“ভারতে পুলিশের চেয়ে গরুর গুরুত্ব বেশি”
অনলাইন ডেস্ক | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:৩৪
ভারতের বুলন্দশহরে গো-হত্যার ‘গুজবে’ সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ডে চটেছেন বলিউডের জ্যৈষ্ঠ অভিনেতা অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ।
ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, গো-হত্যার রাজনীতি সমাজে যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তাতে সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন নাসিরুদ্দিন।
প্রবীণ এ অভিনেতা বলেন, “যারা আইন লঙ্ঘন করছে তারাই কলার উঁচিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ দেশে গরুর গুরুত্ব একজন পুলিশ কর্মকর্তার প্রাণের চেয়ে বেশি!”
সম্প্রতি বুলন্দশহরে হিংসাত্মক ঘটনাকে ইঙ্গিত করেই এই মন্তব্য করেন নাসিরুদ্দিন শাহ। গো-হত্যার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হলেও গ্রেফতার হয়নি পুলিশ কর্মকর্তার খুনিরা।
নাসিরুদ্দিন বলেন, “এ ঘটনায় আমি ভীত। আমার বারবার মনে হচ্ছে, কোনদিন হয়তো উম্মত্ত জনতা আমার সন্তানদের ধরে জিজ্ঞাসা করবে, তারা হিন্দু নাকি মুসলিম। আমি তো কখনো তাদের ধর্মীয় শিক্ষা দিইনি, তারা তো এর উত্তর দিতে পারবে না।”
গোটা ভারতে যে বিষ ছড়িয়ে পড়েছে তাকে বোতলবন্দি করা সহজ হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে নাসিরুদ্দিনের এমন বক্তব্যে চটেছে হিন্দুত্ববাদী দল ও সংগঠনগুলো। কট্টরপন্থী শিবসেনার সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত তার এ মন্তব্যকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে চিহ্ণিত করেছেন।
তিনি বলেন, “এরকম আশঙ্কা যদি কখনও সত্যি হয় তাহলে তার সন্তানদের বলা উচিত তারা ‘ভারতীয়’। এতে ভীত হবার কিছু নাই।”
অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘের (আরএসএস) রাজ্যসভার সাংসদ ভাবাদর্শী রাকেশ সিনহা বলেছেন, “এমন মন্তব্যে বুঝা যায় তার চিন্তা কতটুকু নিম্ন পর্যায়ের। সন্তান ও পরিবার নিয়ে যদি এতই চিন্তা হয়, তাহলে রোহিঙাদের বলুন ভারত ছেড়ে চলে যেতে।”
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:৩৪

ভারতের বুলন্দশহরে গো-হত্যার ‘গুজবে’ সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ডে চটেছেন বলিউডের জ্যৈষ্ঠ অভিনেতা অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ।
ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, গো-হত্যার রাজনীতি সমাজে যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তাতে সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন নাসিরুদ্দিন।
প্রবীণ এ অভিনেতা বলেন, “যারা আইন লঙ্ঘন করছে তারাই কলার উঁচিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ দেশে গরুর গুরুত্ব একজন পুলিশ কর্মকর্তার প্রাণের চেয়ে বেশি!”
সম্প্রতি বুলন্দশহরে হিংসাত্মক ঘটনাকে ইঙ্গিত করেই এই মন্তব্য করেন নাসিরুদ্দিন শাহ। গো-হত্যার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হলেও গ্রেফতার হয়নি পুলিশ কর্মকর্তার খুনিরা।
নাসিরুদ্দিন বলেন, “এ ঘটনায় আমি ভীত। আমার বারবার মনে হচ্ছে, কোনদিন হয়তো উম্মত্ত জনতা আমার সন্তানদের ধরে জিজ্ঞাসা করবে, তারা হিন্দু নাকি মুসলিম। আমি তো কখনো তাদের ধর্মীয় শিক্ষা দিইনি, তারা তো এর উত্তর দিতে পারবে না।”
গোটা ভারতে যে বিষ ছড়িয়ে পড়েছে তাকে বোতলবন্দি করা সহজ হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে নাসিরুদ্দিনের এমন বক্তব্যে চটেছে হিন্দুত্ববাদী দল ও সংগঠনগুলো। কট্টরপন্থী শিবসেনার সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত তার এ মন্তব্যকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে চিহ্ণিত করেছেন।
তিনি বলেন, “এরকম আশঙ্কা যদি কখনও সত্যি হয় তাহলে তার সন্তানদের বলা উচিত তারা ‘ভারতীয়’। এতে ভীত হবার কিছু নাই।”
অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘের (আরএসএস) রাজ্যসভার সাংসদ ভাবাদর্শী রাকেশ সিনহা বলেছেন, “এমন মন্তব্যে বুঝা যায় তার চিন্তা কতটুকু নিম্ন পর্যায়ের। সন্তান ও পরিবার নিয়ে যদি এতই চিন্তা হয়, তাহলে রোহিঙাদের বলুন ভারত ছেড়ে চলে যেতে।”