গোলাপি বলের অভিষেকে বাংলাদেশের বিবর্ণ দিন
অনলাইন ডেস্ক | ২২ নভেম্বর, ২০১৯ ২১:১৫
হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বলে দিশেহারা। সুইংয়ের মুখে অসহায় আত্মসমর্পণ। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম ডে-নাইট টেস্ট খেলতে নেমে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার সারাংশ এই দুই লাইন। সঙ্গে বাড়তি বোঝা একদিনের ভেতর ৩ উইকেটে ৬৮ রানের লিড!
উইকেটে হালকা ঘাস ছিল, তবে সেটি আহামরি কিছু নয়। এমন উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মুমিনুল হক। ইশান্ত শর্মার খুনে বোলিংয়ের সামনে সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে বুমেরাং। সম্বল ১০৬!
লম্বাদেহি ইশান্ত গত কয়েক বছরে লাইন-লেংথে যেমন উন্নতি করেছেন, তেমনি সুইংয়ে হয়েছেন দক্ষ। এদিন কোকাবুরার শক্ত গোলাপি বলের সুবিধা কাজে লাগিয়ে সুইং করিয়েছেন মনের আনন্দে। ২২ রান দিয়ে তুলে নেন ৫ উইকেট। ২৯ রানে দুটি উইকেট নেন উমেশ যাদব। দুটি মোহাম্মদ শামির।
বলার মতো স্কোর বাংলাদেশের কেউ করতে পারেননি। সাদমান ইসলাম (২৯), লিটন দাস (২৪) ও নাঈম (১৯) ছাড়া আর দুই অঙ্ক নেই। বাকিদের মধ্যে তিনজন আবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি-মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন এবং মুশফিকুর রহিম।
সন্ধ্যার আগে আগে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাট করতে নামে ভারত। শুরুতে দুই উইকেট তুলে নিয়ে সফরকারীরা ভারতকে চাপে ফেলার চেষ্টা করলেও দলটি দ্রুত লিড নিয়ে ফেলে। লিডের পথে অর্ধশতক হাঁকান চেতেশ্বর পূজারা। ৪০তম ওভারে আউট হওয়ার আগে খেলে যান দারুণ একটি ইনিংস। ৫৫ রানের ইনিংস ১০৫ বল পর্যন্ত লম্বা করে যান।
পূজারা ফেরার পরপর হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন বিরাট কোহলি। অজিঙ্কা রাহানেকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ৫৯ রানে অপরাজিত আছেন। রাহানে ২২ বল খেলে করেছেন ২৩ রান। ৮টি চার হাঁকাতে কোহলি খেলেছেন ৯৩ বল।
আল-আমিন হোসেন নিয়েছেন এক উইকেট। ইবাদত হোসেন দুটি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২২ নভেম্বর, ২০১৯ ২১:১৫

হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বলে দিশেহারা। সুইংয়ের মুখে অসহায় আত্মসমর্পণ। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম ডে-নাইট টেস্ট খেলতে নেমে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার সারাংশ এই দুই লাইন। সঙ্গে বাড়তি বোঝা একদিনের ভেতর ৩ উইকেটে ৬৮ রানের লিড!
উইকেটে হালকা ঘাস ছিল, তবে সেটি আহামরি কিছু নয়। এমন উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মুমিনুল হক। ইশান্ত শর্মার খুনে বোলিংয়ের সামনে সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে বুমেরাং। সম্বল ১০৬!
লম্বাদেহি ইশান্ত গত কয়েক বছরে লাইন-লেংথে যেমন উন্নতি করেছেন, তেমনি সুইংয়ে হয়েছেন দক্ষ। এদিন কোকাবুরার শক্ত গোলাপি বলের সুবিধা কাজে লাগিয়ে সুইং করিয়েছেন মনের আনন্দে। ২২ রান দিয়ে তুলে নেন ৫ উইকেট। ২৯ রানে দুটি উইকেট নেন উমেশ যাদব। দুটি মোহাম্মদ শামির।
বলার মতো স্কোর বাংলাদেশের কেউ করতে পারেননি। সাদমান ইসলাম (২৯), লিটন দাস (২৪) ও নাঈম (১৯) ছাড়া আর দুই অঙ্ক নেই। বাকিদের মধ্যে তিনজন আবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি-মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন এবং মুশফিকুর রহিম।
সন্ধ্যার আগে আগে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাট করতে নামে ভারত। শুরুতে দুই উইকেট তুলে নিয়ে সফরকারীরা ভারতকে চাপে ফেলার চেষ্টা করলেও দলটি দ্রুত লিড নিয়ে ফেলে। লিডের পথে অর্ধশতক হাঁকান চেতেশ্বর পূজারা। ৪০তম ওভারে আউট হওয়ার আগে খেলে যান দারুণ একটি ইনিংস। ৫৫ রানের ইনিংস ১০৫ বল পর্যন্ত লম্বা করে যান।
পূজারা ফেরার পরপর হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন বিরাট কোহলি। অজিঙ্কা রাহানেকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ৫৯ রানে অপরাজিত আছেন। রাহানে ২২ বল খেলে করেছেন ২৩ রান। ৮টি চার হাঁকাতে কোহলি খেলেছেন ৯৩ বল।
আল-আমিন হোসেন নিয়েছেন এক উইকেট। ইবাদত হোসেন দুটি।