সরকারের মতের বিরোধিতা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
অনলাইন ডেস্ক | ৩ মার্চ, ২০২১ ১৮:৫১
সরকারি কোনো মতের বিরোধিতা করলেই সেটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয় বলে মন্তব্য করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করে এ মন্তব্য করে আদালত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিলোপ করে সংবিধানের বিশেষ ৩৭০ ধারা। এর বিরোধিতা করে সরব হয়েছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ফারুক আবুদল্লা। এ ঘটনায় ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা'র অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার এমন মন্তব্য করে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, গত ৫ অগাস্ট ২০১৯ থেকে গৃহবন্দি ছিলেন ফারুক আবদুল্লা সহ জম্মু-কাশ্মীরের অন্য রাজনৈতিক কর্মীরা। অপর একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকেও রাখা হয়েছিল গৃহবন্দি করে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি দেওয়া হয় ফারুক আবদুল্লাকে। মেহবুবাও মুক্তি পান।
এর আগে ২০১৬ সালেও সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল- সরকারি নীতি অর্থাৎ সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়। এমনটা হলে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও আর নেওয়া যায় না।
সে সময় রাষ্ট্রদ্রোহিতা নিয়ে ভারত জুড়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছিল। রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনে একের পর এক মামলা করা হচ্ছিল। বিভিন্ন মহল থেকে ওই আইন বাতিলের দাবিও উঠতে শুরু করে। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এ নিয়ে হস্থক্ষেপ দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে আদালত এমন কথা বলেছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৩ মার্চ, ২০২১ ১৮:৫১
সরকারি কোনো মতের বিরোধিতা করলেই সেটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয় বলে মন্তব্য করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করে এ মন্তব্য করে আদালত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিলোপ করে সংবিধানের বিশেষ ৩৭০ ধারা। এর বিরোধিতা করে সরব হয়েছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ফারুক আবুদল্লা। এ ঘটনায় ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা'র অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার এমন মন্তব্য করে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, গত ৫ অগাস্ট ২০১৯ থেকে গৃহবন্দি ছিলেন ফারুক আবদুল্লা সহ জম্মু-কাশ্মীরের অন্য রাজনৈতিক কর্মীরা। অপর একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকেও রাখা হয়েছিল গৃহবন্দি করে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি দেওয়া হয় ফারুক আবদুল্লাকে। মেহবুবাও মুক্তি পান।
এর আগে ২০১৬ সালেও সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল- সরকারি নীতি অর্থাৎ সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়। এমনটা হলে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও আর নেওয়া যায় না।
সে সময় রাষ্ট্রদ্রোহিতা নিয়ে ভারত জুড়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছিল। রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনে একের পর এক মামলা করা হচ্ছিল। বিভিন্ন মহল থেকে ওই আইন বাতিলের দাবিও উঠতে শুরু করে। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এ নিয়ে হস্থক্ষেপ দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে আদালত এমন কথা বলেছিলেন।