চার কৃষক নেতাকে গুলি করতে পুলিশের ঘুষ!
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০৯:৪৪
মুখোশধারী এক ব্যক্তির দাবিকে ঘিরে সিংঘু সীমানায় পরিস্থিতি বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে
দিল্লির এক ঘটনায় ভারতের চলমান কৃষক আন্দোলনে নতুন মোড় নিয়েছে। শুক্রবার সিংঘু সীমানা থেকে মুখোশধারী এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে পাকড়াও করলেন আন্দোলনকারী কৃষকেরা। বলা হচ্ছে, চার কৃষক নেতাকে গুলি করার নির্দেশ ছিল তার ওপর।
আন্দোলনকারী কৃষকদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ধরা পড়া ওই ব্যক্তি কৃষকদের কাছে স্বীকার করেছে ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে কৃষকদের র্যালি বানচাল করতে দুটি দলকে কাজে লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি চার কৃষক নেতাকে গুলি করার ঘুষও দেওয়া হয়েছে।
রাতেই সাংবাদিকদের ডেকে আন্দোলনরত কৃষকেরা ওই ব্যক্তিকে সামনে নিয়ে আসেন। সেখানে দাবি করেন, ধরা পড়া এই ব্যক্তি তাদের কাছে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার নাম জানিয়েছেন। যারা কি-না ২৬ জানুয়ারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে কৃষক নেতাদের গুলি করার পরিকল্পনা করেছেন।
সাংবাদিকদের সামনে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, “আমাদের দুটি দল রয়েছে। ১৯ জানুয়ারি থেকে আমি এখানে রয়েছি। আন্দোলনকারীদের কাছে কোনো অস্ত্র আছে কি-না তা খুঁজে বার করতে বলা হয়েছে আমাদের।”
তার আরও দাবি, “২৬ জানুয়ারির দিন আমাদের একটি দল আন্দোলনকারী কৃষকদের ভিড়ে মিশে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। যদি কৃষকেরা প্যারেড করে এগিয়ে যান, তা হলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ধরা পড়া ব্যক্তিটি কে, আদৌ তিনি ঠিক বলছেন কি-না তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন কৃষকেরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, “আমাদের আন্দোলনকে কারা বানচাল করতে চায় তা তদন্ত করা প্রয়োজন। প্রত্যেকেই জানেন আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। ধৃত ব্যক্তি জানিয়েছেন, টাকার জন্য কাজ করেন। আমাদের জানা দরকার কারা এই ব্যক্তিদের অর্থ জোগাচ্ছে।”
কৃষি আইন নিয়ে সরকার এবং কৃষকদের মধ্যে ‘দড়ি টানাটানি’ চলছেই। দফায় দফায় বৈঠকেও কোনো সামধান মেলেনি এখনো। তার মধ্যে ২৬ জানুয়ারি দিল্লির বুকে কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালির হুঁশিয়ারি নিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে কোনোভাবেই এই র্যালির অনুমতি দেওয়া যাবে না। কৃষকরাও অনড়।
এর মধ্যে মুখোশধারী এই ব্যক্তির দাবিকে ঘিরে সিংঘু সীমানায় পরিস্থিতি বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে। কৃষক সংগঠন ও সরকারের মধ্যে টানাপোড়েনের আবহে এমন একটা ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০৯:৪৪

দিল্লির এক ঘটনায় ভারতের চলমান কৃষক আন্দোলনে নতুন মোড় নিয়েছে। শুক্রবার সিংঘু সীমানা থেকে মুখোশধারী এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে পাকড়াও করলেন আন্দোলনকারী কৃষকেরা। বলা হচ্ছে, চার কৃষক নেতাকে গুলি করার নির্দেশ ছিল তার ওপর।
আন্দোলনকারী কৃষকদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ধরা পড়া ওই ব্যক্তি কৃষকদের কাছে স্বীকার করেছে ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে কৃষকদের র্যালি বানচাল করতে দুটি দলকে কাজে লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি চার কৃষক নেতাকে গুলি করার ঘুষও দেওয়া হয়েছে।
রাতেই সাংবাদিকদের ডেকে আন্দোলনরত কৃষকেরা ওই ব্যক্তিকে সামনে নিয়ে আসেন। সেখানে দাবি করেন, ধরা পড়া এই ব্যক্তি তাদের কাছে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার নাম জানিয়েছেন। যারা কি-না ২৬ জানুয়ারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে কৃষক নেতাদের গুলি করার পরিকল্পনা করেছেন।
সাংবাদিকদের সামনে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, “আমাদের দুটি দল রয়েছে। ১৯ জানুয়ারি থেকে আমি এখানে রয়েছি। আন্দোলনকারীদের কাছে কোনো অস্ত্র আছে কি-না তা খুঁজে বার করতে বলা হয়েছে আমাদের।”
তার আরও দাবি, “২৬ জানুয়ারির দিন আমাদের একটি দল আন্দোলনকারী কৃষকদের ভিড়ে মিশে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। যদি কৃষকেরা প্যারেড করে এগিয়ে যান, তা হলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ধরা পড়া ব্যক্তিটি কে, আদৌ তিনি ঠিক বলছেন কি-না তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন কৃষকেরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, “আমাদের আন্দোলনকে কারা বানচাল করতে চায় তা তদন্ত করা প্রয়োজন। প্রত্যেকেই জানেন আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। ধৃত ব্যক্তি জানিয়েছেন, টাকার জন্য কাজ করেন। আমাদের জানা দরকার কারা এই ব্যক্তিদের অর্থ জোগাচ্ছে।”
কৃষি আইন নিয়ে সরকার এবং কৃষকদের মধ্যে ‘দড়ি টানাটানি’ চলছেই। দফায় দফায় বৈঠকেও কোনো সামধান মেলেনি এখনো। তার মধ্যে ২৬ জানুয়ারি দিল্লির বুকে কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালির হুঁশিয়ারি নিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে কোনোভাবেই এই র্যালির অনুমতি দেওয়া যাবে না। কৃষকরাও অনড়।
এর মধ্যে মুখোশধারী এই ব্যক্তির দাবিকে ঘিরে সিংঘু সীমানায় পরিস্থিতি বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে। কৃষক সংগঠন ও সরকারের মধ্যে টানাপোড়েনের আবহে এমন একটা ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।