ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার মুহূর্তে সন্তান প্রসব!
অনলাইন ডেস্ক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:০৫
গোয়ালঘরের ছাদের সঙ্গে ঝুলছে মায়ের লাশ আর তার নাড়ির সঙ্গে ঝুলছে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু। ভারতের মধ্যপ্রদেশের কাটনি শহরে এমন এক রোমহর্ষক দৃশ্যের মুখোমুখি হয় পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে গোয়ালঘরের ছাদের সঙ্গে লক্ষ্মী ঠাকুর (৩৬) নামে এক নারীকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তার সঙ্গে তারা একটি জীবিত শিশুও উদ্ধার করেন। আত্মহত্যার মুহূর্তেই শিশুটি জন্ম নেয় বলে পুলিশ জানায়।
লক্ষ্মীর স্বামী সন্তোষ একজন কৃষক। সকালে স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে খবর দিন তিনি।
পুলিশের উপ-পরিদর্শক কবিতা শানি বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়েই আমরা লক্ষ্মীকে মৃত অবস্থায় পাই। কিন্তু তার শাড়ির ভেতরে আমরা কিছু একটার অস্তিত্ব পাচ্ছিলাম। শাড়ি সরিয়ে দেখতে পেলাম নাড়ির সঙ্গে যুক্ত একটি শিশুও ঝুলছে।”
পিটিআইকে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, একজন গাইনি ডাক্তার ডেকে এনে নাড়ি কেটে শিশুটিকে আলাদা করে সঙ্গে সঙ্গে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটি সুস্থ আছে। এটি ছেলেশিশু বলেও জানান তিনি।
সন্তান জন্মদানের মুহূর্তেই মা আত্মহত্যা করলেন নাকি আত্মহত্যা করার মুহূর্তে সন্তান জন্ম নিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দাম্পত্য জীবনে অভাবের তাড়নায় লক্ষ্মী আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এনিয়ে তিনি পঞ্চম সন্তানের জন্ম দিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:০৫

গোয়ালঘরের ছাদের সঙ্গে ঝুলছে মায়ের লাশ আর তার নাড়ির সঙ্গে ঝুলছে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু। ভারতের মধ্যপ্রদেশের কাটনি শহরে এমন এক রোমহর্ষক দৃশ্যের মুখোমুখি হয় পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে গোয়ালঘরের ছাদের সঙ্গে লক্ষ্মী ঠাকুর (৩৬) নামে এক নারীকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তার সঙ্গে তারা একটি জীবিত শিশুও উদ্ধার করেন। আত্মহত্যার মুহূর্তেই শিশুটি জন্ম নেয় বলে পুলিশ জানায়।
লক্ষ্মীর স্বামী সন্তোষ একজন কৃষক। সকালে স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে খবর দিন তিনি।
পুলিশের উপ-পরিদর্শক কবিতা শানি বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়েই আমরা লক্ষ্মীকে মৃত অবস্থায় পাই। কিন্তু তার শাড়ির ভেতরে আমরা কিছু একটার অস্তিত্ব পাচ্ছিলাম। শাড়ি সরিয়ে দেখতে পেলাম নাড়ির সঙ্গে যুক্ত একটি শিশুও ঝুলছে।”
পিটিআইকে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, একজন গাইনি ডাক্তার ডেকে এনে নাড়ি কেটে শিশুটিকে আলাদা করে সঙ্গে সঙ্গে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটি সুস্থ আছে। এটি ছেলেশিশু বলেও জানান তিনি।
সন্তান জন্মদানের মুহূর্তেই মা আত্মহত্যা করলেন নাকি আত্মহত্যা করার মুহূর্তে সন্তান জন্ম নিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দাম্পত্য জীবনে অভাবের তাড়নায় লক্ষ্মী আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এনিয়ে তিনি পঞ্চম সন্তানের জন্ম দিলেন।