বিপর্যয় সামলে সেঞ্চুরি করলেন মুশফিকও
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ মে, ২০২২ ১৬:৫৬
রমেশ মেন্ডিসের বল কাভার পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে দৌড় দিলেন মুশফিকুর রহিম। এরপর মেতে উঠলেন সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাসে। দলের বিপর্যয় সামলে টেস্ট ক্যারিয়ারে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ সেঞ্চুরি পেলেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০৫ রানের ইনিংস খেলার পথে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের মাইলফলকে পা রেখেছিলেন তিনি। এবার ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসেও পেলেন তিন অঙ্কের দেখা। টেস্টে এটি তার ৯ম সেঞ্চুরি। ২১৮ বলে ১১ চারে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন মুশফিক। এর আগে তৃতীয় সেশনে এসে তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান উইকেটরক্ষক লিটন দাস।
ঢাকা টেস্টের শুরুতে যে দুঃস্বপ্ন ঘিরে ধরেছিল বাংলাদেশকে, সকালেই কালো মেঘ ভর করেছিল মিরপুরের আকাশে— তা কেটে গেছে। আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে মিরপুরের আকাশকে ফের আলোতে ভরিয়ে দিলেন মুশফিক ও লিটন।
দু’জনে ইতোমধ্যে গড়েছেন ২৩০ রানের জুটি। যা বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেটে প্রথম দুইশ’ পেরোনো জুটি। মধ্যাহ্নভোজ থেকে ফিরে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি উদ্যাপন করেন লিটন। এরপর ২৪তম টেস্ট ফিফটির দেখা পান মুশফিক। সেই ফিফটিকেই তারা নিয়ে গেলেন সেঞ্চুরিতে।
দুজনের ব্যাটিং দেখে অনুমান করায় কঠিন, সকালে মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে মুশফিক-লিটনের প্রতিরোধ। এরপর আর একটি উইকেটও পড়তে দিলেন না। দুজনের জুটিতে বিপর্যয় সামলে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান করেছে স্বাগতিকেরা। মুশফিক ১০৭ এবং লিটন ১২৭ রানে অপরাজিত আছেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনে টাইগারদের শুরুটা হয় বিভীষিকাময়। স্কোরবোর্ডে কোনো জমা করার আগেই পেসার কাসুন রাজিথার বলে বোল্ড মাহমুদুল হাসান জয়। সেখান থেকে ২৪ রানে নেই ৫ উইকেট।
আশিথা ফার্নান্দোর বলে শূন্য হাতে বিদায় নেন তামিম ইকবালও। দলের দুঃসময়ে ফের ব্যর্থ অধিনায়ক মুমিনুল হক (৯)। এরপর নাজমুল হাসান শান্তকে (৮) বোল্ড করেন রাজিথা। লঙ্কান পেসার নিজের তৃতীয় শিকার হিসেবে গোল্ডেন ডাক উপহার দেন সাকিব আল হাসানকে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ মে, ২০২২ ১৬:৫৬

রমেশ মেন্ডিসের বল কাভার পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে দৌড় দিলেন মুশফিকুর রহিম। এরপর মেতে উঠলেন সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাসে। দলের বিপর্যয় সামলে টেস্ট ক্যারিয়ারে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ সেঞ্চুরি পেলেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০৫ রানের ইনিংস খেলার পথে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের মাইলফলকে পা রেখেছিলেন তিনি। এবার ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসেও পেলেন তিন অঙ্কের দেখা। টেস্টে এটি তার ৯ম সেঞ্চুরি। ২১৮ বলে ১১ চারে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন মুশফিক। এর আগে তৃতীয় সেশনে এসে তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান উইকেটরক্ষক লিটন দাস।
ঢাকা টেস্টের শুরুতে যে দুঃস্বপ্ন ঘিরে ধরেছিল বাংলাদেশকে, সকালেই কালো মেঘ ভর করেছিল মিরপুরের আকাশে— তা কেটে গেছে। আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে মিরপুরের আকাশকে ফের আলোতে ভরিয়ে দিলেন মুশফিক ও লিটন।
দু’জনে ইতোমধ্যে গড়েছেন ২৩০ রানের জুটি। যা বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেটে প্রথম দুইশ’ পেরোনো জুটি। মধ্যাহ্নভোজ থেকে ফিরে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি উদ্যাপন করেন লিটন। এরপর ২৪তম টেস্ট ফিফটির দেখা পান মুশফিক। সেই ফিফটিকেই তারা নিয়ে গেলেন সেঞ্চুরিতে।
দুজনের ব্যাটিং দেখে অনুমান করায় কঠিন, সকালে মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে মুশফিক-লিটনের প্রতিরোধ। এরপর আর একটি উইকেটও পড়তে দিলেন না। দুজনের জুটিতে বিপর্যয় সামলে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান করেছে স্বাগতিকেরা। মুশফিক ১০৭ এবং লিটন ১২৭ রানে অপরাজিত আছেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনে টাইগারদের শুরুটা হয় বিভীষিকাময়। স্কোরবোর্ডে কোনো জমা করার আগেই পেসার কাসুন রাজিথার বলে বোল্ড মাহমুদুল হাসান জয়। সেখান থেকে ২৪ রানে নেই ৫ উইকেট।
আশিথা ফার্নান্দোর বলে শূন্য হাতে বিদায় নেন তামিম ইকবালও। দলের দুঃসময়ে ফের ব্যর্থ অধিনায়ক মুমিনুল হক (৯)। এরপর নাজমুল হাসান শান্তকে (৮) বোল্ড করেন রাজিথা। লঙ্কান পেসার নিজের তৃতীয় শিকার হিসেবে গোল্ডেন ডাক উপহার দেন সাকিব আল হাসানকে।