বড় সংগ্রহ দেখছে বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক | ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ১৮:০৬
৫৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ছবি: নাজমুল হক বাপ্পি
অভিষেকেই অর্ধশতক হাঁকালেন সাদমান ইসলাম। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন নির্ভরযোগ্য দুই ব্যাটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রদের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
প্রথম দিনের খেলা শেষে বড় সংগ্রহের ভীত পেয়ে গেছে স্বাগতিক দল। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবারের খেলা শেষে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৯ রান। অধিনায়ক সাকিব ৫৫, তার ডেপুটি ৩১ রানে অপরাজিত আছেন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে ওপেনিং জুটিতে মোটামুটি ভালো একটি শুরু এনে দেন সাদমান ইসলাম ও সৌম্য সরকার। ৪২ রানের এই জুটিতে ফাটল ধরান রোস্টন চেইস। তার বলে উইকেট ছুড়ে আসেন ১৯ রান করা সৌম্য। অহেতুক এক শট খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। চট্টগ্রাম টেস্টেও ব্যর্থ ছিলেন তিনি। দুই ইনিংসে করেছিলেন মাত্র ১১ রান।
সৌম্যকে হারানোর ধাক্কা দ্বিতীয় উইকেটে সাদমান-মমিনুল হকের জুটিতে অনেকটা কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু লাঞ্চের আগের ওভারে ভুল করে বসেন থিতু হওয়া মমিনুল। কেমার রোচের বল পুরোপুরি ব্যাটে না নিয়েই পুল করতে গিয়ে লং অনে চেইসের হাতে ধরা পড়েন চট্টগ্রাম টেস্টের সেরা খেলোয়াড়। ভাঙে ৪৫ রানের জুটি। দুই উইকেটে ৮৭ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ।
একপ্রান্ত আগলে রাখেন সাদমান। তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিথুনের সঙ্গে গড়েন জুটি। ৬৪ রানের জুটি গড়ার পথে অর্ধশতক হাঁকিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ইনিংসটা স্মরণীয় করেন সাদমান। এই জুটিতে ফাটল ধরান দেবেন্দ্র বিশু। তার গুগলিতে বোল্ড হন ৬১ বলে ২৯ করা লিটন।
অভিষেক ইনিংসটা সেঞ্চুরিতে পরিণত করার পথে হাঁটছিলেন সাদমান। কিন্তু তাকে এতটা স্মরণীয় হতে দেননি বিশু। ৫৯তম ওভারে তার পঞ্চম বলটি ঠিকভাবে খেলতে পারেননি সাদমান। এলবিডব্লিউর শিকার হন ইমরুল কায়েসের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পাওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটার। উইকেট ছাড়ার আগে ১৯৯ বলে ছয় রাউন্ডারিতে ৭৬ রান করেন সাদমান। দলের সংগ্রহ তখন চার উইকেটে ১৬১।
শেষ সেশনটা ভালো কাটিয়েছে বাংলাদেশ। এই সময়ে উইকেট ছাড়া হয়েছেন কেবল মুশফিকুর রহিম। দলীয় ১৯০ রানে শারমন লুইসের সুইং করা বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন ২৪ বলে ১৪ রান করা এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান।
আট রান করতেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিক। তামিম ইকবালের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে চার হাজার রান করলেন তিনি।
ষষ্ঠ উইকেটে ৬৯ রান নিয়ে অবিচ্ছিন্ন আছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। এর মধ্যে ৯৮ বলে এক চারে টেস্টে নিজের ২৪তম অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন সাকিব।
উইন্ডিজ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন বিশু। একটি করে উইকেট রোচ, লুইস ও চেইসের।
চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬৪ রানে হারিয়ে দুই টেস্টের এই সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৫৯/৫ (সাদমান ৭৬, সৌম্য ১৯, মুমিনুল ২৯, মিঠুন ২৯, সাকিব ৫৫*, মুশফিক ১৪, মাহমুদউল্লাহ ৩১*; রোচ ১৫-১-৩৮-১, লুইস ১২-১-৩৫-১, চেইস ২১-০-৬১-১, ওয়ারিক্যান ১৯-২-৪৬-০, বিশু ১৯-১-৬৯-২, ব্র্যাথওয়েট ৪-০-৮-০)
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ১৮:০৬

অভিষেকেই অর্ধশতক হাঁকালেন সাদমান ইসলাম। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন নির্ভরযোগ্য দুই ব্যাটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রদের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
প্রথম দিনের খেলা শেষে বড় সংগ্রহের ভীত পেয়ে গেছে স্বাগতিক দল। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবারের খেলা শেষে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৯ রান। অধিনায়ক সাকিব ৫৫, তার ডেপুটি ৩১ রানে অপরাজিত আছেন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে ওপেনিং জুটিতে মোটামুটি ভালো একটি শুরু এনে দেন সাদমান ইসলাম ও সৌম্য সরকার। ৪২ রানের এই জুটিতে ফাটল ধরান রোস্টন চেইস। তার বলে উইকেট ছুড়ে আসেন ১৯ রান করা সৌম্য। অহেতুক এক শট খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। চট্টগ্রাম টেস্টেও ব্যর্থ ছিলেন তিনি। দুই ইনিংসে করেছিলেন মাত্র ১১ রান।
সৌম্যকে হারানোর ধাক্কা দ্বিতীয় উইকেটে সাদমান-মমিনুল হকের জুটিতে অনেকটা কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু লাঞ্চের আগের ওভারে ভুল করে বসেন থিতু হওয়া মমিনুল। কেমার রোচের বল পুরোপুরি ব্যাটে না নিয়েই পুল করতে গিয়ে লং অনে চেইসের হাতে ধরা পড়েন চট্টগ্রাম টেস্টের সেরা খেলোয়াড়। ভাঙে ৪৫ রানের জুটি। দুই উইকেটে ৮৭ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ।
একপ্রান্ত আগলে রাখেন সাদমান। তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিথুনের সঙ্গে গড়েন জুটি। ৬৪ রানের জুটি গড়ার পথে অর্ধশতক হাঁকিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ইনিংসটা স্মরণীয় করেন সাদমান। এই জুটিতে ফাটল ধরান দেবেন্দ্র বিশু। তার গুগলিতে বোল্ড হন ৬১ বলে ২৯ করা লিটন।

অভিষেক ইনিংসটা সেঞ্চুরিতে পরিণত করার পথে হাঁটছিলেন সাদমান। কিন্তু তাকে এতটা স্মরণীয় হতে দেননি বিশু। ৫৯তম ওভারে তার পঞ্চম বলটি ঠিকভাবে খেলতে পারেননি সাদমান। এলবিডব্লিউর শিকার হন ইমরুল কায়েসের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পাওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটার। উইকেট ছাড়ার আগে ১৯৯ বলে ছয় রাউন্ডারিতে ৭৬ রান করেন সাদমান। দলের সংগ্রহ তখন চার উইকেটে ১৬১।
শেষ সেশনটা ভালো কাটিয়েছে বাংলাদেশ। এই সময়ে উইকেট ছাড়া হয়েছেন কেবল মুশফিকুর রহিম। দলীয় ১৯০ রানে শারমন লুইসের সুইং করা বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন ২৪ বলে ১৪ রান করা এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান।
আট রান করতেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিক। তামিম ইকবালের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে চার হাজার রান করলেন তিনি।
ষষ্ঠ উইকেটে ৬৯ রান নিয়ে অবিচ্ছিন্ন আছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। এর মধ্যে ৯৮ বলে এক চারে টেস্টে নিজের ২৪তম অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন সাকিব।
উইন্ডিজ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন বিশু। একটি করে উইকেট রোচ, লুইস ও চেইসের।
চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬৪ রানে হারিয়ে দুই টেস্টের এই সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৫৯/৫ (সাদমান ৭৬, সৌম্য ১৯, মুমিনুল ২৯, মিঠুন ২৯, সাকিব ৫৫*, মুশফিক ১৪, মাহমুদউল্লাহ ৩১*; রোচ ১৫-১-৩৮-১, লুইস ১২-১-৩৫-১, চেইস ২১-০-৬১-১, ওয়ারিক্যান ১৯-২-৪৬-০, বিশু ১৯-১-৬৯-২, ব্র্যাথওয়েট ৪-০-৮-০)