অমৃতসরে প্রার্থনা অনুষ্ঠানে গ্রেনেড হামলায় নিহত ৩
অনলাইন ডেস্ক | ১৮ নভেম্বর, ২০১৮ ২০:০৫
রোববার প্রার্থনার জন্য শিখদের সংস্কারপন্থি অংশ হিসেবে পরিচিত নিরাঙ্কারি সম্প্রদায়ের কয়েকশ’ লোক জড়ো হন এখানে। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের অমৃতসরে একটি প্রার্থনা অনুষ্ঠানে গ্রেনেড হামলা ও গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। আদিলওয়াল গ্রামের গুরুদ্বারে নিরাঙ্কারি সম্প্রদায়ের ওপর রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অমৃতসর বিমানবন্দর থেকে আট কিলোমিটার দূরের এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন পাঞ্জাব পুলিশের ডেপুটি কমিশনার কমলদীপ সিংহ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, মোটরসাইকেলে চড়ে দুই মুখোশধারী নিরাঙ্কারি ভবনে গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ওই ভবনে প্রার্থনার জন্য জড়ো হয়েছিলেন অনেক মানুষ।
প্রতি রোববার প্রার্থনার জন্য শিখদের সংস্কারপন্থি অংশ হিসেবে পরিচিত নিরাঙ্কারি সম্প্রদায়ের কয়েকশ’ লোক জড়ো হন এখানে। এদিন অন্তত ২৫০ জন মানুষ ছিলেন ওই ভবনে।
সুরিন্দর পাল সিং পারমার নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হামলায় নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এই সহিংস হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। সরকারিভাবে আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কারা এ হামলার সাথে জড়িত এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পাঞ্জাব পুলিশ। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৮ নভেম্বর, ২০১৮ ২০:০৫

ভারতের অমৃতসরে একটি প্রার্থনা অনুষ্ঠানে গ্রেনেড হামলা ও গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। আদিলওয়াল গ্রামের গুরুদ্বারে নিরাঙ্কারি সম্প্রদায়ের ওপর রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অমৃতসর বিমানবন্দর থেকে আট কিলোমিটার দূরের এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন পাঞ্জাব পুলিশের ডেপুটি কমিশনার কমলদীপ সিংহ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, মোটরসাইকেলে চড়ে দুই মুখোশধারী নিরাঙ্কারি ভবনে গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ওই ভবনে প্রার্থনার জন্য জড়ো হয়েছিলেন অনেক মানুষ।
প্রতি রোববার প্রার্থনার জন্য শিখদের সংস্কারপন্থি অংশ হিসেবে পরিচিত নিরাঙ্কারি সম্প্রদায়ের কয়েকশ’ লোক জড়ো হন এখানে। এদিন অন্তত ২৫০ জন মানুষ ছিলেন ওই ভবনে।
সুরিন্দর পাল সিং পারমার নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হামলায় নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এই সহিংস হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। সরকারিভাবে আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কারা এ হামলার সাথে জড়িত এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পাঞ্জাব পুলিশ। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।