‘পঞ্চপাণ্ডবের’ ১০০
অনলাইন ডেস্ক | ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:২৪
ছবি: দেশ রূপান্তর
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দারুণ এক নজির গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘পঞ্চপাণ্ডব’ বলে খ্যাত মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। একসঙ্গে থেকে ১০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন তারা।
বিশ্ব ক্রিকেটে ব্যাপারটা খুব বিরল নয়। পাঁচ ক্রিকেটার একসঙ্গে একশ বা তার বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার নজির আছে ৬৪টি। তবে বাংলাদেশের কোনো পাঁচ ক্রিকেটার একসঙ্গে একশতম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছেন এই প্রথম।
মূলত এই পঞ্চপাণ্ডবেই বিশ্ব জুড়ে পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এর মধ্যে প্রথমেই চলে আসে সাকিবের নাম। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র এই অলরাউন্ডার। ক্রিকেটের তিন ফর্মেটেই দারুণ পারফরম্যান্সে প্রতি মৌসুমেই ৩১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় স্পর্শ করছেন নতুন নতুন উচ্চতা।
পরের নামটিই আসে তামিমের। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইন-আপের বড় স্তম্ভ তিনি। বাংলাদেশ দলের হয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যাটিংয়ের অধিকাংশ রেকর্ডই তার দখলে। সময়ের সঙ্গে আরও পরিপক্ব হয়েছেন এই ওপেনার। পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছেন ২০১৫ সাল থেকে।
মুশফিক, বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইন আপের মিডল অর্ডারে এক ভরসার নাম। দারুণ পারফরম্যান্সে দলে নিজেকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি গড়েছেন অনেক কীর্তি। টেস্টে দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি শতকের হাঁকানোর রেকর্ডটি তার দখলে। দেশের হয়ে টেস্টে দুইবার ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তিটাও এই উইকেটরক্ষক কাম ব্যাটসম্যানের।
মাহমুদউল্লাহ-দ্য ম্যাচ উইনার। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ডেথ-ওভারে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট চালানো ও বড় শট খেলায় এরই মধ্যে সুনাম কুঁড়িয়েছেন তিনি। সময়ের প্রয়োজনে হাল ধরেন, সময়ের প্রয়োজনেই জ্বলে ওঠেন। দলের জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পর পর দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সম্প্রতি টেস্টেও নিজেকে ফিরে পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
পঞ্চপাণ্ডবের মাঝে সবচেয়ে সিনিয়র মাশরাফি। চোট জর্জরিত ক্যারিয়ার হলেও ওয়ানডে পেস বলে এখনও বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় অস্ত্র তিনি। ২০১৫ সাল থেকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অসাধারণ পথ চলার অগ্র সৈনিক মাশরাফি। বিচক্ষণ অধিনায়ক ও ড্রেসিং রুমে অসাধারণ ব্যক্তি হিসেবে পেয়েছেন খ্যাতি।
২০০৭ সালের জুলাইয়ে মাহমুদউল্লাহর অভিষেকের পর থেকেই নিয়মিতই একসঙ্গে খেলছেন এই পাঁচ ক্রিকেটার। এই সময়ে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলে তারা। ওই বছরেই ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে টাইগাররা। আর চলতি বছরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জিতে নেয় সিরিজ।
গত দুই বছরে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট জেতায়ও বড় অবদান ছিল পঞ্চপাণ্ডবের চার ক্রিকেটার সাকিব, তামিম, মুশফিকুর ও মাহমুদউল্লার। তাদের অবদানে বিশ্ব ক্রিকেটে উন্নতি হবে বাংলাদেশের, এমনটিই প্রত্যাশা সবার।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:২৪

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দারুণ এক নজির গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘পঞ্চপাণ্ডব’ বলে খ্যাত মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। একসঙ্গে থেকে ১০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন তারা।
বিশ্ব ক্রিকেটে ব্যাপারটা খুব বিরল নয়। পাঁচ ক্রিকেটার একসঙ্গে একশ বা তার বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার নজির আছে ৬৪টি। তবে বাংলাদেশের কোনো পাঁচ ক্রিকেটার একসঙ্গে একশতম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছেন এই প্রথম।
মূলত এই পঞ্চপাণ্ডবেই বিশ্ব জুড়ে পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এর মধ্যে প্রথমেই চলে আসে সাকিবের নাম। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র এই অলরাউন্ডার। ক্রিকেটের তিন ফর্মেটেই দারুণ পারফরম্যান্সে প্রতি মৌসুমেই ৩১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় স্পর্শ করছেন নতুন নতুন উচ্চতা।
পরের নামটিই আসে তামিমের। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইন-আপের বড় স্তম্ভ তিনি। বাংলাদেশ দলের হয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যাটিংয়ের অধিকাংশ রেকর্ডই তার দখলে। সময়ের সঙ্গে আরও পরিপক্ব হয়েছেন এই ওপেনার। পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছেন ২০১৫ সাল থেকে।
মুশফিক, বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইন আপের মিডল অর্ডারে এক ভরসার নাম। দারুণ পারফরম্যান্সে দলে নিজেকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি গড়েছেন অনেক কীর্তি। টেস্টে দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি শতকের হাঁকানোর রেকর্ডটি তার দখলে। দেশের হয়ে টেস্টে দুইবার ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তিটাও এই উইকেটরক্ষক কাম ব্যাটসম্যানের।
মাহমুদউল্লাহ-দ্য ম্যাচ উইনার। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ডেথ-ওভারে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট চালানো ও বড় শট খেলায় এরই মধ্যে সুনাম কুঁড়িয়েছেন তিনি। সময়ের প্রয়োজনে হাল ধরেন, সময়ের প্রয়োজনেই জ্বলে ওঠেন। দলের জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পর পর দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সম্প্রতি টেস্টেও নিজেকে ফিরে পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
পঞ্চপাণ্ডবের মাঝে সবচেয়ে সিনিয়র মাশরাফি। চোট জর্জরিত ক্যারিয়ার হলেও ওয়ানডে পেস বলে এখনও বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় অস্ত্র তিনি। ২০১৫ সাল থেকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অসাধারণ পথ চলার অগ্র সৈনিক মাশরাফি। বিচক্ষণ অধিনায়ক ও ড্রেসিং রুমে অসাধারণ ব্যক্তি হিসেবে পেয়েছেন খ্যাতি।
২০০৭ সালের জুলাইয়ে মাহমুদউল্লাহর অভিষেকের পর থেকেই নিয়মিতই একসঙ্গে খেলছেন এই পাঁচ ক্রিকেটার। এই সময়ে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলে তারা। ওই বছরেই ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে টাইগাররা। আর চলতি বছরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জিতে নেয় সিরিজ।
গত দুই বছরে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট জেতায়ও বড় অবদান ছিল পঞ্চপাণ্ডবের চার ক্রিকেটার সাকিব, তামিম, মুশফিকুর ও মাহমুদউল্লার। তাদের অবদানে বিশ্ব ক্রিকেটে উন্নতি হবে বাংলাদেশের, এমনটিই প্রত্যাশা সবার।