
পুরো ৯০ মিনিটে একটি শটও পোস্টে রাখতে পারেনি রোমা। শট পোস্টে রাখা বা গোল করার দরকারও ছিল না। লেভারকুসেনের বিপক্ষে প্রথম লেগে ১-০ তে এগিয়ে থাকায় প্রতিপক্ষের মাঠে গোলশূন্য ড্র হলেই হয়। ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বৃহস্পতিবার রাতে সেটিই করল হোসে মরিনহোর রোমা। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ তে জিতে উঠল ফাইনালে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল সেভিয়া।
রোমার মতো সুবিধা ছিল না সেভিয়ার। ইতালিয়ান আরেক ক্লাব জুভেন্তাসের সঙ্গে প্রথম লেগ ১-১ ড্র ছিল। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে সেভিয়া জিতেছে ২-১ গোলে। তবে প্রথম ৯০ মিনিটে ম্যাচ ১-১ সমতায় ছিল। ৬৫ মিনিটে জুভেন্তাস এগিয়ে যায় দুসান ভ্লাহোভিচের গোলে। পাঁচ মিনিট পরই সেভিয়াকে সমতায় নিয়ে আসেন সুসো। ৯৫ মিনিটে গোল করেন আর্জেন্টাইন এরিক লামেলা। শেষ পর্যন্ত ওই গোলেই ম্যাচ জেতে সেভিয়া।
সেভিয়ায় খেলা আরেক আর্জেন্টাইন মার্কাস আকুনা ১১৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ফলে ফাইনাল ম্যাচে এই লেফটব্যাককে পাবে না স্প্যানিশ ক্লাবটি। সেভিয়া এ নিয়ে সপ্তমবার উঠল ইউরোপা লিগের ফাইনালে। আগের ছয়বারই তারা জিতেছে শিরোপা।
স্পেশাল ওয়ান বলে খ্যাত মরিনহো উয়েফা আয়োজিত প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠলেন ষষ্ঠবারের মতো। গত মৌসুমে উয়েফার তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা ইউরোপা কনফারেন্স লিগ জিতেছিল মরিনহোর রোমা। মরিনহো বলেন, ‘রোমার ইতিহাসের পাতায় জায়গা করা নিয়ে আমি ভাবছি না। এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অর্জন করতে তাদের সাহায্য করার ব্যাপার। রোমার সমর্থকদেরও কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয় আছে।’ ৩১ মে বুদাপেস্টে ইউরোপা লিগের ফাইনাল।
মোহামেডানের অঘটনের শিকার হয়ে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায়। সেই ধাক্কা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পরের ম্যাচেও সামলে উঠতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস। টানা ১৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর পুলিশ এফসির কাছে হারের তেতো স্বাদ পেতে হয় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা কিংসকে। অথচ সেই ম্যাচটা জিতলে কালই হয়তো চতুর্থ লিগ শিরোপার দেখা পেয়ে যেত অস্কার ব্রুজনের দল। সেটা না হলেও কিংস শিরোপা থেকে এখন আর মাত্র একটি জয়ে দূরে দাঁড়িয়ে। কাল এরেনায় স্বাগতিকরা ২-০ গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছে। শেষ চার ম্যাচে জয় না আসুক তিনটা ম্যাচ ড্র করলেই সাড়া হয়ে যাবে শিরোপা ধরে রাখার আনুষ্ঠানিকতা। তবে রবসন রবিনহোর দল নিশ্চয় পরের ম্যাচে ২৬ মে ঘরের মাঠে শেখ রাসেলকে হারিয়েই চাইবে শিরোপা উৎসব করতে।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শেখ রাসেলের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনী। একই মাঠে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে রাসেলকে আকাশিরা হারিয়েছিল ৩-০ ব্যবধানে। কাল লিগ ম্যাচে জয়ের ব্যবধানটা ৩-১ গোলের। যদিও কিংসের ১৪তম জয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের স্বপ্নটা বলতে গেলে শেষ হয়ে গেছে আবাহনীর। ১৬ ম্যাচ শেষে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে সাফল্যের দিকে ছুটছে কিংস। তাদের সঙ্গে আবাহনীর ব্যবধান ১০ পয়েন্টের। শেষ চার ম্যাচে আবাহনী জিতলেও লাভ হবে না যদি কিংস এক ম্যাচ জিতে যায়। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শেখ জামালকে ১-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ আলফাজ আহমেদের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া মোহামেডান।
কিংস এরেনায় প্রথমার্ধটা ছিল ঘটনাবহুল। এই ৪৫ মিনিটে গোল হয়েছে, হয়েছে কার্ডের ছড়াছড়ি। রেফারি সায়মুন হাসানের মাত্রাতিরিক্ত কার্ড দেখানোর প্রবণতার চড়া মাশুল দিতে হয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীকে। আগের দুই ম্যাচে হারের একটা প্রভাব দেখা গেছে কিংসের খেলায়; বিশেষ করে রক্ষণভাগকে মনে হয়েছে বড্ড নড়বড়ে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১০ জনের চট্টগ্রাম আবাহনীও গোলের একাধিক সুযোগ গড়েছে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে। তবে তার কোনোটাই সফল হয়নি। ম্যাচের ১৬ মিনিটে পেনাল্টির সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় কিংস। প্রথমপর্বে ৩-০ গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারানো কিংসকে পেনাল্টি উপহার দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাঈম। ব্রাজিলিয়ান মিগেল ফিগেইরার চিপ আয়ত্তে নিতে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন স্বদেশি ডরিয়েলটন গোমেজ। নাঈম বিপদমুক্ত করতে গিয়ে ডরিয়েলটনকে ফেলে দেন। রেফারি সায়মুনের পেনাল্টির বাঁশির প্রতিবাদ জানান চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলোয়াড়রা। তাদের মধ্যে একটু বেশিই মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছিল ফরহাদ মনাকে। হলুদ কার্ড দেখিয়ে তাকে সতর্ক করেন রেফারি। মিগেল স্পটকিক জালে জড়ানোর পর কিংসের খেলোয়াড়রা যখন উদযাপনে ব্যস্ত, তখন ফের মেজাজ হারান মনা। রেফারি তাকে দেন মার্চিং অর্ডার। ১০ জনের দল হয়ে অবশ্য চট্টগ্রাম আবাহনী হাল ছাড়েনি। প্রথমার্ধেই বার তিনেক হামলে পড়েছে কিংসের নড়বড়ে রক্ষণে। ৩৮ মিনিটে মোস্তফার সহায়তায় সমতায় ফেরার সেরা সুযোগ নষ্ট করেন ডেভিড এফেগু। বিরতি থেকে ফিরেই অবশ্য ম্যাচের লাগাম পুরোপুরি নিজেদের করে নেয় কিংস। ৫০ মিনিটে রবসন রবিনহোর কর্নারে রাকিব হোসেনের হেড দূরের পোস্টে চলে এলে আনমাকর্ড ডরিয়েলটন আলতো ছোঁয়ায় জালে জড়ান। লিগের সেরা গোলদাতার তালিকায় নিজেকে আরও এগিয়ে নিলেন ডরিয়েলটন। এটি লিগে তার ১৪তম গোল। দুই ব্রাজিলিয়ান সতীর্থের সঙ্গে স্কোরশিটে নাম তুলতে পারতেন রবিনহোও। তবে তাকে গোল বঞ্চিত করেন চট্টগ্রাম আবাহনী কিপার নাঈম। ৬০ মিনিটে বক্সের ভেতরে রবিনহোকে ফেলে দিয়েছিলেন ডিফেন্ডার দুখু মিয়া। তবে এই ব্রাজিলিয়ানের পেনাল্টি রুখে দেন নাঈম।
গতকাল কুমিল্লায় কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড দানিয়েল কলিনদ্রেসের লক্ষ্যভেদের পর নাইজেরিয়ান এমেকা ওগবাহর জোড়া গোলে শেখ রাসেলকে চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। শেষ দিকে বিশাল রায়ের গোলটি কেবল হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে রাসেলের। এই হারে তৃতীয় স্থানটা হারাতে হয়েছে রাসেলকে। গোপালগঞ্জে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবকে সাজ্জাদ হোসেনের একমাত্র গোলে হারিয়ে শেখ রাসেলকে পয়েন্ট তালিকার পেছনে ফেলেছে মোহামেডান। দুই দলের সংগ্রহই সমান ২২। তবে গোল গড়ে এগিয়ে সাদা-কালোরা। আর ২১ পয়েন্ট পাওয়া মারুফুল হকের শেখ জামালকে নেমে যেতে হয়েছে পাঁচে।
ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (কোয়াব) বার্ষিক সাধারণ সভা আজ। বাংলাদেশের পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠনের (কোয়াব) বর্তমান সভাপতি নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ধর্মঘটে গিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা, তাদের ১১ দফার দাবির প্রথমটিই ছিল কোয়াবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ। চার বছর পেরিয়ে গেলেও তারা আছেন স্বপদেই, এবার বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচনের সম্ভাবনাও কম; বরং যারা আছেন, তাদেরই নিজ নিজ পদে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
২০১৯ সালে ক্রিকেটাররা যখন ধর্মঘটে গিয়েছিলেন, তখন ১১ দফা দাবির প্রথমটিতেই ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি হয়ে আসা নাঈম ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের যে সমিতি আছে (কোয়াব), তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। খেলোয়াড়দের প্রতিনিধি হয়ে আমাদের জন্য যে কিছু করবে, সেটি আমরা কখনো দেখিনি। প্রথম দাবি হচ্ছে, যারা এখন এই সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আছেন, তাদের দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। সামনে কে এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি হবেন, সেটা আমরা ঠিক করব। নির্বাচন করে ঠিক করব।’ এরপর পদ্মা-মেঘনায় অনেক জল গড়িয়ে পদ্মা নদীর ওপর সেতু হয়ে গেছে, তবুও কেউ পদত্যাগ করেননি এবং নতুন কারও নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনাও কম।
কোয়াবের সভাপতি নাঈমুর রহমান দুর্জয় বিসিবির একজন পরিচালক, দেবব্রতও ম্যাচ রেফারি, লজিস্টিক ম্যানেজারসহ নানান ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করেন। এই দুজনের পক্ষে খেলোয়াড়দের সংগঠনের হয়ে বিসিবির সঙ্গে দর-কষাকষি করা কতটা বাস্তবসম্মত, সেই প্রশ্ন অনেক ক্রিকেটারের। কিন্তু নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা। বিশ^কাপের বছরে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের কেউ অথবা সদ্যই জাতীয় দলের বাইরে যাওয়া কেউও এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী ননÑ এমনটাই শোনা যাচ্ছে। দেশ রূপান্তরকে দেবব্রত পাল বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে। বার্ষিক সাধারণ সভায় যদি কাউন্সিলররা বলেন তাহলে নির্বাচন হবে। আমরা তো থাকতে চাই না। কেউ যদি আসতে চায়, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই, মোস্ট ওয়েলকাম।’
শনিবার সকাল ১০-৩০ মিনিট থেকে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া প্লাজায় হবে কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভা। বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। প্রিমিয়ার লিগ এবং জাতীয় দলের আয়ারল্যান্ড সফরের পর বার্ষিক সাধারণ সভার দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে, যদিও সিরিজ শেষে ছুটি নিয়ে ইংল্যান্ডে থেকে যাওয়ায় তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও তাইজুল ইসলাম থাকতে পারছেন না এই বার্ষিক সভায়। সিলেটে চলে যাওয়ায় থাকতে পারবেন না পেসার এবাদত হোসেনও। তবে ভিডিও বার্তায় নিজেদের উপস্থিতির কথা নিশ্চিত করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, ইমরুল কায়েস ও তাসকিন আহমেদ।
দেবব্রত জানান, বেশ কিছু প্রধান আলোচ্য বিষয় আছে কোয়াবের আজকের আয়োজনে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নারী ক্রিকেটারদের সদস্যপদ প্রদান। দেবব্রত বলেন, ‘এই বার্ষিক সভায় নারী ক্রিকেটারদের কোয়াবের সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেওয়া হবে।’ বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি এ ব্যাপারে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের জন্য একটা বড় স্বীকৃতি। দেশের ক্রিকেটের কল্যাণের জন্য পুরুষ ও নারী ক্রিকেটাররা একই সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে, এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে।’ জ্যোতি আরও বলেন, ‘এবারই প্রথম কোয়াবের কোনো বার্ষিক সভায় যাচ্ছি। শুনেছি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ হয়।’
সিলেট ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান তাজিন বলেন, ‘আমি বার্ষিক সভায় যোগ দিতে আসব; যা শুনেছি ৪২টা জেলার কমিটি করে দেওয়া হবে। অনেকটা বিসিবির আদলেই কাউন্সিলর মনোনীত করা হবে এবং সিলেট বিভাগের চার জেলার প্রধান হবেন বিভাগের কাউন্সিলর। কোনো নির্বাচনের কথা শুনিনি। শুনেছি তামিম-সাকিবসহ সিনিয়র ক্রিকেটাররাই বলেছেন দাদাকে (দেবব্রত পাল) থেকে যেতে।’
নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন, প্রার্থিতা ঘোষণা ও প্রত্যাহার, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের মতো কাজগুলো এখনো না হওয়ায় বোঝাই যাচ্ছে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কোনো তারকা ক্রিকেটার তার প্রার্থিতার ঘোষণাও দেননি। তাই বলা যায় বার্ষিক সভার আনুষ্ঠানিকতা শেষে নাঈমুর এবং দেবব্রত আবারও ফিরবেন স্বপদে।
দেবব্রত আরও জানিয়েছেন, এবার তারা সম্মাননা দেবেন ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের। আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়, ঘরোয়া লিগে খেলা খেলোয়াড়, আম্পায়ার, অন্যান্য ম্যাচ অফিশিয়ালসহ অনেককেই সম্মাননা দেওয়া হবে এবারের বার্ষিক সাধারণ সভায়। পরপারে চলে যাওয়ারা পাবেন মরণোত্তর সম্মাননা।
সিনিয়র পর্যায়ে না হলেও বয়সভিত্তিক ও নারী ফুটবলে নিয়মিতই সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ। এর পেছনে রয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বেতনভুক্ত স্থানীয় কোচদের বড় ভূমিকা; বিশেষ করে নারী ফুটবলে ধারাবাহিক সাফল্যের নেপথ্যের কারিগর গোলাম রব্বানী ছোটন নেতৃত্বাধীন কোচিং প্যানেল। বাফুফের এলিট একাডেমিতে কর্মরত কোচদের পরিশ্রমও কম নয়। অথচ এই কোচদের দিনের পর দিন বঞ্চিত করছে বাফুফে। বেশ কয়েকটি ঈদে বোনাস দেওয়া হয় না কোচদের। বাফুফে কর্তাদের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও কোনো প্রতিকার পান না তারা। এ নিয়ে কোচদের মধ্যে ক্রমেই বাড়ছে ক্ষোভ।
দেশ রূপান্তরের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সর্বশেষ ঈদুল ফিতরসহ আগের কয়েকটি ঈদের বোনাস তারা পাননি। এমনিতেই বাফুফের কোচদের এখন আর নির্দিষ্ট কোনো কাঠামোর মধ্য দিয়ে বেতন দেওয়া হয় না। যাকে যা দিয়ে ভজানো যায়, সেভাবেই চলছে কয়েক বছর ধরে। আগের মতো কোচের সংখ্যাও এখন আর নেই। আগে বিভিন্ন জেলায় বাফুফের কোচরা কাজ করতেন। এখন সংখ্যাটা কমিয়ে আনা হয়েছে অনেক। পুরুষ ও নারী মিলিয়ে মোট কোচ ১৪ জন। এই কোচদের বেতনটা অনেক দিন ধরেই ফিফা ও এএফসি দিয়ে আসছে। উৎসব ভাতা দেওয়ার দায়িত্ব বাফুফের। ফান্ড সংকটের কথা বলে সেটিও তারা দিচ্ছে না। অথচ গত মাসে ঈদুল ফিতরের আগে কোচদের বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন শীর্ষ কর্তারা। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ তো দূরে থাক আজ মাসের ২০ তারিখ হতে চলল এখনো কোচরা গত মাসের বেতনও হাতে পাননি। অথচ এই কোচদের থাকতে হয় টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির কঠোর অনুসাশনের মধ্যে। পান থেকে চুন খসলেই পেতে হয় শো-কজের নোটিস। আবার চাইলেও এই কোচরা বাফুফের চাকরি ছেড়ে ক্লাবের চাকরিতে যেতে পারেন না। এসব নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোচ বলেন, ‘আমাদের বেতন কখনো এএফসি, কখনো ফিফা দেয়। বাফুফের এ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। অতীতে তারা বেতনের অর্ধেক ঈদ বোনাস হিসেবে দিত। গত কয়েকটা ঈদে সেটাও বন্ধ। এমনিতেই আমাদের বেতন বলার মতো নয়। তার ওপর বোনাস না পেলে পরিবার নিয়ে ঈদ করাই কঠিন হয়ে পড়ে।’ আরেক কোচের কণ্ঠ ঝরেছে ক্ষোভ, ‘বাফুফের সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে পিয়ন, চাপরাশি এমনকি সুইপারও ঈদবোনাস পায়। অথচ আমাদের বেলায় দেখানো হয় অর্থসংকট। আমরা বারবার বোনাসের দাবি জানিয়েছি। কোনো লাভ হয়নি। বেতনটাও যদি সময়মতো পাই কোনোভাবে পরিবার নিয়ে চলতে পারি। এখন তো সেটাও ঠিকভাবে হয় না।’
কেবল বেতন-বোনাস নয়, আরও অনেক কিছু নিয়েই ক্ষোভ আছে কোচদের মধ্যে। তবে চাকরি হারানোর ভয়ে কেউই সরাসরি মুখ খুলতে চান না। তাই দিনের পর দিন তাদের থাকতে হয় বঞ্চিতদের কাতারে।
১৬ ইনিংসে ৯৩২ রান, ৭২ গড় ও ৯২ স্ট্রাইকরেটে দুর্দান্ত এক ডিপিএল কাটিয়েছেন নাঈম শেখ। ওয়ানডে ফরম্যাটে ভালো করে চলে এসেছেন ২০২৩ বিশ্বকাপ আলোচনায়ও। তার পারফরম্যান্সে শিরোপা পুনরুদ্ধার সহজ হয়েছে আবাহনীর। একটা সময় বাজে ফর্মের কারণে বাদ পড়া নাঈম ঘুরে দাঁড়ানোর প্রসেস ও ভবিষ্যৎ চিন্তা জানালেন দেশ রূপান্তরের শিহাব উদ্দিনকে
দারুণ একটা ডিপিএল কাটালেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে কতটা তৃপ্ত?
নাঈম : আমি এর আগে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ভালো করেছি। ৮০০ রানের মতো ছিল। এবার আলহামদুলিল্লাহ সাড়ে ৯০০ রানের ওপর (আসলে ৯৩২) করলাম। নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙতে পারছি। এই প্রায় সাড়ে ৯০০ রানের মধ্যে অনেক কিছুই শিক্ষণীয় বিষয় ছিল, যা আমি মার্ক করে রেখেছি। ওগুলো নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করব। যেমন কাটিয়েছি এটা সত্যিই খুশি হওয়ার মতো।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রান পাচ্ছিলেন না। বিপিএলটাও ভালো কাটেনি আপনার। এই সময়ে নিজের সঙ্গে নিজের লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জটা কীভাবে নিয়েছিলেন?
নাঈম : যেকোনো ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারে ভালো-খারাপ সময় আসে। সে যতই তারকা ক্রিকেটার হোক না কেন। কিন্তু ওই সময় ঘাবড়ে না গিয়ে সঠিক প্রসেসে থাকলে ভালো সময় আসবে। বিপিএলের আগে যে বিসিএল হয়েছিল, সেখানেও আমি ২০০ আপ রান করেছি এবং টুর্নামেন্টে সেরা হই। বাজে সময় থাকলেও প্রসেসের বাইরে যেতে চাইনি। আমি অনেক বাজে সময় পার করেছি, তখন নিজের সঙ্গে নিজে কাজ করেছি। মাইন্ড ট্রেনিং করেছি। অনেক জিনিস আমি নিতে পারতাম না, তা দূর করেছি। মাইন্ড ট্রেনিং করার জন্য একজনের সঙ্গে, ফুড হ্যাবিট মেনটেইন করেছি, জিম করেছি আলাদা একজনের সঙ্গে ফিটনেসের জন্য। এ ছাড়া এমন আমার কোচ সাবেক ক্রিকেটারদের কাছ থেকে আমি সহযোগিতা পেয়েছি। আমার ক্রিকেট শুরুর সময়ের কোচ মোখলেছুর রহমান বাবলু স্যারের কাছ থেকে, শাহরিয়ার নাফিস, আফতাব আহমেদ ও নাঈম ইসলাম ভাইদের কাছ থেকে আমি সহযোগিতা পেয়েছি। ওনারা সব সময় আমার পাশে ছিলেন। নাঈম ভাইয়ের মাধ্যমে আমার ডিপিএল ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে। তো বাজে সময়টা পার করার জন্য ওনাদের সহযোগিতা আমার খুব কাজে দিয়েছে।
বিসিএল ও ডিপিএলে ভালো করলেন। আগে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতেন। এখন ওয়ানডেতে ফোকাস করছেন কি না?
নাঈম : না, এ রকম কিছু না। আমি যখন যেই ফরম্যাটে খেলব বা জাতীয় দলে সুযোগ পাব, সেটাতে ভালো করতে চাইব। সাদা বল সব সময়ই আমার পছন্দের। লাল বলটা একটু চ্যালেঞ্জিং। এখন যে ‘এ’ দলের সঙ্গে আছি, এখানে লাল বলের বিষয়গুলো শেখার চেষ্টা করছি। আর সাদা বলে আমি যেকোনো ফরম্যাটে যেকোনো সময় খেলার জন্য, ভালো করার জন্য প্রস্তুত।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে টি-টোয়েন্টিতে অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই তুলনায় ওয়ানডেতে কম আর টেস্টে তো মাত্র একটা ম্যাচ। আপনার কি মনে হয় আরেকটু সুযোগ পেলে তিন ফরম্যাটে নিজেকে প্রমাণ করতে পারতেন?
নাঈম : অবশ্যই, সুযোগ পেলে তো অবশ্যই নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করব। এখন আমি সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছি। সুযোগ এলে নিজেকে প্রমাণ করবই। আর এমন না যে আমার অনেক বয়স হয়েছে। এখনো ক্যারিয়ারের পুরোটাই বাকি। যখন সুযোগ আসবে, তখন ভালো খেলার চেষ্টা করব। কিন্তু কম সুযোগ পেয়েছি বলে আক্ষেপ নেই। আমার বিশ্বাস, আবার জাতীয় দলে ডাক পাব।
আক্ষেপের দিকটা যদি বলি। এমন একটা সময় ওয়ানডেতে পারফরম করলেন, যখন এই ফরম্যাটের জন্য জাতীয় দলে ওপেনিং সেটআপ একরকম নির্দিষ্ট। আপনার কি মনে হয় যে একটু কঠিন সময়ে পারফরমটা এসেছে?
নাঈম : না, অবশ্যই এ রকম না। আমি ক্রিকেটার হিসেবে এভাবে ভাবব না। আমার কাজ ভালো খেলা। যে অবস্থায় যে সময়টায় আমি খেলব, সেখানে লক্ষ রাখি যেন সেরাটা খেলতে পারি। সামনে কী খেলা আছে না আছে, সেটা চিন্তা করে পারফরম করিনি। আমার টার্গেট ছিল ডিপিএলে ভালো খেলব, খেলেছি। আর এই চিন্তা বা কাজ কিন্তু আমার না যে আমি সুযোগ পাব কি না, সামনে কী আছে এসব। ভবিষ্যৎ না ভেবে আমি বর্তমানে যেটা আমার কাছে আছে, সেটার ওপর ফোকাস রাখা আমার দায়িত্ব। বাকিটা নির্বাচক, টিম ম্যানেজমেন্টের।
বিশ্বকাপের পরে জাতীয় দলে ওপেনিংয়ে যদি কোনো জায়গা ফাঁকা হয়। সেটা নিজের করে নেওয়ার জন্য আপনি কতটা প্রস্তুত?
নাঈম : না, অবশ্যই আমি এভাবে নিজেকে তৈরি করব না যে জাতীয় দলে এখন জায়গা খালি হবে, আমি চেষ্টা করতেছি নিজের ভিত যতটা শক্ত করা যায়। আমি যত শক্ত হব, তত আমার জাতীয় দলে ঢোকার জায়গা পোক্ত হবে। আমি নিজের উন্নতি নিয়ে কাজ করছি। জায়গা খালি হওয়ার বিষয়ে আমি কখনোই চিন্তা করিনি। আমি নিজের কাজ করেছি। আমার কাজ পারফরম করা, আমি করেছি। এখন অবশ্যই আমি সুযোগের অপেক্ষায় থাকব এবং সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেব।
উন্নতির কথা বলছিলেন। এবারের ডিপিএলে আপনার ইনিংসগুলো বেশ শুরু থেকেই গতিময় ছিল। আগে টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লেগেছে কি না?
নাঈম : গত বছরের ডিপিএলে ৭৮ স্ট্রাইকরেটে খেলেছি। আমি ডিপিএল শুরু করেছিলাম ৯০-এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। যেবার ৮০০ রান করেছি, সেটাও ৯০ ছুঁইছুঁই ছিল। মাঝখানে যে কঠিন সময়টা ছিল জাতীয় দল থেকে বের হওয়ার পর, ওই সময়ে গত বছরটা পড়ে ছিল। ওই অবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্য আমি আমার ন্যাচারাল ব্যাটিংয়ের যতটা দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করেছি এবার। ওয়ানডেতেও এখন একজন ওপেনারকে ৮০-এর ওপর স্ট্রাইকরেটে খেলা উচিত। আমি এবারের ডিপিএলে সেই চেষ্টা করেছি।
কোচ হাথুরুসিংহের কথা যদি বলি, উনি পারফরমার ছাড়া দলে কাউকে রাখতে চান না। চেহারা দেখে দলে জায়গা না দেওয়ার বিষয়টা তো তিনি বলেছেন। এবার যে পারফরম করলেন, এটা হাথুরুর গুডবুকে যেতে আপনাকে কতটা সাহায্য করবে?
নাঈম : অবশ্যই এটা খুব ভালো কাজে দেবে। যেটা বললেন, অবশ্যই চেহারা নয়, আমার কাজকে মূল্যায়ন করা উচিত। দেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে হলে সেরা পারফরম করা উচিত। আমি এনসিএল থেকে চেষ্টা করছি সেরাটা দেওয়ার। আমি বিশ্বাস করি যেহেতু পারফরমারদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে এবারের ডিপিএলটা অবশ্যই আমার জাতীয় দলে ফিরতে খুব কাজে দেবে।
হাতে আর ৪ উইকেট, ওভার বাকি ১৩। লঙ্গার ভার্সনে শেষদিনের শেষ সেশনে এমন সমীকরণ থাকলে ব্যাটিং দলের জয়ের সুযোগ কমই থাকে। বোলিং দলই এগিয়ে থাকে বেশি। কাল সিলেটে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে এ অবস্থায় ফেলে প্রথম চার দিনের ম্যাচে জয়ের পথে এগিয়ে ছিল উইন্ডিজ ‘এ’ দল। কিন্তু জাকের আলী ও রিশাদ হোসেন শেষ বিকেলের ১৩ ওভার অবিচ্ছিন্ন থেকে কাটিয়ে দেন। তাতে তৃপ্তির ড্র নিয়ে শেষ করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। উইন্ডিজের ৭ উইকেটে ৪২৭ রানে ইনিংস ঘোষণার বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৬৪ রান করে বাংলাদেশ। ফলোঅনে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৮৭ রান করে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিন খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের মতো টি-টোয়েন্টি স্টাইলে এবার আর ব্যাট চালানো হয়নি স্বাগতিক ব্যাটারদের; বরং দ্রুত অলআউট হয়ে ইনিংস হারের ভয় জেঁকে ধরে টপঅর্ডারের তিনজন এক অঙ্কের ঘরে আউট হওয়ায়। প্রথম ইনিংসে ভালো করা জাকির, সাইফ ও আফিফ তিনজন ফিরেছেন যথাক্রমে ০, ৬ ও ৯ রানে। টেস্ট ওপেনার সাদমান ইসলাম ৯০ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন। এ ছাড়া ২০ রান আসে মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাট থেকে। শেষদিকে জাকের আলী ৩৬ ও রিশাদ ২০ রানে অপরাজিত থেকে দলের হার ঠেকান। দুজনে ৫৫ রানের জুটি গড়েন। সিরিজের দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচ ২৩ মে থেকে আর শেষ ম্যাচটি ৩০ মে থেকে।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চার অভাবের বেশির ভাগ মানুষেরই হার্ট খারাপ হচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে 'খারাপ' কোলেস্টেরল— এ সব মানুষের নিত্যসঙ্গী। তবে রক্তের বিভিন্ন উপাদানের মাত্রা যদি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যায়, তা হলে ওষুধ তো খেতেই হবে। সঙ্গে পছন্দের প্রায় সব খাবারেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যাবে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রোজকার খাবারে কিছু পরিবর্তন আনলেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই হার্টের যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
বিরিয়ানি হোক বা পোলাও সঙ্গে মাটনের কোনো পদ ছাড়া জমে না। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, এ ধরনের 'লাল' মাংস খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই খাসির বদলে মুরগির মাংস খাওয়া তুলনায় স্বাস্থ্যকর।
অনেক চেষ্টা করেও ভাজাভুজি খাবারের লোভ সামলাতে পারছেন না। এই অভ্যাসের ফলেই কিন্তু অজান্তেই বেশির ভাগ মানুষের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে চলেছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভাজার বদলে যদি বেকড খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা যায়, তবে এই সমস্যা অনেকটাই ঠেকিয়ে রাখা যেতে পারে।
সকালের নাশতায় পাউরুটি খান অনেকেই। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পাউরুটির ওপর মাখন দেওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। শুধু পাউরুটি খেতে যদি সমস্যা হয়, তবে ডিম ফেটিয়ে তার মধ্যে পাউরুটি ডুবিয়ে, তা বেক করে নিন। স্বাদ এবং স্বাস্থ্য দুই-ই থাকবে।
মন খারাপ হলে মাঝে মধ্যেই আইসক্রিম খেয়ে ফেলেন। তৎক্ষণাৎ মন ভালো করতে এই টোটকা সত্যিই কার্যকর। কিন্তু সমস্যা হলো আইসক্রিম খাওয়ার অভ্যাসে রক্তে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। পরবর্তীতে যা হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গরমে তেষ্টা মেটাতে বার বার ঠাণ্ডা পানীয়তে চুমুক দিচ্ছেন। কিন্তু এ পানীয়ে থাকা কৃত্রিম শর্করা যে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করছে, টের পেয়েছেন কী? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই তেষ্টা মেটাতে এবং স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে নরম পানীয় না খেয়ে ফল থেকে তৈরি রস খেতে পারেন।
পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে নয়, এশিয়া কাপ হবে একটি দেশে। আর সেটা শ্রীলংকা। পাকিস্তান তাতে অংশ না নিতে চাইলে তাদেরকে ছাড়াই হবে এশিয়া কাপ।
ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দা টেলিগ্রাফ।
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ যিনি এসিসিরও প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বলেছেন, শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ খেলতে রাজি আছে ভারতসহ চার পূর্ণ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে এসিসির নির্বাহী সভায় আলোচনা করা হবে। পাকিস্তান রাজি না হলে ৫ দল নিয়েই হবে এশিয়া কাপ।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ অন্য কোনো দেশে আয়োজনে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজমা শেঠির দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন জয় শাহ। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ভারতেই খেলতে হবে, না হলে না খেলবে। এ বার্তা পিসিবি এবং আইসিসির দুই কর্মকর্তা যারা সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেন তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
রিয়াল মাদ্রিদের সংগে ১৪ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলছেন। ৪০ কোটি ইউরো চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আলো ইত্তিহাদে যোগ দিচ্ছেন।
ক'দিন ধরে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল করিম বেনজেমাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন -এমন কথাও চাউর হয় স্পেনের সংবাদ মাধ্যমে।
কিন্তু সব কিছুতে জল ঢাললেন ব্যালন ডি অর জয়ী। স্পেনের গণমাধ্যম মার্কার দেয়া মার্কা লিজেন্ড এওয়ার্ড নিতে গিয়ে বললেন, 'আমি যখন রিয়ালেই আছি তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে কেনো বলবো। ইন্টারনেটে যা প্রচার হচ্ছে তা ঠিক না। আমি এখানে ভালো আছি। শনিবার রিয়ালের ম্যাচ আছে, সব ফোকাস আমার সেই ম্যাচকে নিয়ে।'
ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে তাকে রিয়ালে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বেনজেমা বলেন, '২১ বছরের আমি এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম। এই ক্লাবে খেলার মতো আর কিছু হয় না, সান্তিয়াগো বার্নাবু দারুন এক জায়গা।'
রিয়ালের সংগে চুক্তির মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে বেনজেমার।
পলিথিন বা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক, বিভিন্ন ধরনের পলিথিনজাত মিনিপ্যাকের উৎপাদন, ব্যবহার ও এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সবগুলোই সমস্যা। পলিথিন উৎপাদন ও এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের মাধ্যমে বাতাসে যেমন কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যায়, অন্যদিকে এর ব্যবহার প্রাণিকুল ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত। প্লাস্টিকের কণা এখন মানুষের রক্তে, মায়ের দুধে, সামুদ্রিক মাছে। শুধু ব্যবহার সম্পর্কিত সমস্যা না, পলিথিনের মাধ্যমে সৃষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরও বেশি সমস্যাসংকুল। কারণ এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে মাটির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, কৃষির উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে, শহরের নর্দমা বন্ধ করে দিচ্ছে তা আবার রোগ-ব্যাধি ছড়াচ্ছে, জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে এবং সবশেষে শহরকে বসবাসের অনুপযোগী করে দিচ্ছে।
এতসব সত্ত্বেও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ না করা বা বন্ধ করতে না পারার সংকট কোথায় সেটা বুঝতে আমাদের সমস্যা হয়। পলিথিন বন্ধে আইন আছে, নানা ধরনের প্যাকেজিংয়ে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাও অনেক দিন হলো। অন্যদিকে বেশ কিছুদিন ধরে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু তা সহসাই হচ্ছে না। ‘সোনালি ব্যাগ’ নিয়ে অনেক ঢাকঢোল পেটানো হয়েছে কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সেই সোনালি স্বপ্ন কেমন জানি ফ্যাকাশে হয়ে আসছে এতদিনে।
পলিথিনের ব্যবহার শহরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি যার অনেকটাই অভ্যাসগত কারণে। শহরের মানুষের পলিথিনের ওপর অভ্যস্ততা যেমন বেশি, তেমনি তারা ভুক্তভোগীও বেশি। রাস্তাঘাট, ড্রেন নোংরা হয়ে তো থাকেই, বাড়তি পাওনা দুর্গন্ধ, তৈরি হয় জলজট ও ডেঙ্গুর মতো রোগবালাই। বাসাবাড়িতে পলিথিনের ব্যবহার তো আছেই, পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য, বেকারিজাত পণ্যের পলিথিনের ব্যবহার ও পলিথিনের মোড়ক যত্রতত্র নিক্ষেপই এই অবস্থার জন্য দায়ী। শুধু ঢাকা নয় অন্যান্য ছোট-বড় সব শহরে প্রায় একই অবস্থা। আর এগুলোই হচ্ছে পলিথিন নির্ভর অর্থনীতির অনুষঙ্গ কিন্তু এর অনর্থনীতি হচ্ছে পলিথিনের কারণে পরিবেশদূষণ ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি যার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। সাধারণভাবে পলিথিন ব্যবহারের ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক মূল্যমান নির্ধারণ করা হয় না। তবে দূষণের মাত্রা এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে তাতে পলিথিনের অর্থনীতির থেকে এর ক্ষয়ক্ষতির অর্থনীতি যে অনেক বড় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আসছে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হবে। জলবায়ুর পরিবর্তনের পেছনে অন্যতম অনুঘটক হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। অর্থমন্ত্রী তার এবারের বাজেট (২০২৩-২৪) বক্তৃতায় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় অভিযোজন ও প্রশমন উভয় ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা বলেছেন, পরিবেশ সংরক্ষণে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ এর উল্লেখ করেছেন কিন্তু পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে দৃশ্যমান কোনো রূপকল্প এবারের বাজেটে উল্লেখ করতে সমর্থ হননি। এবারের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘প্লাস্টিক দূষণের সমাধানে শামিল হই সকলে’। গত বছরের এই দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘একটাই পৃথিবী’। পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের যত্রতত্র ব্যবহার আমাদের এই একমাত্র পৃথিবীকে দূষণের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে আইন হয়েছে ২০০২-এ এবং আজ ২০২৩ সাল, এই দীর্ঘ ২১ বছরেও এই আইনের বাস্তবায়ন করা যায়নি। যদিও এবারের বাজেট বক্তৃতায় প্লাস্টিকের তৈরি টেবিলওয়্যার এর মূল্য সংযোজন কর বৃদ্ধি করে ৫ শতাংশ থেকে ৭.৫ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। এখানে পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাস্টিক সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। ধরেই নেওয়া যায় শুল্ক বৃদ্ধির এই হার কোনোভাবে পলিথিন নিরুৎসাহিত করার জায়গা থেকে না বরঞ্চ কিছুটা বাড়তি কর আদায়ের চিন্তা থেকে।
পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি সস্তা পলিথিনের ব্যবহার টেকসই ভোগের ধারণার জন্যও কোনোভাবে সহায়ক না। বরঞ্চ এটা এমন এক ধরনের মনস্তত্ত্ব তৈরি করে যা শুধু পরিবেশকেই ধ্বংস করে। যদিও বিশ্বব্যাপী টেকসই ভোগের ধারণার ওপর ভিত্তি করে এখন ‘সার্কুলার অর্থনীতির’ ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সার্কুলার অর্থনীতি শুধু অপচয় কমায় না, প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা, দূষণরোধ, বর্জ্য থেকে তৈরি পরিবেশদূষণ ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারে। তাই পরিবেশগত ঝুঁকি, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের অর্থনীতিকে সার্কুলার অর্থনীতিতে রূপান্তরের জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই পৃথিবী গড়ে তোলা এবং এ সংশ্লিষ্ট অভীষ্ট ২০৩০ সমূহ অর্জনে সার্কুলার অর্থনীতি অন্যতম হাতিয়ার।
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা শহরে রাস্তায় কোনো পেট বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায় না। এর কারণ হচ্ছে এখন পেট বোতলের প্রায় শতভাগ রিসাইকেল করা হয় এবং পেট বোতল সংগ্রহের জন্য অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে হলেও একটি সংগ্রহ-লাইন তৈরি হয়েছে। কিন্তু পলিথিনের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায় না। তবে পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার সার্কুলার ইকোনমির ধারণার সঙ্গেও একেবারে মানানসই না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রযুক্তিগতভাবে একবার ব্যবহারযোগ্য পলিথিন রিসাইকেল করা অসম্ভব না হলেও এটি একটি জটিল এবং অর্থনৈতিকভাবে ব্যয়বহুল যে কারণে পেট বোতলের মতো রাস্তা থেকে পলিথিন সংগ্রহ করতে কাউকে দেখা যায় না উলটো রাস্তাঘাটে এখানে সেখানে পলিথিন পড়ে থাকে।
পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের অনর্থনীতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখন প্রথম দরকার এর ব্যবহার বন্ধ করা, এর ব্যবহারকে অনেক বেশি দামি করে ফেলতে হবে আর এর প্রতিফলন থাকতে হবে বাজেটে। দ্বিতীয়ত, সার্কুলার অর্থনৈতিক চর্চার উৎসাহিত করার জন্য পরিকল্পনা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি, পলিথিনের বিকল্প সোনালি ব্যাগের মতো উদ্যোগগুলোকে সরকারি পর্যায় থেকে বিনিয়োগ ও বেসরকারি পর্যায় থেকে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় উৎসাহ ও প্রণোদনা প্রদান করতে হবে। সরকার প্রতি বছর বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবেশ দিবস পালন করে কিন্তু দিবস পালন শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলেই হবে না এর উদ্যোগ কতটুকু বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে তার ওপরও নজর দিতে হবে। তা নাহলে পলিথিনের অর্থনীতির নামে শুধু অনর্থনীতিকে বাড়িয়ে তোলা হবে, আর সেটা হবে টেকসই অর্থনীতি তৈরির সম্ভাবনার অপমৃত্যু।
লেখক : উন্নয়নকর্মী ও কলামিস্ট
গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। এমন অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। তাই বলে গরমের ভয়ে ঘরে বসে থাকলে তো আর জীবন চলবে না। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যেতে হবে। আর কর্মজীবীদের অফিস ও অন্যান্য কর্মস্থলে। অনেকেরই এই গরমেও কাজের প্রয়োজনে সারাদিন কেটে যায় বাইরে ঘুরে ঘুরেই। গরমকে মোকাবিলা করতে সঙ্গে এই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রাখলেই গরমের কাছে নিজেকে হার মানতে হবে না।
পানি পান
গরমের সময় শরীর থেকে স্বাভাবিক ভাবে অনেক বেশি ঘাম বের হয়ে থাকে। যার ফলে দেখা দিতে পারে পানি শূন্যতা। শরীরের মধ্যে যদি পানির পরিমাণ কমে যায় তাহলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। পানি শূন্যতা দূর করতে হলে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে।
বিশুদ্ধ পানি খাওয়ার পাশাপাশি ফলের জুস কিংবা কচি ডাবের পানি খেতে পারেন। দেহের ত্বককে ভালো রাখতে পানি, শরবত বা জুস পানের বিকল্প নেই। গরমে সময় প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার বিশুদ্ধ পানি খেলে ডিহাইড্রেশন এবং পানি শূণ্যতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
খাবার স্যালাইন
গরমের সময় ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ বের হতে থাকে যার ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে খাবার স্যালাইন খেতে পারেন। বিকেল বেলা খাবার স্যালাইন খেলে অতিরিক্ত গরমেও শরীরে সতেজতা ফিরে আসে। আবার অনেকেই স্বাদযুক্ত স্যালাইন খান যেমন, টেস্টি স্যালাইন। ভুল করেও এসব খাবেন না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হলো ওরস্যালাইন । তবে আপনাদের মধ্যে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা খাবার স্যালাইন খাওয়ার আগে ভালো কোনো ডাক্তারের মতামত নেওয়া উচিত।
রেড মিট পরিহার করুন
অতিরিক্ত গরমের সময় গরু-ছাগলের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ গরমের সময় বা অতিরিক্ত গরমের সময় গরুর মাংস খেলে শরীরের তাপমাত্রা অনেকাংশে বেরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গরু-ছাগলের মাংস ছেড়ে মাছ খেতে পারেন। আর অতিরিক্ত গরমে অবশ্যই অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন।
সবুজ শাক সবজি
গরমের সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে বেশি বেশি করে সবুজ শাক সবজি খেতে পারেন। সবুজ শাক সবজিতে অধিক পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল এবং খনিজ উপাদান থাকে। এতে করে অতিরিক্ত গরমেও শরীর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।তাছাড়াও খেতে পারেন তরমুজ যা শরীরে এনার্জি দিতে পারে।
টক জাতীয় ফল
প্রচুর গরমে সুস্থ থাকার উপায় হিসেবে টক জাতীয় ফল খেতে পারেন। যেমন: কামরাঙ্গা, লেবু, তেতুল, আমরা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে অতিরিক্ত টক ফল খাওয়া ঠিক নয়। যদি কারো এসিডিটির সমস্যা থেকে থাকে তবে টক জাতীয় ফল খাওয়া হতে বিরত থাকুন। টক জাতীয় ফল খালি পেটে খাওয়া যাবে না। এতে করে আরো বেশী অসুস্থ হয়ে পারতে পাবেন।
টক দই
অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকতে হলে টক দই খেতে পারেন। যারা করা রোদে কাজ করেন বিশেষ করে তাদের জন্য অনেক উপকারী হলো টক দই। রোদের প্রচুর তাপ থেকে শরীরকে কিছুটা হলেও রক্ষা করবে টক দই। টক দই শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে অনেকাংশে সাহায্য করে।
প্রতিদিন গোসল করুন
গরমের সময় প্রতিদিন এক বার করে হলেও গোসল করতে হবে। যদি পারেন তবে দিনে ২ বার গোসল করতে পারেন। গোসল করার ক্ষেত্রে একটু সাবধান থাকতে হবে। বাহির থেকে এসে সাথে সাথে গোসল করতে যাবেন না। একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপর গোসল করতে যাবেন। কারণ হঠাৎ করে গরম থেকে এসে গোসল করলে ঠাণ্ডা লাগতে পারে।
ঘরেই অবস্থান করুন
অতিরিক্ত গরমে বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বাহিরে যাবেন না । যদিও বিভিন্ন কারণে বাহিরে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে রোদ থেকে বাঁচতে প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। যতটুকু সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করুন।
শারীরিক পরিশ্রম কম করুন
গরমের সময় অনেকেই আছে অতিরিক্ত ব্যায়াম করে থাকেন এমনটি করা যাবে না কারণ অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা একটু বেশি হয়ে থাকে।
পাতলা সুতি কাপড় পরিধান করা
গরমের সময় পাতলা সুতি কাপড় পরা দরকার। কারণ সাদা কাপড় তাপ শোষণ করতে পারে না বরং তাপের প্রতিফলন ঘটায় ও গরম কম লাগে।
পারফিউম ব্যবহারে সতর্ক থাকুন
অতিরিক্ত গরমে ঘামের গন্ধ থেকে বেচে থাকার জন্য অনেকেই সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে পারফিউম ব্যবহার না করাটাই উত্তম কাজ। কারণ, পারফিউম গরম লাগা বৃদ্ধি করে দেয়।
যদিও ব্যবহার করতে হয় তাহলে হালকা গন্ধের সুগন্ধি ব্যবহার করতে পাবেন। বাজারে কিছু সুগন্ধি পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করলে ঠাণ্ডা লাগে। সেগুলো ব্যবহার করলে আরো ভালো হয়।
ধূমপান পরিত্যাগ করা
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কিনা ধূমপান করে থাকি। ধূমপান করলে শরীরের তাপমাত্রা তুলনামূলক ভাবে বেড়ে যায়। তাই প্রচন্ত গরমে সুস্থ থাকতে হলে ধূমপান পরিত্যাগ করতে হবে। যদিও এই অভ্যাসটি সহজে পরিত্যাগ করা যায় না। তাই যতটুকু পারেন ধূমপান কম করার চেষ্টা করুন।
চা কফি পরিত্যাগ করুন
চা, কফি বা অ্যালকোহল খেলে শরীরের তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পায়। আর যদি অতিরিক্ত গরমে চা, কফি বা অ্যালকোহল খেয়ে থাকেন তাহলে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাবে যার ফলে হতে পারে হিটস্ট্রোক। তাই গরমের সময় চা কফি বা অ্যালকোহল খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
শান্ত থাকুন
মন মেজাজ গরম থাকলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। রাগের কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং অতিরিক্ত গরমের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় আর দুই তাপমাত্রা এক সঙ্গে হলে কি অবস্থা হতে পারে একবার হলেও সেটা ভেবে দেখবেন।
বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত গরমে শান্ত থাকার জন্য মতামত দিয়ে থাকে। বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য শান্ত থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখতে কুমিল্লায় উড়ে গেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়েছে ম্যাচটি। সালাউদ্দিন ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা খানেক আগে কুমিল্লায় পৌঁছান।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় পাড়ি দিতে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তবে সালাউদ্দিন দূরত্বটা পাড়ি দিয়েছেন হেলিকপ্টারে করে। যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
টাকার অভাবে কদিন আগে নারী ফুটবলারদের অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি বাফুফে। অথচ ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যেতে বাফুফে সভাপতি বেছে নিলেন হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে কুমিল্লার এই যাত্রায় বাফুফে সভাপতির সঙ্গী হয়েছেন সংস্থার নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।