
গত বছরের মাদ্রিদ নাটক তাহলে কি আবারও ফিরছে! ওই মৌসুমে সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির লড়াইয়ে চরম নাটকীয়তা হয় ম্যাচের শেষ ৬ মিনিটে। ক্ষণিকের ভুলে ৩ গোল হজম করে জয়ের প্রান্ত থেকে ছিটকে যায় সিটি। ওদিকে রূপকথা উপহার দিয়ে আরও একবার শেষের নাটকীয়তা জিতে ফাইনালে ওঠে রিয়াল। সেই নাটকের দুই সারথী এবারও সেমিতে মুখোমুখি। রিয়াল আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। বুধবার রাতে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে দ্বিতীয় লেগ ১-১ গোলে ড্র করে শেষ চারে পা রেখেছে সিটি। প্রথম লেগ ৩-০ তে জেতায় ৪-১ গোলগড় তাদের।
চ্যাম্পিয়নস লিগের অপর সেমিফাইনালও কম রোমাঞ্চ ছড়াবে না। ইতালির দুই সেরা মিলান শহরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হচ্ছে তাতে। সবশেষ ২০০২-০৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালেই মুখোমুখি হয়েছিল তারা। ২০ বছর পর আবার। রিয়াল-সিটি লড়াই নিয়ে আগ্রহ যেমন ঠিক তেমনি মিলান ডার্বি নিয়েও আগ্রহের শেষ নেই। ২০০৭ মৌসুমের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে মিলান। বেনফিকার সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করে তাদের সঙ্গী ইন্তার। আগের লেগ ২-০ তে জেতায় ৫-৩ এ অ্যাগ্রেগেট রেখেছে সবশেষ ২০১০ এ সেমিফাইনালে খেলা ও সেবারের চ্যাম্পিয়ন দলটি। দুই ইতালিয়ান দল সেমিফাইনালে ওঠায় ২০১৭ আসরের পর এই প্রথম কোনো ইতালি ক্লাবের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ওঠা পাক্কা। আর ২০১০ এ ইন্তারের পর ইতালিতে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি নেওয়ার সুযোগও এসেছে।
প্রথম ইউরোপিয়ান শিরোপার খোঁজে থাকা সিটিজেনরা টানা তৃতীয় মৌসুমে সেমিফাইনালে খেলছে। ২০২০ মৌসুমে শিরোপার এক হাত রেখেও হেরেছিল চেলসির কাছে। পেপ গার্দিওলা ভালো করেই জানেন এবারই সিটিজেনদের ডেরায় তার শেষ মৌসুম। শুরু থেকে তার কাছে এই একটি শিরোপার অপেক্ষায় ইংলিশ জায়ান্টরা। এই সময়ে একাধিকবার প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা এনে দিলেও দলটিকে ইউরোপ সেরা করতে পারেননি তিনি। আর একবার এই সম্ভাবনা সামনে দাঁড়িয়ে লিগটিতে সবচেয়ে বেশিবার চ্যাম্পিয়ন রিয়ালকে পেয়েছেন গার্দিওলা। পুরনো শত্রুকে পেয়ে গার্দিওলা এই লড়াইয়ের ওজন জানালেন এভাবে, ‘আবারও সেই সেমিফাইনাল। যে অভিজ্ঞতা এ দুই দলে আছে, যেই ফুটবলাররা আছেৃসব মিলিয়ে দুই দলের জন্যই এ লড়াইটা একদম বিশেষ। সবাই জানে এর গুরুত্ব কতটা। এ লড়াই কী দিতে পারে কী মানে বহন করে। অবশ্যই সেরা একটি লড়াইয়ের অপেক্ষায় আমরা।’
প্রতিশোধের নেশায় থাকা সিটি এবার দলের গোলমেশিন এরলিং হালান্ডের দিকে তাকিয়ে। এ মৌসুমে ৪১ ম্যাচে ইতিমধ্যেই ৪৮ গোল করেছেন এই নরওয়েজিয়ান। বায়ার্নের বিপক্ষে গত ম্যাচে প্রথমার্ধে সিটির হয়ে প্রথম পেনাল্টি মিস করেছিলেন হালান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করে ভুল শুধরে নেন। জশুয়া কিমিচের পেনাল্টি গোলে বায়ার্ন সমতায় ফিরেছিল কিন্তু আগের লেগে ৩ গোলে পিছিয়ে থাকার দূরত্ব মেটাতে পারেনি।
ইতালিয়ান লিগে জুভেন্তাস রাজত্ব থামানো তিন ক্লাব এবার ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসর মাতিয়েছে। নাপোলি পিছিয়ে গেলেও এবার দুই মিলানের এগিয়ে যাওয়ার পালা। সেই সুবাদে এক মিলানে দুবার উৎসব হলো। একদিন আগে লাল-কালোদের উৎসব আর বুধবার কালো-নীলরা। ২০১০ চ্যাম্পিয়ন উৎসবের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে ওঠার আনন্দ পেল ইন্তার। ঘরের মাঠে নিকোলা বারেয়া ১৪, লাউতারো মার্তিনেজ ৬৫ ও হোয়াকিন কোরেয়া ৭৮ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। বিপরীতে পর্তুগালের বেনফিকা ফ্রেদেরিকের ৩৮, অ্যান্তোনিওর ৮৬ ও পিটার মুসার ৯৫ মিনিটের গোলে ম্যাচে সমতা ফেরালেও রুখতে পারেনি ইন্তারকে। ঐতিহ্যবাহী মিলান ডার্বি নিশ্চিতের পর ইন্তার কোচ ফিলিপো ইনজাঘি স্মরণীয় রাতের অপেক্ষায়, ‘আজকের রাতটা দলের সবার জন্যই বিশাল। দুই লেগে যা হয়েছে তাতে আমরাই এগিয়ে যাওয়ার যোগ্য। সবার জন্যই সেমিফাইনাল স্বপ্নের মতো। এবার আমরা আরেকটি স্বপ্নের রাতের দিকে তাকিয়ে।’ বেনফিকার সঙ্গে প্রথম লেগের জয় ছাড়া গত ৮ ম্যাচে একটিও জয় ছিল না ইন্তারের। সেসব ভুলে এখন মিলান ডার্বির উত্তাপেই মেতে আছেন বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন তারকা মার্তিনেজ, ‘এই ক্লাবের অংশ হতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত। আমরা জানতাম এই ম্যাচ জিতলে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে ডার্বি খেলতে পারব। সেজন্য সবটুকু দিয়ে খেলেছি আমরা। ইন্তার অবশ্যই সেমিফাইনালের দাবি রাখে। এটা অবশ্যই স্পেশাল ডার্বি হতে যাচ্ছে।’
সত্যিই স্পেশাল হয়ে উঠেছে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ। রিয়াল-সিটির পুরনো শত্রুতা আর বিশেষ করে মিলান ডার্বি জমিয়ে দিয়েছে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসর। চার দলের মাঝে সেরা হয়ে কারা শিরোপা লড়াইয়ে যায় তা দেখার অপেক্ষা এবার।
পাহাড়িরা জাতিগতভাবেই ভীষণ পরিশ্রমী। যা তাদের এগিয়ে দেয় অনেক ক্ষেত্রে। শরীরী সামর্থ্য বেশি বলে দেশের তিন পার্বত্য জেলা থেকে একটা সময় অসংখ্য ফুটবলার উঠে এসে ঢাকার মাঠ কাঁপিয়েছেন। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িকে ধরা হতো দেশের ফুটবলের অন্যতম সাপ্লাই লাইন। তবে অযতেœ, অবহেলায় সেই লাইনে মরচে ধরেছে। এখন আর ঢাকার ফুটবলে পাহাড়িদের সেভাবে চোখে পড়ে না। পাহাড়ে ফুটবলের স্পন্দনটাই যেন থমকে গেছে। তার সুলুক সন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে নানা কারণ। তিন জেলাতেই লিগ হয় না নিয়মিত। রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় সর্বশেষ লিগ হয়েছে ২০২০ সালে। আর বান্দরবান জেলায় শেষবার লিগ গড়িয়েছিল ২০১৮ সালে।
রাঙ্গামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতালের ঠিক পাশেই ছিল ছোট্ট খেলার মাঠ। সেখানেই ফুটবলের হাতেখড়ি চিহ্লা মং চৌধুরী মারীর। বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাসে যে নামটি লেখা রয়েছে স্বর্ণাক্ষরে। দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার তিনি। খেলেছেন স্বাধীনতাপূর্ব অবিভক্ত পাকিস্তান ফুটবল দলে। তাকে বলা হতো বাঁ পায়ের জাদুকর। সেই মারীর নামেই নামকরণ হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা স্টেডিয়ামের। সেই মাঠে খেলতে খেলতে এক সময়ের দেশসেরা লেফটব্যাকে পরিণত হন বরুণ বিকাশ দেওয়ান। বর্ণিল ক্যারিয়ারে খেলেছেন ঢাকার বড় সব ক্লাবে। জাতীয় দলেও খেলেছেন দাপটের সঙ্গে। জাতীয় দল না হলেও বরুণের বড় ভাই অরুণ বিকাশ দেওয়ান বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন নিয়মিত। গোলকিপার হিসেবে পুলিশ, দিলকুশা, আরামবাগ, ভিক্টোরিয়া, মুক্তিযোদ্ধার মতো দলের পছন্দের তালিকায় থাকতেন সব সময়। এর ধারাবাহিকতায় পরিতোষ দেওয়ান, কিংসুক চামকা, প্রদীপ বড়–য়া, বিপ্লব মারমাদের মতো প্রতিভাবান ফুটবলার ঢাকার ফুটবলকে বিকশিত করেছেন। এক সময় ঢাকার শীর্ষ লিগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন লিগে তিন পার্বত্য জেলা থেকে অসংখ্য ফুটবলার খেলেছেন সুনামের সঙ্গে। পাহাড়ে সম্ভাবনা খুঁজে পেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও অতীতে তিন পার্বত্য জেলাকে রাখত গুরুত্বের তালিকায়। তবে রূঢ় বাস্তবতার ছাপ পড়েছে পাহাড়ে। অন্যান্য জেলার মতো তিন পার্বত্য জেলায়ও থমকে গেছে ফুটবল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিগ নিয়মিত না হওয়ার পেছনে মূল কারণ অর্থ সংকট। তবে বাফুফের উদাসীনতা ও সংগঠকদের অবহেলাও অনেকাংশে দায়ী। আর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে জেলা ফুটবল সংস্থার বিরোধের জেরে মাঠ সমস্যা তো আছেই। সঙ্গে যোগ হয়েছে খেলাধুলায় রাজনীতি।
দীর্ঘদিন ধরেই রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে জড়িত রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বরুণ বিকাশ দেওয়ান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জেলায় অতীতে নিয়মিত লিগ হতো। এখানে খেলে অনেকেই আমরা ঢাকার বড় বড় ক্লাবের নজর কেড়েছি। জেলার আনাচে কানাচে অনেক ফুটবল প্রতিভা ছড়িয়ে আছে। সেটা আমরা জানি। তবে নিয়মিত খেলা হয় না বলে তারা ওপরে ওঠার সিঁড়ির খোঁজ পাচ্ছে না। রাঙ্গামাটি জেলায় কর্ণফুলী পেপার মিল ছাড়া কোনো কল-কারখানা নেই। তাই এখানে আমাদের পৃষ্ঠপোষকতার সংকটে ভুগতে হয়। লিগে অংশ নিতে হলে ক্লাবগুলোর অনেক টাকা প্রয়োজন। সেগুলো জোগাড় করতে পারে না বলে লিগে অংশ নিতে চায় না। তাছাড়া মাঠ নিয়ে তো জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ফুটবল সংস্থার মধ্যে একটা দূরত্ব আছেই। বাফুফের কাছ থেকেও আমরা কোনো সহায়তা পাই না। বাফুফে সভাপতি (কাজী সালাউদ্দিন) এই মেয়াদে দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলেন জেলার দিকে নজর দেবেন। অথচ তার মেয়াদ শেষ হতে চলল, তিনি তার কথা রাখেননি। তাহলে কী করে ফুটবলার উঠে আসবে?’
রাঙ্গামাটি জেলা ফুটবল সংস্থার সভাপতি সাইফুল ইসলাম ভুট্টোও মনে করেন বাফুফের অবহেলার কারণেই তিন পার্বত্য জেলার ফুটবল থমকে গেছে, ‘২০১৯ সালে বাফুফে প্রতিটি জেলাকে ৫ লাখ করে টাকা দিয়েছিল। সেই টাকা নিমিষেই খরচ হয়ে গেছে বাফুফের বেঁধে দেওয়া বিভিন্ন বয়সভিত্তিক আসর করতে গিয়ে। ২০২০ সালে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে মিলে আমরা লিগ আয়োজন করি রাঙ্গামাটি উন্নয়ন বোর্ডের পৃষ্ঠপোষকতায়। এরপর তিন বছরে বাফুফে আমাদের কোনো খবর রাখেনি। অথচ বাফুফের এই কর্তারাই নির্বাচনের সময় আমাদের কতই না খাতির-যতœ করেন। পাঁচ তারকা হোটেলে রাখেন, লাখ-লাখ টাকায় ভোট কিনে নেন। আমি এই অপসংস্কৃতির কারণেই গেল বার কাউন্সিলর হইনি।’
খাগড়াছড়ি জেলার চিত্রও একই রকম। খাগড়াছড়ি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অনুপ কুমার চাকমা বলেন, ‘লিগ করব কী করে? আমাকে টাকা দেবে কে? পাহাড়ের ছেলেদের মধ্যে এখনো ফুটবলের প্রতি আগ্রহ আছে। আমি তাদের সহযোগিতা করতে চাই। তবে আমাকে সহযোগিতা করার তো কেউ নেই। বাফুফে আমাদের কোনো খোঁজখবর রাখে না। তাহলে কী করে আমরা লিগ চালাব? আসলে এসব নিয়ে কথা বললেই শত্রু হতে হয়। তাই বোবা হয়ে থাকাই ভালো। কারণ বোবার কোনো শত্রু নেই।’
বান্দরবান জেলার ফুটবলের দায়িত্বে আছেন বান্দরবান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্য শৈ হ্লা। বান্দরবান জেলায় ফুটবল পিছিয়ে পড়ার জন্য কোন্দলকেই দায়ী করেছেন প্রভাবশালী এই ক্রীড়া সংগঠক, ‘ফুটবলটাকে আমরা একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে এসেছিলাম। তবে কিছু স্থানীয় মানুষের অসহযোগিতার কারণে লিগ নিয়মিত চালাতে পারিনি। এখন আমরা সমস্যা কিছুটা কাটিয়ে আগামী মে মাস থেকে লিগ শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছি।’ বান্দরবান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক, বিকেএসপির সাবেক ফুটবলার মং ওয়াই চিং যোগ করেন, ‘২০১৮ সালে সর্বশেষ লিগে গ-গোলের কারণ শেষ ম্যাচটি হয়নি। এটা নিয়ে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। এ বছর আমরা শেষ ম্যাচটি আয়োজন করি। এখন থেকে আশা করছি নিয়মিত লিগ হবে। যদিও আমাদের স্পন্সর সংকট আছে। বাফুফের পক্ষ থেকে যদি নিয়মিত সহায়তা পেতাম, তবে খেলাটাকে আরও এগিয়ে নিতে পারতাম।’
দেশের অন্যান্য জেলার মতো তিন পার্বত্য জেলায়ও ফুটবল ঝিমিয়ে গেছে। তার দায় যতটা না স্থানীয় সংগঠকদের, তারচেয়েও বেশি ফুটবল ফেডারেশনের। অথচ এর সভাপতি সালাউদ্দিন চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব নিয়ে বড় গলায় বলেছিলেন জেলার ফুটবলকে জাগিয়ে তুলবেন। তিন বছরে জাগিয়ে তোলা দূরে থাক, একটি বার জেলার সংগঠকদের ডেকে খোঁজখবর নেওয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি।
আরচারি বিশ্বকাপ স্টেজ-১ এ বৃহস্পতিবার তুরস্কের আনতালিয়ায় লক্ষ্যভেদের নিশানায় নামেন রিকার্ভ আরচাররা। পুরুষ এককের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ১৩৩ জন আরচারের মধ্যে বাংলাদেশের মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল ৭২টি তীর ছুড়ে ৭২০ এর মধ্যে ৬৭০ স্কোর করে ৯ম হন। মো. সাগর ইসলাম ৬৫৮ স্কোর করে ৩৬তম, রামকৃষ্ণ সাহা ৬৪৪ স্কোর করে ৭৫তম এবং আবদুর রহমান আলিফ ৬৪০ স্কোর করে ৮৬তম হন। মেয়েদের এককে ১০৫ জন আরচারের মধ্যে বাংলাদেশের দিয়া সিদ্দিকী ৭২টি তীর ছুড়ে ৭২০ এর মধ্যে ৬২০ স্কোর করে ৭৬তম হন। রিকার্ভ পুরুষ দলগত ইভেন্টের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে বাংলাদেশ (মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল, মো. সাগর ইসলাম ও রামকৃষ্ণ সাহা) ১৯৭২ স্কোর করে ২৮টি দলের মধ্যে ১০ম হয়। রিকার্ভ মিশ্র দলগত ইভেন্ট কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে বাংলাদেশ (মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল ও দিয়া সিদ্দিকী) ১২৯০ স্কোর করে ৩৩টি দলের মধ্যে ২৬তম হয়।
দেশের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার বরুণ বিকাশ দেওয়ান দূর রাঙ্গামাটি থেকে উঠে এসে নিজেকে শীর্ষ ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিন পার্বত্য জেলার একমাত্র ফুটবলার হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত বরুণের কাছ থেকেই পাহাড়ে ফুটবলের দুর্দশার গল্পগুলো তুলে এনেছেন দেশ রূপান্তরের সুদীপ্ত আনন্দ
অতীতে ঢাকার মাঠে পাহাড়ি অনেক ফুটবলারকে দেখা গেছে। এখন সংখ্যাটা প্রায় শূন্যের কোঠায়। কী কারণে এমনটা হলো?
বরুণ বিকাশ দেওয়ান : পার্বত্য তিন জেলায় ফুটবলের যে জোয়ার অতীতে ছিল সেটা এখন নেই বললেই চলে। এসব অঞ্চল থেকে আমরা সাম্প্রতিক সময় বেশ কিছু ভালো মানের নারী ফুটবলার পেয়েছি ঠিক, তবে পুরুষ ফুটবলের চর্চা অনিয়মিত হয়ে পড়ায় এর প্রভাব আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখতে পাচ্ছি। বড় সমস্যা স্পন্সর সংকট। পার্বত্য জেলাগুলোতে কল-কারখানা একদমই নেই। পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ায় লিগটা নিয়মিত হচ্ছে না। লিগ না হলে পাহাড়ের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা ফুটবলাররা তো ওপরের স্তরে এগিয়ে যাওয়া সিঁড়ির খোঁজ পাবে না। এসব কারণেই পাহাড়িদেরও ফুটবল নিয়ে আগ্রহ কমে গেছে।
অথচ এখান থেকেই অনেক নারী ফুটবলার উঠে এসেছে সাম্প্রতিক সময়ে?
বরুণ : বর্তমানে পাহাড়ি অঞ্চলে নারী ফুটবলের একটা জাগরণ শুরু হয়েছে। কাউখালি উপজেলায় নিয়মিত অনুশীলন হয়। এছাড় ঘাগড়া স্কুল কর্র্তৃপক্ষ পাহাড়ি মেয়েদের নিয়মিত অনুশীলনের সুযোগ করে দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে নারীরা অগ্রসর হয়ে যাচ্ছে। আমরা পুরুষ ফুটবলটা সেই গতিতে এগিয়ে নিতে পারছি না। এটাই বড় আক্ষেপ।
ছেলেদের পিছিয়ে পড়ার জন্য তাহলে কি শুধু স্পন্সর না থাকাই দায়ী?
বরুণ : আরও অনেক কারণ আছে। অতীতে রাঙ্গামাটিসহ অন্য তিন পার্বত্য জেলায় নিয়মিত ক্যাম্প হতো। মূলত প্রতিভাবান ফুটবলার খুঁজে নিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হতো। সেখান থেকেই কিন্তু প্রতি বছর অনেক ফুটবলার বের হয়ে আসত এবং তারা ঢাকার বিভিন্ন লিগে বিভিন্ন ক্লাবে প্রতিনিধিত্ব করত। এখন এরকম উদ্যোগ নেওয়া হয় না। আর এখন পাহাড়ি ছেলেদের হাতেও মোবাইল চলে এসেছে, ইন্টারনেটও হাতের নাগালে। এখন তারা এসব ডিভাইস নিয়েই বেশি সময় কাটায়। তাদের মধ্যে বিকেল হলে মাঠে আসার প্রবণতাও কমে গেছে। এ কারণে ছেলেরা এখন আর আগের মতো ফুটবলের প্রতি আগ্রহী হয় না।
দীর্ঘদিন দেশের ফুটবলে কোনো সাফল্য নেই। এই প্রজন্মের ফুটবলের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়ার এটাও নিশ্চয় বড় একটা কারণ?
বরুণ : অতীতের জাতীয় দল আর বর্তমানের জাতীয় দলের মধ্যে বিস্তর ফারাক। মানের দিক থেকে এখনকার ফুটবলাররা অনেক পিছিয়ে গেছে। তাছাড়া জেলায় নিয়মিত খেলা হয় না বলে ভালো মানের ফুটবলারের সংখ্যাও কমে গেছে। অথচ ঘরোয়া ফুটবলে ভালো ক্লাবের সংখ্যা বেড়েছে। আগে কেবল আবাহনী আর মোহামেডান ছিল। এখন পাঁচ থেকে ছয়টা ক্লাব ভালো বাজেটের দল গড়ে। তাদের আছে ভালো মানের ফুটবলারের সংকট। অনেকেই জাতীয় দলের পাঁচজন ফুটবলারের নাম বলতে পারবে না। অথচ আমরা যখন খেলতাম, তখন প্রতিটি পজিশনে অনেক লড়াই হতো। আমার নিজের কথাই বলি। আমি খেলা শুরু করেছিলাম সেন্টারব্যাক হিসেবে। সেখানে কায়সার হামিদ থেকে শুরু করে বড় বড় ফুটবলাররা খেলতেন। জাতীয় দলে ইমতিয়াজ সুলতান জনি ভাই খেলতেন লেফটব্যাক পজিশনে। আমার মধ্যে যোগ্যতার ছাপ দেখতে পেয়ে তিনিই আমাকে লেফটব্যাক পজিশনটা ছেড়ে দিয়ে ওপরে খেলতে শুরু করেন। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আমি এক টানা অনেক বছর জাতীয় দলের হয়ে খেলেছি। এখন এ ধরনের সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় না বললেই চলে।
পাহাড়ের ফুটবলের প্রসঙ্গে ফিরে আসি। এখানে এসে জানলাম অনেক খেলোয়াড় ফুটবল ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। অনেককে তো দেখলাম সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে...
বরুণ : পাহাড় থেকে ফুটবল খেলে খুব কম সংখ্যক ফুটবলারই প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে। আমাদের এখানে সাত থেকে আটজন সাবেক ফুটবলার আছে, যারা ঢাকায় খেলে এসেও প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। বাধ্য হয়ে তাদের অটো রিকশার ড্রাইভার হতে হয়েছে। বলতে পারেন ফুটবলে আর্থিক নিরাপত্তা নেই বলেই বর্তমান প্রজন্মের অনেকে খেলতে চায় না।
পাশের দেশ ভারতে পাহাড়িদের অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। পাহাড়ি অঞ্চলে নিয়মিত প্রতিভা অন্বেষণ চলে সেখানে। জাতীয় দলসহ বড় বড় ক্লাবে অনেক পাহাড়ি নিয়মিত খেলছে। এমনটা তো বাংলাদেশেও হতে পারত?
বরুণ : ২০২০ সালের একটা অভিজ্ঞতা বলি। নির্বাচন হয়ে গেছে। সালাউদ্দিন ভাই চতুর্থ মেয়াদে বাফুফের সভাপতি হয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হয়েই আমাদের নিয়ে বসে বলেছিলেন জেলার ফুটবলের দায়িত্ব তিনি নেবেন। কথা রাখেননি সালাউদ্দিন ভাই। জেলার ফুটবল এখনো বঞ্চিত। অথচ তৃণমূলে দৃষ্টি না দিলে কখনই ফুটবলে উন্নতি করা সম্ভব নয়। আর এখন তো ফুটবল ফেডারেশন চরম ইমেজ সংকটের মধ্যে পড়ে গেছে। সাধারণ সম্পাদক দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন। বাফুফেতেই যখন ঘুণে ধরেছে, তখন জেলার ফুটবলের কথা বাদ দেওয়াই ভালো। ফুটবলার ছিলাম, এই পরিচয় দিতেই এখন লজ্জা হয়।
আপনার রয়েছে একটা বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। মোহামেডান, আবাহনী, মুক্তিযোদ্ধার মতো বড় দলে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে কী করেছেন?
বরুণ : আমি দীর্ঘদিন ধরেই রাঙ্গামাটি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে জড়িত আছি। যেহেতু খেলা ছাড়ার পর সেভাবে অন্য কোনো পেশা বেছে নিইনি, আমার জীবন কাটে খেলার মাঠেই। ডায়নামিক ফুটবল অ্যাকাডেমি নামে আমার একটা ফুটবল স্কুল আছে। করোনার আগে শুরু করেছিলাম ১৩৫ জন ছাত্র নিয়ে। এখন কিছুটা কমেছে সংখ্যাটা। অরুণদাসহ আরও কজন সাবেক ফুটবলারকে নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি কিছু প্রতিভাবান ফুটবলার গড়ে তুলতে।
অবশেষে গত বছর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন...
বরুণ : তিন পার্বত্য জেলায় আমিই একমাত্র ফুটবলার হিসেবে এই বিরল সম্মানে ভূষিত হয়েছি। এ সময়ের ফুটবলারদের মতো আমরা তো কোটি কোটি টাকার মুখ দেখিনি। এ স্বীকৃতিগুলোই তাই আমাদের কাছে পরম পাওয়া। আমি এই স্বীকৃতি তিন পার্বত্য জেলার সব মানুষকে উৎসর্গ করেছি।
আয়ারল্যান্ড সিরিজের প্রস্তুতিতে সিলেটে তিনদিনের ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ। চন্দিকা হাথুরুসিংহের অধীনে এই ক্যাম্পের খবর পুরনো। নতুন খবর এই ক্যাম্পে থামছে না কোনো সংবাদ সম্মেলন ব্যবস্থা। পুরোপুরি রুদ্ধদ্বার অনুশীলন হবে ক্রিকেটারদের।
হঠাৎ রুদ্ধদ্বার অনুশীলনের কারণ সঠিক জানা যায়নি। তবে ক্রিকেটারদের পুরোপুরি মাঠে মনোযোগী রাখতেই খোদ হাথুরুসিংহে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সামনের ক্যাম্প নিয়ে। টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে নিজেই এই প্রস্তাব রেখেছেন কোচ। ঈদুল ফিতরের পর ২৩ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ায় ছুটি কাটিয়ে বাংলাদেশে ফিরবেন হাথুরু। সিলেটে বাংলাদেশের ক্যাম্প হবে ২৭, ২৮ ও ২৯ এপ্রিল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে ডাক পাওয়া ক্রিকেটার এবং সঙ্গে বাংলাদেশ টাইগার্স ও হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াড থেকে একঝাঁক ক্রিকেটার নিয়ে যাওয়া হবে এই ক্যাম্পে। তাই তিনদিনের অনুশীলনে নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে ম্যাচ খেলার একটা ব্যাপারও থাকতে পারে। ক্যাম্প শেষে ৩০ এপ্রিল ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হবে দল। ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ হিসেবে ৯, ১২ ও ১৪ মে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড এ সিরিজ আয়োজন করছে ইংল্যান্ডের এসেক্স কাউন্টি মাঠে। নিজেদের মাঠে মে মাসে বৃষ্টি মৌসুম। সিরিজের কোন ম্যাচ মিস না করার চেষ্টায় আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের এই উদ্যোগ।
এ সিরিজে ৩-০ ব্যাবধানে জিতলে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ থাকবে আইরিশদের। ৩-০ তে না জিতলে জিম্বাবুয়েতে বাছাইপর্ব খেলতে হবে। এ সিরিজ তাই বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ না হলেও আয়ারল্যান্ডের জন্য সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট।
সাফ অঞ্চলের এক সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী আফগানিস্তান এখন মধ্য এশিয়ায় খেলে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা কমে যাওয়ায় এই টুর্নামেন্টের মান অনেকটা নিচুতে। তাই বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতও এই আসর নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখায় না। এবার সাফের আয়োজক তারা। তাই টুর্নামেন্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে জোর প্রচেষ্টাও করছে ভারত। সেই চেষ্টা থেকেই মালয়েশিয়া, সৌদি আরবের মতো দলকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নিতে।
সাফের অন্যতম দল শ্রীলঙ্কার ওপর নিষেধাজ্ঞা রেখেছে ফিফা। তাদের জন্য ২০ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও সুখবর পায়নি সাফ। তাই ভিন্ন দলকে আমন্ত্রণ জানানোর চেষ্টা চলছে। এখানেই একটা শক্তিশালী দল যেমন মালয়েশিয়া বা সৌদি আরবের দিকে নজর সাফের। সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল জানান, ‘সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ পর্যন্ত (২০ এপ্রিল) অপেক্ষা করা হয়েছে (শ্রীলঙ্কার জন্য)। কাল (আজ) সাফের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হবে মালয়েশিয়াকে।’ এর আগে সৌদি আরবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সাফ। কিন্তু এখনো তাদের থেকে কোনো উত্তর আসেনি। হেলাল জানান, ‘আমরা সৌদি আরবের মূল দলকে টুর্নামেন্টে চাচ্ছি। সভাপতিসহ নির্বাহী কমিটিও এটাই চায়। তবে তাদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে ঈদের ছুটির পর।’
অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চার অভাবের বেশির ভাগ মানুষেরই হার্ট খারাপ হচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে 'খারাপ' কোলেস্টেরল— এ সব মানুষের নিত্যসঙ্গী। তবে রক্তের বিভিন্ন উপাদানের মাত্রা যদি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যায়, তা হলে ওষুধ তো খেতেই হবে। সঙ্গে পছন্দের প্রায় সব খাবারেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যাবে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রোজকার খাবারে কিছু পরিবর্তন আনলেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই হার্টের যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
বিরিয়ানি হোক বা পোলাও সঙ্গে মাটনের কোনো পদ ছাড়া জমে না। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, এ ধরনের 'লাল' মাংস খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই খাসির বদলে মুরগির মাংস খাওয়া তুলনায় স্বাস্থ্যকর।
অনেক চেষ্টা করেও ভাজাভুজি খাবারের লোভ সামলাতে পারছেন না। এই অভ্যাসের ফলেই কিন্তু অজান্তেই বেশির ভাগ মানুষের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে চলেছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভাজার বদলে যদি বেকড খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা যায়, তবে এই সমস্যা অনেকটাই ঠেকিয়ে রাখা যেতে পারে।
সকালের নাশতায় পাউরুটি খান অনেকেই। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পাউরুটির ওপর মাখন দেওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। শুধু পাউরুটি খেতে যদি সমস্যা হয়, তবে ডিম ফেটিয়ে তার মধ্যে পাউরুটি ডুবিয়ে, তা বেক করে নিন। স্বাদ এবং স্বাস্থ্য দুই-ই থাকবে।
মন খারাপ হলে মাঝে মধ্যেই আইসক্রিম খেয়ে ফেলেন। তৎক্ষণাৎ মন ভালো করতে এই টোটকা সত্যিই কার্যকর। কিন্তু সমস্যা হলো আইসক্রিম খাওয়ার অভ্যাসে রক্তে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। পরবর্তীতে যা হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গরমে তেষ্টা মেটাতে বার বার ঠাণ্ডা পানীয়তে চুমুক দিচ্ছেন। কিন্তু এ পানীয়ে থাকা কৃত্রিম শর্করা যে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করছে, টের পেয়েছেন কী? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই তেষ্টা মেটাতে এবং স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে নরম পানীয় না খেয়ে ফল থেকে তৈরি রস খেতে পারেন।
পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে নয়, এশিয়া কাপ হবে একটি দেশে। আর সেটা শ্রীলংকা। পাকিস্তান তাতে অংশ না নিতে চাইলে তাদেরকে ছাড়াই হবে এশিয়া কাপ।
ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দা টেলিগ্রাফ।
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ যিনি এসিসিরও প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বলেছেন, শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ খেলতে রাজি আছে ভারতসহ চার পূর্ণ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে এসিসির নির্বাহী সভায় আলোচনা করা হবে। পাকিস্তান রাজি না হলে ৫ দল নিয়েই হবে এশিয়া কাপ।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ অন্য কোনো দেশে আয়োজনে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজমা শেঠির দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন জয় শাহ। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ভারতেই খেলতে হবে, না হলে না খেলবে। এ বার্তা পিসিবি এবং আইসিসির দুই কর্মকর্তা যারা সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেন তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
রিয়াল মাদ্রিদের সংগে ১৪ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলছেন। ৪০ কোটি ইউরো চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আলো ইত্তিহাদে যোগ দিচ্ছেন।
ক'দিন ধরে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল করিম বেনজেমাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন -এমন কথাও চাউর হয় স্পেনের সংবাদ মাধ্যমে।
কিন্তু সব কিছুতে জল ঢাললেন ব্যালন ডি অর জয়ী। স্পেনের গণমাধ্যম মার্কার দেয়া মার্কা লিজেন্ড এওয়ার্ড নিতে গিয়ে বললেন, 'আমি যখন রিয়ালেই আছি তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে কেনো বলবো। ইন্টারনেটে যা প্রচার হচ্ছে তা ঠিক না। আমি এখানে ভালো আছি। শনিবার রিয়ালের ম্যাচ আছে, সব ফোকাস আমার সেই ম্যাচকে নিয়ে।'
ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে তাকে রিয়ালে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বেনজেমা বলেন, '২১ বছরের আমি এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম। এই ক্লাবে খেলার মতো আর কিছু হয় না, সান্তিয়াগো বার্নাবু দারুন এক জায়গা।'
রিয়ালের সংগে চুক্তির মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে বেনজেমার।
পলিথিন বা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক, বিভিন্ন ধরনের পলিথিনজাত মিনিপ্যাকের উৎপাদন, ব্যবহার ও এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সবগুলোই সমস্যা। পলিথিন উৎপাদন ও এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের মাধ্যমে বাতাসে যেমন কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যায়, অন্যদিকে এর ব্যবহার প্রাণিকুল ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত। প্লাস্টিকের কণা এখন মানুষের রক্তে, মায়ের দুধে, সামুদ্রিক মাছে। শুধু ব্যবহার সম্পর্কিত সমস্যা না, পলিথিনের মাধ্যমে সৃষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরও বেশি সমস্যাসংকুল। কারণ এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে মাটির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, কৃষির উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে, শহরের নর্দমা বন্ধ করে দিচ্ছে তা আবার রোগ-ব্যাধি ছড়াচ্ছে, জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে এবং সবশেষে শহরকে বসবাসের অনুপযোগী করে দিচ্ছে।
এতসব সত্ত্বেও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ না করা বা বন্ধ করতে না পারার সংকট কোথায় সেটা বুঝতে আমাদের সমস্যা হয়। পলিথিন বন্ধে আইন আছে, নানা ধরনের প্যাকেজিংয়ে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাও অনেক দিন হলো। অন্যদিকে বেশ কিছুদিন ধরে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু তা সহসাই হচ্ছে না। ‘সোনালি ব্যাগ’ নিয়ে অনেক ঢাকঢোল পেটানো হয়েছে কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সেই সোনালি স্বপ্ন কেমন জানি ফ্যাকাশে হয়ে আসছে এতদিনে।
পলিথিনের ব্যবহার শহরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি যার অনেকটাই অভ্যাসগত কারণে। শহরের মানুষের পলিথিনের ওপর অভ্যস্ততা যেমন বেশি, তেমনি তারা ভুক্তভোগীও বেশি। রাস্তাঘাট, ড্রেন নোংরা হয়ে তো থাকেই, বাড়তি পাওনা দুর্গন্ধ, তৈরি হয় জলজট ও ডেঙ্গুর মতো রোগবালাই। বাসাবাড়িতে পলিথিনের ব্যবহার তো আছেই, পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য, বেকারিজাত পণ্যের পলিথিনের ব্যবহার ও পলিথিনের মোড়ক যত্রতত্র নিক্ষেপই এই অবস্থার জন্য দায়ী। শুধু ঢাকা নয় অন্যান্য ছোট-বড় সব শহরে প্রায় একই অবস্থা। আর এগুলোই হচ্ছে পলিথিন নির্ভর অর্থনীতির অনুষঙ্গ কিন্তু এর অনর্থনীতি হচ্ছে পলিথিনের কারণে পরিবেশদূষণ ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি যার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। সাধারণভাবে পলিথিন ব্যবহারের ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক মূল্যমান নির্ধারণ করা হয় না। তবে দূষণের মাত্রা এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে তাতে পলিথিনের অর্থনীতির থেকে এর ক্ষয়ক্ষতির অর্থনীতি যে অনেক বড় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আসছে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হবে। জলবায়ুর পরিবর্তনের পেছনে অন্যতম অনুঘটক হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। অর্থমন্ত্রী তার এবারের বাজেট (২০২৩-২৪) বক্তৃতায় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় অভিযোজন ও প্রশমন উভয় ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা বলেছেন, পরিবেশ সংরক্ষণে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ এর উল্লেখ করেছেন কিন্তু পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে দৃশ্যমান কোনো রূপকল্প এবারের বাজেটে উল্লেখ করতে সমর্থ হননি। এবারের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘প্লাস্টিক দূষণের সমাধানে শামিল হই সকলে’। গত বছরের এই দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘একটাই পৃথিবী’। পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের যত্রতত্র ব্যবহার আমাদের এই একমাত্র পৃথিবীকে দূষণের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে আইন হয়েছে ২০০২-এ এবং আজ ২০২৩ সাল, এই দীর্ঘ ২১ বছরেও এই আইনের বাস্তবায়ন করা যায়নি। যদিও এবারের বাজেট বক্তৃতায় প্লাস্টিকের তৈরি টেবিলওয়্যার এর মূল্য সংযোজন কর বৃদ্ধি করে ৫ শতাংশ থেকে ৭.৫ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। এখানে পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাস্টিক সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। ধরেই নেওয়া যায় শুল্ক বৃদ্ধির এই হার কোনোভাবে পলিথিন নিরুৎসাহিত করার জায়গা থেকে না বরঞ্চ কিছুটা বাড়তি কর আদায়ের চিন্তা থেকে।
পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি সস্তা পলিথিনের ব্যবহার টেকসই ভোগের ধারণার জন্যও কোনোভাবে সহায়ক না। বরঞ্চ এটা এমন এক ধরনের মনস্তত্ত্ব তৈরি করে যা শুধু পরিবেশকেই ধ্বংস করে। যদিও বিশ্বব্যাপী টেকসই ভোগের ধারণার ওপর ভিত্তি করে এখন ‘সার্কুলার অর্থনীতির’ ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সার্কুলার অর্থনীতি শুধু অপচয় কমায় না, প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা, দূষণরোধ, বর্জ্য থেকে তৈরি পরিবেশদূষণ ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারে। তাই পরিবেশগত ঝুঁকি, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের অর্থনীতিকে সার্কুলার অর্থনীতিতে রূপান্তরের জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই পৃথিবী গড়ে তোলা এবং এ সংশ্লিষ্ট অভীষ্ট ২০৩০ সমূহ অর্জনে সার্কুলার অর্থনীতি অন্যতম হাতিয়ার।
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা শহরে রাস্তায় কোনো পেট বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায় না। এর কারণ হচ্ছে এখন পেট বোতলের প্রায় শতভাগ রিসাইকেল করা হয় এবং পেট বোতল সংগ্রহের জন্য অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে হলেও একটি সংগ্রহ-লাইন তৈরি হয়েছে। কিন্তু পলিথিনের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায় না। তবে পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার সার্কুলার ইকোনমির ধারণার সঙ্গেও একেবারে মানানসই না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রযুক্তিগতভাবে একবার ব্যবহারযোগ্য পলিথিন রিসাইকেল করা অসম্ভব না হলেও এটি একটি জটিল এবং অর্থনৈতিকভাবে ব্যয়বহুল যে কারণে পেট বোতলের মতো রাস্তা থেকে পলিথিন সংগ্রহ করতে কাউকে দেখা যায় না উলটো রাস্তাঘাটে এখানে সেখানে পলিথিন পড়ে থাকে।
পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের অনর্থনীতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখন প্রথম দরকার এর ব্যবহার বন্ধ করা, এর ব্যবহারকে অনেক বেশি দামি করে ফেলতে হবে আর এর প্রতিফলন থাকতে হবে বাজেটে। দ্বিতীয়ত, সার্কুলার অর্থনৈতিক চর্চার উৎসাহিত করার জন্য পরিকল্পনা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি, পলিথিনের বিকল্প সোনালি ব্যাগের মতো উদ্যোগগুলোকে সরকারি পর্যায় থেকে বিনিয়োগ ও বেসরকারি পর্যায় থেকে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় উৎসাহ ও প্রণোদনা প্রদান করতে হবে। সরকার প্রতি বছর বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবেশ দিবস পালন করে কিন্তু দিবস পালন শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলেই হবে না এর উদ্যোগ কতটুকু বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে তার ওপরও নজর দিতে হবে। তা নাহলে পলিথিনের অর্থনীতির নামে শুধু অনর্থনীতিকে বাড়িয়ে তোলা হবে, আর সেটা হবে টেকসই অর্থনীতি তৈরির সম্ভাবনার অপমৃত্যু।
লেখক : উন্নয়নকর্মী ও কলামিস্ট
গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। এমন অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। তাই বলে গরমের ভয়ে ঘরে বসে থাকলে তো আর জীবন চলবে না। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যেতে হবে। আর কর্মজীবীদের অফিস ও অন্যান্য কর্মস্থলে। অনেকেরই এই গরমেও কাজের প্রয়োজনে সারাদিন কেটে যায় বাইরে ঘুরে ঘুরেই। গরমকে মোকাবিলা করতে সঙ্গে এই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রাখলেই গরমের কাছে নিজেকে হার মানতে হবে না।
পানি পান
গরমের সময় শরীর থেকে স্বাভাবিক ভাবে অনেক বেশি ঘাম বের হয়ে থাকে। যার ফলে দেখা দিতে পারে পানি শূন্যতা। শরীরের মধ্যে যদি পানির পরিমাণ কমে যায় তাহলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। পানি শূন্যতা দূর করতে হলে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে।
বিশুদ্ধ পানি খাওয়ার পাশাপাশি ফলের জুস কিংবা কচি ডাবের পানি খেতে পারেন। দেহের ত্বককে ভালো রাখতে পানি, শরবত বা জুস পানের বিকল্প নেই। গরমে সময় প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার বিশুদ্ধ পানি খেলে ডিহাইড্রেশন এবং পানি শূণ্যতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
খাবার স্যালাইন
গরমের সময় ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ বের হতে থাকে যার ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে খাবার স্যালাইন খেতে পারেন। বিকেল বেলা খাবার স্যালাইন খেলে অতিরিক্ত গরমেও শরীরে সতেজতা ফিরে আসে। আবার অনেকেই স্বাদযুক্ত স্যালাইন খান যেমন, টেস্টি স্যালাইন। ভুল করেও এসব খাবেন না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হলো ওরস্যালাইন । তবে আপনাদের মধ্যে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা খাবার স্যালাইন খাওয়ার আগে ভালো কোনো ডাক্তারের মতামত নেওয়া উচিত।
রেড মিট পরিহার করুন
অতিরিক্ত গরমের সময় গরু-ছাগলের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ গরমের সময় বা অতিরিক্ত গরমের সময় গরুর মাংস খেলে শরীরের তাপমাত্রা অনেকাংশে বেরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গরু-ছাগলের মাংস ছেড়ে মাছ খেতে পারেন। আর অতিরিক্ত গরমে অবশ্যই অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন।
সবুজ শাক সবজি
গরমের সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে বেশি বেশি করে সবুজ শাক সবজি খেতে পারেন। সবুজ শাক সবজিতে অধিক পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল এবং খনিজ উপাদান থাকে। এতে করে অতিরিক্ত গরমেও শরীর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।তাছাড়াও খেতে পারেন তরমুজ যা শরীরে এনার্জি দিতে পারে।
টক জাতীয় ফল
প্রচুর গরমে সুস্থ থাকার উপায় হিসেবে টক জাতীয় ফল খেতে পারেন। যেমন: কামরাঙ্গা, লেবু, তেতুল, আমরা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে অতিরিক্ত টক ফল খাওয়া ঠিক নয়। যদি কারো এসিডিটির সমস্যা থেকে থাকে তবে টক জাতীয় ফল খাওয়া হতে বিরত থাকুন। টক জাতীয় ফল খালি পেটে খাওয়া যাবে না। এতে করে আরো বেশী অসুস্থ হয়ে পারতে পাবেন।
টক দই
অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকতে হলে টক দই খেতে পারেন। যারা করা রোদে কাজ করেন বিশেষ করে তাদের জন্য অনেক উপকারী হলো টক দই। রোদের প্রচুর তাপ থেকে শরীরকে কিছুটা হলেও রক্ষা করবে টক দই। টক দই শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে অনেকাংশে সাহায্য করে।
প্রতিদিন গোসল করুন
গরমের সময় প্রতিদিন এক বার করে হলেও গোসল করতে হবে। যদি পারেন তবে দিনে ২ বার গোসল করতে পারেন। গোসল করার ক্ষেত্রে একটু সাবধান থাকতে হবে। বাহির থেকে এসে সাথে সাথে গোসল করতে যাবেন না। একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপর গোসল করতে যাবেন। কারণ হঠাৎ করে গরম থেকে এসে গোসল করলে ঠাণ্ডা লাগতে পারে।
ঘরেই অবস্থান করুন
অতিরিক্ত গরমে বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বাহিরে যাবেন না । যদিও বিভিন্ন কারণে বাহিরে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে রোদ থেকে বাঁচতে প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। যতটুকু সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করুন।
শারীরিক পরিশ্রম কম করুন
গরমের সময় অনেকেই আছে অতিরিক্ত ব্যায়াম করে থাকেন এমনটি করা যাবে না কারণ অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা একটু বেশি হয়ে থাকে।
পাতলা সুতি কাপড় পরিধান করা
গরমের সময় পাতলা সুতি কাপড় পরা দরকার। কারণ সাদা কাপড় তাপ শোষণ করতে পারে না বরং তাপের প্রতিফলন ঘটায় ও গরম কম লাগে।
পারফিউম ব্যবহারে সতর্ক থাকুন
অতিরিক্ত গরমে ঘামের গন্ধ থেকে বেচে থাকার জন্য অনেকেই সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে পারফিউম ব্যবহার না করাটাই উত্তম কাজ। কারণ, পারফিউম গরম লাগা বৃদ্ধি করে দেয়।
যদিও ব্যবহার করতে হয় তাহলে হালকা গন্ধের সুগন্ধি ব্যবহার করতে পাবেন। বাজারে কিছু সুগন্ধি পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করলে ঠাণ্ডা লাগে। সেগুলো ব্যবহার করলে আরো ভালো হয়।
ধূমপান পরিত্যাগ করা
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কিনা ধূমপান করে থাকি। ধূমপান করলে শরীরের তাপমাত্রা তুলনামূলক ভাবে বেড়ে যায়। তাই প্রচন্ত গরমে সুস্থ থাকতে হলে ধূমপান পরিত্যাগ করতে হবে। যদিও এই অভ্যাসটি সহজে পরিত্যাগ করা যায় না। তাই যতটুকু পারেন ধূমপান কম করার চেষ্টা করুন।
চা কফি পরিত্যাগ করুন
চা, কফি বা অ্যালকোহল খেলে শরীরের তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পায়। আর যদি অতিরিক্ত গরমে চা, কফি বা অ্যালকোহল খেয়ে থাকেন তাহলে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাবে যার ফলে হতে পারে হিটস্ট্রোক। তাই গরমের সময় চা কফি বা অ্যালকোহল খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
শান্ত থাকুন
মন মেজাজ গরম থাকলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। রাগের কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং অতিরিক্ত গরমের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় আর দুই তাপমাত্রা এক সঙ্গে হলে কি অবস্থা হতে পারে একবার হলেও সেটা ভেবে দেখবেন।
বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত গরমে শান্ত থাকার জন্য মতামত দিয়ে থাকে। বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য শান্ত থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখতে কুমিল্লায় উড়ে গেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়েছে ম্যাচটি। সালাউদ্দিন ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা খানেক আগে কুমিল্লায় পৌঁছান।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় পাড়ি দিতে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তবে সালাউদ্দিন দূরত্বটা পাড়ি দিয়েছেন হেলিকপ্টারে করে। যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
টাকার অভাবে কদিন আগে নারী ফুটবলারদের অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি বাফুফে। অথচ ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যেতে বাফুফে সভাপতি বেছে নিলেন হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে কুমিল্লার এই যাত্রায় বাফুফে সভাপতির সঙ্গী হয়েছেন সংস্থার নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।