ভারতে বেসরকারি উদ্যোগে টিকাদান শুরু হচ্ছে
অনলাইন ডেস্ক | ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:৫৪
ভারতে এবার বেসরকারি উদ্যোগে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া যাবে। বিনামূল্যে এ টিকা পাবে না মানুষ। এর জন্য দেশজুড়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক চিহ্নিত করে দেওয়া হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, বুধবার ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার ও পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই তথ্য জানিয়েছেন।
১ মার্চ থেকে সরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও দ্বিতীয় দফার টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব সবাই ও ৪৫ বছরের ওপর যাদের অন্য ধরনের উপসর্গ রয়েছে, তারা এই টিকা নিতে পারবেন।
বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ জাভড়েকর জানান, সরকারি উদ্যোগে ১০ হাজার কেন্দ্রে বিনামূল্যে টিকা নেওয়া যাবে। তবে ২০ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যারা টিকা নেবেন, তাদের অর্থ ব্যয় করতে হবে।
তবে বেসরকারি উদ্যোগে টিকা নিতে কতো খরচ হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি মন্ত্রী। তিনি জানান, সে বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তিন-চার দিনের মধ্যেই তা ঠিক করে জানাবে।
সংবাদ সম্মেলনে এদিন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও। তিনি জানান, অধিকাংশ মন্ত্রীই টাকা দিয়ে করোনার টিকা নেবেন।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রথম দফায় ৩ কোটি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশটির ২৭ কোটি নাগরিকের টিকা পাওয়ার কথা।
এখন পর্যন্ত ভারতে এক কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৫৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:৫৪

ভারতে এবার বেসরকারি উদ্যোগে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া যাবে। বিনামূল্যে এ টিকা পাবে না মানুষ। এর জন্য দেশজুড়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক চিহ্নিত করে দেওয়া হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, বুধবার ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার ও পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই তথ্য জানিয়েছেন।
১ মার্চ থেকে সরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও দ্বিতীয় দফার টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব সবাই ও ৪৫ বছরের ওপর যাদের অন্য ধরনের উপসর্গ রয়েছে, তারা এই টিকা নিতে পারবেন।
বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ জাভড়েকর জানান, সরকারি উদ্যোগে ১০ হাজার কেন্দ্রে বিনামূল্যে টিকা নেওয়া যাবে। তবে ২০ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যারা টিকা নেবেন, তাদের অর্থ ব্যয় করতে হবে।
তবে বেসরকারি উদ্যোগে টিকা নিতে কতো খরচ হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি মন্ত্রী। তিনি জানান, সে বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তিন-চার দিনের মধ্যেই তা ঠিক করে জানাবে।
সংবাদ সম্মেলনে এদিন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও। তিনি জানান, অধিকাংশ মন্ত্রীই টাকা দিয়ে করোনার টিকা নেবেন।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রথম দফায় ৩ কোটি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশটির ২৭ কোটি নাগরিকের টিকা পাওয়ার কথা।
এখন পর্যন্ত ভারতে এক কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৫৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।