শুরুর খাটুনির পর শেষ বিকেলে ভারতের স্বস্তি
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:২৩
ছবি: আইসিসি
সবুজ উইকেট। সেখানে ভারতীয় পেসারদের ঘামঝরানো শুরু। মার্কাস হ্যারিস- অ্যারন ফিঞ্চের শতাধিক রানের জুটি। মিডলঅর্ডারে ট্রাভিস হেডের লড়াকু ব্যাটিং। দিন যখন ক্লান্তিতে শেষের অপেক্ষায়, তখন ভারতীয় পেসারদের জবাব। পার্থ টেস্টে প্রথমদিন শেষে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে থাকলেও শেষের সাফল্যে কিছুটা স্বস্তিতে ভারতও।
ফিঞ্চ (৫০), হ্যারিস (৭০) এবং হেড (৫৮)- অর্ধশতক পাওয়া এই তিন ব্যাটসম্যান অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রেখেছেন। স্বাগতিকরা দিন শেষে করেছে ৬ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে।
টসের সময় দুই অধিনায়কই জানান আগে ব্যাট করতে চাওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য টিম পেইন সেই সুযোগ পান। টস জেতার সঙ্গে-সঙ্গে ভুল করেননি ব্যাট ‘কল’ করতে। উইকেটে ঘাস দেখে ভারত কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার ছাড়াই একাদশ সাজায়। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থবার তারা এমন সিদ্ধান্ত নিল।
ফিঞ্চ এবং হ্যারিস সকালের সেশনে ৬৬ রান তোলেন। লাঞ্চের পরপর জুটিতে শতরানও তুলে ফেলেন। শেষ ৪৬ ইনিংসে শতরান করা প্রথম উদ্বোধনী জুটি এই দুজনের। ‘লোকালবয়’ হ্যারিস দারুণ সব স্ট্রোকে গ্যালারি মাতিয়ে রাখেন। তিন বাউন্ডারির পর সামির বলে সিঙ্গেল নিয়ে অর্ধশতকে পা রাখেন।
ভারতীয় ফিল্ডাররা যখন ক্লান্ত, তখন তাদের মুখে হাসি ফোটান বুমরাহ। লাঞ্চের পরে প্রথম ওভারে আঘাত হানেন। সদ্য অর্ধশতকে পা রাখা ফিঞ্চকে সাজঘরে ফেরান। ১০৫টি বল খেলে যান তিনি। প্রথম ব্রেক-থ্রুর পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ভারতীয় বোলাররা। তিনে নামা উসমান খাওয়াজাকে ফেরান উমেশ যাদব। শুরু থেকে ধুঁকতে থাকা এই ব্যাটসম্যান ৩৮ বলে পাঁচ রান করে যান।
ভারত তৃতীয় উইকেটের দেখা পায় হানুমা বিহারির কাছ থেকে। পার্ট-টাইম এই স্পিনার অধিনায়ক কোহলিকে ভালো সাহায্য করেছেন। তার হাইবাউন্স ডেলিভারিতে ভড়কে যান হ্যারিস। ধরা পড়েন প্রথম স্লিপে অপেক্ষায় থাকা আজিঙ্কা রাহানের হাতে। চা বিরতির আগে শন মার্শ কয়েকটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেশনটি গেছে ভারতের পক্ষে। এই সময়ে আরও তিনটি উইকেট তুলে নেয় তারা।
হ্যান্ডসকমকে ফিরতে হয় কোহলির ম্যাজিক ক্যাচে। ব্যাক অব লেংথে করা ইশান্ত শর্মার ডেলিভারিতে ব্যাট দিলে কানা ছুঁয়ে দ্বিতীয় স্লিপের উপর দিয়ে চলে যেতে থাকে বল। বিরাট কোহলি কোনোমতে সেটি হাতে নিতে সক্ষম হন।
এরপর মার্শ এবং হেড পঞ্চম উইকেটে ৮৪ রান যোগ করে আবার ম্যাচে ফিরে আসেন। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন দুজনে। ৬৭তম ওভারে মার্শকে ফেরানোর সুযোগ পান বিহারি। কিন্তু উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থ ক্যাচ মিস করলে ভারতের চিন্তা বেড়ে যায়। জীবন পেয়ে আরও ১০ ওভার ব্যাট করেন বাঁহাতি মার্শ। শেষ বিকেলে কাট করতে গিয়ে স্লিপে রাহানের হাতে ধরা পড়েন। শেষ উইকেটটি পান ইশান্ত শর্মা। হেডের (৫৮) জোরালো ড্রাইভ থার্ডম্যানে সামির হাতে চলে যায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৭৭/৬ (হ্যারিস ৭০, ফিঞ্চ ৫০, খাওয়াজা ৫, মার্শ ৪৫, হ্যান্ডসকম ৭, হেড ৫৮, পেইন ১৬*, কামিন্স ১১*; ইশান্ত ২/৩৫, বুমরাহ ১/৪১, উমেশ ১/৬৮, শামি ০/৬৩, বিহারি ২/৫৩, বিজয় ০/১০)।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:২৩

সবুজ উইকেট। সেখানে ভারতীয় পেসারদের ঘামঝরানো শুরু। মার্কাস হ্যারিস- অ্যারন ফিঞ্চের শতাধিক রানের জুটি। মিডলঅর্ডারে ট্রাভিস হেডের লড়াকু ব্যাটিং। দিন যখন ক্লান্তিতে শেষের অপেক্ষায়, তখন ভারতীয় পেসারদের জবাব। পার্থ টেস্টে প্রথমদিন শেষে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে থাকলেও শেষের সাফল্যে কিছুটা স্বস্তিতে ভারতও।
ফিঞ্চ (৫০), হ্যারিস (৭০) এবং হেড (৫৮)- অর্ধশতক পাওয়া এই তিন ব্যাটসম্যান অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রেখেছেন। স্বাগতিকরা দিন শেষে করেছে ৬ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে।
টসের সময় দুই অধিনায়কই জানান আগে ব্যাট করতে চাওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য টিম পেইন সেই সুযোগ পান। টস জেতার সঙ্গে-সঙ্গে ভুল করেননি ব্যাট ‘কল’ করতে। উইকেটে ঘাস দেখে ভারত কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার ছাড়াই একাদশ সাজায়। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থবার তারা এমন সিদ্ধান্ত নিল।
ফিঞ্চ এবং হ্যারিস সকালের সেশনে ৬৬ রান তোলেন। লাঞ্চের পরপর জুটিতে শতরানও তুলে ফেলেন। শেষ ৪৬ ইনিংসে শতরান করা প্রথম উদ্বোধনী জুটি এই দুজনের। ‘লোকালবয়’ হ্যারিস দারুণ সব স্ট্রোকে গ্যালারি মাতিয়ে রাখেন। তিন বাউন্ডারির পর সামির বলে সিঙ্গেল নিয়ে অর্ধশতকে পা রাখেন।
ভারতীয় ফিল্ডাররা যখন ক্লান্ত, তখন তাদের মুখে হাসি ফোটান বুমরাহ। লাঞ্চের পরে প্রথম ওভারে আঘাত হানেন। সদ্য অর্ধশতকে পা রাখা ফিঞ্চকে সাজঘরে ফেরান। ১০৫টি বল খেলে যান তিনি। প্রথম ব্রেক-থ্রুর পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ভারতীয় বোলাররা। তিনে নামা উসমান খাওয়াজাকে ফেরান উমেশ যাদব। শুরু থেকে ধুঁকতে থাকা এই ব্যাটসম্যান ৩৮ বলে পাঁচ রান করে যান।
ভারত তৃতীয় উইকেটের দেখা পায় হানুমা বিহারির কাছ থেকে। পার্ট-টাইম এই স্পিনার অধিনায়ক কোহলিকে ভালো সাহায্য করেছেন। তার হাইবাউন্স ডেলিভারিতে ভড়কে যান হ্যারিস। ধরা পড়েন প্রথম স্লিপে অপেক্ষায় থাকা আজিঙ্কা রাহানের হাতে। চা বিরতির আগে শন মার্শ কয়েকটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেশনটি গেছে ভারতের পক্ষে। এই সময়ে আরও তিনটি উইকেট তুলে নেয় তারা।
হ্যান্ডসকমকে ফিরতে হয় কোহলির ম্যাজিক ক্যাচে। ব্যাক অব লেংথে করা ইশান্ত শর্মার ডেলিভারিতে ব্যাট দিলে কানা ছুঁয়ে দ্বিতীয় স্লিপের উপর দিয়ে চলে যেতে থাকে বল। বিরাট কোহলি কোনোমতে সেটি হাতে নিতে সক্ষম হন।
এরপর মার্শ এবং হেড পঞ্চম উইকেটে ৮৪ রান যোগ করে আবার ম্যাচে ফিরে আসেন। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন দুজনে। ৬৭তম ওভারে মার্শকে ফেরানোর সুযোগ পান বিহারি। কিন্তু উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থ ক্যাচ মিস করলে ভারতের চিন্তা বেড়ে যায়। জীবন পেয়ে আরও ১০ ওভার ব্যাট করেন বাঁহাতি মার্শ। শেষ বিকেলে কাট করতে গিয়ে স্লিপে রাহানের হাতে ধরা পড়েন। শেষ উইকেটটি পান ইশান্ত শর্মা। হেডের (৫৮) জোরালো ড্রাইভ থার্ডম্যানে সামির হাতে চলে যায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৭৭/৬ (হ্যারিস ৭০, ফিঞ্চ ৫০, খাওয়াজা ৫, মার্শ ৪৫, হ্যান্ডসকম ৭, হেড ৫৮, পেইন ১৬*, কামিন্স ১১*; ইশান্ত ২/৩৫, বুমরাহ ১/৪১, উমেশ ১/৬৮, শামি ০/৬৩, বিহারি ২/৫৩, বিজয় ০/১০)।