টেস্টকে বিদায় জানাচ্ছেন হাফিজ
অনলাইন ডেস্ক | ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:৪৯
ছবি: পিসিবির ওয়েবসাইট
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবু ধাবি টেস্টই হচ্ছে মোহাম্মদ হাফিজের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সংস্করণ থেকে বিদায় নিচ্ছেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার।
আবু ধাবি টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান হাফিজ। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের জন্য শক্তি সঞ্চার করতে চান ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
দুই বছরের বেশি সময় বিরতির পর গত অক্টোবরে টেস্টে ফিরেন হাফিজ। ফেরার ম্যাচেই দুবাই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হাঁকান সেঞ্চুরি। কিন্তু ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। পরের পাঁচ ইনিংসে করেছেন মাত্র ৬০ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি সিরিজে কোনো উইকেটেরও দেখা পাননি এই অফস্পিনার।
আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে আবু ধাবি টেস্টে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে চার বল খেলে ডাক মারেন ওপেনিংয়ে নামা হাফিজ। ট্রেন্ট বোল্টের বলে খোঁচা মেরে সেকেন্ড স্লিপে তালুবন্দি হন টিম সাউদির।
ভেবেচিন্তেই টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানালেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হাফিজ।
“সত্যি বলতে, এটা কঠিন একটা সিদ্ধান্ত ছিল। গত দুই সপ্তাহ ধরে আমি এটা নিয়ে ভাবছিলাম। তবে আমি মনে করি, টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার এটা সেরা সময়। সাদা বলের ক্রিকেটে আমি আমার সমস্ত প্রচেষ্টা দেখাতে চাই। আমার মনে হয় ওখানে আমি পাকিস্তানের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে আরও বেশি কিছু করতে পারব।”
“এটা একেবারেই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে আমি ক্রিকেট বোর্ডকে ও আমার সতীর্থদের জানিয়েছি। তবে বিষয়টা আমরা গোপন রেখেছিলাম। কারণ এটা আমি রাতে ঘোষণা করতে চেয়েছিলাম।”
২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে করাচি টেস্টের মধ্য দিয়ে টেস্ট অঙ্গনে পা রাখেন হাফিজ। এখন পর্যন্ত ৫৫ টেস্ট খেলে ৩৮ দশমিক ২৯ গড়ে ডানহাতি এই ব্যাটারের সংগ্রহ ৩ হাজার ৬৩৮ রান। এর মধ্যে রয়েছে ১০টি শতক, ১২টি অর্ধশতক। উইকেট নিয়েছেন ৫৩টি।
টেস্ট ক্রিকেট প্রসঙ্গে হাফিজ বলেন, “ক্রিকেটের প্রতিটা ফরম্যাটই দারুণ। তবে টেস্ট ক্রিকেট আপনাকে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। আমার ১৫ বছরের দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ার আছে, এই জন্য সৃষ্টিকর্তা ও পিসিবির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।”
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:৪৯

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবু ধাবি টেস্টই হচ্ছে মোহাম্মদ হাফিজের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সংস্করণ থেকে বিদায় নিচ্ছেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার।
আবু ধাবি টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান হাফিজ। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের জন্য শক্তি সঞ্চার করতে চান ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
দুই বছরের বেশি সময় বিরতির পর গত অক্টোবরে টেস্টে ফিরেন হাফিজ। ফেরার ম্যাচেই দুবাই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হাঁকান সেঞ্চুরি। কিন্তু ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। পরের পাঁচ ইনিংসে করেছেন মাত্র ৬০ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি সিরিজে কোনো উইকেটেরও দেখা পাননি এই অফস্পিনার।
আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে আবু ধাবি টেস্টে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে চার বল খেলে ডাক মারেন ওপেনিংয়ে নামা হাফিজ। ট্রেন্ট বোল্টের বলে খোঁচা মেরে সেকেন্ড স্লিপে তালুবন্দি হন টিম সাউদির।
ভেবেচিন্তেই টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানালেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হাফিজ।
“সত্যি বলতে, এটা কঠিন একটা সিদ্ধান্ত ছিল। গত দুই সপ্তাহ ধরে আমি এটা নিয়ে ভাবছিলাম। তবে আমি মনে করি, টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার এটা সেরা সময়। সাদা বলের ক্রিকেটে আমি আমার সমস্ত প্রচেষ্টা দেখাতে চাই। আমার মনে হয় ওখানে আমি পাকিস্তানের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে আরও বেশি কিছু করতে পারব।”
“এটা একেবারেই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে আমি ক্রিকেট বোর্ডকে ও আমার সতীর্থদের জানিয়েছি। তবে বিষয়টা আমরা গোপন রেখেছিলাম। কারণ এটা আমি রাতে ঘোষণা করতে চেয়েছিলাম।”
২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে করাচি টেস্টের মধ্য দিয়ে টেস্ট অঙ্গনে পা রাখেন হাফিজ। এখন পর্যন্ত ৫৫ টেস্ট খেলে ৩৮ দশমিক ২৯ গড়ে ডানহাতি এই ব্যাটারের সংগ্রহ ৩ হাজার ৬৩৮ রান। এর মধ্যে রয়েছে ১০টি শতক, ১২টি অর্ধশতক। উইকেট নিয়েছেন ৫৩টি।
টেস্ট ক্রিকেট প্রসঙ্গে হাফিজ বলেন, “ক্রিকেটের প্রতিটা ফরম্যাটই দারুণ। তবে টেস্ট ক্রিকেট আপনাকে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। আমার ১৫ বছরের দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ার আছে, এই জন্য সৃষ্টিকর্তা ও পিসিবির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।”