হচ্ছে দলটির।
এর আগে, গত ২৩ মে দেশের ১১টি মহানগরে ‘পদযাত্রা’ করে বিএনপি। ঢাকার বাইরে মহানগরগুলোতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফাসহ দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ ও অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ দাবিতে এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে আজ রোববার (২৮ মে) পদযাত্রা করবে ৬ দলীয় জোট (দল ও সংগঠন) গণতন্ত্র মঞ্চ। এদিন বেলা ১১টায় রাজধানীর মালিবাগ থেকে এই পদযাত্রা শুরু হবে, যা শেষ হবে বাড্ডায়।
গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোববার ১১টায় রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট থেকে বাড্ডা পর্যন্ত গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা উত্তরের পদযাত্রা শুরু হবে। অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে এ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। মালিবাগ রেলগেটে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পদযাত্রা শেষ হবে।
পদযাত্রায় অংশ নেবেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীসহ গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন এবং মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উৎসব আমাদের বিদেশস্থ সকল মিশনে উদযাপন করছি। জুলিও কুরি পদক ছিল জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতি এবং বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান।
তিনি বলেন, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে কারাবরণ করেন বঙ্গবন্ধু। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন বঙ্গবন্ধু মেনে নিতে পারেননি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাংলার নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে স্বাধীনতার ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর “সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বৈরীতা নয়”- এই বৈদেশিক নীতি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তার শান্তির বার্তা নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিসংঘে এক নম্বর শান্তিরক্ষী দেশের মর্যাদা পেয়েছে। দেশে দেশে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ চালু করেছে।
‘বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে আমাদের অঙ্গীকার হবে বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে কাজ করে যাওয়া। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অর্জিত হবে’।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করে।
অপারেশন ছাড়াই সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় আব্দুল মোতালেব হোসেন (৩৫) নামের এক মানসিক রোগীর পেট থেকে ১৫টি কলম বের করেছেন চিকিৎসক।
এ কাজ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের শহীদ এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই চিকিৎসক। তাদের এই সাফল্যে রীতিমত হৈচৈ পড়ে গেছে নেট দুনিয়ায়।
এ বিষয়ে আব্দুল মোতালেবের মা লাইলী খাতুন বলেন, তার ছেলে মোতালেব খুব ভাল ছাত্র ছিল। ২টি লেটার মার্ক নিয়ে এসএসসি পাস করে কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। এরপর খারাপ সঙ্গদোষে সে আস্তে আস্তে মাদকাসক্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এরপর থেকে পথে ঘাটে ঘুরে বেড়ানোর সময় কুড়িয়ে পাওয়া কলমগুলি খাদ্য মনে করে খেয়ে ফেলে। বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। গত এক বছর ধরে তার শরীরে জ্বর ও পেটে ব্যথা শুরু হয়। অনেক চিকিৎসার পরও তা ভালো হচ্ছিল না। অবশেষে গত ১৬ মে তাকে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করি। এখানে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তার অসুখের কারণ ধরা পড়ে। পরে চিকিৎসকরা তার পেটের ভিতর থেকে বিনা অপারেশনে কলমগুলো বের করে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, মোতালেব হোসেন প্রথমে পেটে ব্যথা নিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। মেডিসিন ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা এক্সরে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করেও পেটে কি সমস্যা সেটা শনাক্ত করতে পারছিলেন না। ফলে রোগীটিকে আমার কাছে রেফার্ড করেন। এন্ডোস্কপির মাধ্যমে পরীক্ষা করে তার পেটের ভেতর ১৫টি কলম দেখে প্রথমে চমকে যাই। এটা কীভাবে সম্ভব। পরে এন্ডোস্কপির মাধ্যমেই অপারেশন ছাড়াই আমরা কলমগুলো বের করার সিদ্ধান্ত নেই। তিনি আরও বলেন, কাজটি আমাদের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জিং ছিল। কলমগুলো একে একে পাকস্থলীতে সেট হয়ে গিয়েছিল। কলমগুলো বের করতে আমাদের প্রথমে মাথায় চিন্তা ছিল যেন, কলমগুলোর কারণে কোনোভাবেই শ্বাসনালিতে গিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ না হয়ে যায়। এছাড়াও রক্তক্ষরণের একটা চিন্তাও মাথায় ছিল। অতঃপর প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আমরা কলমগুলো বের করে নিয়ে আসতে সক্ষম হই।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এন্ডোস্কপি করা ব্যক্তি মানসিক অসুস্থ হওয়ায় তার কলম খাওয়ার অভ্যাস ছিল। এভাবে খেতে খেতে সে অনেক কলম খেয়ে ফেলে। কলমগুলো তার পেটের মধ্যে জমা হয়েছিল। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে তার পেটের ভিতর ১৫টি কলম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হই। এবং অপারেশন ছাড়াই এন্ডোস্কপির মাধ্যমে তার পেটের ভেতর থেকে একে একে ১৫টি আস্ত কলম বের করে আনি। বর্তমানে রোগীটি সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকদের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং সুস্থ আছেন।
তিনি আরও বলেন, এন্ডোস্কপির মাধ্যমে মানুষের পেট থেকে কলম বের করার মতো ঘটনা বাংলাদেশে এটাই প্রথম। তাও আবার একটি-দু‘টি নয় ১৫টি কলম। এর আগে ঢাকা মেডিকেলে এক ব্যক্তির পেট থেকে এন্ডোসকপির মাধ্যমে একটি মোবাইল বের করেছেন চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এমন সাফল্য এটাই প্রথম। আমরা অত্যাধুনিক ভিডিও এন্ডোস্কপি মেশিনের মাধ্যমে এবং আমাদের দক্ষ ডাক্তার দ্বারা অপারেশন ছাড়াই শুধু এন্ডোস্কপির মাধ্যমে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের পেট থেকে ১৫টি কলম বের করে আনতে সক্ষম হয়েছি। শুধু এটাই নয়, আমরা বিনা অপারেশনে পেটের পাথর, কিডনিতে পাথর থেকে শুরু করে অনেক কিছুই অপারেশন ছাড়াই সেগুলো অপসারণের কাজ করে যাচ্ছি।
বিরতি কাটিয়ে আবারও আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরছে আর্জেন্টিনা। গত মার্চে ঘরের মাঠে সবশেষ আকাশী-নীলদের দেখা গিয়েছিল তিন মাস পর আগামী জুনে তারা আসছে এশিয়া সফরে। সফরকালে ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচও খেলবেন লিওনেল মেসিরা।
আগামী ১৫ জুন বেইজিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা। চারদিন পর ১৯ জুন জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়ার মুখোমুখি হবেন তারা। সেই ম্যাচ দুটিকে সামনে রেখে আজ দল ঘোষণা করেছেন দেশটির কোচ লিওনেল স্কালোনি। লিওনেল মেসিকে অধিনায়ক করে ২৭ সদস্যের দল ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড়দের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন কিছু নাম। এই দলে এই দলে চমক হিসেবে রয়েছে আলেজান্দ্রো গার্নাচো। যিনি বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার প্রথম প্রীতি ম্যাচের দলে ছিলেন। তবে চোটের কারণে অভিষেকের সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন গার্নাচো। গত বছরের জুলাইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মূল দলে জায়গা হয় তার। এখন পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে ৩৫ ম্যাচ খেলেছেন এই লেফট উইঙ্গার। এখন পর্যন্ত নিজে করেছেন ছয়টি গোল, করিয়েছেন আরও ছয়টি। এমন পারফরম্যান্স নজর এড়ায়নি স্কালোনির। তাই জাতীয় দলে জায়গা পেতে বেগ পেতে হয়নি।
দলের তৃতীয় গোলকিপার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন ওয়াল্টার বেতিনেজ। এছাড়া বেশ কয়েক বছর পর দলে ফিরেছেন লিওনার্দো বলের্দি। ফরাসি ক্লাব মার্সেইয়ের হয়ে চলতি মৌসুমে তিনি দুর্দান্ত খেলছেন। তবে স্কোয়াডের মাঝ মাঠের ফুটবলারদের নিয়ে কোনো চমক নেই।
তবে এই স্কোয়াডে নেই লাউতারো মার্তিনেজের নাম। গোড়ালির চোটের কারণে এই দুই প্রীতি ম্যাচে তাকে পাচ্ছে না আর্জেন্টিনা। তবে তার জায়গায় মাঠ মাতাতে দেখা যাবে জিওভানি সিমিওনেকে।
আর্জেন্টিনার ২৭ সদস্যের দল
গোলরক্ষক:
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), জেরনিমো রুলি (আয়াক্স), ওয়াল্টার বেনিটেজ (পিএসভি)।
ডিফেন্ডার:
নাহুয়েল মোলিনা (অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ), গঞ্জালো মন্তিয়েল (সেভিয়া), জার্মান পেজেল্লা (রিয়েল বেটিস), ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম হটস্পার), লিওনার্দো বলের্দি (অলিম্পিক মার্সেই), নিকোলাস ওতামেন্ডি (বেনফিকা), ফ্যাকুন্ডো মদিনা (আরসি লেন্স), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (লিয়ন), মার্কোস অ্যাকুনা (সেভিলা)।
মিডফিল্ডার:
লিয়ান্দ্রো পেরেদেস (জুভেন্তাস), এনজো ফার্নান্দেজ (চেলসি), গুইডো রদ্রিগেজ (রিয়েল বেটিস), রদ্রিগো ডি পল (অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ), এজেকিয়েল পালাসিওস (বেয়ার লেভারকুসেন), অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (ব্রাইটন), থিয়াগো আলমাদা (আটলান্টা ইউনাইটেড), জিওভানি লো সেলসো (ভিলারিয়াল)।
ফরোয়ার্ড:
লুকাস ওকাম্পোস (সেভিয়া), অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া (জুভেন্তাস), লিওনেল মেসি (পিএসজি), জুলিয়ান আলভারেজ (ম্যানচেস্টার সিটি), জিওভানি সিমিওনে (নাপোলি), আলেজান্দ্রো গার্নাচো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), নিকোলাস গঞ্জালেজ (ফিওরেন্টিনা)।
নতুন পে-স্কেল কিংবা মহার্ঘ ভাতা নয়, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়বে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট অনুযায়ী। তাদের বেতন প্রতি বছর যতটা বাড়ার কথা এবার তার চেয়ে বেশি বাড়বে। আর তা চলতি বছরের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বাড়ানো হবে। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশের বাইরে বাড়ানো হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত প্রায় এক বছর ধরে দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের বেশিরভাগের একমাত্র আয় বেতন-ভাতা। বৈশি^ক মন্দার কারণে সরকারও খানিকটা সংকটে আছে। এ পরিস্থিতিতে পে-স্কেল দেওয়ার মতো বড় ধরনের ব্যয় বাড়ানো সরকারের পক্ষে কঠিন হবে। ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হলে সরকারের ওপর চাপ বেশি হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সরকারি কর্মরতদের খানিকটা স্বস্তি দিতে কোন খাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় এমন প্রস্তাব চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বাজেটবিষয়ক বিভিন্ন বৈঠকে সরকারি নীতিনির্ধারকরাও এ বিষয়ে আলোচনা করেন। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাই করে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করে। চলতি মাসে গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী এ বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী ওই বৈঠকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে কত বাড়তি ব্যয় হবে তা হিসাব করে পরের বৈঠকে উপস্থাপন করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বড় ধরনের ব্যয় না বাড়িয়ে একটা উপায় বের করতেও বলেন। শেষ পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে নিজেই জানিয়েছেন।
বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা ২০১৫ সালের বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এ বেতন কমিশন প্রণীত হয়েছিল। এ কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, আর নতুন বেতন কমিশন গঠন করা হবে না। প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট বা বেতন বাড়ানো হবে। এ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তা হয়ে আসছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি হিসাব অনুযায়ী, দেশে সরকারি কর্মচারী ১৪ লাখ। বিভিন্ন করপোরেশন এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে হিসাব করলে প্রায় ২২ লাখ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটে নিয়মিত ইনক্রিমেন্টের বাইরে আরও কতটা বাড়ানো যায় তা হিসাব করে নির্ধারণ করা হবে। এ কাজ করতে বাজেট প্রস্তাব পেশ করার পর আলাদা কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে যাচাই-বাছাই শেষে ইনক্রিমেন্টের হার সুপারিশ করবে। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করে বিদ্যমান ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে প্রতি মাসে বেতন বাড়ানো হবে, নাকি গড় মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করে ইনক্রিমেন্টের হার বাড়ানো হবে, তা খতিয়ে দেখা হবে। ২০তম গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেড পর্যন্ত সবার জন্য একই হারে বেতন বাড়নো হবে কি না, তা আরও খতিয়ে দেখা হবে। চূড়ান্ত হিসাব অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে প্রকাশ করা হবে। যে তারিখেই প্রকাশ করা হোক না কেন, আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকরী ধরা হবে।
এখানে মহার্ঘ ভাতা ১০ শতাংশ দেওয়া হলে এ হিসাবে ৪ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে হবে। ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ৬ হাজার কোটি এবং ২০ শতাংশ দেওয়া হলে ৮ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে হবে। অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে আগামী অর্থবছরে সরকারের ব্যয় বাড়বে। আর এতে সরকার ব্যয় কমিয়েও সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তুষ্টিতে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো পথে হেঁটেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি কর্মরতদের বেতন-ভাতা বাবদ রাখা হয়েছে ছিল ৭৪ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। খরচ না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ১ হাজার ৯৩ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা বাজেট হওয়ার কথা আছে। এ বাজেট সরকারি কর্মরতদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ ৭৭ হাজার কোটি টাকা রাখা হতে পারে। সরকারি কর্মকর্তাদের অনেক পদ এখনো খালি আছে। এতে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো হলেও সরকারের ব্যয়ে বড় ধরনের চাপ বাড়বে না।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) নির্মিত হয়েছে বিশেষ কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান ‘ও ভোরের পাখি’। ঈমাম হোসাইনের প্রযোজনায় এটি উপস্থাপনা করেছেন তামান্ন তিথি। অনুষ্ঠানটিতে আবৃত্তি করেছেন আশরাফুল আলম, মীর বরকত, রফিকুল ইসলাম, পলি পারভিন, শাকিলা মতিন মৃদুলা, মাসকুর-এ সাত্তার কল্লোল, আসলাম শিশির, সংগীতা চৌধুরী, আহসান উল্লাহ তমাল। প্রচারিত হয় ২৫ মে সকাল সাড়ে ৯টায়।
এছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘আমারে দেবো না ভুলিতে’। অনুষ্ঠানটিতে গান, কবিতা ও আলোচনার সমন্বয়ে কবিকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বাচিকশিল্পীদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। ইয়াসমিন মুসতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, শেলু বড়ুয়া, ছন্দা চক্রবর্ত্তী ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন প্রফেসর মুন্সী আবু সাইফ। মনিরুল হাসানের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে ২৫ মে দুপুর ১ টা ০৫ মিনিটে। আরও প্রচারিত হবে সংগীতানুষ্ঠান ‘দোলনচাঁপা’ ও ‘সন্ধ্যামালতী’। রাত ৯টায় প্রচারিত হবে নাটক ‘বনের পাপিয়া’ (পুনপ্রচার)।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এখন পর্যন্ত ৪৫০টি কেন্দ্রের প্রাথমিক ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৭৯ ভোট এবং টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৪১৩ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
গাজীপুর সিটিতে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের মধ্যে। দুজনই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। অপরদিকে ভোটের পরিবেশ ভালো বলে জানান আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনূর ইসলাম রনি।
কোটা পদ্ধতি তুলে দেওয়ার পরও বিসিএস পরীক্ষায় নারীদের চাকরি পাওয়ার হার প্রায় একই রয়েছে। ১০ শতাংশ কোটা থাকা অবস্থায় তারা যে পরিমাণ চাকরি পাচ্ছিলেন, কোটা তুলে দেওয়ার পরও প্রায় একই হারে চাকরি পাচ্ছেন। সাধারণ ক্যাডার বা কারিগরি ক্যাডারে পিছিয়ে পড়লেও শিক্ষার মতো পেশাগত ক্যাডারগুলোতে এগিয়ে গিয়ে বিসিএসে মোট চাকরি পাওয়ার হারে প্রায় একই অবস্থান ধরে রেখেছেন নারীরা।
অথচ কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় বলা হয়েছিল, কোটা তুলে দিলে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণের গ্রাফ নিম্নমুখী হবে। আসলে তা হয়নি। কোটা তুলে দেওয়ার পরও তারা প্রায় সমানতালে এগিয়ে চলছেন।
৪০তম বিসিএস দিয়ে চাকরিতে ঢুকে বর্তমানে ঢাকা বিভাগে কর্মরত একজন নারী কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, যে বয়সে ছেলেরা চাকরির জন্য প্রতিযোগিতা করে সেই বয়সে অধিকাংশ নারীকেই বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করতে হয়। সংসার করে, সন্তান লালনপালন করে নারীরা ভালো প্রস্তুতি নিতে পারে না। ফলে অনেক মেধাবী নারী প্রতিযোগিতায় উতরে যেতে পারেন না। অনেক নারী পারিবারিক কারণে বিয়ের পর চাকরির আবেদনই করেন না। বিয়ের পর পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা আসে। এসব কাটিয়ে উঠে চাকরিতে প্রবেশ করা কঠিন। আর বিসিএসের চাকরি মানেই বদলিযোগ্য। সংসার-সন্তান রেখে বদলিকৃত পদে যোগ দেওয়া কঠিন বিষয়। সবকিছু মিলিয়ে নারীদের জন্য এ চাকরি সহজ নয়। একজন পুরুষ বেকার নারী বিয়ে করে, কিন্তু একজন নারী বেকার পুরুষ বিয়ে করে না। এ বিষয়টাও ছেলেদের প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। এ বাস্তবতা থেকেও পুরুষ প্রতিযোগী বেশি হয়। অন্যদিকে যোগ্য হলেও অনেক নারী প্রতিযোগিতাই করে না।
একজন নারী ইউএনও বলেন, পরীক্ষার হলে বা মৌখিক পরীক্ষার সময় অনেক নারীকে দুগ্ধপোষ্য সন্তানকে সঙ্গে আনতে হয়। এগুলোও অনেক সময় নারীকে চাকরির ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে। ঘরে ঘরে বাধা পায় নারীর অগ্রযাত্রার নানা চেষ্টা। নগর-জীবনে নারীর অস্তিত্ব অনেকটা স্বচ্ছন্দের। কিন্তু নগরসভ্যতার বাইরে বিশাল বিস্তৃত গ্রামীণ জনজীবনে পুরুষতন্ত্রের নানা ধরনের অনাকাক্সিক্ষত বেষ্টনী এখনো নারীকে ধরাশায়ী করে রাখে। হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীর পথ হাঁটছে নারী-পুরুষ। তবু তাদের মধ্যে ভারসাম্য নেই।
কোটা না থাকার পরও নারীরা তাদের অবস্থান কীভাবে ধরে রাখলেন জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের অর্জন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। প্রাথমিকের পর মাধ্যমিকেও মেয়েরা অনেক এগিয়েছে। উচ্চশিক্ষায়ও মেয়েদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে। সবকিছু মিলে বিসিএসে এর প্রতিফল ঘটেছে। যে পরিমাণ মেয়ে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে, সেই তুলনায় চাকরিতে প্রবেশের হার বেশি। উচ্চশিক্ষায় যায় হয়তো ৮০ ভাগ ছেলে। আর মেয়েদের মধ্যে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার হার ৩০ বা ৩৫ শতাংশ। তাদের মধ্যে ২৬ বা ২৭ শতাংশ মেয়ে বিসিএস দিয়ে চাকরি পাচ্ছে। এদিক দিয়ে চিন্তা করলে মেয়েরা অনেক ভালো করছে।’
এক প্রশ্নের জবাব ড. ইমতিয়াজ বলেন, ‘মেয়েদের কাছে শিক্ষা এখনো অপরচুনিটি (সুযোগ) আর ছেলেদের কাছে অধিকার। মেয়েরা যখন এ সুযোগটা পায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা কাজে লাগাতে চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের ছেলেসন্তানের জন্য যে বিনিয়োগ, মেয়েসন্তানের জন্য এখনো তার চেয়ে অনেক কম। এখনো মনে করা হয় মেয়ে তো অন্যের ঘরে চলে যাবে। অথচ মজার বিষয় হচ্ছে, পরিবারের দায়িত্ব উচ্চশিক্ষিত ছেলের তুলনায় উচ্চশিক্ষিত মেয়ে অনেক বেশি বহন করে। এসব প্রতিবন্ধকতা হাজার বছরে তৈরি হয়েছে। এগুলো দূর হতে আরও সময় লাগবে।’
অন্যান্য কোটার মতো প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা ছিল। নারীরা যোগ্যতা অনুযায়ী মেধা কোটায়ও নিয়োগ পেতেন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে মেধাভিত্তিক জেলা কোটার পাশাপাশি ১৫ শতাংশ নারী কোটা রয়েছে এখনো। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাভিত্তিক জেলা কোটার পাশাপাশি ৬০ শতাংশ নারী কোটা সংরক্ষিত রেখে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে নারীরা সরকারি চাকরিতে পুরুষ প্রার্থীর সঙ্গে মেধা কোটায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিয়োগ লাভের পাশাপাশি সংরক্ষিত কোটায়ও নিয়োগ লাভের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ছাত্রীর হার বাড়ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এক দশকের বেশি সময় ধরে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর হার বেশি। কলেজ পর্যায়ে ছাত্র ও ছাত্রীর হার প্রায় সমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর হার ৩৬ শতাংশের বেশি।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে সরকার। ৪০তম সাধারণ বিসিএস হচ্ছে কোটামুক্ত প্রথম বিসিএস। ধাপে ধাপে বাছাই করে গত বছর ৩০ মার্চ এই বিসিএসের চূড়ান্ত সুপারিশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রায় ১৩ মাস পর গত মাসে সেই সুপারিশের বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে পিএসসি। সেখানে বলা হয়েছে, ৪০তম বিসিএসে মোট ২৬ দশমিক ০৩ শতাংশ নারী চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পেয়েছেন। যা কোটাযুক্ত ৩৮তম বিসিএসে ২৬ দশমিক ৯১ ও ৩৭তমে ২৪ দশমিক ৬০ শতাংশ ছিল। গত ১ নভেম্বর এ বিসিএসের কর্মকর্তারা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।
পিএসসির একজন সাবেক চেয়ারম্যান বলেছেন, কোটামুক্ত একটি সাধারণ বিসিএসে ২৬ দশমিক ০৩ শতাংশ নারী চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পেয়েছেন এটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় নারীদের শক্ত সক্ষমতা প্রকাশ করে। কারণ এর আগে কোটাযুক্ত ৩৮তম বিসিএসের তুলনায় মাত্র দশমিক ৮৮ শতাংশ কম। অর্থাৎ কোটা তুলে দেওয়ার পরও নারীরা ১ শতাংশও পিছিয়ে পড়েননি। আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, প্রত্যেক বিসিএসে নারীদের আবেদনের হার অর্থাৎ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের হার পুরুষের তুলনায় কম অর্থাৎ গড় হার কম। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতেও নারী প্রার্থীদের পুরুষের তুলনায় অনেক কম চোখে পড়ে। এমনকি কোনো কোনো কক্ষে নারী প্রার্থী থাকেই না। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ধাপগুলো অতিক্রম করার ক্ষেত্রে নারীদের অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরিমাণ বেশি থাকে। ৪০তম বিসিএসে যোগ্য আবেদনকারী নারী ছিলেন ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। তাদের মধ্যে ১৯ দশমিক ১৯ শতাংশ নারী প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন। অথচ পুরুষদের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র। যোগ্য আবেদনকারী পুরুষ ছিলেন ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ পুরুষের হার ৮০ দশমিক ৮১ শতাংশ।
৪০তম বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে ২১ দশমিক ০৮ শতাংশ নারী সুপারিশ পেয়েছেন। এই হার ৩৮ ও ৩৭তম বিসিএসে ছিল যথাক্রমে ২৪ দশমিক ১৪ ও ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
৪০তম বিসিএসের কারিগরি ক্যাডারে ২৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ নারী সুপারিশ পেয়েছেন। এই হার ৩৮ ও ৩৭তম বিসিএসে ছিল যথাক্রমে ২৯ দশমিক ৫৩ ও ২৫ দশমিক ২ শতাংশ।
সাধারণ এবং কারিগরি ক্যাডারে নারীরা পিছিয়ে পড়লেও শিক্ষার মতো পেশাগত ক্যাডারে এগিয়েছেন। ৪০তম বিসিএসে ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ নারী সুপারিশ পেয়েছেন। যা ৩৮তমে ২৬ দশমিক ৩০ এবং ৩৭তমে ২৫ দশমিক ২ শতাংশ ছিল।
পুরোপুরি মেধার ভিত্তিতে নেওয়া ৪০তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারেও নারীরা পিছিয়েছেন। জেলা কোটাও না থাকায় নাটোর, ভোলা, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি থেকে প্রশাসন ক্যাডারে কেউ সুপারিশ পাননি।
গত বছর প্রকাশিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি চাকরিজীবীদের তথ্যসংক্রান্ত ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস’ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সিভিল প্রশাসনের ১৪ লাখ সরকারি কর্মচারীর মধ্যে ২৬ শতাংশ নারী। সরকারি দপ্তরের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কাজ করেন সবচেয়ে কমসংখ্যক নারী। মন্ত্রণালয়ের মোট জনবলের ১৯, অধিদপ্তরের ৩১, বিভাগীয় কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ের ১২ এবং আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ১২ শতাংশ কর্মী নারী।