তামিম-মাহমুদউল্লাহদের জিততে দিলেন না থিসারা-রনি
অনলাইন ডেস্ক | ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:৩২
রোমাঞ্চকর জয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর শুরু হলো খুলনা টাইগার্সের। উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে মিনিস্টার ঢাকাকে হারিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের কাছে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবালের ফিফটি ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের চমৎকার ক্যামিওতে ৬ উইকেটে ১৮৩ রান করে ঢাকা।
তবে বড় টার্গেট দিয়েও লাভ হয়নি মাহমুদউল্লাহদের। ৬ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা। রনি তালুকদারের দুর্দান্ত ফিফটি, আন্দ্রে ফ্লেচার ও থিসারা পেরেরার ঝোড়ো ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৮৬ রান করে তারা।
দীর্ঘদিন পর ব্যাট হাতে স্বরূপে দেখা গেছে তামিমকে। ঢাকার হয়ে ওপেনিংয়ে নেমে ফিফটি করেন বাংলাদেশের এই ড্যাশিং ওপেনার। তার ৪২ বলে ৫০ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চারে। ইনিংসের শুরুতে বড় ইনিংস খেলার আভাস দেন ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ও মোহাম্মদ শেহজাদ।
দুজনের জুটি ভাঙে দলীয় ৬৯ রানে। ২৭ বলে ৮ চারে ৪২ রানের ইনিংস খেলে রান-আউট হন আফগান ব্যাটার-উইকেটরক্ষক শেহজাদ। দলকে শতক পেরোনো স্কোর এনে দিয়ে বিদায় নেন তামিম।
মোহাম্মদ নাঈম (৯) ও আন্দ্রে রাসেল (৭) ব্যর্থ হলেও ব্যাটে ঝড় তোলেন মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের শেষ ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বির তৃতীয় শিকার হন তিনি। ঢাকার অধিনায়কের ২০ বলে ৩৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ২ চার ও ৩ ছয়ে।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে ওপেনার তানজিদ হাসানকে (২) হারালেও খুলনার রান সচল রাখেন ওপেনার ফ্লেচার ও রনি। দুজনের ৭২ রানের জুটি ভাঙেন রাসেল। ২৩ বলে ৪৫ রান করে বিদায় নেন ফ্লেচার। বেশিক্ষণ টিকেননি অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক মুশফিকও (৬)।
তবে উল্টো আক্রমণে ফিফটি তুলে নেন রনি। এবাদতের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে বোল্ড হওয়ার আগে ৪২ বলে ২ ছয় ৭ চারে ৬১ রান করেন তিনি। দোদুল্যমান ম্যাচটির ভাগ্য গড়ে দেন থিসারা। শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার ১৮ বলে ৬ চারে খেলেন ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। মাহেদি হাসানের (১২) সঙ্গে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন থিসারা। ম্যাচ সেরা হয়েছেন রনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:৩২

রোমাঞ্চকর জয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর শুরু হলো খুলনা টাইগার্সের। উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে মিনিস্টার ঢাকাকে হারিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের কাছে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবালের ফিফটি ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের চমৎকার ক্যামিওতে ৬ উইকেটে ১৮৩ রান করে ঢাকা।
তবে বড় টার্গেট দিয়েও লাভ হয়নি মাহমুদউল্লাহদের। ৬ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা। রনি তালুকদারের দুর্দান্ত ফিফটি, আন্দ্রে ফ্লেচার ও থিসারা পেরেরার ঝোড়ো ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৮৬ রান করে তারা।
দীর্ঘদিন পর ব্যাট হাতে স্বরূপে দেখা গেছে তামিমকে। ঢাকার হয়ে ওপেনিংয়ে নেমে ফিফটি করেন বাংলাদেশের এই ড্যাশিং ওপেনার। তার ৪২ বলে ৫০ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চারে। ইনিংসের শুরুতে বড় ইনিংস খেলার আভাস দেন ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ও মোহাম্মদ শেহজাদ।
দুজনের জুটি ভাঙে দলীয় ৬৯ রানে। ২৭ বলে ৮ চারে ৪২ রানের ইনিংস খেলে রান-আউট হন আফগান ব্যাটার-উইকেটরক্ষক শেহজাদ। দলকে শতক পেরোনো স্কোর এনে দিয়ে বিদায় নেন তামিম।
মোহাম্মদ নাঈম (৯) ও আন্দ্রে রাসেল (৭) ব্যর্থ হলেও ব্যাটে ঝড় তোলেন মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের শেষ ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বির তৃতীয় শিকার হন তিনি। ঢাকার অধিনায়কের ২০ বলে ৩৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ২ চার ও ৩ ছয়ে।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে ওপেনার তানজিদ হাসানকে (২) হারালেও খুলনার রান সচল রাখেন ওপেনার ফ্লেচার ও রনি। দুজনের ৭২ রানের জুটি ভাঙেন রাসেল। ২৩ বলে ৪৫ রান করে বিদায় নেন ফ্লেচার। বেশিক্ষণ টিকেননি অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক মুশফিকও (৬)।
তবে উল্টো আক্রমণে ফিফটি তুলে নেন রনি। এবাদতের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে বোল্ড হওয়ার আগে ৪২ বলে ২ ছয় ৭ চারে ৬১ রান করেন তিনি। দোদুল্যমান ম্যাচটির ভাগ্য গড়ে দেন থিসারা। শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার ১৮ বলে ৬ চারে খেলেন ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। মাহেদি হাসানের (১২) সঙ্গে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন থিসারা। ম্যাচ সেরা হয়েছেন রনি।