কাশ্মিরে ৭ বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:২৫
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের খবরে ছড়িয়ে পড়া এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বহু কাশ্মিরী। ছবি: গ্রেটার কাশ্মির
অধিকৃত কাশ্মীরে সাত বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় বাহিনী। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের খবরে ছড়িয়ে পড়া এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বহু কাশ্মিরী।
এনডিটিভি জানায়, দক্ষিণ কাশ্মিরের পুলওয়ামা’র সিরনূ গ্রামে বাগানের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে শনিবার ভোরে সেনাবাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে এক সেনা সদস্য ও তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হন।
খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন বিক্ষোভ শুরু করলে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় নির্বিচার গুলিতে সাত বিক্ষোভকারী নিহত হন। তাদের মাথায় ও বুকে গুলি লাগে।
সংঘর্ষে আহত হন বহু বিক্ষোভকারী। বয়সে তরুণ বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ‘অন্ধ চোখের মহামারি’ হিসেবে পরিচিত কুখ্যাত ‘পেলেট গান’-এ জখম হয়েছেন।
নিহতদের একজন আবিদ হোসাইন। এই এমবিএ গ্র্যাজুয়েট মাত্র একমাস আগে ইন্দোনেশিয়ান স্ত্রীসহ কাশ্মিরে ফেরেন। তার তিন মাস বয়সী এক সন্তান রয়েছে। নিহত অপরজন আমির আহমেদ বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এই হতাহতের খবরে আশপাশের গ্রামেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পুলওয়ামা এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জম্মুর বান্নিহাল শহরের সঙ্গে কাশ্মির উপত্যকার রেল যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক টুইট বার্তায় সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর একদিন’ বলে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মিরের শাসক মহারাজা হরি সিং ভারতে যোগ দিলে এই রক্তপাতের সূত্রপাত হয়। এনিয়ে একাধিকবার যুদ্ধে জড়ায় ভারত ও পাকিস্তান।
স্বাধীনতার জন্য ১৯৮০ দশকের শেষের দিকে কাশ্মিরীরা ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিলে সহিংসতা নতুন মাত্রা পায়। সাম্প্রতিক সময়ে এই সহিংসতা ফের বাড়তে শুরু করেছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৪:২৫
অধিকৃত কাশ্মীরে সাত বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় বাহিনী। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের খবরে ছড়িয়ে পড়া এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বহু কাশ্মিরী।
এনডিটিভি জানায়, দক্ষিণ কাশ্মিরের পুলওয়ামা’র সিরনূ গ্রামে বাগানের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে শনিবার ভোরে সেনাবাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে এক সেনা সদস্য ও তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হন।
খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন বিক্ষোভ শুরু করলে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় নির্বিচার গুলিতে সাত বিক্ষোভকারী নিহত হন। তাদের মাথায় ও বুকে গুলি লাগে।
সংঘর্ষে আহত হন বহু বিক্ষোভকারী। বয়সে তরুণ বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ‘অন্ধ চোখের মহামারি’ হিসেবে পরিচিত কুখ্যাত ‘পেলেট গান’-এ জখম হয়েছেন।
নিহতদের একজন আবিদ হোসাইন। এই এমবিএ গ্র্যাজুয়েট মাত্র একমাস আগে ইন্দোনেশিয়ান স্ত্রীসহ কাশ্মিরে ফেরেন। তার তিন মাস বয়সী এক সন্তান রয়েছে। নিহত অপরজন আমির আহমেদ বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এই হতাহতের খবরে আশপাশের গ্রামেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পুলওয়ামা এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জম্মুর বান্নিহাল শহরের সঙ্গে কাশ্মির উপত্যকার রেল যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক টুইট বার্তায় সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর একদিন’ বলে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মিরের শাসক মহারাজা হরি সিং ভারতে যোগ দিলে এই রক্তপাতের সূত্রপাত হয়। এনিয়ে একাধিকবার যুদ্ধে জড়ায় ভারত ও পাকিস্তান।
স্বাধীনতার জন্য ১৯৮০ দশকের শেষের দিকে কাশ্মিরীরা ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিলে সহিংসতা নতুন মাত্রা পায়। সাম্প্রতিক সময়ে এই সহিংসতা ফের বাড়তে শুরু করেছে।