চার মাসে যেভাবে সিংহাসনচ্যুত কোহলি
অনলাইন ডেস্ক | ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:৩৩
বিরাট কোহলি।
প্রথমে স্বেচ্ছায় টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়া। এরপর ওয়ানডের অধিনায়কত্ব হারানো। সবশেষ শনিবার সন্ধ্যায় টুইট করে বিরাট কোহলি জানিয়ে দিলেন, তিনি ভারতের টেস্ট দলেরও নেতৃত্বে থাকছেন না।
গত চার মাসে একে একে তিন ফরম্যাটেই ভারতের নেতৃত্ব সরে গেল কোহলির কাঁধ থেকে।
যেভাবে ঘটল ব্যাপারগুলো, তা দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে-
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
কোহলি টুইট করে জানান, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে তিনি এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে আর অধিনায়কত্ব করবেন না। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করবেন বলে জানিয়ে দেন। দেশের মাটিতে ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছুক ছিলেন।
৭ নভেম্বর, ২০২১
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় ভারত। শেষ চারে উঠতে পারেনি কোহলির নেতৃত্বাধীন দল। এরপরই ভারতীয় বোর্ড মোটামুটি ঠিক করে ফেলে, ওয়ানডে ক্রিকেটেও কোহলিকে আর অধিনায়ক রাখা হবে না।
৮ ডিসেম্বর, ২০২১
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ভারতের ওয়ানডে দল ঘোষিত হয়। রোহিত শর্মা নতুন অধিনায়ক হন। তার আগে টেস্ট দল ঘোষণার সময়ই বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল, সাদা বলের ক্রিকেটে তারা একজন অধিনায়কই চায়। তাই কোহলিকে আর এক দিনের ক্রিকেটের অধিনায়ক রাখা হবে না।
১১ ডিসেম্বর, ২০২১
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি জানান, তিনি সেপ্টেম্বরে ব্যক্তিগত ভাবে কোহলিকে বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব না ছাড়তে। কারণ বিসিসিআই চায় না, সাদা বলের ক্রিকেটে দুজন অধিনায়ক থাকুক।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২১
দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেন, কেউ তাকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব না ছাড়ার অনুরোধ করেননি। সৌরভের বক্তব্যের সম্পূর্ণ উল্টো সুর শোনা যায় কোহলির গলায়।
এমনকি সৌরভ যেখানে বলেছিলেন, এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো নিয়ে কোহলির সঙ্গে তার কথা হয়েছে। সেখানে কোহলি বলে দেন, দল নির্বাচনের মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে তাকে জানানো হয়েছে, তাকে আর অধিনায়ক রাখা হবে না। পাঁচ নির্বাচক তাকে ফোনে এই কথা জানিয়েছিলেন।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২১
ভারতের নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান চেতন শর্মাকে সংবাদ সম্মেলনে পাঠানো হয়। চেতনও কোহলির বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করেন। বলেন, শুধু সৌরভ নন, সেই সভায় থাকা প্রত্যেকে কোহলিকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য বলেছিলেন।
১৪ জানুয়ারি, ২০২২
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে কেপ টাউন টেস্টে হেরে সিরিজও হারে ভারত। কোহলিকে স্টাম্প ক্যামেরার সামনে এসে মাথা গরম করতে দেখা যায়।
১৫ জানুয়ারি, ২০২২
সন্ধ্যায় টুইট করে কোহলি জানিয়ে দেন, তিনি আর টেস্ট ক্রিকেটেও অধিনায়ক থাকছেন না।
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মাঝ পথে মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছ থেকে টেস্টের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন কোহলি। পরে অন্য দুই ফরম্যাটেও অধিনায়ক হন। সেই কোহলি যুগের অবসান হয়ে যায় এদিন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:৩৩

প্রথমে স্বেচ্ছায় টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়া। এরপর ওয়ানডের অধিনায়কত্ব হারানো। সবশেষ শনিবার সন্ধ্যায় টুইট করে বিরাট কোহলি জানিয়ে দিলেন, তিনি ভারতের টেস্ট দলেরও নেতৃত্বে থাকছেন না।
গত চার মাসে একে একে তিন ফরম্যাটেই ভারতের নেতৃত্ব সরে গেল কোহলির কাঁধ থেকে।
যেভাবে ঘটল ব্যাপারগুলো, তা দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে-
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
কোহলি টুইট করে জানান, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে তিনি এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে আর অধিনায়কত্ব করবেন না। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করবেন বলে জানিয়ে দেন। দেশের মাটিতে ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছুক ছিলেন।
৭ নভেম্বর, ২০২১
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় ভারত। শেষ চারে উঠতে পারেনি কোহলির নেতৃত্বাধীন দল। এরপরই ভারতীয় বোর্ড মোটামুটি ঠিক করে ফেলে, ওয়ানডে ক্রিকেটেও কোহলিকে আর অধিনায়ক রাখা হবে না।
৮ ডিসেম্বর, ২০২১
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ভারতের ওয়ানডে দল ঘোষিত হয়। রোহিত শর্মা নতুন অধিনায়ক হন। তার আগে টেস্ট দল ঘোষণার সময়ই বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল, সাদা বলের ক্রিকেটে তারা একজন অধিনায়কই চায়। তাই কোহলিকে আর এক দিনের ক্রিকেটের অধিনায়ক রাখা হবে না।
১১ ডিসেম্বর, ২০২১
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি জানান, তিনি সেপ্টেম্বরে ব্যক্তিগত ভাবে কোহলিকে বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব না ছাড়তে। কারণ বিসিসিআই চায় না, সাদা বলের ক্রিকেটে দুজন অধিনায়ক থাকুক।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২১
দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেন, কেউ তাকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব না ছাড়ার অনুরোধ করেননি। সৌরভের বক্তব্যের সম্পূর্ণ উল্টো সুর শোনা যায় কোহলির গলায়।
এমনকি সৌরভ যেখানে বলেছিলেন, এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো নিয়ে কোহলির সঙ্গে তার কথা হয়েছে। সেখানে কোহলি বলে দেন, দল নির্বাচনের মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে তাকে জানানো হয়েছে, তাকে আর অধিনায়ক রাখা হবে না। পাঁচ নির্বাচক তাকে ফোনে এই কথা জানিয়েছিলেন।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২১
ভারতের নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান চেতন শর্মাকে সংবাদ সম্মেলনে পাঠানো হয়। চেতনও কোহলির বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করেন। বলেন, শুধু সৌরভ নন, সেই সভায় থাকা প্রত্যেকে কোহলিকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য বলেছিলেন।
১৪ জানুয়ারি, ২০২২
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে কেপ টাউন টেস্টে হেরে সিরিজও হারে ভারত। কোহলিকে স্টাম্প ক্যামেরার সামনে এসে মাথা গরম করতে দেখা যায়।
১৫ জানুয়ারি, ২০২২
সন্ধ্যায় টুইট করে কোহলি জানিয়ে দেন, তিনি আর টেস্ট ক্রিকেটেও অধিনায়ক থাকছেন না।
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মাঝ পথে মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছ থেকে টেস্টের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন কোহলি। পরে অন্য দুই ফরম্যাটেও অধিনায়ক হন। সেই কোহলি যুগের অবসান হয়ে যায় এদিন।