ইতিহাস গড়ে রোমাকে নতুন জীবন দিলেন মরিনহো
অনলাইন ডেস্ক | ২৬ মে, ২০২২ ১১:১৮
হোসে মরিনহো— নামটা জানে না এমন ফুটবল প্রেমী বিশ্বে নেই বললেই চলে। বিশ্বে ‘স্পেশাল ওয়ান’ কোচ তো একজনই।
রেকর্ড পাতা থেকে বিতর্কের খাতায়, কোথায় নেই মরিনহোর নাম? কোচিং ক্যারিয়ারে অসংখ্য অর্জন পর্তুগিজ কোচের। তবে মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখতে হয়েছে তাকে।
পোর্তো ও ইন্টার মিলানকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়ে ইতিহাস গড়া ৫৯ বছর বয়সী কোচ বরখাস্ত হয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। টটেনহামে গিয়েও থাকতে পারেননি বেশিদিন।
বেশ কয়েকদিন ‘বেকার’ থাকার পর মরিনহো ফেরেন ইতালিতে। দায়িত্ব নেন রোমা’র। আর প্রথম মৌসুমেই বাজিমাত। রোমাকে ইউরোপের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লাব টুর্নামেন্ট ইউরোপা কনফারেন্স লিগের ফাইনালের টিকিট এনে দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মরিনহো। যারা ভেবেছিল, তিনি ফুরিয়ে গেছেন, সে সব সমালোচকদের ফের জবাব দিলেন তিনি।
এবার আরেকবার কাঁদলেন মরিনহো। তবে এবারও তার সেই অশ্রু আনন্দের। জানিয়ে দিলেন, ফুরিয়ে যাননি। রোমাকে এনে দিলেন ইউরোপা কনফারেন্স লিগের প্রথম আসরের শিরোপা। ফাইনালে ডাচ ক্লাব ফেইনুর্দকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোমান গ্ল্যাডিয়েটররা।
রোমাকে নতুন জীবন দিয়ে অনন্য ইতিহাস গড়লেন মরিনহো। প্রথম কোচ হিসেবে ইউরোপিয়ান তিন লিগের শিরোপা জিতলেন তিনি। ২০০৪ সালে পোর্তো ও ২০১০ সালে ইন্টার মিলানের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ইউরোপা লিগ।
এবার রোমাকে এনে দিলেন ইউরোপা কনফারেন্স লিগের শিরোপা। মরিনহোর অধীনে প্রথম প্রধান ট্রফি জিতল ইতালিয়ান ক্লাবটি। পাঁচটি ইউরোপিয়ান ফাইনালের পাঁচটিতে জিতলেন মরিনহো। ২০০৩ সালে পোর্তোকে উয়েফা কাপও জিতিয়েছেন তিনি।
ইতিহাস গড়ার দিনে ফের মরিনহো বন্দনায় মেতেছে ফুটবল বিশ্ব। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক মিডফিল্ডার ওয়েন হারগ্রিভস বিটি স্পোর্টকে বলেন, ‘ফুটবল জয়ের এবং তাতে মরিনহোয় জেতেন। তিনি সিরিয়াল জয়ী। রোমাকে নতুন জীবন দিলেন মরিনহো।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৬ মে, ২০২২ ১১:১৮

হোসে মরিনহো— নামটা জানে না এমন ফুটবল প্রেমী বিশ্বে নেই বললেই চলে। বিশ্বে ‘স্পেশাল ওয়ান’ কোচ তো একজনই।
রেকর্ড পাতা থেকে বিতর্কের খাতায়, কোথায় নেই মরিনহোর নাম? কোচিং ক্যারিয়ারে অসংখ্য অর্জন পর্তুগিজ কোচের। তবে মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখতে হয়েছে তাকে।
পোর্তো ও ইন্টার মিলানকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়ে ইতিহাস গড়া ৫৯ বছর বয়সী কোচ বরখাস্ত হয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। টটেনহামে গিয়েও থাকতে পারেননি বেশিদিন।
বেশ কয়েকদিন ‘বেকার’ থাকার পর মরিনহো ফেরেন ইতালিতে। দায়িত্ব নেন রোমা’র। আর প্রথম মৌসুমেই বাজিমাত। রোমাকে ইউরোপের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লাব টুর্নামেন্ট ইউরোপা কনফারেন্স লিগের ফাইনালের টিকিট এনে দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মরিনহো। যারা ভেবেছিল, তিনি ফুরিয়ে গেছেন, সে সব সমালোচকদের ফের জবাব দিলেন তিনি।
এবার আরেকবার কাঁদলেন মরিনহো। তবে এবারও তার সেই অশ্রু আনন্দের। জানিয়ে দিলেন, ফুরিয়ে যাননি। রোমাকে এনে দিলেন ইউরোপা কনফারেন্স লিগের প্রথম আসরের শিরোপা। ফাইনালে ডাচ ক্লাব ফেইনুর্দকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোমান গ্ল্যাডিয়েটররা।
রোমাকে নতুন জীবন দিয়ে অনন্য ইতিহাস গড়লেন মরিনহো। প্রথম কোচ হিসেবে ইউরোপিয়ান তিন লিগের শিরোপা জিতলেন তিনি। ২০০৪ সালে পোর্তো ও ২০১০ সালে ইন্টার মিলানের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ইউরোপা লিগ।
এবার রোমাকে এনে দিলেন ইউরোপা কনফারেন্স লিগের শিরোপা। মরিনহোর অধীনে প্রথম প্রধান ট্রফি জিতল ইতালিয়ান ক্লাবটি। পাঁচটি ইউরোপিয়ান ফাইনালের পাঁচটিতে জিতলেন মরিনহো। ২০০৩ সালে পোর্তোকে উয়েফা কাপও জিতিয়েছেন তিনি।
ইতিহাস গড়ার দিনে ফের মরিনহো বন্দনায় মেতেছে ফুটবল বিশ্ব। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক মিডফিল্ডার ওয়েন হারগ্রিভস বিটি স্পোর্টকে বলেন, ‘ফুটবল জয়ের এবং তাতে মরিনহোয় জেতেন। তিনি সিরিয়াল জয়ী। রোমাকে নতুন জীবন দিলেন মরিনহো।’