মারা গেলেন আসামের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ২১:২০
ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসামের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
জি নিউজ জানায়, করোনায় আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন গগৈ। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
২ নভেম্বরে গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সোমবার সকালের দিকে হাসপাতাল সূত্র জানায়, গগৈর শারীরিক অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেয়া হয়। কিন্তু বেঁচে ফিরতে পারেননি।
২৫ আগস্ট কভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তরুণ গগৈ। প্রায় দু'মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ২৫ অক্টোবর ছাড়া পান তিনি।
১৯৩৬ সালের ১ এপ্রিল রঙ্গাজন টি এস্টেটে এক তাই-অহমীয় পরিবারে জন্ম গগৈয়ের। তার বাবা ছিলেন ওই এস্টেটেরই চিকিৎসক। মা ছিলেন প্রখ্যাত কবি গণেশ গগৈয়ের ছোট বোন।
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হওয়ার পরে ১৯৬৮ সালে প্রথম জোরহাট পৌরসভার ভোটে লড়েছিলেন। সেই প্রথম নির্বাচনী জয়। ১৯৭১ সালের লোকসভা ভোটে জোরহাট কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে গগৈকে বেছে নেন ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৮৫ পর্যন্ত ওই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন গগৈ।
১৯৯১ সালে কালিয়াবর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে নরসিংহ রাও সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন গগৈ। পরবর্তীতে ২০০১ সালে তিনি প্রথমবারের মতো আসামের মুখ্যমন্ত্রী হন। পরপর তিনবার এ দায়িত্ব পালন করেন গগৈ।
আগামী এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই আসামের বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা গগৈয়ের অনুপস্থিতি উত্তর-পূর্ব ভারতের বৃহত্তম রাজ্যে কংগ্রেসকে কার্যত নেতৃত্বহীন করে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ২১:২০

ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসামের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
জি নিউজ জানায়, করোনায় আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন গগৈ। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
২ নভেম্বরে গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সোমবার সকালের দিকে হাসপাতাল সূত্র জানায়, গগৈর শারীরিক অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেয়া হয়। কিন্তু বেঁচে ফিরতে পারেননি।
২৫ আগস্ট কভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তরুণ গগৈ। প্রায় দু'মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ২৫ অক্টোবর ছাড়া পান তিনি।
১৯৩৬ সালের ১ এপ্রিল রঙ্গাজন টি এস্টেটে এক তাই-অহমীয় পরিবারে জন্ম গগৈয়ের। তার বাবা ছিলেন ওই এস্টেটেরই চিকিৎসক। মা ছিলেন প্রখ্যাত কবি গণেশ গগৈয়ের ছোট বোন।
গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হওয়ার পরে ১৯৬৮ সালে প্রথম জোরহাট পৌরসভার ভোটে লড়েছিলেন। সেই প্রথম নির্বাচনী জয়। ১৯৭১ সালের লোকসভা ভোটে জোরহাট কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে গগৈকে বেছে নেন ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৮৫ পর্যন্ত ওই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন গগৈ।
১৯৯১ সালে কালিয়াবর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে নরসিংহ রাও সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন গগৈ। পরবর্তীতে ২০০১ সালে তিনি প্রথমবারের মতো আসামের মুখ্যমন্ত্রী হন। পরপর তিনবার এ দায়িত্ব পালন করেন গগৈ।
আগামী এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই আসামের বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা গগৈয়ের অনুপস্থিতি উত্তর-পূর্ব ভারতের বৃহত্তম রাজ্যে কংগ্রেসকে কার্যত নেতৃত্বহীন করে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।