
মার্কাস রাশফোর্ডের জোড়ায় লেস্টার সিটিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় স্থান সংহত করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেই সঙ্গে গরম নিঃশ্বাস ফেলছে তারা দ্বিতীয় স্থানের ম্যানসিটির ওপর। ২৪ রাউন্ড শেষে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে মাত্র ৩ পয়েন্ট পেছনে তারা।
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ওঠাটা ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’ হয়ে উঠেছে। আর্সেনালকে সরিয়ে গত সপ্তাহে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছিল সিটি। শনিবার অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ৪-২ গোলের নাটকীয় জয় এবং নটিংহাম ফরেস্টের কাছে ম্যানসিটির ১-১ গোলে ড্রয়ে, তা পুনরুদ্ধার করেছে গানার্সরা। ২৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৫৪।
শনিবার ভিলা পার্কে ৩১ মিনিটে ২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়া অ্যাস্টনভিলার হারের দায় অনেকটাই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমি মার্তিনেজের। ২-২ স্কোরলাইনে ৯০ মিনিট পেরিয়ে ইনজুরি টাইমের খেলা চলছিল। জর্জিনহোর শট ক্রসবারে লেগে ফেরার সময় মার্তিনেজের মাথায় লেগে জালে জড়ায়। ব্রাজিলিয়ান মার্তিনেল্লির করা চতুর্থ গোলের আগে কর্নারে হেড নেওয়ার জন্য আর্সেনালের বক্সে দৌড়ে গিয়েছিলেন মার্তিনেজ। নিষ্ফলা কর্নার থেকে পাল্টা আক্রমণে আর্সেনালের ফ্যাবিও ভিয়েইরা বল বাড়ান মার্তিনেল্লির কাছে। গোল করেন মার্তিনেল্লি।
১৭ ফেব্রুয়ারি দেশ রূপান্তরের অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছিল ‘গোপনে ফিফা সদর দপ্তরে কেন সোহাগ?’ এ নিয়ে সরব হয়ে ওঠে ফুটবল অঙ্গন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কেনাকাটায় অসংগতি, ভুয়া বিল-ভাউচার করে অর্থ আত্মসাৎ, ত্রুটিপূর্ণ অডিট রিপোর্ট নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই তদন্তে নেমেছে ফিফা। বেশকিছু অসংগতিও পেয়েছে তারা। এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শোকজ পাওয়া সোহাগ ও অর্থ বিভাগের সহকারী অনুপম সরকারকে তলব করে ফিফা। ব্যাখ্যা দেওয়ার সুবিধার্থে বাফুফের আরও দুই নির্বাহী জাবের বিন তাহের আনসারী ও হাসান মাহমুদকে সঙ্গী করেন সোহাগ। জুরিখে তাদের সঙ্গী হয়েছিলেন এক আইনজীবীও। তবে চার নির্বাহীর এই সফর নিয়ে চরম গোপনীয়তার পথে হাঁটতে গিয়েও পারেনি বাফুফে। তাদের গোপন সফর দেশ রূপান্তরে ফাঁস হয়ে যায়। যদিও তাদের সফরের বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তবে সোহাগরা ফিরে আসার পরের দিন সংবাদ মাধ্যম ডেকে সালাউদ্দিন বুঝিয়ে দিলেন এই সফর সম্পর্কে ভালোই জানা তার। চার নির্বাহীর এটি একান্ত ব্যক্তগত সফর দাবি করলেন প্রথমে, আবার তাদের সঙ্গী হওয়া আইনজীবীর বৃত্তান্তও মুখস্থ বলে দিলেন সালাউদ্দিন নিজেই। অভিযুক্ত সাধারণ সম্পাদককে পাশে বসিয়ে তিনি একবার দাবি করলেন, এটা অভিযুক্তদের ব্যক্তিগত ব্যাপার, এর সঙ্গে বাফুফে বা তার কোনো সংযোগ নেই। আবার পরক্ষণেই তাদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করলেন। এরকম দ্বৈত অবস্থানে সালাউদ্দিন আরেকবার প্রশ্নবিদ্ধ হলেন।
সালাউদ্দিনের মধ্যে এখন এক নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কিছু হলেই আগ বাড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে ডেকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেন। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের একটা চেষ্টা থাকে তার মধ্যে। আবার আস্থাভাজন হওয়ায় বাফুফে সাধারণ সম্পাদকসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগ্রহও নেই তার। সালাউদ্দিন বলেন, ‘ফিফা কেন তাদের ডেকেছে, তা আমার জানা নেই। কখনো জানতেও চাইনি। যেহেতু ফিফা বিষয়টি অতি গোপনীয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, তাই ওরা কেউ বাধ্যও নয় আমাকে কিছু বলার। যেচে জানতে চাইলে দেখা যাবে আমাকেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে ফিফার।’ তিনি যোগ করেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত চলছে, তাদের কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হয়, তাদের বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত তারা অভিযুক্ত প্রমাণিত হচ্ছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তো আমার কিছু করার নেই। আর যে বিষয়গুলো আমার জানাই নেই, সে বিষয়ে আমি কীভাবে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করব।’
অভিযুক্ত সোহাগ ও অনুপমের সঙ্গী হয়ে যাওয়া জাবের ও হাসান মাহমুদ কেন গিয়েছেন? প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সোহাগ, ‘নির্বাহী প্রধান হিসেবে তিনজনের ছুটির অনুমোদন আমি দিয়েছি। আর সভাপতি আমার ছুটির অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা নিজ খরচায় জুরিখে গিয়েছিলাম। যেহেতু কিছু ফাইল তৈরির ক্ষেত্রে অন্যরা যুক্ত ছিল, তাই তারা তাদের ব্যাখ্যা দিতে গিয়েছে।’ যারা অভিযুক্ত নন, তাদের কী দায় পড়েছে নিজ খরচায় জুরিখ গিয়ে বিপদ ডেকে আনার? এই প্রশ্নের জবাবে সালাউদ্দিন বলে ওঠেন, ‘তাদের যাওয়া-আসার খরচা কেউ একজন বহন করেছে।’ সেই কেউ একজন কে? সেটা অবশ্য বলেননি বাফুফের প্রধান।
আলোচনায় উঠে এসেছিল জেমি ডে’র বেতন বকেয়ার ব্যাপারে ফিফার সিদ্ধান্তের বিষয়টিও। ফিফা সাফ জানিয়েছে, জেমির বেতন সুদসহ পরিশোধ না করলে ফিফা ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের একটা অংশ স্থগিত করে দিবে। ফিফা প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির এই সিদ্ধান্ত অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশও করা হয়েছে। অথচ সালাউদ্দিন জানালেন, এরকম কোনো সিদ্ধান্ত তারা জানা নেই। জেমির বেতন সময়মতো পরিশোধ করলে অন্তত সুদের অঙ্কটা দিতে হতো না। সালাউদ্দিন এক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে দায় চাপালেন সরকারের ওপর, ‘আমার কাছে টাকা থাকলে তো তখনই দিয়ে দিতাম। সরকারের কাছে আমরা একটা প্রকল্প জমা দিয়েছিলাম। সেটা অর্থ মন্ত্রণালয়ে আটকে যাওয়ায় আমাদের আর্থিক সংকটে পড়তে হয়েছে।’
ফিফার সন্দেহের তালিকায় থাকা বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ছুটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া আছেন। হিসাবে অসংগতির মূল দায়টা সালাউদ্দিন চাইলেন আবু হোসেনের ওপর চাপাতে। এই বিতর্কিত নির্বাহীকে আগেই চাকরিচ্যুত করা উচিত ছিল, তবে ফাইন্যান্স কমিটির প্রধান ও বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদীর কারণে সেটা করা যায়নি দাবি করেছেন সালাউদ্দিন, ‘আমি সালামকে বলেছিলাম, তোমাকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়ে দিলাম, তুমি যাকে ইচ্ছে তাকে চাকরিচ্যুত করতে পার। কিন্তু সে তা করেনি।’ সালাম এই অভিযোগ শুনে ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘আমি আমার ছেলেকে আমার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বানিয়েছি। অনেক স্বাধীনতা দিয়েছি, তবে চেক সাইন করার অধিকার দেইনি। তার মানে কী দাঁড়াল? আমার যদি ক্ষমতা থাকত, তাহলে তো আগেই আমি ব্যবস্থা নিতাম। সেটা পারিনি বলে তার ওপর একজন পর্যবেক্ষক বসিয়ে দিয়েছিলাম।’ ফিফায় কী কথা হচ্ছে, না হচ্ছে, সালাউদ্দিন দাবি করেছেন সেটা তাকে জানানো হয় না। তাতেই একটা সন্দেহ দানা বাঁধছে; তবে কি ফিফা সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে! বাফুফে সভাপতিকে বাইরে রেখে হয়তো তার ব্যাপারেই জানার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে সোহাগদের। ফিফার এই নড়েচড়ে বসায় সালাউদ্দিনও কি পারবেন সুরক্ষিত থাকতে?
এমবাপ্পের গোল; পিএসজি ১-০। নেইমারের গোল; পিএসজি ২-০। এমবাপ্পের দ্বিতীয় গোল; পিএসজি ৩-৩।
টানা চতুর্থ পরাজয় এড়াতে এটুকুই অনেক ছিল গতকাল লিলের সঙ্গে ম্যাচে। কিন্তু লিওনেল মেসি কিছু করলেন না তো! এরকম যখন ভাবছে সবাই, তখনই যোগ করার সময়ের পঞ্চম মিনিটে লিলে বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রিকিক পায় পিএসজি। তাকে ফাউল করায় এই ফ্রিকিক। বাঁ-পায়ের শট লিলে গোলকিপারকে বিপর্যস্ত করে বা পোস্ট ঘেঁষে বল আশ্রয় নেয় জালে। পিএসজি ৪-৩। এতই মাহাত্ম্য এই গোলের যে, গুরুগম্ভীর কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের দৌড়ে গিয়ে উদযাপনে যোগ দিলেন খেলোয়াড়দের সঙ্গে।
লিগে আগের দেখায় লিলের মাঠে পিএসজি জিতেছিল ৭-১ গোলে। সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এমবাপ্পে। গোল পেয়েছিলেন মেসি, নেইমারও। গতকালও ১৭ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে যায় প্যারিসের দলটি। ১১ মিনিটে মাঠের বা প্রান্তে থ্রু পাস পেয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢোকেন এমবাপ্পে। দুই ডিফেন্ডারের বাধা পেরিয়ে বল জালে পাঠান এমবাপ্পে। ছয় মিনিট পর ভিতিনহার শট লিলে কিপারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ফিরতি শটে বল জালে জড়ান নেইমার। তাতে মনে হচ্ছিল এবারও সহজ জয় পাবে পিএসজি। তবে কিছুটা গুছিয়ে উঠে পাল্টা আক্রমণ চালায় লিলেও। ২৪ মিনিটে হেডে এক গোল শোধ দেন রাইট ব্যাক দিয়অকিতে। তাতে প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-১ এ। ৪৮ মিনিটে নেইমারকে মাঝমাঠে ফাউল করেন বেনজামিন আন্দ্রে। ডান পায়ের গোড়ালির ইনজুরিতে পড়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বদলি নামেন হুগো একিতিকে। ২০ ম্যাচে ১৩ গোল নেইমারের। ৫৬ মিনিটে কর্নার পায় লিলে। এ সময় বক্সে থাকা থিয়াগো দালোকে ফেলে দেন ভেরাত্তি। ভেরাত্তি দেখেন হলুদ কার্ড এবং পেনাল্টি পায় লিলে। স্পটকিক থেকে স্কোর ২-২ সমতা আনেন জনাথন ডেভিড। আক্রমণ অব্যাহত রাখা লিলে তৃতীয় গোল পেয়ে যায় ৬৯ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে লম্বা করে বাড়ানো থ্রু বল ধরে দৌড়ে বক্সে ঢুকে বল জালে জড়ান জনাথন বাম্বা। ৮০ মিনিটের পর বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক আক্রমণ করে পিএসজি। পুরো ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকা মেসিও জেগে ওঠেন। ৮৭ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে হুয়ান বের্নাটের পাস থেকে গোল করে সমতা ফেরান এমবাপ্পে। চলতি লিগে ২০ ম্যাচে ১৫ গোল হলো এমবাপ্পের।
ইনজুরির কারণে লিগে মোনাকোর বিপক্ষে ম্যাচে ছিলেন না মেসি। ফিরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মাঠে নামলেও গোল পাননি। তবে গতকাল লিগে ফিরে গোল পেলেন। লিগে ১৯ ম্যাচে মেসির গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১১তে।
চান্দিকা হাতুরুসিংহে যখন বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, রঙ্গনা হেরাথের খেলোয়াড়ি জীবন তখন শেষ হয়নি। দ্বিতীয় দফায় যখন হাতুরাসিংহে বাংলাদেশে আসছেন, বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে হেরাথের দায়িত্বকাল কুড়ি মাস হয়ে গেছে। স্বদেশিকে পেয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রাণখুলে সিংহলী ভাষাতেই হয়তো আড্ডা দিতে পারবেন দুজনে। ভাষাগত কিংবা কৌশলগত, হাতুরুসিংহেকে দলের প্রধান কোচ হিসেবে পেয়ে অনেক সুবিধাই হবে হেরাথের নিজের আর বাংলাদেশ দলেরও। কাল মিরপুরে বিসিবি একাডেমি মাঠে স্পিন বোলিং নিয়ে ক্যাম্পের শেষে গণমাধ্যমকে এমনটাই জানালেন তিনি।
আজ সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের বিমানে করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশে পা রাখার কথা হাতুরুসিংহের। হেরাথ মুখিয়ে আছে স্বদেশিকে বরণ করতে। ‘চান্দিকা এর আগে বাংলাদেশে কাজ করেছে। ওই সময় বাংলাদেশ ভালো করেছে, সাফল্যও পেয়েছে। আমার ক্ষেত্রে বলব, আমি তার সঙ্গে খেলেছি, তার কোচিংয়েও খেলেছি। তো এদিক থেকে তার ব্যাপারে আমার ফিডব্যাক ইতিবাচক এবং আমি আত্মবিশ্বাসী, বাংলাদেশ ক্রিকেট তার মাধ্যমে উপকৃত হবে’, রবিবার সাংবাদিকদের বলেন হেরাথ। দুজনে একসঙ্গে কাজ করবেন ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে যার প্রথম দুই ওয়ানডের দল এরই মধ্যে ঘোষণা করেছেন নির্বাচকরা। হেরাথ জানিয়েছেন হাথুরুর সঙ্গে দল নিয়ে নয়, কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ‘আসলে দল নির্বাচন নয়, পরিকল্পনা সাজানো নিয়ে কথা হয়েছে।’ নির্বাচকরা দলে নিয়েছেন বামহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে, যাকে বেশিরভাগ সময় লাল বলেই জাতীয় দলে খেলতে দেখা যায়। তাকে দলে নেওয়ার পেছনে হেরাথের যুক্তি, ‘সে উইন্ডিজে ভালো করেছে। আমি তাইজুলের মধ্যে ওয়ানডে ক্রিকেটেও ভালো করার মতো প্রতিভা দেখতে পাই। উইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ যে ম্যাচটি খেলেছে, তাইজুল সেটায় ভালো বোলিং (২৮ রানে ৫ উইকেট) করেছে। তো আমি তাইজুলকে এমন একজন হিসেবেই দেখি, যে ওয়ানডে ক্রিকেটেও ভালো বোলিং করতে পারে।’
বিপিএলের সব খেলা না দেখলেও কিছু কিছু ম্যাচ দেখেছেন হেরাথ, উঠতি স্পিনার হিসেবে তানভির ইসলামকে ভালোই লেগেছে তার, ‘তানভিরকে দেখে আমি খুবই খুশি। বিপিএলে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছে। এর আগের টুর্নামেন্টগুলোতেও ভালো করেছে। তো এদিক থেকে বলব, এমন স্পিনার পাওয়া পুরো সিস্টেমের জন্যই ভালো। কারণ তাইজুল-নাসুম এমনকি সাকিবেরও কিছু হলে আরও ক্রিকেটার তৈরি থাকবে। তো আমি খুব খুশি যে, তানভিরও এগিয়ে এসেছে। ইংল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশ দলের প্রত্যাশা নিয়ে বললেন, ‘যেকোনো দলের বিপক্ষে আমরা জয়ের জন্যই খেলতে নামি। এটিই আল্টিমেট গোল। তবে জেতার আগে প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে হবে, অনুশীলন করতে হবে, পরিকল্পনা সাজাতে হবে যথাযথ। এগুলো যত দ্রুত সম্ভব করে ফেলতে হবে।’
লম্বা বিপিএলের পর অল্পদিনের বিশ্রাম শেষেই জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের ব্যস্ত হয়ে পড়তে হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রস্তুতিতে। এবারে প্রথাগত দীর্ঘ অনুশীলন ক্যাম্প হবে না, তবে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে সামনে। ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এসে পড়বে ২৪ তারিখে, তার আগেই হবে প্রস্তুতি ম্যাচ। ১ মার্চ মিরপুরে প্রথম ওয়ানডে।
প্রথম ইনিংসে লড়াইয়ে সমতা। অস্ট্রেলিয়ার ২৬৩ রানের জবাবে ভারত ২৬২। দ্বিতীয় দিনের শেষ ঘণ্টায় ১২ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ১ উইকেটে ৬১ রান তুললে মনে হচ্ছিল বড় একটা টার্গেটই দিতে পারবে তারা ভারতকে। তৃতীয় দিনের প্রথম ওভারে ট্রাভিস হেড আউট হয়ে গেলেও ২ উইকেটে ৮৫তে এগিয়েছিল অজিরা। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজা ভেলকেত আর ২৮ রানেই শেষ অজিদের সব প্রতিরোধ! এই আট উইকেটের ছটিই জাদেজার। ভারতের সমানে তাই টার্গেট দাঁড়ায় ১১৫, ৪ উইকেট হারিয়েই তা তুলে নিয়ে চার টেস্টের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। সেই সঙ্গে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পথেও এক ধাপ এগোলো।
স্বাগতিকদের কাউন্টার অ্যাটাক উপহার দিতে দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। ‘সুইপ শট’ করে একের পর এক বাউন্ডারি তুলছিল। ২৭টি সুইপে এসেছে ৭১ রান, তবে ক্রিকেটে এই শট যেমন উর্বরা কেমন আত্মঘাতীও। প্রথম ৬ ওভারে ৩১ রান দেওয়া জাদেজা অস্ট্রেলিয়াকে এই ফাঁদেই ফেলেছেন পরের দিকে। অজিদের সুইপের লোভ দেখিয়েছেন আর তাতে বেশিরভাগ হয়েছে বোল্ড আর কেউ ক্যাচ আউট। আগের দিন অপরাজিত থাকা ট্রভিস হেড ৪৩ ও মার্নাস লাবুশেনের ৩৫ রান ছাড়া কোনো ব্যাটারই দু’অঙ্কের ঘরে রান তুলতে পারেননি। এই কৌশলের কথাই বলেছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, ‘আমরা চেয়েছিলাম ওরা যেন বেশি শট খেলে। জানতাম আজ শুরু থেকেই উইকেট ভাঙবে। আর এমন কন্ডিশনে জাদেজা ও আশ্বিন একেবারে মাস্টার।’
রান তাড়ায় রোহিত ৩১, কোহলি ২০ করেন। রিকি পন্টিংয়ের পর দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে শততম টেস্টে পুজারা নিয়েছেন জয়সূচক (বাউন্ডারি) রান। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে, শ্রিকার ভারত ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ তিন দিনে হারায় হতাশ অজি অধিনাযক প্যাট কামিন্স, ‘আমাদের জন্য দুটো ম্যাচই হতাশাজনক। এই ম্যাচটা বেশি। কারণ আমরা এগিয়ে ছিলাম। ভারতে এরকম ব্যর্থতা খুব বেশি হয় না। আমরা সত্যিই বাজেভাবে ব্যর্থ হয়েছি।’
১ মার্চ থেকে ইন্দোরে হবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। ভারত প্রথম দুই টেস্টের দলকেই রেখেছে বাকি দুই টেস্টের জন্য।
বিপিএল শেষ হওয়ার পর কিছুদিনের বিশ্রাম পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। ছুটি কাটিয়ে জাতীয় ক্রিকেটাররা ফ্রেব্রুয়ারির শেষ থেকে মাঠে নামবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ততায়। বাকিরা বসে থাকবেন না, তাদের ব্যস্ততা
থাকবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে। ফেব্রুয়ারিতেই বিপিএলের পর ডিপিএল শুরুর কথা থাকলেও তা কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে মার্চের ১৫ তারিখ থেকে শুরুর পরিকল্পনা হয়েছে। আর ২-৩ মার্চ থেকে শুরু হবে দলবদল। আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকলেও দলগুলো ইতিমধ্যেই দল গোছানোর কাজ শেষ করেছে সিংহভাগ। বরাবরের মতো মিরপুর ও বিকেএসপি-ই থাকছে ভেন্যুর তালিকায়। তবে ইংল্যান্ড সিরিজের সময় ফতুল্লাকে ব্যবহার করা হবে। রোজার সময় খেলা বলে এবার ম্যাচ শুরুর সময় ৩০ মিনিট পিছিয়ে ৯টা ৩০-এ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ও দলীয় পুরস্কারের প্রাইজমানিও বাড়ানো হয়েছে।
জাতীয় দলের ক্রিকেটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এবার সুপার লিগ হবে ঈদুল ফিতরের পর। প্রথম রাউন্ড ঈদের ঠিক আগেই শেষ হবে এপ্রিলের ১৯-২০ তারিখ। শুরুর ৬-৭ ম্যাচ বাদ দিলে জাতীয় ক্রিকেটাররা লিগের পরের অংশ প্রায় পুরোটাই খেলতে পারবেন। তবে আইপিএলের জন্য বিসিবি থেকে অনুমতি পেলে সাকিব আল হাসান, লিটন দাশ ও মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রিমিয়ার লিগ দলের পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
দল হিসেবে এবার পুরোপুরি পা-বহীন আবাহনী। লিগটি লিস্টে মর্যাদা পাওয়ার পর তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা এবার লিটন দাশ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফউদ্দিনদের ওপরই ভরসা রেখেছে গতবারের মতো। গত আসরের দলে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন নতুন যোগ করেছেন তাসকিন আহমেদ, রিপন ম-ল ও বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসানকে। এ ছাড়া বাকি ক্রিকেটাররা আগের মতোই আছেন। বিদেশি ক্যাটাগরিতে ভারত, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করছে আবাহনী।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালও গত আসরের দলেই ভরসা রাখছে। তবে দলটির গতবারের অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের এবার মোহামেডানে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার অনুপস্থিতিতে নুরুল হাসান সোহান দলটিকে নেতৃত্ব দেবেন। ইমরুলের সঙ্গে সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকাররা খেলবেন মোহামেডানের হয়ে। বিদেশি ক্যাটাগরিতে পাকিস্তানি ইফতিখার আহমেদকে নিয়েছে মোহামেডান। গুঞ্জন উঠেছিল এবার মোহামেডান ছেড়ে সাকিব আবাহনীতে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু সেই সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করেছেন আবাহনীর মিডিয়া ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মামুন। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে গতবার খেলা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এবারও একই দলে আছেন। তিনি ছাড়া আর বড় নাম নেই দলটিতে। গতবার মোহামেডানের হয়ে নাম লেখালেও দলটি সুপার লিগে না ওঠায় শেখ জামালের হয়ে খেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এবার এই তারকাকে দেখা যেতে পারে তামিম ইকবালের সঙ্গে প্রাইম ব্যাংকে। একই দলে কোচ হিসেবে যোগ দিচ্ছেন দীর্ঘদিন গাজী গ্রুপের হয়ে কোচিং করানো বিপিএল চ্যাম্পিয়ন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
এই আসরে দলগত পুরস্কারের বাইরে টুর্নামেন্ট সেরা, সেরা ব্যাটার-বোলারের জন্য আলাদা দুই লাখ টাকা করে প্রাইজমানি থাকবে। ম্যাচসেরাকে দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা।
ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। দফায় দফায় বিদ্যুৎ থাকছে না বাসা-বাড়ি, অফিস আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে।
বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে একটি মহল পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টায় আছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য এসেছে। আর ওই তথ্য পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তর নড়েচড়ে বসেছে। পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ শীর্ষ কর্তারা বৈঠক করেছেন। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সোমবার পুলিশের সব রেঞ্জ অফিস ও ইউনিট প্রধানদের কাছে বিশেষ নির্দেশনা পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বিশেষ বার্তা পেয়ে ইউনিট প্রধান, রেঞ্জ ডিআইজি ও ৬৪ জেলার পুলিশ সুপাররা আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিদ্যুতের সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি। এরই মধ্যে যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে আমরা সতর্ক আছি। বিদ্যুৎ স্টেশনগুলো নিরাপত্তার আওতায় আনা হচ্ছে। এই জন্য আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, সোমবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পুলিশের সব ইউনিট, রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপারদের কাছে বিদ্যুৎ স্টেশনে নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি নজরদারি বাড়াতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একটি মহল লোডশেডিংয়ের অজুহাতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। যেসব এলাকায় বেশি বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে তারও একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপার দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছেন, পুলিশ সদর দপ্তরের চিঠি পাওয়ার পর আমরা বিশেষ বৈঠক করছি। এলাকায় বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে তা সত্য। এ জন্য আমরা বেশ সতর্ক আছি। বিদ্যুৎ অফিস ও স্টেশনগুলোর বিষয়ে থানার ওসিদের দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তরকে বলেন, লোডশেডিংয়ের অজুহাত তুলে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে একটি বিশেষ মহল। প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাড়তি পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে থানার ওসিদের নানা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন জেলার পুলিশ সুপাররা। এমনকি বাড়তি ফোর্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তা ছাড়া রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোও নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
বিদ্যুৎ অফিসের পাশাপাশি ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলতে ৫০ থানার ওসিদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
খন্দকার গোলাম ফারুক দেশ রূপান্তরকে জানান, বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে যাতে কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সে জন্য আমরা সতর্ক আছি। বিদ্যুৎ স্টেশনগুলোর পাশাপাশি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো বাড়তি নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে সবাইকে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎসহ যেকোনো সমস্যা নিয়ে কোন মহল যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে। আশা করি বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটবে না। তারপরও পুলিশ সতর্ক আছে।
সূত্র জানায়, লোডশেডিংকে পুঁজি করে কেউ যাতে অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টির সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। নির্দেশনার পর সারা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, বিদ্যুৎ অফিস, সাবস্টেশনসহ কেপিআই স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে। গোয়েন্দা কার্যক্রম ও পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা সমিতি বা কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকেও পুলিশকে চিঠি দিয়ে বাড়তি নিরাপত্তাও চাওয়া হয়েছে।
বছরে ৪০ কোটি ডলার পারিশ্রমিকের প্রস্তাব নিয়ে লিওনেল মেসির সংগে যোগাযোগ করছে আলো হিলাল। তারা মংগলবার চুক্তির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বলে জানিয়ে রেখেছে। কিন্তু মেসি তাদেরকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রস্তাবটা পিছিয়ে দিতে বলেছেন বলে খবর দিয়েছে ফুটবল বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল গোল ডটকম।
তবে সৌদি ক্লাব এ-ই প্রস্তাব এখনই গ্রহন না করলে আগামী বছর তা একই রকম থাকবে না বলে জানিয়েছে।
মেসি আসলে তার শৈশবের ক্লাবে আরো অন্তত এক বছর খেলতে চান। তাতে তার পারিশ্রমিক সৌদি ক্লাবের প্রস্তাবের ধারে কাছে না হলেও ক্ষতি নেই। জানা গেছে, বার্সা তাকে এক বছরে ১৩ মিলিয়েন ডলার পারিশ্রমিক প্রস্তাব করতে যাচ্ছে।
লা লিগা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ায় মেসিকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেবে বার্সা। ধারনা করা হচ্ছে বুধ-বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ ব্যাপারে একটা স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে।
সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে প্রেম এরপর বিয়ে। দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে আট মাস ধরে চিত্রনায়িকা পরীমণি ও শরিফুল রাজের বনিবনা হচ্ছে না বলেই শোনা যাচ্ছে। চলছে টানাপোড়েন এবং সেই সংসার এখন ভাঙনের পথে। রাজের ফেসবুক থেকে অভিনেত্রী তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি ও সুনেরাহ বিনতে কামালের কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর রাজের সঙ্গে পরীমণির মতপার্থক্য প্রকাশ্যে আসে। সব ছাপিয়ে যা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
রবিবার একটি গণমাধ্যমের ‘লাইভ’ অনুষ্ঠানে এসে শরিফুল রাজ জানান, আপাতত তারা সেপারেশনে আছেন এবং তাদের আর একসাথে হওয়ার কোন সুযোগ নেই। পরীকে তিনি শ্রদ্ধা করেন জানিয়ে সবশেষে পরীমণির উদ্দেশ্যে রাজ বলেন, ‘বেবি, আই লাভ ইউ। যা-ই হোক না কেন, আনন্দে থেকো। আমরা আমাদের সন্তানকে ভালো রাখব।’
রাজের এমন মন্তব্যের উত্তর দিতে সোমবার রাতে গণমাধ্যমটির লাইভে এসে রাজের উদ্দেশ্যে পরীমণি বলেন, ‘গরু মেরে জুতা দান করার কোনো দরকার নেই। কেউ রেসপেক্ট করলে সেটা তার কার্যকলাপ দেখেই বোঝা যায়, মুখ ফুটে বলতে হয় না। আমাকে পাবলিকলি অপমান করে এরপর রেসপেক্ট দেখানোর কোনো দরকার নেই। আর আমার বাচ্চাকে নিয়ে এসব ইমোশনালি কোনো কথা শুনতে চাই না। এসব ইমোশনালি কথা মানুষকে গিলিয়ে লাভ নেই। মানুষ বুঝে।’
ফাঁস হওয়া ভিডিওগুলো পরী বলেন, ‘এত বছর ধরে তারা বন্ধু অথচ আমি জানতাম না। এসব সামনে আসার পর জানতে পারলাম। আর রাজ যতটা তার বন্ধুদের ইমেজ নিয়ে কনসার্ন তার পরিবার নিয়ে এতটাও কনসার্ন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমনিতে অনেক শান্তশিষ্ট। অনেকটা সাপের মতো, লেজে পাড়া না দিলে চুপচাপ থাকি কিন্তু আমার লেজে পাড়া দিলেই আমি ফুঁস করে উঠি আর তখন কামড় দিবই।’
সবশেষে পরী বলেন, ‘আমি চাই এসবের শেষ হোক। আমি আজকে এখানে এসে এসব বলতাম না। তুমিই (রাজ) আমাকে বাধ্য করেছ। এরকম অসুস্থ মানুষের সঙ্গে আমি আর থাকতে চাই না। আমি চাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ আমাকে ডিভোর্স দিক।’
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩ ধরনের জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর থেকে বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অন্যদিকে উৎপাদন পর্যায়ে তরল করা পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল আমদানিতে প্রতি লিটারে ১৩ দশমিক ৭৫ টাকা করে শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া অন্যান্য জ্বালানি জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েল, লুব বেইজ অয়েল, কেরোসিনের ক্ষেত্রে প্রতি টনে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এত দিন এসব জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল।
আমদানি করা পণ্যের যথাযথ মূল্য নির্ধারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্যের ট্যারিফ মূল্য ও ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাত দুটি হেডিংয়ের আওতায় ১২টি এইচএস কোডের বিপরীতে ট্যারিফ মূল্য এবং একটি হেডিংয়ের আওতায় একটি এইচএস কোডের বিপরীতে ন্যূনতম মূল্য বহাল আছে।
পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাতগুলোর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করার কারণে অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
এলপিজি সিলিন্ডারের বিষয়ে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার তৈরির কাঁচামাল ইস্পাতের পাত (স্টিল শিট) ও ওয়েল্ডিংয়ের তার আমদানির করছাড় সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে।
পেট্রোলিয়াম তেল এবং বিটুমিনাস খনিজ থেকে প্রাপ্ত তেলের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ। নতুন বাজেট অনুযায়ী এসবের প্রতি ব্যারেলের দাম ১ হাজার ১১৭ টাকা (লিটার প্রতি ৭.০২ টাকা) হতে পারে। প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ৯ হাজার ১০৮ টাকা (লিটার প্রতি ৯.১০ টাকা) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য নতুন অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ৩৩ হাজার ৮২৫ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং জ্বালানি খাতে ৯৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা নতুন বাজেটে এই বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ছিল ২৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ৭ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় বলেন, উৎপাদন ও বিতরণ সক্ষমতা সম্প্রসারণের ফলে দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২০০৯ সালে ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে বর্তমানে ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। জ্বালানির ব্যবহার বহুমুখীকরণের জন্য গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি কয়লা, তরল জ্বালানি, দ্বৈত জ্বালানি, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট ও পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। মাতারবাড়ীতে ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে মোট ১২ হাজার ৯৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন এবং ২ হাজার ৪১৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া, ১০ হাজার ৪৪৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ৩৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে পাশর্^বর্তী দেশগুলো থেকে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে ভারত থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পাশাপাশি ঝাড়খ-ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৭৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। নেপালের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশ, ভুটান ও ভারতের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে শিগগিরই। তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারব বলে আশা করছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে সংগ্রহ করতে চাই। এরসঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, ৬০ লাখ সোলার সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে অফ গ্রিড এলাকায় বসবাসকারী জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে ডিজেলচালিত পাম্পের জায়গায় সৌরচালিত পাম্প স্থাপন করার অংশ হিসেবে সেচকাজে ইতিমধ্যে ২ হাজার ৫৭০টি পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৮৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। সর্বোপরি, রাশিয়ার সহায়তায় রূপপুরে ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।’
উৎপাদিত বিদ্যুৎ জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে গত ১৪ বছরে ৬ হাজার ৬৪৪ সার্কিট কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সঞ্চালন লাইন ১৪ হাজার ৬৪৪ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া বিতরণ লাইন ৩ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ৬ লাখ ৬৯ হাজার কিলোমিটারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিদ্যুতের সিস্টেমলস ১৪ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৭ দশমিক ৭ শতাংশে। ২০৩০ সালের মধ্যে সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ২৮ হাজার কিলোমিটারে সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের অপব্যবহার রোধের লক্ষ্যে গত ৫ বছরে প্রায় ৫৩ লাখ প্রি-পেইড স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী কামাল বলেন, ২০০৯ সালের তুলনায়, জ্বালানি তেলের মজুদ ক্ষমতা ৮ লাখ ৯৪ হাজার মেট্রিক টন থেকে বৃদ্ধি করে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৬০ হাজার টন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই মজুদ ক্ষমতা ৩০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিনে বাড়ানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি উদ্বোধন করা ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানি করা জ্বালানি তেল (ডিজেল) দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় এবং সৈয়দপুরে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ টন থেকে ৪৫ লাখ টনে উন্নীত করার চেষ্টা চলছে। পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় একটি বৃহৎ সমন্বিত তেল শোধনাগার স্টোরেজ ট্যাংক নির্মাণের সিদ্ধান্ত আছে। সম্প্রতি ভোলার ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ আবিষ্কৃত হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় প্রতিদিন গ্যাসের উৎপাদন ছিল ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানোর পর দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ৯৮৪ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে আরও ৪৬টি কূপ খনন করা হবে। এতে অতিরিক্ত ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন হওয়ায় আমরা বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি এবং স্পট মার্কেট থেকেও কেনা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে প্রতিদিন ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন ল্যান্ড বেইজড এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
বাজেট বক্তৃতায় আরও বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৫৮ কিলোমিটার গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের উত্তরাঞ্চল ও অন্যান্য এলাকায় ২১৪ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের কাজ চলছে। ২০২৬ সালের মধ্যে পায়রা ও ভোলা থেকে গ্যাস সঞ্চালনের জন্য আরও ৪২৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি অপচয় রোধে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজও চলছে।
চলতি অর্থবছরের চেয়ে আগামী অর্থবছরের সামগ্রিক বাজেট আকারে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বড় হলেও আগামী বছরের শিক্ষা-বাজেট দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। তবে টাকার অঙ্কে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ৬ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা বেড়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে মোট বাজেটের ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। শুধু শিক্ষা খাত হিসাব করলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষায় বরাদ্দ ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে তা ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি। চলতি অর্থবছরে শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ১২ দশমিক ০১ শতাংশ বা ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা।
ইউনেস্কো, শিক্ষাবিদ বা অংশীজনরা অনেক দিন ধরেই শিক্ষায় জিডিপির কমপক্ষে ৪ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলছেন। এটাকে তারা বরাদ্দ হিসেবে না দেখে আগামী দিনের বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে বলছেন। গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষায় বরাদ্দ ১২ শতাংশের আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল। জিডিপির হিসাবে তা ছিল ২ শতাংশের কাছাকাছি। চলতি অর্থবছরে শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ জিডিপির ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ২ দশমিক ০৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়াচ্ছে জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আগামী বাজেটে যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তার সঙ্গে শিক্ষায় বরাদ্দের সংগতি নেই। বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে। এজন্য দক্ষ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী প্রয়োজন। কিন্তু এ জনগোষ্ঠী তৈরির জন্য প্রয়োজন শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ। বরাবরের মতো এবারও শুভংকরের ফাঁকি লক্ষ করছি। শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তি মিলিয়ে আকার বড় করা হলেও চলতি অর্থবছরের চেয়েও বরাদ্দ কমেছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নেও বাজেটে দিকনির্দেশনা দেখছি না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘শিক্ষায় জিডিপির ২ শতাংশের নিচে বরাদ্দ কাক্সিক্ষত নয়। আগামী অর্থবছরে অন্তত ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ দিলে ভালো হতো। কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষায় আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত ছিল। সেটা আগামী অর্থবছরের বাজেটে দেখা যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের বাজেটে মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে, যা খুবই ভালো। যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণে জোর দিতে হবে। শিক্ষায় বরাদ্দের সঠিক ব্যবহারের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।’
আগামী অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে তা ছিল ৩১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪২ হাজার ৮৩৮ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৩৯ হাজার ৯৬১ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার।
বাজেট ঘিরে প্রতি বছরই বেসরকারি শিক্ষকদের অন্যতম দাবি থাকে শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ বাড়ি ভাড়া ও শতভাগ উৎসব-ভাতা প্রদান। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের প্রক্রিয়া চলমান রাখাও তাদের অন্যতম দাবি। কিন্তু সেসব বিষয়ে বাজেটে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ নেই। তবে এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে আগামী অর্থবছরে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
স্বাস্থ্য খাতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে এবার বরাদ্দ ১ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা বা ৩ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়লেও মোট বাজেটের তুলনায় তা কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে খাতটিতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আগামী বাজেটে তা ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ খাতে ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় মাত্র ১৫০ কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ১৭ হাজার ২২১ কোটি টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় ১২ হাজার ২১০ কোটি টাকা। এছাড়া স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ৮ হাজার ৬২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বরাদ্দ থেকেই নতুন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, এবার টাকার অঙ্কে গত বছরের তুলনায় (বর্তমান ২০২২-২৩ অর্থবছর) ১ হাজার একশ কোটির মতো বেড়েছে। কিন্তু বাজেট শেয়ারে সেটা কমেছে। সামগ্রিক বাজেটের গ্রোথ বা বৃদ্ধি ১২ শতাংশ, কিন্তু স্বাস্থ্যের বাজেটের বৃদ্ধি ৩ শতাংশ। তারমানে রাষ্ট্রীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের গুরুত্ব কমেছে। সেই কারণে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
এই স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ বলেন, এবার কমার যৌক্তিক কারণ আছে। সেটা হলো স্বাস্থ্য বিভাগের সেক্টর প্রোগ্রামে উন্নয়ন বাজেট থেকে অর্থ আসে। সেই সেক্টর প্রোগ্রাম এই অর্থবছরে শেষ হয়ে প্রস্তাবিত অর্থবছর থেকে নতুন সেক্টর প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলমান সেক্টর প্রোগ্রাম সময়মতো বাস্তবায়ন করতে না পারায় সেটার সময় আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। এই এক বছরের জন্য নতুন বাজেট থাকে না, পুরনো বাজেট থেকেই ব্যয় করতে হয়। ফলে বরাদ্দ না বাড়িয়ে পাঁচ বছরের বাজেট যদি ছয় বছরে গিয়ে ঠেকে, তাহলে প্রতি বছর টাকা কমে যায়। মূলত এ কারণে এবার টাকা কমে গেছে।
সরকার স্বাস্থ্য খাতে এবারও কিছু থোক বরাদ্দ রাখতে পারত বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অর্থনীতির এই শিক্ষক। তিনি বলেন, কভিড ছাড়াও আমাদের অনেক জরুরি খাত আছে। এখন ডেঙ্গু চলছে। এটি ইমার্জেন্সি হয়ে যাবে। ফলে এটার জন্য যে ফান্ড দেওয়া আছে হাসপাতালে, রোগী বাড়লে সেটা দিয়ে হবে না। এরকম ইমার্জেন্সি আরও আসতে পারে। এরকম একটা থোক বরাদ্দ রাখলে স্বাস্থ্যের ইমার্জেন্সিতে সেখান থেকে ব্যয় করা যেত। কিন্তু সেটাও নেই। তার মানে কভিডের শিক্ষা থেকে আমরা কিছুই শিখিনি। প্রস্তাবিত বাজেটে সেটার প্রতিফলন নেই।
সামগ্রিকভাবে বাজেটে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার খরচ বেড়ে যাবে বলেও মনে করছেন এই স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, এতে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধসহ সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।
যদিও এবারের বাজেটে ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসা আরও সুলভ করার জন্য ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ, আইভি ক্যানুলা উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উপাদান সিলিকন টিউবসহ আরও কিছু বিদ্যমান ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তামাক জাতীয় পণ্য যেমন তরল নিকোটিন, ট্রান্সডারমাল ইউস নিকোটিন পণ্যের বিপরীতে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।