নিজেদের ম্যাচে জিতেও আক্ষেপ সঙ্গী বসুন্ধরার
সুদীপ্ত আনন্দ, কলকাতা থেকে | ২৫ মে, ২০২২ ০১:১৯
কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার উল্লাসে মাতার সুযোগ ছিল বসুন্ধরা কিংসের। তার জন্য প্রথম যে কাজ, গোকুলাম কেরালাকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেটা করে রেখেছিল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। এরপরের অপেক্ষাটা শেষ ম্যাচের ফলাফলের জন্য।
মাজিয়া সে ম্যাচে মোহনবাগানকে রুখে দিলেই হতো। সেটা হতে দেয়নি কলকাতা জায়ান্টাস। বসুন্ধরার জয়ে বিদায়ের হতাশা নিয়ে মাঠে নামা মাজিয়া মোহনবাগানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে ৫-২ গোলে। বসুন্ধরার মতো বাগানের সংগ্রহও ছয়।
তবে বসুন্ধরাকে হারানোর সুবাদে মোহনবাগান টানা দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপসেরা হয়ে পেয়েছে ইন্টার জোন প্লে-অফ সেমিফাইনালের টিকিট।
এএফএসির অদ্ভুত নিয়মে মোহনবাগান বাড়তি সুবিধে নিয়ে মাঠ নেমেছিল। মাজিয়ার জন্য সেই ম্যাচ হয়ে পড়েছিল নিছক আনুষ্ঠানিকতার। তারপরও লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল মালদ্বীপ সেরারা। মোহনবাগানের শক্তিশালী আক্রমণভাগ অবশ্য সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাজিয়ার জালে করেছে গোল উৎসব। জনি কাউকোর পা থেকে আসে জোড়া গোল, রয় কৃষ্ণা, শুভাশিষ বোস, কার্ল ম্যাকহগ করেছেন একটি করে গোল। মাজিয়ার হয়ে দুটি গোলই তানার।
এর আগের গল্পটার নায়ক রবসন রবিনহো। বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার কী খেলাটাই না খেললেন। বাগানের কাছে বড় হারের হতাশা ছাপিয়ে মোহনীয় ফুটবলে মাতিয়েছেন রবিনহো। চোখ ধাঁধানো ড্রিবলিংয়ে বারবার বাহবা কুড়িয়েছেন বাগানের ম্যাচ দেখতে আগেভাগেই গ্যালারিতে আসা সমর্থকদের। কারণ কিংসের জয়েই যে বাগানের সেরা হওয়ার পথ সুগম হয়। কিংস হেরে গেলে যে মাজিয়ার জায়গায় হতাশায় নিমজ্জিত হতে হতো স্বাগতিকদের।
রবিনহো ট্রেডমার্ক শটে দলের প্রথম গোলটা করেন। এরপর করিয়েছেন প্রথম ম্যাচে মাজিয়াকে হারানোর নায়ক নুহা মারংকে দিয়ে। শেষ দিকে জর্ডান ফ্লেচার এক গোল শোধ করলেও গোকুলামের হারের ব্যবধানটাই কেবল কমেছে।
কিংস কোচ ব্রুজন জয়ের লক্ষ্য পূরণে সন্তুষ্ট, 'আইলিগ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে আমরা সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছি। রবিনহো অনেক বড় মাপের খেলোয়াড়। সেই আসলে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সবাই তাকে সহযোগিতা করেছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল জয়ে শেষ করা। সেটা পেরেছি। বাকিটা তো আমাদের হাতে নেই।'
তিন ম্যাচের দু'টিতে জয়। তারপরও বসুন্ধরা দেশে ফিরবে মোহনবাগানের কাছ থেকে পাওয়া লজ্জায় সেরার স্বপ্ন লুটের আক্ষেপ নিয়ে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
সুদীপ্ত আনন্দ, কলকাতা থেকে | ২৫ মে, ২০২২ ০১:১৯

কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার উল্লাসে মাতার সুযোগ ছিল বসুন্ধরা কিংসের। তার জন্য প্রথম যে কাজ, গোকুলাম কেরালাকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেটা করে রেখেছিল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। এরপরের অপেক্ষাটা শেষ ম্যাচের ফলাফলের জন্য।
মাজিয়া সে ম্যাচে মোহনবাগানকে রুখে দিলেই হতো। সেটা হতে দেয়নি কলকাতা জায়ান্টাস। বসুন্ধরার জয়ে বিদায়ের হতাশা নিয়ে মাঠে নামা মাজিয়া মোহনবাগানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে ৫-২ গোলে। বসুন্ধরার মতো বাগানের সংগ্রহও ছয়।
তবে বসুন্ধরাকে হারানোর সুবাদে মোহনবাগান টানা দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপসেরা হয়ে পেয়েছে ইন্টার জোন প্লে-অফ সেমিফাইনালের টিকিট।
এএফএসির অদ্ভুত নিয়মে মোহনবাগান বাড়তি সুবিধে নিয়ে মাঠ নেমেছিল। মাজিয়ার জন্য সেই ম্যাচ হয়ে পড়েছিল নিছক আনুষ্ঠানিকতার। তারপরও লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল মালদ্বীপ সেরারা। মোহনবাগানের শক্তিশালী আক্রমণভাগ অবশ্য সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাজিয়ার জালে করেছে গোল উৎসব। জনি কাউকোর পা থেকে আসে জোড়া গোল, রয় কৃষ্ণা, শুভাশিষ বোস, কার্ল ম্যাকহগ করেছেন একটি করে গোল। মাজিয়ার হয়ে দুটি গোলই তানার।
এর আগের গল্পটার নায়ক রবসন রবিনহো। বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার কী খেলাটাই না খেললেন। বাগানের কাছে বড় হারের হতাশা ছাপিয়ে মোহনীয় ফুটবলে মাতিয়েছেন রবিনহো। চোখ ধাঁধানো ড্রিবলিংয়ে বারবার বাহবা কুড়িয়েছেন বাগানের ম্যাচ দেখতে আগেভাগেই গ্যালারিতে আসা সমর্থকদের। কারণ কিংসের জয়েই যে বাগানের সেরা হওয়ার পথ সুগম হয়। কিংস হেরে গেলে যে মাজিয়ার জায়গায় হতাশায় নিমজ্জিত হতে হতো স্বাগতিকদের।
রবিনহো ট্রেডমার্ক শটে দলের প্রথম গোলটা করেন। এরপর করিয়েছেন প্রথম ম্যাচে মাজিয়াকে হারানোর নায়ক নুহা মারংকে দিয়ে। শেষ দিকে জর্ডান ফ্লেচার এক গোল শোধ করলেও গোকুলামের হারের ব্যবধানটাই কেবল কমেছে।
কিংস কোচ ব্রুজন জয়ের লক্ষ্য পূরণে সন্তুষ্ট, 'আইলিগ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে আমরা সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছি। রবিনহো অনেক বড় মাপের খেলোয়াড়। সেই আসলে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সবাই তাকে সহযোগিতা করেছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল জয়ে শেষ করা। সেটা পেরেছি। বাকিটা তো আমাদের হাতে নেই।' তিন ম্যাচের দু'টিতে জয়। তারপরও বসুন্ধরা দেশে ফিরবে মোহনবাগানের কাছ থেকে পাওয়া লজ্জায় সেরার স্বপ্ন লুটের আক্ষেপ নিয়ে।