
চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আজ মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। তারা খেলবে জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে। ম্যাচটি হবে লাইপজিগের মাঠে। তাই ফেভারিট হয়েও কিছুটা চিন্তায় থাকতে হচ্ছে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাকে। এ দুদলের সবশেষ ম্যাচে লাইপজিগের মাঠে হেরেছিল ম্যানসিটি। নিজেদের মাঠে খেলা বলেই লাইপজিগ ফের দেখাতে পারে চমক। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায়। একই সময়ে সান সিরোয় ইন্তার মিলান আতিথেয়তা দেবে এফসি পোর্তোকে।
সিটির জন্য এ ম্যাচটি প্রতিশোধ নেওয়ারও। লাইপজিগের মাঠ রেড বুল অ্যারেনাতে ২০২১ এ গ্রুপ পর্বের ম্যাচে হেরেছিল সিটি। লাইপজিগ জিতেছিল ২-১ এ। তবে তার আগে ইতিহাদে প্রথম দেখায় ম্যানসিটি ৬-৩ গোলে জিতেছিল। রেড বুল অ্যারেনাতে খেলা দেখেই সিটির জন্য এটি বড় পরীক্ষা। এবার গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচে রিয়াল ও শাখতারের কাছে হেরেছিল লাইপজিগ। পরে বাকি চার ম্যাচই জিতে এফ গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোতে পা রেখেছে জার্মান দলটি। ঘরের মাঠে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে। সিটির চিন্তাটা আরও এক জায়গায়। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে অ্যাওয়েতে শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটি জিততে পারেনি তারা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে নটিংহামের মাঠে সিটির ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়। তাতে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে পড়ে লিগ টেবিলে দুইয়ে নেমে যায় ম্যানসিটি। তবে এই এক ম্যাচ দিয়ে তাদের বিচার করলে ভুল হবে। লাইপজিগ বুন্দেসলিগায় পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে আছে। সব প্রতিযোগিতা মিলে শেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে তারা। তবে গেল বছরের ১ অক্টোরবর থেকে এই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৮ ম্যাচ অপরাজিত ছিল লাইপজিগ। চ্যাম্পিয়নস লিগে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো শেষ ষোলোতে ইংলিশ দলের বিপক্ষে খেলবে লাইপজিগ। এর আগে ২০১৯-২০ এ টটেনহামের সঙ্গে জয় এবং ২০২০-২১ এ লিভারপুলের কাছে হেরে বিদায় নেয়।
লাইপজিগের মাঠে খেলা হলেও ফেভারিট হয়েই নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে লাইপজিগকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না এদেরসন। বলেন, ‘ভালো কিছু ফুটবলার নিয়ে তারা দারুণ একটি দল। আমরা প্রস্তুত। আশা করি, আমরা ভালো খেলব। তবে ম্যাচটি সহজ হবে না। চ্যাম্পিয়নস লিগে সহজ ম্যাচ বলে কিছু নেই।’
চ্যাম্পিয়নস লিগে জার্মান কোনো দলের বিপক্ষে শেষ ১৭ ম্যাচের একটিতে হেরেছে সিটিজেনরা। আর সেটি ছিল লাইপজিগের বিপক্ষেই।
অপর ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইন্তার মিলান ও পোর্তো। দুটি দলই নিজ নিজ লিগে আছে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে। এ দুটি দল সবশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ২০০৫ সালে, গ্রুপ পর্বে।
দলবদলের বাজারে তাদের দাম চড়া। বলতে গেলে আকাশছোঁয়া। অথচ কাজের বেলায় লবডঙ্কা। তাদের প্রধান কাজ গোল করা এবং করানো। এর কোনোটাই ঠিকঠাক পারেন না তারা। তাই নামেই তারা ফরোয়ার্ড। ঘরোয়া ফুটবলে আসলে তাদের প্রয়োজনীয়তা সীমাবদ্ধ কেবল একাদশে স্থানীয় কোটা পূরণে। বলা হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলারদের কথা। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তাদের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। বিশেষ করে ফরোয়ার্ডদের। ভিনদেশিদের চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা নেই বলে বেশিরভাগের সময় কাটে সাইড বেঞ্চে। আর যারা সুযোগ পাচ্ছেন, তাদের মধ্যেও নেই ভালো করার তাড়না। এসব কিছুর প্রভাব পড়ছে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে। নিভে থাকা তারাদের নিয়ে তাই যত সংশয় কোচ হাভিয়ের কাবরেরার।
চলুন জেনে নিই গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর নেপালের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে বাংলাদেশ স্কোয়াডের স্বীকৃত ফরোয়ার্ডদের ঘরোয়া লিগের হাল-হকিকত। প্রিমিয়ার লিগের প্রথমপর্ব শেষ হতে চলল। অর্থাৎ একেকটি দল ৯ থেকে ১০ ম্যাচ খেলে ফেলেছে। জাতীয় দলের ছয় ফরোয়ার্ডের তিনজন মিলে করেছেন চার গোল। বসুন্ধরা কিংসে নিয়মিতই খেলছেন রাইট উইঙ্গার রাকিব হোসেন। গত বছর জাতীয় দলের একমাত্র জয়ের নায়কের পা থেকে সর্বোচ্চ এসেছে ২ গোল। এছাড়া বসুন্ধরার মতিন মিয়া ও মোহামেডানের সাজ্জাদ হোসেন করেছেন ১ গোল করে। গত বছর জাতীয় দলের হয়ে পরপর দুই ম্যাচে গোল করা শেখ রাসেলের রাইট উইঙ্গার মোহাম্মদ ইব্রাহিম এই লিগে এখনো গোল পাননি। তার সঙ্গে গোল না করার তালিকায় আছেন বসুন্ধরার স্ট্রাইকার সুমন রেজা ও আবাহনীর ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
আধুনিক ফুটবলে গোলের দায়িত্ব কেবল ফরোয়ার্ডদের নয়। যে কোনো পজিশন থেকেই গোল করার দায়িত্ব নিতে হয় সবাইকে। তাই যদি হয়, তবে দেখি মিডফিল্ডে খেলা জাতীয় দলের ফুটবলারদের কী অবস্থা। নেপালের বিপক্ষে স্কোয়াডের মিডফিল্ডে ছিলেন অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া, সোহেল রানা, আতিকুর রহমান ফাহাদ, মাসুক মিয়া জনি, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস ও বিপলু আহমেদ। চলতি লিগের এদের কেউই একটি বারের জন্যও প্রতিপক্ষের গোল মুখ খুলতে পারেননি। মিডফিল্ডারের প্রধান দায়িত্ব গোল বানিয়ে দেওয়া। সেটাও যে তারা খুব ভালো করতে পারছেন তাও নয়। নেপালের বিপক্ষে খেলা ২৩ সদস্যের স্কোয়াডের দুই ডিফেন্ডার ইয়াছিন আরাফাত (বসুন্ধরা) ও রিয়াদুল হাসানের (আবাহনী) লিগে রয়েছে একটি করে গোল। তার মানে দাঁড়ায় সর্বশেষ ২৩ সদস্যের জাতীয় দলের ফুটবলাররা চলতি প্রিমিয়ার লিগে সম্মিলিতভাবে করেছেন মোটে ছয়টি গোল! তাই শঙ্কা জাগছে, আগামী মাসে সিলেটে র্যাংকিংয়ের তলানির তিন দল নিয়ে হতে যাওয়া টুর্নামেন্টে বড়সড় ভরাডুবি না ঘটে যায় বাংলাদেশের! ব্রুনেই, সিশেলস প্রতিপক্ষ হিসেবে আহামরি শক্তিধর নয়। তবে তাদের হারাতে হলে তো গোল করতে হবে। সেই কাজটা করবে কারা?
এবার দেখা যাক জাতীয় দলের বাইরে থাকা স্থানীয়দের পারফরম্যান্স। এখানে সবার আগে যার নামটা আসছে তাকে নিয়ে রহস্য রেখে দিয়েছে খোদ বাফুফেই। এলিটা কিংসলে নাগরিকত্ব বদলে বাংলাদেশি হয়েছেন দু’বছর হয়ে গেল। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তার বাধা নেই। বসুন্ধরা থেকে আবাহনীতে এসে এলিটা করেছেন সাত ম্যাচে চার গোল। এছাড়া দুই গোল করে আছে শেখ জামালের কৌশিক বড়–য়া, মোহামেডানের আরিফ হোসেন, পুলিশের রবিউল হাসান, আবাহনীর নাবিব নেওয়াজ জীবন ও ফর্টিসের সাখাওয়াৎ হোসেন রনির। এলিটার বিষয়টি জানতে চাইলে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘ফিফার শর্তপূরণে যা যা দরকার ছিল তার সব কিছুই আমরা করে রেখেছি। তবে ফিফা এসব ক্ষেত্রে কখনই শতভাগ অনাপত্তিপত্র দেয় না। এখানেই সমস্যা। ধরুন তাকে আমরা খেলিয়ে দিলাম। এরপর প্রতিপক্ষ দল যদি কোনো আপত্তি তুলে, তখন সেটা প্রমাণ দিতে না পারলে বড় শাস্তির মুখে পড়তে হবে।’
জানা গেছে ৫০ জনের একটা প্রাথমিক তালিকা ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন কাবরেরা। যেখানে তাদেরই সুযোগ হয়েছে যারা নিজ নিজ দলের হয়ে নিয়মিত খেলছেন এবং বিদেশিদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কিছুটা পারফরম্যান্স করেছেন। কাবরেরার প্রাথমিক তালিকায় এমন কিছু নাম আছে, যারা অতীতে কখনো জাতীয় দলে খেলেননি। আর নতুনদের জায়গা ছাড়তে হবে এমন কয়েকজনকে যারা হয় নিয়মিত খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না, নয় পেয়েও কাজে লাগাতে পারছেন না।
লিগের খেলাগুলো বিভিন্ন মাঠে ঘুরে ঘুরে দেখছেন স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। দেখছেন আর দুশ্চিন্তা বাড়ছে। কাদের নিয়ে শুরু করবেন নতুন পথচলা? প্রথম বছরে কোচের আমলনামা ভালো নয়। তার অধীনে গত বছর বাংলাদেশ আট ম্যাচে পাঁচটা হেরেছে, দুটি ড্র করেছে আর জয় মাত্র একটিতে। মাঠে বসেই কাবরেরার শেষ স্কোয়াডের ফুটবলারদের ঘুমিয়ে থাকা দেখেছেন। বিশেষ করে স্বীকৃত ফরোয়ার্ডরা একেবারেই ফর্মে নেই। জাতীয় দলের বাইরের দু-চারজনও যে খুব ভালো কিছু করে ফেলেছে তাও নয়। তো সমাধানটা পাবেন কোত্থেকে? কাবরেরা অবশ্য আশাবাদী মানুষ। বিরুদ্ধ স্রোতে ভেসেও তিনি খুঁজে পেতে চান ভালো কিছুর সন্ধান।
লিগের প্রথমপর্ব, স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপের পারফরম্যান্স প্রায় বেশিরভাগই মাঠে বসে দেখেছেন কোচ। সেই পর্যবেক্ষণ থেকে জানালেন একটা নতুন বাছাই পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছেন, ‘সবক’টি ম্যাচ আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। একটা সুনির্দিষ্ট বাছাই পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের ভাবনার সঙ্গে যারা মানিয়ে নিতে পারবে, তারাই দলে থাকবে। অনেকেই আছে যারা জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে তৈরি।’ ফরোয়ার্ডদের পায়ে গোল নেই এটা বাংলাদেশের পুরনো ব্যামো। এর থেকে মুক্তি পেতে কাবরেরার চাওয়া গোলের দায়িত্বটা নিক দলের সবাই, ‘আমি বিশ্বাস করি গোল করার দায়িত্বটা দলের প্রত্যেকের। কেবলমাত্র স্ট্রাইকারদের নয়। আমাদের অনেক ভালোমানের উইঙ্গার ও মিডফিল্ডার আছে যারা গোল করা ও করানোর দক্ষতা রাখে। সেট পিস থেকে গোল করার সক্ষমতাও আমাদের আছে। আমরা যদি ট্রেনিংয়ে আমাদের কাজগুলো ঠিকঠাক করতে পারি, খেলার একটা মডেল গড়ে তুলতে পারি, গোল আসবেই।’
আগামী মাসে সিলেটে ব্রুনেই ও সিশেলসকে নিয়ে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলবে বাংলাদেশ। কাবরেরা নতুন অনেককেই পরখ করে দেখার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘লিগে অনেক ভালোমানের তরুণ ও প্রতিভাবান ফুটবলার দেখেছি। যারা বেশিরভাগ ম্যাচেই খেলেছে এবং খুব ভালো পারফরম্যান্স করেছে। আমরা তাদেরই নেব, যারা বিশ্বাস করে জাতীয় দলকে কিছু দিতে পারব।’ বোঝাই যাচ্ছে কোচের রাডারে আছেন নিয়মিত খেলা ফুটবলাররা। সেক্ষেত্রে কপাল পুড়তে পারে অনেক নামি ফুটবলারের। যারা খেলার চেয়ে সাইড বেঞ্চেই বেশি কাটিয়েছেন।
সাদা টি-শার্ট, টুপি ও জুতো, ধূসর প্যান্ট, হাতে কালো ঘড়ি ও চোখে সানগ্লাস; এক দেখায় মনে হবে মিরপুরের ক্রিকেট মাঠে কোনো গলফারের আগমন। কাল হোম অব ক্রিকেটে চন্দিকা হাথুরুসিংহের ফেরাটা হলো এই বেশে। আজ তার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন; আগামীকাল থেকে দায়িত্ব শুরু। মিরপুরের চেনা আঙিনায় হাথুরুর উপস্থিতিটা হয়ে উঠল পুনর্মিলনী। তামিম ইকবাল-তাসকিন আহমেদ-এবাদত হোসেনরা সবাই হাসিমুখে হাত মেলালেন কোচের সঙ্গে। নতুন যারা তৌহিদ হৃদয়-মাহমুদুল হাসান-ইয়াসির রাব্বিরাও দেখলেন ‘হেডমাস্টার’
হাথুরুকে। কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাও এগিয়ে এলেন হাত বাড়িয়ে। একটু পর কালো পাঞ্জাবি পরা বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদকে দেখা গেল মাঠে গিয়ে হাথুরুর সঙ্গে আলিঙ্গন করতে। কাজ শুরু হয়নি। তাই চেনা কড়া মাস্টার রূপে দেখা যায়নি তাকে। স্মিত হাসিটা সারাক্ষণ লেগে ছিল ঠোঁটের কোণে। এভাবেই মিরপুরে প্রত্যাবর্তনের প্রথম দিনটা কাটল। ৬ বছর পর কোচ হাথুরুসিংহের ফেরায় হাসিটা ছড়িয়ে পড়েছিল সবার মুখে।
অস্ট্রেলিয়া থেকে সোমবার রাতে ঢাকায় এসেছেন হাথুরু। কাল সকাল সাড়ে ৯টায় উপস্থিত হন মিরপুরে। চেনা ডেরায় একদম পুরনো কোচের মতোই নেমে এলেন। খোশ মেজাজে থাকা হাথুরু এরপর মিরপুরের উইকেট দেখলেন গামিনিকে নিয়ে। পরে ইনডোর ফ্যাসিলিটিজ আগের মতোই আছে কি না তাও দেখলেন। এর মধ্যে নিজের পরিকল্পনাও জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের। তবে কী সেই পরিকল্পনা বাড়ি ফেরার পথে নুরুল হাসান সোহান খোলাসা করেননি, ‘সবার সঙ্গে সে কথা বলেছে। সবাই-ই তো তার পরিচিত, সবার সম্পর্কেই সে জানে। ওর সঙ্গে দলের সবার সম্পর্ক বেশ ভালো। খুবই ফ্রেন্ডলি। আশা করব সবসময় এভাবেই থাকবে। একটা দল তখনই জেতে, যখন দলের পরিবেশ ভালো থাকে। ও সবার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর জানিয়েছে ওর একটা পরিকল্পনা আছে। সে কোনো কিছু করার অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখে। সেসব নিয়েই কথা হয়েছে।’
মার্চে হতে যাওয়া ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডের দলে নেই সোহান। তবুও দলের অংশ হিসেবে কাল মাঠে ছিলেন। হাথুরুর প্রথমপর্বে তরুণ ক্রিকেটারদের একজন ছিলেন সোহান। এখন তিনি টি-টোয়েন্টি দলের অপরিহার্য ও অভিজ্ঞ সদস্য। নেতৃত্বও দিয়েছেন একাধিকবার। এদিকে হাথুরুও আগেরবারের চেয়ে পরিণত বলে জানালেন সোহান। দুইয়ে মিলে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আরও ভালো কিছুর আশা করছেন, ‘হাথুরুর অধীনে এবার আরও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তার প্রথমবারে আমাদের অনেকেই নতুন ছিল, এতদিনে তারা পরিণত হয়েছে। তাদের দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে। হাথুরুও অনেক কিছু নতুন নিয়ে আসবেন। সেদিক থেকে অবশ্যই ভালো কিছু হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে যেমন পরিবর্তন হয়েছে তেমনি হাথুরুসিংহের মধ্যেও হয়েছে। সেগুলো সে খুব ভালো মতোই জানে। পরিকল্পনার দিক থেকে সে খুব ভালো তা আমরা সবাই জানি। সে আগে থেকেই কোনো না কোনো কিছু চিন্তা করে এসেছে। মানে হোমওয়ার্ক করে এসেছে।’
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এখন প্রতিষ্ঠিত দল। এই একটি ফরম্যাটে বাংলাদেশ বিদেশের মাটিতেও নিয়মিত জেতে। ঘরের মাঠে তো প্রতি সিরিজে ফেভারিট হয়েই নামে। তাই হাথুরুর দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশকে আরও সামনে দেখছেন সোহান।
গত চার সিরিজে দুই কোচের অধীনে খেলেছে বাংলাদেশ। ভিন্ন কোচের মানসিকতার সঙ্গে বারবার মানিয়ে নেওয়া তাই ক্রিকেটারদের জন্য চ্যালেঞ্জের। সোহান ব্যাপারটিকে দেখছেন পেশাদারিত্ব দিয়ে। এখানে ক্রিকেটারদের কিছু করার নেই বলেই তার মত। তবে সামনে আর এমনটি হচ্ছে না। ‘কড়া মাস্টার’ চলে এসেছেন তা কাল মাঠেই বোঝা গেল। অনানুষ্ঠানিক অনুশীলনের দিনেই ঢাকার বাইরে ও বিদেশে থাকা ক্রিকেটার বাদে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দলের সবাই উপস্থিত। ইনজুরি সমস্যা কাটিয়ে অনুশীলনের প্রথমদিনই মাঠে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলের বাইরের ক্রিকেটাররাও ছিলেন অনুশীলনে। শুধু তাই নয় ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স, পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড, স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ, ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডরমটও ছিলেন। সব মিলিয়ে প্রথম দিনই বেড়ানোর মানসিকতা নিয়ে এসে সবাইকে পেয়ে গেছেন হাথুরু। হাসিমুখে বাক্য বিনিময়ও করেছেন। প্রশ্ন হলো সামনে এই সম্মিলিত হাসিমুখটা থাকবে তো!
বইমেলায় গল্প উপন্যাস কবিতার বইয়ের পাশাপাশি খেলাধুলার ওপরও বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে যা ক্রীড়ামোদী পাঠকের মন ভরাবে। বাংলা এবং ইংরেজি, দুই ভাষাতেই এসেছে বেশ কিছু বই। খেলাধুলার ইতিহাস, ক্রীড়া সাংবাদিকতা, জীবনী...ইত্যাদি ঘরানার বইগুলোর মূল অনুষঙ্গ খেলার মানুষ বা খেলার ভুবন।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ক্রিকেটার আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েলকে নিয়ে স্মারকগ্রন্থ ‘ক্রীড়াঙ্গন থেকে রণাঙ্গণ’। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিভাবান ক্রিকেটার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী (জুয়েল) বীরবিক্রম আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেন। তিনি ছিলেন সেই সময়ের প্রথম শ্রেণির একজন ক্রিকেটার এবং পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বিখ্যাত ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য হিসেবে দুর্ধর্ষ কিছু অপারেশন করেন। মিরপুরের শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একটি গ্যালারি তার নামে। জুয়েলের স্মৃতিচারণ করেছেন পরিবারের সদস্য ও সতীর্থরা, তারই সংকলন এই বই। প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ)। মেলায় পাওয়া যাবে ঐতিহ্য-এর স্টলে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রথম নারী পরিচালক মনোয়ারা আনিস খান। তিনি লিখেছেন ‘মেয়েরাও পারে’ বইটি। বেরিয়েছে ‘বাংলানামা’ থেকে।
আজাদ মজুমদার বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক। দীর্ঘদিনের ক্রীড়া সাংবাদিকতা জীবনে পেয়েছেন বিএসপিএ বর্ষসেরা ক্রীড়া সাংবাদিকসহ অনেক পুরস্কার। বর্তমানে ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এইজ-এর যুগ্ম বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। ২৫ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে প্রেসবক্সের ভেতরের অভিজ্ঞতা, সাংবাদিককের স্নায়ুর চাপের মুহূর্তগুলো, কখনো মানবিক ভুল, কখনো অজ্ঞতা নিয়ে আজাদ মজুমদারের ‘ইনসাইড দ্য প্রেসবক্স’ বইটি। প্রকাশক বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতি (বিএসপিএ), পাওয়া যাবে ঐতিহ্য’র স্টলে।
বাংলাদেশে ইএসপিএনক্রিকইনফোর প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসাম। বছর দশেক ধরেই আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হার, জিত, বিতর্ক, সাফল্য অনেক কিছু নিয়েই লিখছেন ওয়েবসাইটে। নির্বাচিত কিছু লেখার সংকলন ‘অন টাইগার’স ট্রেইল’। বইটি প্রকাশ করেছে মাইটিপ্রেস, পাওয়া যাবে স্টুডেন্ট ওয়েজ, ২৬ নম্বর প্যাভিলিয়নে।
মেলার শেষভাগে আলোর মুখ দেখেছে জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, চ্যানেল ২৪-এর ক্রীড়া সম্পাদক দিলু খন্দকারের ফুটবল স্মৃতিচারণমূলক বই ‘ফুটবলের মেহমান।’ বইটি পাওয়া যাবে অয়ন প্রকাশনীর স্টলে। এছাড়া সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক মুহাম্মদ কামরুজ্জামানের ‘মাঠ-গ্যালারি-স্টেডিয়াম’, ক্রীড়াজগত সম্পাদক দুলাল মাহমুদের ‘বিস্মৃত ১০১ ক্রীড়াবিদের বৃত্তান্ত’ প্রকাশিত হয়েছে।
সিদ্ধান্ত নিতে হবে লিওনেল মেসি ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া দুজনের বয়সই ৩৫। ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে দুজনেই আছেন দোটানায়। কাতার বিশ্বকাপই শেষ বলেছিলেন মেসি। তবে কাতারে শিরোপা আর্জেন্টিনার শিরোপা জয় পাল্টে দিয়েছে অনেক হিসাব। দলের অনেকেই চান মেসি খেলুক। ডি মারিয়া সম্প্রতি জানিয়েছেন, অত দূরের স্বপ্ন দেখছেন না তিনি। তবে কোপা খেলতে চান। এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। ২০২৬ বিশ্বকাপে মেসি-ডি মারিয়ার খেলা না খেলার সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিলেন তাদের ওপরই।
২০২৬ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে মেক্সিকো, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে। স্কালোনির অধীনেই ওই আসরে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামবে আলবিসেলেস্তেরা। যদিও স্কালোনির সঙ্গে নতুন চুক্তির বিষয়টি গণমাধ্যমে এলেও অফিশিয়াল ঘোষণা আসেনি। সোমবার সিরি আ বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কালোনি। সেখানেই স্কালোনি কথা বলেন ডি মারিয়া-মেসির বিষয়ে। ‘পরের বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে লিওকে (মেসি) সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি তার শরীর ঠিকঠাক সাড়া দেয়, তাহলে আমার দিক থেকে সে থাকবে। মেসিকে নিয়ে যে কথা বলেছি, একই কথা দি মারিয়ার বেলায়ও প্রযোজ্য। যতক্ষণ তার শরীর সইতে পারবে, তাকে সবসময় ডাকা হবে।’ ২০২৬ বিশ্বকাপের সময় মেসি ও ডি মারিয়ার বয়স হবে চল্লিশের কাছাকাছি। ফুটবলের দৃষ্টিকোণ থেকে ওই বয়সে বিশ্বকাপ খেলা অসম্ভব না হলেও খুব কঠিনই বলা যায়।
ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। দফায় দফায় বিদ্যুৎ থাকছে না বাসা-বাড়ি, অফিস আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে।
বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে একটি মহল পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টায় আছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য এসেছে। আর ওই তথ্য পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তর নড়েচড়ে বসেছে। পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ শীর্ষ কর্তারা বৈঠক করেছেন। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সোমবার পুলিশের সব রেঞ্জ অফিস ও ইউনিট প্রধানদের কাছে বিশেষ নির্দেশনা পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বিশেষ বার্তা পেয়ে ইউনিট প্রধান, রেঞ্জ ডিআইজি ও ৬৪ জেলার পুলিশ সুপাররা আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিদ্যুতের সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি। এরই মধ্যে যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে আমরা সতর্ক আছি। বিদ্যুৎ স্টেশনগুলো নিরাপত্তার আওতায় আনা হচ্ছে। এই জন্য আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, সোমবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পুলিশের সব ইউনিট, রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপারদের কাছে বিদ্যুৎ স্টেশনে নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি নজরদারি বাড়াতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একটি মহল লোডশেডিংয়ের অজুহাতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। যেসব এলাকায় বেশি বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে তারও একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপার দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছেন, পুলিশ সদর দপ্তরের চিঠি পাওয়ার পর আমরা বিশেষ বৈঠক করছি। এলাকায় বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে তা সত্য। এ জন্য আমরা বেশ সতর্ক আছি। বিদ্যুৎ অফিস ও স্টেশনগুলোর বিষয়ে থানার ওসিদের দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তরকে বলেন, লোডশেডিংয়ের অজুহাত তুলে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে একটি বিশেষ মহল। প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাড়তি পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে থানার ওসিদের নানা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন জেলার পুলিশ সুপাররা। এমনকি বাড়তি ফোর্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তা ছাড়া রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোও নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
বিদ্যুৎ অফিসের পাশাপাশি ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলতে ৫০ থানার ওসিদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
খন্দকার গোলাম ফারুক দেশ রূপান্তরকে জানান, বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে যাতে কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সে জন্য আমরা সতর্ক আছি। বিদ্যুৎ স্টেশনগুলোর পাশাপাশি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো বাড়তি নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে সবাইকে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎসহ যেকোনো সমস্যা নিয়ে কোন মহল যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে। আশা করি বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটবে না। তারপরও পুলিশ সতর্ক আছে।
সূত্র জানায়, লোডশেডিংকে পুঁজি করে কেউ যাতে অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টির সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। নির্দেশনার পর সারা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, বিদ্যুৎ অফিস, সাবস্টেশনসহ কেপিআই স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে। গোয়েন্দা কার্যক্রম ও পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা সমিতি বা কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকেও পুলিশকে চিঠি দিয়ে বাড়তি নিরাপত্তাও চাওয়া হয়েছে।
বছরে ৪০ কোটি ডলার পারিশ্রমিকের প্রস্তাব নিয়ে লিওনেল মেসির সংগে যোগাযোগ করছে আলো হিলাল। তারা মংগলবার চুক্তির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বলে জানিয়ে রেখেছে। কিন্তু মেসি তাদেরকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রস্তাবটা পিছিয়ে দিতে বলেছেন বলে খবর দিয়েছে ফুটবল বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল গোল ডটকম।
তবে সৌদি ক্লাব এ-ই প্রস্তাব এখনই গ্রহন না করলে আগামী বছর তা একই রকম থাকবে না বলে জানিয়েছে।
মেসি আসলে তার শৈশবের ক্লাবে আরো অন্তত এক বছর খেলতে চান। তাতে তার পারিশ্রমিক সৌদি ক্লাবের প্রস্তাবের ধারে কাছে না হলেও ক্ষতি নেই। জানা গেছে, বার্সা তাকে এক বছরে ১৩ মিলিয়েন ডলার পারিশ্রমিক প্রস্তাব করতে যাচ্ছে।
লা লিগা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ায় মেসিকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেবে বার্সা। ধারনা করা হচ্ছে বুধ-বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ ব্যাপারে একটা স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে।
সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে প্রেম এরপর বিয়ে। দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে আট মাস ধরে চিত্রনায়িকা পরীমণি ও শরিফুল রাজের বনিবনা হচ্ছে না বলেই শোনা যাচ্ছে। চলছে টানাপোড়েন এবং সেই সংসার এখন ভাঙনের পথে। রাজের ফেসবুক থেকে অভিনেত্রী তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি ও সুনেরাহ বিনতে কামালের কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর রাজের সঙ্গে পরীমণির মতপার্থক্য প্রকাশ্যে আসে। সব ছাপিয়ে যা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
রবিবার একটি গণমাধ্যমের ‘লাইভ’ অনুষ্ঠানে এসে শরিফুল রাজ জানান, আপাতত তারা সেপারেশনে আছেন এবং তাদের আর একসাথে হওয়ার কোন সুযোগ নেই। পরীকে তিনি শ্রদ্ধা করেন জানিয়ে সবশেষে পরীমণির উদ্দেশ্যে রাজ বলেন, ‘বেবি, আই লাভ ইউ। যা-ই হোক না কেন, আনন্দে থেকো। আমরা আমাদের সন্তানকে ভালো রাখব।’
রাজের এমন মন্তব্যের উত্তর দিতে সোমবার রাতে গণমাধ্যমটির লাইভে এসে রাজের উদ্দেশ্যে পরীমণি বলেন, ‘গরু মেরে জুতা দান করার কোনো দরকার নেই। কেউ রেসপেক্ট করলে সেটা তার কার্যকলাপ দেখেই বোঝা যায়, মুখ ফুটে বলতে হয় না। আমাকে পাবলিকলি অপমান করে এরপর রেসপেক্ট দেখানোর কোনো দরকার নেই। আর আমার বাচ্চাকে নিয়ে এসব ইমোশনালি কোনো কথা শুনতে চাই না। এসব ইমোশনালি কথা মানুষকে গিলিয়ে লাভ নেই। মানুষ বুঝে।’
ফাঁস হওয়া ভিডিওগুলো পরী বলেন, ‘এত বছর ধরে তারা বন্ধু অথচ আমি জানতাম না। এসব সামনে আসার পর জানতে পারলাম। আর রাজ যতটা তার বন্ধুদের ইমেজ নিয়ে কনসার্ন তার পরিবার নিয়ে এতটাও কনসার্ন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমনিতে অনেক শান্তশিষ্ট। অনেকটা সাপের মতো, লেজে পাড়া না দিলে চুপচাপ থাকি কিন্তু আমার লেজে পাড়া দিলেই আমি ফুঁস করে উঠি আর তখন কামড় দিবই।’
সবশেষে পরী বলেন, ‘আমি চাই এসবের শেষ হোক। আমি আজকে এখানে এসে এসব বলতাম না। তুমিই (রাজ) আমাকে বাধ্য করেছ। এরকম অসুস্থ মানুষের সঙ্গে আমি আর থাকতে চাই না। আমি চাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ আমাকে ডিভোর্স দিক।’
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩ ধরনের জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর থেকে বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অন্যদিকে উৎপাদন পর্যায়ে তরল করা পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল আমদানিতে প্রতি লিটারে ১৩ দশমিক ৭৫ টাকা করে শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া অন্যান্য জ্বালানি জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েল, লুব বেইজ অয়েল, কেরোসিনের ক্ষেত্রে প্রতি টনে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এত দিন এসব জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল।
আমদানি করা পণ্যের যথাযথ মূল্য নির্ধারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্যের ট্যারিফ মূল্য ও ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাত দুটি হেডিংয়ের আওতায় ১২টি এইচএস কোডের বিপরীতে ট্যারিফ মূল্য এবং একটি হেডিংয়ের আওতায় একটি এইচএস কোডের বিপরীতে ন্যূনতম মূল্য বহাল আছে।
পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাতগুলোর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করার কারণে অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
এলপিজি সিলিন্ডারের বিষয়ে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার তৈরির কাঁচামাল ইস্পাতের পাত (স্টিল শিট) ও ওয়েল্ডিংয়ের তার আমদানির করছাড় সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে।
পেট্রোলিয়াম তেল এবং বিটুমিনাস খনিজ থেকে প্রাপ্ত তেলের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ। নতুন বাজেট অনুযায়ী এসবের প্রতি ব্যারেলের দাম ১ হাজার ১১৭ টাকা (লিটার প্রতি ৭.০২ টাকা) হতে পারে। প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ৯ হাজার ১০৮ টাকা (লিটার প্রতি ৯.১০ টাকা) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য নতুন অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ৩৩ হাজার ৮২৫ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং জ্বালানি খাতে ৯৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা নতুন বাজেটে এই বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ছিল ২৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ৭ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় বলেন, উৎপাদন ও বিতরণ সক্ষমতা সম্প্রসারণের ফলে দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২০০৯ সালে ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে বর্তমানে ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। জ্বালানির ব্যবহার বহুমুখীকরণের জন্য গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি কয়লা, তরল জ্বালানি, দ্বৈত জ্বালানি, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট ও পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। মাতারবাড়ীতে ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে মোট ১২ হাজার ৯৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন এবং ২ হাজার ৪১৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া, ১০ হাজার ৪৪৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ৩৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে পাশর্^বর্তী দেশগুলো থেকে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে ভারত থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পাশাপাশি ঝাড়খ-ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৭৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। নেপালের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশ, ভুটান ও ভারতের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে শিগগিরই। তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারব বলে আশা করছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে সংগ্রহ করতে চাই। এরসঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, ৬০ লাখ সোলার সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে অফ গ্রিড এলাকায় বসবাসকারী জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে ডিজেলচালিত পাম্পের জায়গায় সৌরচালিত পাম্প স্থাপন করার অংশ হিসেবে সেচকাজে ইতিমধ্যে ২ হাজার ৫৭০টি পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৮৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। সর্বোপরি, রাশিয়ার সহায়তায় রূপপুরে ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।’
উৎপাদিত বিদ্যুৎ জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে গত ১৪ বছরে ৬ হাজার ৬৪৪ সার্কিট কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সঞ্চালন লাইন ১৪ হাজার ৬৪৪ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া বিতরণ লাইন ৩ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ৬ লাখ ৬৯ হাজার কিলোমিটারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিদ্যুতের সিস্টেমলস ১৪ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৭ দশমিক ৭ শতাংশে। ২০৩০ সালের মধ্যে সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ২৮ হাজার কিলোমিটারে সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের অপব্যবহার রোধের লক্ষ্যে গত ৫ বছরে প্রায় ৫৩ লাখ প্রি-পেইড স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী কামাল বলেন, ২০০৯ সালের তুলনায়, জ্বালানি তেলের মজুদ ক্ষমতা ৮ লাখ ৯৪ হাজার মেট্রিক টন থেকে বৃদ্ধি করে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৬০ হাজার টন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই মজুদ ক্ষমতা ৩০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিনে বাড়ানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি উদ্বোধন করা ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানি করা জ্বালানি তেল (ডিজেল) দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় এবং সৈয়দপুরে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ টন থেকে ৪৫ লাখ টনে উন্নীত করার চেষ্টা চলছে। পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় একটি বৃহৎ সমন্বিত তেল শোধনাগার স্টোরেজ ট্যাংক নির্মাণের সিদ্ধান্ত আছে। সম্প্রতি ভোলার ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ আবিষ্কৃত হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় প্রতিদিন গ্যাসের উৎপাদন ছিল ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়ানোর পর দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ৯৮৪ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে আরও ৪৬টি কূপ খনন করা হবে। এতে অতিরিক্ত ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন হওয়ায় আমরা বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। ক্রমবর্ধমান জ্বালানির চাহিদা মেটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি এবং স্পট মার্কেট থেকেও কেনা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে প্রতিদিন ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন ল্যান্ড বেইজড এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
বাজেট বক্তৃতায় আরও বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৫৮ কিলোমিটার গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের উত্তরাঞ্চল ও অন্যান্য এলাকায় ২১৪ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের কাজ চলছে। ২০২৬ সালের মধ্যে পায়রা ও ভোলা থেকে গ্যাস সঞ্চালনের জন্য আরও ৪২৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি অপচয় রোধে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজও চলছে।
চলতি অর্থবছরের চেয়ে আগামী অর্থবছরের সামগ্রিক বাজেট আকারে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বড় হলেও আগামী বছরের শিক্ষা-বাজেট দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। তবে টাকার অঙ্কে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ৬ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা বেড়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে মোট বাজেটের ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। শুধু শিক্ষা খাত হিসাব করলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষায় বরাদ্দ ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে তা ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি। চলতি অর্থবছরে শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ১২ দশমিক ০১ শতাংশ বা ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা।
ইউনেস্কো, শিক্ষাবিদ বা অংশীজনরা অনেক দিন ধরেই শিক্ষায় জিডিপির কমপক্ষে ৪ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলছেন। এটাকে তারা বরাদ্দ হিসেবে না দেখে আগামী দিনের বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে বলছেন। গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষায় বরাদ্দ ১২ শতাংশের আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল। জিডিপির হিসাবে তা ছিল ২ শতাংশের কাছাকাছি। চলতি অর্থবছরে শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ জিডিপির ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ২ দশমিক ০৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়াচ্ছে জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আগামী বাজেটে যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তার সঙ্গে শিক্ষায় বরাদ্দের সংগতি নেই। বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে। এজন্য দক্ষ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী প্রয়োজন। কিন্তু এ জনগোষ্ঠী তৈরির জন্য প্রয়োজন শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ। বরাবরের মতো এবারও শুভংকরের ফাঁকি লক্ষ করছি। শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তি মিলিয়ে আকার বড় করা হলেও চলতি অর্থবছরের চেয়েও বরাদ্দ কমেছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নেও বাজেটে দিকনির্দেশনা দেখছি না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘শিক্ষায় জিডিপির ২ শতাংশের নিচে বরাদ্দ কাক্সিক্ষত নয়। আগামী অর্থবছরে অন্তত ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ দিলে ভালো হতো। কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষায় আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত ছিল। সেটা আগামী অর্থবছরের বাজেটে দেখা যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের বাজেটে মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে, যা খুবই ভালো। যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণে জোর দিতে হবে। শিক্ষায় বরাদ্দের সঠিক ব্যবহারের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।’
আগামী অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে তা ছিল ৩১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪২ হাজার ৮৩৮ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৩৯ হাজার ৯৬১ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার।
বাজেট ঘিরে প্রতি বছরই বেসরকারি শিক্ষকদের অন্যতম দাবি থাকে শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ বাড়ি ভাড়া ও শতভাগ উৎসব-ভাতা প্রদান। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের প্রক্রিয়া চলমান রাখাও তাদের অন্যতম দাবি। কিন্তু সেসব বিষয়ে বাজেটে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ নেই। তবে এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে আগামী অর্থবছরে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
স্বাস্থ্য খাতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে এবার বরাদ্দ ১ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা বা ৩ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়লেও মোট বাজেটের তুলনায় তা কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে খাতটিতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আগামী বাজেটে তা ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ খাতে ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় মাত্র ১৫০ কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ১৭ হাজার ২২১ কোটি টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় ১২ হাজার ২১০ কোটি টাকা। এছাড়া স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ৮ হাজার ৬২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বরাদ্দ থেকেই নতুন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, এবার টাকার অঙ্কে গত বছরের তুলনায় (বর্তমান ২০২২-২৩ অর্থবছর) ১ হাজার একশ কোটির মতো বেড়েছে। কিন্তু বাজেট শেয়ারে সেটা কমেছে। সামগ্রিক বাজেটের গ্রোথ বা বৃদ্ধি ১২ শতাংশ, কিন্তু স্বাস্থ্যের বাজেটের বৃদ্ধি ৩ শতাংশ। তারমানে রাষ্ট্রীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের গুরুত্ব কমেছে। সেই কারণে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
এই স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ বলেন, এবার কমার যৌক্তিক কারণ আছে। সেটা হলো স্বাস্থ্য বিভাগের সেক্টর প্রোগ্রামে উন্নয়ন বাজেট থেকে অর্থ আসে। সেই সেক্টর প্রোগ্রাম এই অর্থবছরে শেষ হয়ে প্রস্তাবিত অর্থবছর থেকে নতুন সেক্টর প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলমান সেক্টর প্রোগ্রাম সময়মতো বাস্তবায়ন করতে না পারায় সেটার সময় আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। এই এক বছরের জন্য নতুন বাজেট থাকে না, পুরনো বাজেট থেকেই ব্যয় করতে হয়। ফলে বরাদ্দ না বাড়িয়ে পাঁচ বছরের বাজেট যদি ছয় বছরে গিয়ে ঠেকে, তাহলে প্রতি বছর টাকা কমে যায়। মূলত এ কারণে এবার টাকা কমে গেছে।
সরকার স্বাস্থ্য খাতে এবারও কিছু থোক বরাদ্দ রাখতে পারত বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অর্থনীতির এই শিক্ষক। তিনি বলেন, কভিড ছাড়াও আমাদের অনেক জরুরি খাত আছে। এখন ডেঙ্গু চলছে। এটি ইমার্জেন্সি হয়ে যাবে। ফলে এটার জন্য যে ফান্ড দেওয়া আছে হাসপাতালে, রোগী বাড়লে সেটা দিয়ে হবে না। এরকম ইমার্জেন্সি আরও আসতে পারে। এরকম একটা থোক বরাদ্দ রাখলে স্বাস্থ্যের ইমার্জেন্সিতে সেখান থেকে ব্যয় করা যেত। কিন্তু সেটাও নেই। তার মানে কভিডের শিক্ষা থেকে আমরা কিছুই শিখিনি। প্রস্তাবিত বাজেটে সেটার প্রতিফলন নেই।
সামগ্রিকভাবে বাজেটে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবার খরচ বেড়ে যাবে বলেও মনে করছেন এই স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, এতে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধসহ সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।
যদিও এবারের বাজেটে ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসা আরও সুলভ করার জন্য ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ, আইভি ক্যানুলা উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উপাদান সিলিকন টিউবসহ আরও কিছু বিদ্যমান ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তামাক জাতীয় পণ্য যেমন তরল নিকোটিন, ট্রান্সডারমাল ইউস নিকোটিন পণ্যের বিপরীতে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।