নতুন মাইলফলকের সামনে মাশরাফি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৩৩
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০০তম ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় মাশরাফি বিন মুর্তজা। ছবি: নাজমুল হক বাপ্পি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রোববার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে দারুণ এক মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ম্যাচটি হতে যাচ্ছে টাইগার অধিনায়কের ২০০তম ওয়ানডে।
সব ঠিক থাকলে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ২০০তম ম্যাচ খেলার কীর্তি হবে মাশরাফির। ২০০১ সালের ২৩ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল নড়াইল এক্সপ্রেসের। ১৭ বছর পেরিয়ে দুইশতম ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছেন মাশরাফি।
এখন পর্যন্ত ১৯৯ ওয়ানডেতে ২৫২ উইকেট মাশরাফির। ব্যাট হাতে রান করেছেন ১৭২২। তবে এর দুটি ওয়ানডে মাশরাফি খেলেছেন এশিয়া একাদশের পক্ষে; আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে। যে দলের হয়ে ১টি উইকেটও আছে টাইগার অধিনায়কের।
বাংলাদেশের পক্ষে তাই মাশরাফির ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যা ১৯৭টি। দ্বিতীয় স্থানে মুশফিকুর রহীম, ১৯৫ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সব ঠিক থাকলে এবং মাশরাফি ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সবগুলো ম্যাচ খেললে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষেও ২০০তম ম্যাচের কীর্তি গড়া হবে মাশরাফির।
মাশরাফির ২০০তম ম্যাচের কীর্তি হতে পরত আরো আগে। যদি না চোট বারবার তার ক্যারিয়ারে প্রাচির হয়ে দাঁড়াত। মাশরাফি অবশ্য চোটের সঙ্গে লড়াই করে ফিরে এসেছেন বারবার। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তার ২০০তম ম্যাচ খেলার কীর্তি তাই অনন্য অর্জন হবে।
তবে ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচের রোমাঞ্চ মোটেও ছুঁয়ে যাচ্ছে না টাইগার অধিনায়ককে। বরং তার ভাবনায় শুধুই ম্যাচ জয়। শনিবার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে যখন ২০০তম ম্যাচ প্রসঙ্গ উঠে তখন মাশরাফি সবাসরি বললেন, এগুলো তাকে ছুঁয়ে যায় না।
২০০তম ম্যাচের কথা মনেই ছিল না উল্লেখ করে মাশরাফি বলেন, ‘ধন্যবাদ মনে করার জন্য। আমার আসলে খেয়াল ছিল না। আমি আগেও বলেছি এগুলো আমাকে টাচ করে না। এগুলো আমার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণও না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কালকের ম্যাচটা জেতা।’
তবে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েও বাংলাদেশের হয়ে ২০০ ম্যাচ খেলতে পারার তৃপ্তি আছে মাশরাফির। ৩৫ বছর বয়সী জানান, ‘বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে অন্তত ২০০তম ম্যাচ হচ্ছে। এটা অবশ্যই ভালো লাগবে একটা সময়। যখন মানুষ বলবে, তুমি বাংলাদেশের হয়ে ২০০টা ম্যাচ খেলেছ, এটা অবশ্যই একটা অর্জন। ওই জায়গা থেকে অবশ্যই ভালো লাগবে।’
এরপরই অবশ্য মাশরাফি বলেন, ‘কিন্তু কালকের ম্যাচের উপরে আর কিছুর গুরুত্ব নেই। এটা চিন্তা করে খেলার সুযোগ নেই। কালকের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ, আমাদেরকে জিততে হবে।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৩৩

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রোববার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে দারুণ এক মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ম্যাচটি হতে যাচ্ছে টাইগার অধিনায়কের ২০০তম ওয়ানডে।
সব ঠিক থাকলে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ২০০তম ম্যাচ খেলার কীর্তি হবে মাশরাফির। ২০০১ সালের ২৩ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল নড়াইল এক্সপ্রেসের। ১৭ বছর পেরিয়ে দুইশতম ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছেন মাশরাফি।
এখন পর্যন্ত ১৯৯ ওয়ানডেতে ২৫২ উইকেট মাশরাফির। ব্যাট হাতে রান করেছেন ১৭২২। তবে এর দুটি ওয়ানডে মাশরাফি খেলেছেন এশিয়া একাদশের পক্ষে; আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে। যে দলের হয়ে ১টি উইকেটও আছে টাইগার অধিনায়কের।
বাংলাদেশের পক্ষে তাই মাশরাফির ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যা ১৯৭টি। দ্বিতীয় স্থানে মুশফিকুর রহীম, ১৯৫ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সব ঠিক থাকলে এবং মাশরাফি ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সবগুলো ম্যাচ খেললে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষেও ২০০তম ম্যাচের কীর্তি গড়া হবে মাশরাফির।
মাশরাফির ২০০তম ম্যাচের কীর্তি হতে পরত আরো আগে। যদি না চোট বারবার তার ক্যারিয়ারে প্রাচির হয়ে দাঁড়াত। মাশরাফি অবশ্য চোটের সঙ্গে লড়াই করে ফিরে এসেছেন বারবার। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তার ২০০তম ম্যাচ খেলার কীর্তি তাই অনন্য অর্জন হবে।
তবে ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচের রোমাঞ্চ মোটেও ছুঁয়ে যাচ্ছে না টাইগার অধিনায়ককে। বরং তার ভাবনায় শুধুই ম্যাচ জয়। শনিবার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে যখন ২০০তম ম্যাচ প্রসঙ্গ উঠে তখন মাশরাফি সবাসরি বললেন, এগুলো তাকে ছুঁয়ে যায় না।
২০০তম ম্যাচের কথা মনেই ছিল না উল্লেখ করে মাশরাফি বলেন, ‘ধন্যবাদ মনে করার জন্য। আমার আসলে খেয়াল ছিল না। আমি আগেও বলেছি এগুলো আমাকে টাচ করে না। এগুলো আমার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণও না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কালকের ম্যাচটা জেতা।’
তবে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েও বাংলাদেশের হয়ে ২০০ ম্যাচ খেলতে পারার তৃপ্তি আছে মাশরাফির। ৩৫ বছর বয়সী জানান, ‘বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে অন্তত ২০০তম ম্যাচ হচ্ছে। এটা অবশ্যই ভালো লাগবে একটা সময়। যখন মানুষ বলবে, তুমি বাংলাদেশের হয়ে ২০০টা ম্যাচ খেলেছ, এটা অবশ্যই একটা অর্জন। ওই জায়গা থেকে অবশ্যই ভালো লাগবে।’
এরপরই অবশ্য মাশরাফি বলেন, ‘কিন্তু কালকের ম্যাচের উপরে আর কিছুর গুরুত্ব নেই। এটা চিন্তা করে খেলার সুযোগ নেই। কালকের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ, আমাদেরকে জিততে হবে।’