মাশরাফীর বিকল্প এখনো তৈরি হয়নি: পাইলট
তোফায়েল আহমেদ রবিন | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৭:৩৭
খালেদ মাসুদ পাইলট। ছবি: ফেসবুক
ক্রিকেটে ২০১৮ সালটা বাংলাদেশ কাটিয়েছে দারুণ। পরিসংখ্যানে অন্তত সেই সাক্ষ্য মিলে। ফেলে আসা বছরের এই সাফল্যকেই নতুন বছরের সবচেয়ে বড় প্রেরণা মনে করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। নতুন বছরে বিদেশের মাটিতেও বাংলাদেশ ভালো করুক, এমনটাই প্রত্যাশা তার। দেশ রূপান্তরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক এই তারকা কথা বলেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে নিয়েও।
২০১৮ সালে ঘরে ও ঘরের বাইরে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। দু-দুটি আসরে ট্রফি জয়ের খুব কাছ থেকে ফিরেছে অবশ্য। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ ও শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল প্রাপ্তির তালিকায় উপরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জিতেছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। একই দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতে বছর শেষ করেছে বাংলাদেশ।
কখনো কখনো দুঃস্বপ্ন ভর করলেও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা। খারাপ সময় জেঁকে বসতে পারেনি কখনো। নতুন বছরে যখন সব নতুন উদ্যমে শুরুর পালা, তখন খালেদ মাসুদ পাইলট ফেলে আসা বছরের সাফল্যকে দেখছেন গুরুত্ব দিয়ে।
সাবেক এই তারকা দেশ রূপান্তরকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘২০১৮ সালের খুব ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে ২০১৯ সাল শুরু করবে বাংলাদেশ। আমার কাছে এটাই মনে হয় সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। কারণ ক্রিকেট খেলায় আত্মবিশ্বাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’’
উদাহরণ টানেন এক সময়ের এশিয়ার সেরা উইকেটরক্ষক, ‘‘শ্রীলঙ্কা দল যে অবস্থায় এখন, কারও সঙ্গে জিততে পারে না। না জিততে জিততে ওরা এমন একটা অবস্থায়, সব খেলাতেই হেরে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দলের বিষয়টা ঠিক উল্টো। জিততে জিততে বাংলাদেশ দলের এই আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে যে, যেকোনো দলকে হারিয়ে দিতে পারি। ম্যাচ জয়ের অভ্যাস বাংলাদেশ দল তৈরি করেছে। এটাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।’’
তিন ফরম্যাট মিলে ফেলে আসা বছরে ৪৪ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যা নিজেদের ইতিহাসে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ। এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের (নিজেদের ইতিহাসে) রেকর্ডও গড়েছে টাইগাররা। তিন ফরম্যাট মিলে জিতেছে ২১ ম্যাচ। ৩টি টেস্ট, ১৩টি ওয়ানডে ও ৫টি টি-টোয়েন্টি জয় করে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও উজ্জ্বল ছিলেন মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান, নাঈম হাসানরা। ২০১৯ সাল যখন আক্ষরিক অর্থে বিশ্বকাপের বছর, তখন এই সাফল্যগুলো তো আলাদা গুরুত্ব বহন করেই।
তবে মে’র শেষে শুরু হবে বিশ্বকাপ। তার আগেও বেশ কিছু মিশন রয়েছে বাংলাদেশের। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফর হবে বড় পরীক্ষা।
পাইলট বলছেন, ‘‘বিশ্বকাপ এ বছরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিশ্বকাপ একটু দূরে আছে। সামনেই বিপিএল, এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে দল। নিউজিল্যান্ড সফরটা এবার আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরে আমরা ভালো করব আমার বিশ্বাস। ওই কন্ডিশনে একটু আগে যাবে বাংলাদেশ দল। প্রতিটি সময়ই সেখানে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।’’
২০১৯ সালে দেশের বাইরে রয়েছে বেশ কিছু সিরিজ। ঘরে নিজেদের শক্তি প্রতিষ্ঠার পর এবার বিদেশের মাটিতে নিজেদের উন্নতির ছাপ প্রমাণের কথা বলছেন বর্তমানে কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকা পাইলট। তার মতে, ‘‘নতুন বছরে বাংলাদেশ প্রচুর অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। আমরা হোমে খুব ভালো করেছি। এ বছরটাতে অ্যাওয়ে সিরিজগুলোতে কতখানি ভালো করা যায় এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিগত অ্যাওয়ে ম্যাচ আর এ বছরের অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোর মধ্যে উন্নতি ফোটে উঠলে সেটা হবে দারুণ ব্যাপার।’’
২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া পাইলট যোগ করে বলেন, ‘‘আশা করি যে বাংলাদেশ দল হোমে যে ফলাফল করেছে সেটার কাছাকাছি যেন বিদেশের মাটিতেও করতে পারে। একেবারে সমান সমান হয়তো হবে না। কাছাকাছি যদি করতে পারে সেটাই আমাদের জন্য প্রাপ্তি হবে।’’
তবে বিদেশের মাটিতে সিরিজগুলোকে সামনে রেখে সেভাবেই পরিকল্পনা করা উচিত বলে মনে করেন পাইলট। সাবেক এই অধিনায়কের পরামর্শ, ‘‘যেহেতু বাইরে ম্যাচ খেলবে, ঘরে যেন সে ধরনের এনভায়রনমেন্ট তৈরি করা হয়। তাহলে বাইরে গিয়ে মানিয়ে নিতে সহজ হবে।’’
সিনিয়র ক্রিকেটারদের দারুণ ছন্দে থাকা, সাকিব-তামিমের ইনজুরি থেকে খেলায় ফেরাকেও বড় প্রাপ্তি মানেন পাইলট, ‘‘আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট যে আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়রা অনেক ভালো ফর্মে আছে। তামিম ও সাকিব ইনজুরি থেকে ব্যাক করেছে।’’
তবে নতুন বছরে অনেক বড় এক তারকাকে হয়তো বিদায় জানাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বিশ্বকাপের পর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পারেন সদ্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। পাইলট তার বিশ্লেষণে সেই প্রসঙ্গও টানলেন, ‘‘একজনকে মিস করব। তিনি- মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। কারণ বিশ্বকাপের পর সে হয়তো নাও খেলতে পারে। ইতিমধ্যে সেরকম ঘোষণাও দিয়েছে যে বিশ্বকাপের পর অবসরে যাবে।’’
‘‘মাশরাফীর নেতৃত্ব অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মাশরাফীর দলের সঙ্গে থাকা শুধু একজন সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে থাকা নয়। সে যে দশ ওভার বোলিং করে, আমাদের যতই ভালো বোলার বের হোক না কেন, মাশরাফীর বিকল্প এখনো তৈরি হয়নি।’’
তবে সাকিব আল হাসান অনেক বেশি পরিণত বলেই নেতার জায়গাটা নিয়ে চিন্তিত নন পাইলট। তার আশা নতুন বছরটা আরো একটি সাফল্য রাঙা বছর হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
তোফায়েল আহমেদ রবিন | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৭:৩৭

ক্রিকেটে ২০১৮ সালটা বাংলাদেশ কাটিয়েছে দারুণ। পরিসংখ্যানে অন্তত সেই সাক্ষ্য মিলে। ফেলে আসা বছরের এই সাফল্যকেই নতুন বছরের সবচেয়ে বড় প্রেরণা মনে করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। নতুন বছরে বিদেশের মাটিতেও বাংলাদেশ ভালো করুক, এমনটাই প্রত্যাশা তার। দেশ রূপান্তরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক এই তারকা কথা বলেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে নিয়েও।
২০১৮ সালে ঘরে ও ঘরের বাইরে সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। দু-দুটি আসরে ট্রফি জয়ের খুব কাছ থেকে ফিরেছে অবশ্য। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ ও শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল প্রাপ্তির তালিকায় উপরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জিতেছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। একই দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতে বছর শেষ করেছে বাংলাদেশ।

কখনো কখনো দুঃস্বপ্ন ভর করলেও আবার ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা। খারাপ সময় জেঁকে বসতে পারেনি কখনো। নতুন বছরে যখন সব নতুন উদ্যমে শুরুর পালা, তখন খালেদ মাসুদ পাইলট ফেলে আসা বছরের সাফল্যকে দেখছেন গুরুত্ব দিয়ে।
সাবেক এই তারকা দেশ রূপান্তরকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘২০১৮ সালের খুব ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে ২০১৯ সাল শুরু করবে বাংলাদেশ। আমার কাছে এটাই মনে হয় সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। কারণ ক্রিকেট খেলায় আত্মবিশ্বাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’’
উদাহরণ টানেন এক সময়ের এশিয়ার সেরা উইকেটরক্ষক, ‘‘শ্রীলঙ্কা দল যে অবস্থায় এখন, কারও সঙ্গে জিততে পারে না। না জিততে জিততে ওরা এমন একটা অবস্থায়, সব খেলাতেই হেরে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দলের বিষয়টা ঠিক উল্টো। জিততে জিততে বাংলাদেশ দলের এই আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে যে, যেকোনো দলকে হারিয়ে দিতে পারি। ম্যাচ জয়ের অভ্যাস বাংলাদেশ দল তৈরি করেছে। এটাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।’’

তিন ফরম্যাট মিলে ফেলে আসা বছরে ৪৪ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যা নিজেদের ইতিহাসে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ। এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের (নিজেদের ইতিহাসে) রেকর্ডও গড়েছে টাইগাররা। তিন ফরম্যাট মিলে জিতেছে ২১ ম্যাচ। ৩টি টেস্ট, ১৩টি ওয়ানডে ও ৫টি টি-টোয়েন্টি জয় করে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও উজ্জ্বল ছিলেন মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান, নাঈম হাসানরা। ২০১৯ সাল যখন আক্ষরিক অর্থে বিশ্বকাপের বছর, তখন এই সাফল্যগুলো তো আলাদা গুরুত্ব বহন করেই।
তবে মে’র শেষে শুরু হবে বিশ্বকাপ। তার আগেও বেশ কিছু মিশন রয়েছে বাংলাদেশের। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফর হবে বড় পরীক্ষা।
পাইলট বলছেন, ‘‘বিশ্বকাপ এ বছরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিশ্বকাপ একটু দূরে আছে। সামনেই বিপিএল, এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে দল। নিউজিল্যান্ড সফরটা এবার আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরে আমরা ভালো করব আমার বিশ্বাস। ওই কন্ডিশনে একটু আগে যাবে বাংলাদেশ দল। প্রতিটি সময়ই সেখানে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।’’
২০১৯ সালে দেশের বাইরে রয়েছে বেশ কিছু সিরিজ। ঘরে নিজেদের শক্তি প্রতিষ্ঠার পর এবার বিদেশের মাটিতে নিজেদের উন্নতির ছাপ প্রমাণের কথা বলছেন বর্তমানে কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকা পাইলট। তার মতে, ‘‘নতুন বছরে বাংলাদেশ প্রচুর অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। আমরা হোমে খুব ভালো করেছি। এ বছরটাতে অ্যাওয়ে সিরিজগুলোতে কতখানি ভালো করা যায় এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিগত অ্যাওয়ে ম্যাচ আর এ বছরের অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোর মধ্যে উন্নতি ফোটে উঠলে সেটা হবে দারুণ ব্যাপার।’’

২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া পাইলট যোগ করে বলেন, ‘‘আশা করি যে বাংলাদেশ দল হোমে যে ফলাফল করেছে সেটার কাছাকাছি যেন বিদেশের মাটিতেও করতে পারে। একেবারে সমান সমান হয়তো হবে না। কাছাকাছি যদি করতে পারে সেটাই আমাদের জন্য প্রাপ্তি হবে।’’
তবে বিদেশের মাটিতে সিরিজগুলোকে সামনে রেখে সেভাবেই পরিকল্পনা করা উচিত বলে মনে করেন পাইলট। সাবেক এই অধিনায়কের পরামর্শ, ‘‘যেহেতু বাইরে ম্যাচ খেলবে, ঘরে যেন সে ধরনের এনভায়রনমেন্ট তৈরি করা হয়। তাহলে বাইরে গিয়ে মানিয়ে নিতে সহজ হবে।’’
সিনিয়র ক্রিকেটারদের দারুণ ছন্দে থাকা, সাকিব-তামিমের ইনজুরি থেকে খেলায় ফেরাকেও বড় প্রাপ্তি মানেন পাইলট, ‘‘আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট যে আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়রা অনেক ভালো ফর্মে আছে। তামিম ও সাকিব ইনজুরি থেকে ব্যাক করেছে।’’

তবে নতুন বছরে অনেক বড় এক তারকাকে হয়তো বিদায় জানাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বিশ্বকাপের পর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পারেন সদ্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। পাইলট তার বিশ্লেষণে সেই প্রসঙ্গও টানলেন, ‘‘একজনকে মিস করব। তিনি- মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। কারণ বিশ্বকাপের পর সে হয়তো নাও খেলতে পারে। ইতিমধ্যে সেরকম ঘোষণাও দিয়েছে যে বিশ্বকাপের পর অবসরে যাবে।’’
‘‘মাশরাফীর নেতৃত্ব অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মাশরাফীর দলের সঙ্গে থাকা শুধু একজন সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে থাকা নয়। সে যে দশ ওভার বোলিং করে, আমাদের যতই ভালো বোলার বের হোক না কেন, মাশরাফীর বিকল্প এখনো তৈরি হয়নি।’’
তবে সাকিব আল হাসান অনেক বেশি পরিণত বলেই নেতার জায়গাটা নিয়ে চিন্তিত নন পাইলট। তার আশা নতুন বছরটা আরো একটি সাফল্য রাঙা বছর হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।