বসুন্ধরাকে সেমিতে তুললেন জিকো
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:৪৭
তিন-তিনটি পেনাল্টি রুখে বসুন্ধরার জয়ের নায়ক গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। ছবি: বাফুফে
কখনই তাকে সেরা গোলকিপারদের কাতারে রাখা হয়নি। সেভাবে নিজেকে প্রমাণও করতে পারেননি কখনো। অথচ সেই আনিসুর রহমান জিকোই টাইব্রেকারে তিন-তিনটি সেভ করলেন। তার নৈপুণ্যে রহমতগঞ্জকে রুখে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল ঢাকার ফুটবলের নতুন শক্তি বসুন্ধরা কিংস।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার শেষ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে রহমতগঞ্জকে ২(৩)-২(২) গোলে হারায় বসুন্ধরা কিংস। ২০ ডিসেম্বর সেমিফাইনালে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর মুখোমুখি হবে কিংসরা।
এদিন নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে সমতায় শেষ হয়। ম্যাচে দুই-দুইবার এগিয়ে গিয়েছিল রহমতগঞ্জ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি লিড ধরে রাখতে।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে জামাল হোসেন গোল করে এগিয়ে দেন রহমতগঞ্জকে। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে রহমতগঞ্জ। বিরতির পর ম্যাচের ৬৬ মিনিটে বসুন্ধরার বিশ্বকাপ তারকা কোস্টারিকান প্লেমেকার ড্যানিয়েল কলিনদ্রেস গোল করে সমতা এনে দেন দলকে।
তবে ৫ মিনিট পরই ফয়সালের গোলে ফের এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। যোগ কার সময়ের শেষ মিনিটে বসুন্ধরার কিরগিজ স্ট্রাইকার বখতিয়ার হেড থেকে গোল করে সমতা এনে দেন দলকে। যে গোলেও অবদান কলিনদ্রেসের। তার ক্রস থেকেই এসেছে গোলটি।
অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে শুধুই রহমতগঞ্জের ডিফেন্সে ছিল বসুন্ধরার আক্রমণের সুনামি আর গোল মিসের মহড়া। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
আর সেই ভাগ্য পরীক্ষায় জিকো নিজেকে প্রমাণ করলেন। রহমতগঞ্জের কঙ্গোলিজ ফরোয়ার্ড সিও জুনাপিও, নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার ড্যামিয়েন চিগোজি এবং নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার মানডে ওসেগির শট ঠেকিয়ে দিন তিনি। দলকে নিয়ে যান সেমিফাইনালে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:৪৭

কখনই তাকে সেরা গোলকিপারদের কাতারে রাখা হয়নি। সেভাবে নিজেকে প্রমাণও করতে পারেননি কখনো। অথচ সেই আনিসুর রহমান জিকোই টাইব্রেকারে তিন-তিনটি সেভ করলেন। তার নৈপুণ্যে রহমতগঞ্জকে রুখে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল ঢাকার ফুটবলের নতুন শক্তি বসুন্ধরা কিংস।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার শেষ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে রহমতগঞ্জকে ২(৩)-২(২) গোলে হারায় বসুন্ধরা কিংস। ২০ ডিসেম্বর সেমিফাইনালে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর মুখোমুখি হবে কিংসরা।
এদিন নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে সমতায় শেষ হয়। ম্যাচে দুই-দুইবার এগিয়ে গিয়েছিল রহমতগঞ্জ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি লিড ধরে রাখতে।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে জামাল হোসেন গোল করে এগিয়ে দেন রহমতগঞ্জকে। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে রহমতগঞ্জ। বিরতির পর ম্যাচের ৬৬ মিনিটে বসুন্ধরার বিশ্বকাপ তারকা কোস্টারিকান প্লেমেকার ড্যানিয়েল কলিনদ্রেস গোল করে সমতা এনে দেন দলকে।
তবে ৫ মিনিট পরই ফয়সালের গোলে ফের এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। যোগ কার সময়ের শেষ মিনিটে বসুন্ধরার কিরগিজ স্ট্রাইকার বখতিয়ার হেড থেকে গোল করে সমতা এনে দেন দলকে। যে গোলেও অবদান কলিনদ্রেসের। তার ক্রস থেকেই এসেছে গোলটি।
অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে শুধুই রহমতগঞ্জের ডিফেন্সে ছিল বসুন্ধরার আক্রমণের সুনামি আর গোল মিসের মহড়া। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
আর সেই ভাগ্য পরীক্ষায় জিকো নিজেকে প্রমাণ করলেন। রহমতগঞ্জের কঙ্গোলিজ ফরোয়ার্ড সিও জুনাপিও, নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার ড্যামিয়েন চিগোজি এবং নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার মানডে ওসেগির শট ঠেকিয়ে দিন তিনি। দলকে নিয়ে যান সেমিফাইনালে।