হিমবাহ ধসে নিখোঁজ ১৩৬ জনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করার পথে ভারত
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৩:১২
ভারতের উত্তরখণ্ডে চামোলি জেলায় হিমবাহে ধসে নিখোঁজ ১৩৬ জনকে মৃত ঘোষণা করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এ মাসের শুরুতে হিমবাহ ধসে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ে হিমালয় সংলগ্ন এলাকাটি।
এনডিটিভি জানায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওই এলাকায় সবচেয়ে বড় এ ট্র্যাজেডিতে এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দুই সপ্তাহ আগে হিমালয়ের উপরিভাগে একটি হিমবাহ ভেঙে বরফ ধস দেখা দেয়। যার জেরে চামোলিতে আলকানন্দা এবং ধৌলিগঙ্গা নদীতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। সেসময় পুরো এলাকা থেকে কয়েক হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বন্যায় ১৩.২ মেগাওয়াটের ঋষি গঙ্গা জলবিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং তপোবন বিষ্ণুগাদ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া ভেসে যায় পাঁচটি সেতু।
৭ ফেব্রুয়ারি এ দুর্যোগের পর এলাকাটিতে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে একাধিক সংস্থা। রাজ্য ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ইন্দো-তিব্বতি বর্ডার পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ সম্মিলিতভাবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, সোমবার পর্যন্ত ৬৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ রয়েছে ১৩৬ জন। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য কর্মকর্তারা নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের ডেকেছে।
উদ্ধারকার্যের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানান, আইনানুযায়ী ভারতে কোনো দুর্যোগে নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করতে সাধারণ সাত বছর সময় লাগে।
এর আগে, ২০১৩ সালে উত্তরখণ্ডে কেদারনাথে আকস্মিক ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত ৫ হাজার ৭০০ জন নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনা নিখোঁজ ব্যক্তিদেরও মৃত ঘোষণা করতে সাত বছর সময় নেওয়া হয়।
তবে চামোলি দুর্যোগের ক্ষেত্রে এমনটি হবে না বলছেন কর্মকর্তারা। এর জন্য, ১৯৬৯ সালের জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন আইনের সহায়তা নেওয়া হবে, নিখোঁজদের মৃত ঘোষণা করতে সাত বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৩:১২

ভারতের উত্তরখণ্ডে চামোলি জেলায় হিমবাহে ধসে নিখোঁজ ১৩৬ জনকে মৃত ঘোষণা করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এ মাসের শুরুতে হিমবাহ ধসে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ে হিমালয় সংলগ্ন এলাকাটি।
এনডিটিভি জানায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওই এলাকায় সবচেয়ে বড় এ ট্র্যাজেডিতে এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দুই সপ্তাহ আগে হিমালয়ের উপরিভাগে একটি হিমবাহ ভেঙে বরফ ধস দেখা দেয়। যার জেরে চামোলিতে আলকানন্দা এবং ধৌলিগঙ্গা নদীতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। সেসময় পুরো এলাকা থেকে কয়েক হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বন্যায় ১৩.২ মেগাওয়াটের ঋষি গঙ্গা জলবিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং তপোবন বিষ্ণুগাদ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া ভেসে যায় পাঁচটি সেতু।
৭ ফেব্রুয়ারি এ দুর্যোগের পর এলাকাটিতে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে একাধিক সংস্থা। রাজ্য ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ইন্দো-তিব্বতি বর্ডার পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ সম্মিলিতভাবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, সোমবার পর্যন্ত ৬৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ রয়েছে ১৩৬ জন। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য কর্মকর্তারা নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের ডেকেছে।
উদ্ধারকার্যের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানান, আইনানুযায়ী ভারতে কোনো দুর্যোগে নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করতে সাধারণ সাত বছর সময় লাগে।
এর আগে, ২০১৩ সালে উত্তরখণ্ডে কেদারনাথে আকস্মিক ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত ৫ হাজার ৭০০ জন নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনা নিখোঁজ ব্যক্তিদেরও মৃত ঘোষণা করতে সাত বছর সময় নেওয়া হয়।
তবে চামোলি দুর্যোগের ক্ষেত্রে এমনটি হবে না বলছেন কর্মকর্তারা। এর জন্য, ১৯৬৯ সালের জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন আইনের সহায়তা নেওয়া হবে, নিখোঁজদের মৃত ঘোষণা করতে সাত বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।