গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে হোপ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:০৮
ছবি: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড
ড্যারেন ব্রাভোকে নিয়ে প্রথমে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন শাই হোপ। ব্র্যাভো ফিরে যাওয়ার পর মারলন স্যামুয়েলসকে নিয়ে গড়েন আরো একটি দারুণ জুটি। তাতে লক্ষ্যের দিকে দারুণভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে তিন পেসারে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ফিফটি তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছেন শাই হোপ। সিরিজ জয়ের ম্যাচে এখন বাংলাদেশের বড় বাঁধা এই ওপেনার।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৩৯ ওভারে ১৮৫/৬। জয়ের জন্য ১১ ওভারে ৭১ রান প্রয়োজন সফরকারীদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোর বোর্ডে ৫ রান যোগ করতেই প্রথম উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের মতো মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও দুই প্রান্ত থেকেই স্পিন বোলিং দিয়ে ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ।
প্রথম ওভার করেন সাকিব আল হাসান, দ্বিতীয় ওভার মেহেদী হাসান মিরাজ। নিজের তৃতীয় বলেই মিরাজ ফিরিয়ে দেন ওপেনার চন্দরপল হেমরাজকে। ব্যক্তিগত ৩ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন হেমরাজ।
এরপর দারুণ খেলছিলেন হোপ ও ব্রাভো। ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে রুবেল ব্রাভোকে বোল্ড করে ফেরান। ৪৩ বলে ১ ছক্কা ও ১ চারে ২৭ রান করেন ব্রাভো।
স্যামুয়েলসকে নিয়ে এরপর হোপ ৬২ রানের জুটি গড়েন। সেই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর। ৪৫ বলে ২৬ রান করা স্যামুয়েলসকে উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে ক্যাচ বানান এই পেসার।
এরপর হেটমায়ারকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানন রুবেল। ১৪ রান করে ফিরে যান হেটমায়ার। তিন রানের ব্যবধানে অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৩৯তম ওভারের শেষ বলে রোস্টন চেজকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজ।
তবে হোপ একাই ম্যাচে রেখেছেন উইন্ডিজকে।
সিরিজ জয়ের ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫৫
পঞ্চপাণ্ডবের মাইলফলকের ম্যাচে ব্যাট হাতে আলো কাড়লেন চারজন। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান হাঁকালেন অর্ধশতক। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অর্ধশতক না পেলেও উপহার দিয়েছেন কার্যকরী এক জুটি। তবে শুরুতে তিনশ ছাড়ানো স্কোরের আভাস মিললেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস ভাগ্য ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেও এ ম্যাচে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সফরকারীরা।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫৫ রানের স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৬৫। মুশফিকুর রহিম খেলেছেন ৬২ রানের ইনিংস। তামিম ইকবাল ৫০ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন।
ক্যারিরীয়দের পক্ষে সর্বাধিক ৩ উইকেট নিয়েছেন ওশানে থমাস।
সিরিজ জয়ের সামনে বাংলাদেশ
প্রথম ওয়ানডে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করবে তারা। তা হবে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টানা তৃতীয় ও সব মিলিয়ে চতুর্থ ওয়ানডে সিরিজ জয়।
২০০৯ সালে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে ঘরের মাঠে জিতে পরের সিরিজ। পাঁচ ম্যাচের ওই সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা। এরপর চলতি বছর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেই তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানের জয় পায় তারা।
হাবিবুলকে ছুঁলেন মাশরাফি
আরও একটি কীর্তি গড়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ভাগ বসিয়েছেন বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ায় হাবিবুল বাশারের রেকর্ডে।
২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৬৯টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হাবিবুল। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফিরও এটি ৬৯তম ওয়ানডে। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে রেকর্ডটি নিজের করে নিতে পারেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
এই তালিকায় পরের স্থানে আছেন ৫০টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া সাকিব আল হাসান।
পঞ্চপাণ্ডবের সেঞ্চুরি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে দিয়ে দারুণ এক নজির গড়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘পঞ্চপাণ্ডব’ বলে খ্যাত মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। একসঙ্গে ১০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছেন তারা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:০৮

ড্যারেন ব্রাভোকে নিয়ে প্রথমে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন শাই হোপ। ব্র্যাভো ফিরে যাওয়ার পর মারলন স্যামুয়েলসকে নিয়ে গড়েন আরো একটি দারুণ জুটি। তাতে লক্ষ্যের দিকে দারুণভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে তিন পেসারে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ফিফটি তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছেন শাই হোপ। সিরিজ জয়ের ম্যাচে এখন বাংলাদেশের বড় বাঁধা এই ওপেনার।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৩৯ ওভারে ১৮৫/৬। জয়ের জন্য ১১ ওভারে ৭১ রান প্রয়োজন সফরকারীদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোর বোর্ডে ৫ রান যোগ করতেই প্রথম উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের মতো মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও দুই প্রান্ত থেকেই স্পিন বোলিং দিয়ে ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ।
প্রথম ওভার করেন সাকিব আল হাসান, দ্বিতীয় ওভার মেহেদী হাসান মিরাজ। নিজের তৃতীয় বলেই মিরাজ ফিরিয়ে দেন ওপেনার চন্দরপল হেমরাজকে। ব্যক্তিগত ৩ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন হেমরাজ।
এরপর দারুণ খেলছিলেন হোপ ও ব্রাভো। ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে রুবেল ব্রাভোকে বোল্ড করে ফেরান। ৪৩ বলে ১ ছক্কা ও ১ চারে ২৭ রান করেন ব্রাভো।
স্যামুয়েলসকে নিয়ে এরপর হোপ ৬২ রানের জুটি গড়েন। সেই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর। ৪৫ বলে ২৬ রান করা স্যামুয়েলসকে উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে ক্যাচ বানান এই পেসার।
এরপর হেটমায়ারকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানন রুবেল। ১৪ রান করে ফিরে যান হেটমায়ার। তিন রানের ব্যবধানে অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৩৯তম ওভারের শেষ বলে রোস্টন চেজকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজ।
তবে হোপ একাই ম্যাচে রেখেছেন উইন্ডিজকে।
সিরিজ জয়ের ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫৫
পঞ্চপাণ্ডবের মাইলফলকের ম্যাচে ব্যাট হাতে আলো কাড়লেন চারজন। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান হাঁকালেন অর্ধশতক। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অর্ধশতক না পেলেও উপহার দিয়েছেন কার্যকরী এক জুটি। তবে শুরুতে তিনশ ছাড়ানো স্কোরের আভাস মিললেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস ভাগ্য ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেও এ ম্যাচে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সফরকারীরা।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫৫ রানের স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৬৫। মুশফিকুর রহিম খেলেছেন ৬২ রানের ইনিংস। তামিম ইকবাল ৫০ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন।
ক্যারিরীয়দের পক্ষে সর্বাধিক ৩ উইকেট নিয়েছেন ওশানে থমাস।
সিরিজ জয়ের সামনে বাংলাদেশ
প্রথম ওয়ানডে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করবে তারা। তা হবে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টানা তৃতীয় ও সব মিলিয়ে চতুর্থ ওয়ানডে সিরিজ জয়।
২০০৯ সালে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে ঘরের মাঠে জিতে পরের সিরিজ। পাঁচ ম্যাচের ওই সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা। এরপর চলতি বছর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেই তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানের জয় পায় তারা।
হাবিবুলকে ছুঁলেন মাশরাফি
আরও একটি কীর্তি গড়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ভাগ বসিয়েছেন বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ায় হাবিবুল বাশারের রেকর্ডে।
২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৬৯টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হাবিবুল। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফিরও এটি ৬৯তম ওয়ানডে। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে রেকর্ডটি নিজের করে নিতে পারেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
এই তালিকায় পরের স্থানে আছেন ৫০টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া সাকিব আল হাসান।
পঞ্চপাণ্ডবের সেঞ্চুরি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে দিয়ে দারুণ এক নজির গড়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘পঞ্চপাণ্ডব’ বলে খ্যাত মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। একসঙ্গে ১০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছেন তারা।