হারের পর মাহমুদউল্লাহর আফসোস
অনলাইন ডেস্ক | ৪ জুলাই, ২০২২ ১০:২৭
সময় ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। ফেরিতে জীবন বাজি রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ডমিনিকায় গেছে টাইগাররা। কিন্তু ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করার পর যেন ঝিমিয়ে পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।
বলতে গেলে, সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বেছে গেছে বাংলাদেশ। অনেক অপেক্ষার পর ১৩ ওভারে নেমে আসা বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটিতে ৮ উইকেটে ১০৫ রান করে টাইগাররা। তবে শেষপর্যন্ত ম্যাচটি বাতিল হয়ে যায়। বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় রান তাড়া করতে নামেনি ক্যারিবীয়রা।
তবে উইন্ডসর পার্কে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং তাণ্ডব দেখাল উইন্ডিজ। ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও রভম্যান পাওয়েলের ঝোড়ো ফিফটিতে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শেষদিকে দানবীয় ব্যাটিং করেন পাওয়েল। ২৮ বলে ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পথে হাঁকান ২ চার ও ৬ ছয়। এই ক্যারিবিয়ান মিডল অর্ডার সাকিব আল হাসান-মোস্তাফিজুর রহমানদের মুখ মলিন করে দেন। তার আগে কিং ৪৩ বলে করেন ৫৭ রান।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চিরচেনা বাংলাদেশ। ২৩ রানে নেই দুই ওপেনার লিটন দাস, এনামুল হক। আশা জাগিয়ে বিদায় নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তবে সাকিব ও আফিফ হোসেন চেষ্টা চালান খাদের কিনার থেকে দলকে উদ্ধার করতে। দুজনে ৫৫ রানের জুটিও গড়েন।
আফিফ ব্যক্তিগত ৩৪ রানে বিদায়ের পর একাই উইকেট সামলে রাখেন সাকিব। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ২৮ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়ে কেবল হারের ব্যবধানটুকু কমাতে পারেন তিনি। ৫২ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৬৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়তে হয় সাকিবকে।
৬ উইকেটে ১৫৮ রানে থামে বাংলাদেশ। উইন্ডিজ ৩৫ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। এমন হারের পর স্বাভাবিকভাবে হতাশ বাংলাদেশ। আফসোস মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে, ‘আমাদের শুরুটা ভালো হয়নি। মাঝের ওভারে আমরা কয়েকটি উইকেট পেয়েছিলাম। কিন্তু শেষদিকে রভম্যান আমাদের থেকে মোমেন্টাম কেড়ে নেয়। ব্যাটিংয়েও আমরা ভালো করতে পারিনি।’
শুরুতে উইকেট হারানোর ব্যাপারে টাইগার অধিনায়কের যুক্তি, ‘সাকিব ও আফিফ ভালো ব্যাট করেছে। ভালো খেলেছে। কিন্তু তারা কারও সহায়তা পায়নি। যখন আপনি ১৯৪ রান তাড়া করছেন, আপনার প্রথম বল থেকে আক্রমণ করা উচিত। কিন্তু সাকিব-আফিফ ছাড়া কেউ অবদান রাখতে পারেনি।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৪ জুলাই, ২০২২ ১০:২৭

সময় ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। ফেরিতে জীবন বাজি রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ডমিনিকায় গেছে টাইগাররা। কিন্তু ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করার পর যেন ঝিমিয়ে পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।
বলতে গেলে, সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বেছে গেছে বাংলাদেশ। অনেক অপেক্ষার পর ১৩ ওভারে নেমে আসা বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটিতে ৮ উইকেটে ১০৫ রান করে টাইগাররা। তবে শেষপর্যন্ত ম্যাচটি বাতিল হয়ে যায়। বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় রান তাড়া করতে নামেনি ক্যারিবীয়রা।
তবে উইন্ডসর পার্কে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং তাণ্ডব দেখাল উইন্ডিজ। ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও রভম্যান পাওয়েলের ঝোড়ো ফিফটিতে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শেষদিকে দানবীয় ব্যাটিং করেন পাওয়েল। ২৮ বলে ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পথে হাঁকান ২ চার ও ৬ ছয়। এই ক্যারিবিয়ান মিডল অর্ডার সাকিব আল হাসান-মোস্তাফিজুর রহমানদের মুখ মলিন করে দেন। তার আগে কিং ৪৩ বলে করেন ৫৭ রান।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চিরচেনা বাংলাদেশ। ২৩ রানে নেই দুই ওপেনার লিটন দাস, এনামুল হক। আশা জাগিয়ে বিদায় নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তবে সাকিব ও আফিফ হোসেন চেষ্টা চালান খাদের কিনার থেকে দলকে উদ্ধার করতে। দুজনে ৫৫ রানের জুটিও গড়েন।
আফিফ ব্যক্তিগত ৩৪ রানে বিদায়ের পর একাই উইকেট সামলে রাখেন সাকিব। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ২৮ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়ে কেবল হারের ব্যবধানটুকু কমাতে পারেন তিনি। ৫২ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৬৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়তে হয় সাকিবকে।
৬ উইকেটে ১৫৮ রানে থামে বাংলাদেশ। উইন্ডিজ ৩৫ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। এমন হারের পর স্বাভাবিকভাবে হতাশ বাংলাদেশ। আফসোস মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে, ‘আমাদের শুরুটা ভালো হয়নি। মাঝের ওভারে আমরা কয়েকটি উইকেট পেয়েছিলাম। কিন্তু শেষদিকে রভম্যান আমাদের থেকে মোমেন্টাম কেড়ে নেয়। ব্যাটিংয়েও আমরা ভালো করতে পারিনি।’
শুরুতে উইকেট হারানোর ব্যাপারে টাইগার অধিনায়কের যুক্তি, ‘সাকিব ও আফিফ ভালো ব্যাট করেছে। ভালো খেলেছে। কিন্তু তারা কারও সহায়তা পায়নি। যখন আপনি ১৯৪ রান তাড়া করছেন, আপনার প্রথম বল থেকে আক্রমণ করা উচিত। কিন্তু সাকিব-আফিফ ছাড়া কেউ অবদান রাখতে পারেনি।’