এখনো ভয় আর চাপেই শেষ বাংলাদেশ!
অনলাইন ডেস্ক | ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২০:৪৬
ছবি: বিসিবি
টেস্ট ক্রিকেটে ১৯ বছর হতে চলল বাংলাদেশের পথচলার। অথচ খেলাটার সঙ্গে এখনো মানিয়েই নিতে পারেনি বাংলাদেশ! আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান চট্টগ্রাম টেস্ট আবারো কথাটা জানান দিয়ে যাচ্ছে। তুলে দিচ্ছে নানা প্রশ্ন। ২০১৭ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর যে দলটা মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলছে, সেই দলটার সঙ্গে কিনা লড়াই-ই করতে পারছে না সাকিব আল হাসানরা।
রবিবার ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে নিশ্চিত পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছে টাইগারদের। ৪ উইকেট হাতে রেখে শেষ দিনে আরো ২৬২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে এখন আছেন কেবল সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার। বৃষ্টির সাহায্য ছাড়া এই টেস্ট বাঁচানোর পথ কি?
পথ আছে। অবিশ্বাস্য কিছু করা। কিন্তু যারা সাধারণ কাজটাই করতে পারে না, অবিশ্বাস্য কিছু কীভাবে করবেন তারা? রবিবার দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব আল হাসান তো স্বীকার করে নিলেন এখনো ভয় আর চাপেই পিষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশ দল।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে অনেক কিছু নিয়েই প্রশ্ন শুনতে হলো সাকিবকে। উত্তরও দিয়ে গেলেন তিনি। অনেক ক্ষেত্রে মজাও করলেন। যেন নির্ভার এক অধিনায়ক। কিন্তু আসলেই কি নির্ভার তিনি। ওভার অল দলের সমস্যা কোথায় এমন প্রশ্নের উত্তরে যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, তা সবাইকে হতাশই করবে।
সাকিব বলছেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা অনেক ভয় নিয়ে খেলি, অনেক প্রেশার নিয়ে খেলি। আসলে দিন শেষে এটা ক্রিকেট ম্যাচ। অবশ্যই জরুরি আমাদের জন্য, কিন্তু দুনিয়ার সবকিছুই এটা না। কিন্তু আমরা অনেক সময় এ রকম ভেবে যেটা করি যে, এত বেশি প্রেশার নিয়ে ফেলি নিজেদের ওপরে পারফর্ম করা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়। যখন করতে পারি না তখন প্রেশারটা আরও বেশি পড়ে।’
আফগানদের বিপক্ষে অল স্পিন অ্যাটাক নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। তবে ভয় ছিল আফগানিস্তানের স্পিনারদের নিয়েও। সত্যি হয়েছে সেটিই। রশিদ খান, জহির খান, কায়েস আহমেদ ও মোহাম্মদ নবীদের সেভাবে সামলাতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। সমস্যাটা মানসিকতায় না টেকনিকে?
সাকিবের দাবি, ‘দুইটাই বলতে পারেন। টেকনিক্যালি সমস্যাও বলতে পারেন। যেহেতু রিস্ট স্পিনার খেলি না। সেটা লেফট বা রাইট হ্যান্ডার দুইটাই আমাদের জন্য নতুন কিছু। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মানিয়ে নেওয়ার একটা ব্যাপার থাকবে এখানে। যদিও আমরা পরিকল্পনা করেছি, বা প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের যারা নেটে বোলার আছে, ওদের এনে আমরা প্র্যাকটিস করেছি। যতক্ষণ না আপনি ম্যাচ খেলছেন বা সাকসেসফুল হচ্ছেন, ততক্ষণ ওই প্র্যাকটিসটা খুব একটা কাজে আসবে না। যখন ওটা খেলার পরে ম্যাচে সাকসেসফুল হবেন তখন ওটা কাজে আসবে।’
তবে কারো অ্যাপ্রোচে সমস্যা ছিল এমনটা মানতে চান না সাকিব, ‘আমি বলব না কারও অ্যাপ্রোচে সমস্যা ছিল। আমি বলব এক্সিকিউশনে অনেক প্রবলেম। ওই বড় মন নিয়ে খেলা একটা প্রবলেম। আপনি এক্সিকিউট করতে না পারায় একটা প্রবলেম হচ্ছে। যখন আপনি ভয়ে ভয়ে মারতে যাবেন তখন এক্সিকিউশনে সমস্যা হবেই।’
কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে ১৯ বছর পার করে দিয়ে এখনো ভয় বা চাপ অর্থাৎ মনের রোগেই পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। তাহলে এই সময়ে কী শিখল বাংলাদেশ এই প্রশ্ন তো এসেই যায়।
শেয়ার করুন
অনলাইন ডেস্ক | ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২০:৪৬

টেস্ট ক্রিকেটে ১৯ বছর হতে চলল বাংলাদেশের পথচলার। অথচ খেলাটার সঙ্গে এখনো মানিয়েই নিতে পারেনি বাংলাদেশ! আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান চট্টগ্রাম টেস্ট আবারো কথাটা জানান দিয়ে যাচ্ছে। তুলে দিচ্ছে নানা প্রশ্ন। ২০১৭ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর যে দলটা মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলছে, সেই দলটার সঙ্গে কিনা লড়াই-ই করতে পারছে না সাকিব আল হাসানরা।
রবিবার ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে নিশ্চিত পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছে টাইগারদের। ৪ উইকেট হাতে রেখে শেষ দিনে আরো ২৬২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে এখন আছেন কেবল সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার। বৃষ্টির সাহায্য ছাড়া এই টেস্ট বাঁচানোর পথ কি?
পথ আছে। অবিশ্বাস্য কিছু করা। কিন্তু যারা সাধারণ কাজটাই করতে পারে না, অবিশ্বাস্য কিছু কীভাবে করবেন তারা? রবিবার দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব আল হাসান তো স্বীকার করে নিলেন এখনো ভয় আর চাপেই পিষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশ দল।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে অনেক কিছু নিয়েই প্রশ্ন শুনতে হলো সাকিবকে। উত্তরও দিয়ে গেলেন তিনি। অনেক ক্ষেত্রে মজাও করলেন। যেন নির্ভার এক অধিনায়ক। কিন্তু আসলেই কি নির্ভার তিনি। ওভার অল দলের সমস্যা কোথায় এমন প্রশ্নের উত্তরে যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, তা সবাইকে হতাশই করবে।
সাকিব বলছেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা অনেক ভয় নিয়ে খেলি, অনেক প্রেশার নিয়ে খেলি। আসলে দিন শেষে এটা ক্রিকেট ম্যাচ। অবশ্যই জরুরি আমাদের জন্য, কিন্তু দুনিয়ার সবকিছুই এটা না। কিন্তু আমরা অনেক সময় এ রকম ভেবে যেটা করি যে, এত বেশি প্রেশার নিয়ে ফেলি নিজেদের ওপরে পারফর্ম করা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়। যখন করতে পারি না তখন প্রেশারটা আরও বেশি পড়ে।’
আফগানদের বিপক্ষে অল স্পিন অ্যাটাক নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। তবে ভয় ছিল আফগানিস্তানের স্পিনারদের নিয়েও। সত্যি হয়েছে সেটিই। রশিদ খান, জহির খান, কায়েস আহমেদ ও মোহাম্মদ নবীদের সেভাবে সামলাতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। সমস্যাটা মানসিকতায় না টেকনিকে?
সাকিবের দাবি, ‘দুইটাই বলতে পারেন। টেকনিক্যালি সমস্যাও বলতে পারেন। যেহেতু রিস্ট স্পিনার খেলি না। সেটা লেফট বা রাইট হ্যান্ডার দুইটাই আমাদের জন্য নতুন কিছু। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মানিয়ে নেওয়ার একটা ব্যাপার থাকবে এখানে। যদিও আমরা পরিকল্পনা করেছি, বা প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের যারা নেটে বোলার আছে, ওদের এনে আমরা প্র্যাকটিস করেছি। যতক্ষণ না আপনি ম্যাচ খেলছেন বা সাকসেসফুল হচ্ছেন, ততক্ষণ ওই প্র্যাকটিসটা খুব একটা কাজে আসবে না। যখন ওটা খেলার পরে ম্যাচে সাকসেসফুল হবেন তখন ওটা কাজে আসবে।’
তবে কারো অ্যাপ্রোচে সমস্যা ছিল এমনটা মানতে চান না সাকিব, ‘আমি বলব না কারও অ্যাপ্রোচে সমস্যা ছিল। আমি বলব এক্সিকিউশনে অনেক প্রবলেম। ওই বড় মন নিয়ে খেলা একটা প্রবলেম। আপনি এক্সিকিউট করতে না পারায় একটা প্রবলেম হচ্ছে। যখন আপনি ভয়ে ভয়ে মারতে যাবেন তখন এক্সিকিউশনে সমস্যা হবেই।’
কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে ১৯ বছর পার করে দিয়ে এখনো ভয় বা চাপ অর্থাৎ মনের রোগেই পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। তাহলে এই সময়ে কী শিখল বাংলাদেশ এই প্রশ্ন তো এসেই যায়।