খ্রিষ্টান ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা নিয়ে ইমামের সঙ্গে তর্ক, পাকিস্তানে গ্রেপ্তার ৪
অনলাইন ডেস্ক | ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:২৯
‘ব্লাসফেমি’ পাকিস্তানে খুবই স্পর্শকাতর বিষয়
মসজিদ থেকে খ্রিষ্টান প্রতিবেশীর শেষকৃত্যের ঘোষণা না দেওয়ায় ইমামের সঙ্গে ঝগড়া করে চার ব্যক্তি গ্রেপ্তার হলো পাকিস্তানে। তাদের বিরুদ্ধে ‘ব্লাসফেমি’ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরের কাছাকাছি খোদি কুশল সিং গ্রামে ১৮ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে পুলিশ জানায়, ইমামের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হওয়া ওই চার ব্যক্তিও মুসলিম। তারা চেয়েছিলেন খ্রিষ্টান ব্যক্তির শেষকৃত্যের ঘোষণা মসজিদের মাইক থেকে দেওয়া হোক।
পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তিরা ইমামকে গালাগালি করেন। তারা মসজিদের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়েছে ও ইসলামকে অপমান করেছে।
‘ব্লাসফেমি’ পাকিস্তানে খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। এই আইনের আওতায় মৃত্যুদণ্ড থেকে নানান মেয়াদের শাস্তির বিধান রয়েছে।
পাকিস্তানের পেনাল কোডের ২৯৫ ও ২৯৮ সেকশনের আওতায় এ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের দুই বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
এ আইনে এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। তবে ১৯৯০ সাল থেকে এ ধরনের ঘটনায় কমপক্ষে ৭৯ জন মানুষ গণপিটুনি বা স্বতন্ত্র আক্রমণ মারা গেছে।
ওই চার ব্যক্তির গ্রেপ্তারের ঘটনায় পাকিস্তানের মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিন্দা জানিয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:২৯

মসজিদ থেকে খ্রিষ্টান প্রতিবেশীর শেষকৃত্যের ঘোষণা না দেওয়ায় ইমামের সঙ্গে ঝগড়া করে চার ব্যক্তি গ্রেপ্তার হলো পাকিস্তানে। তাদের বিরুদ্ধে ‘ব্লাসফেমি’ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরের কাছাকাছি খোদি কুশল সিং গ্রামে ১৮ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে পুলিশ জানায়, ইমামের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হওয়া ওই চার ব্যক্তিও মুসলিম। তারা চেয়েছিলেন খ্রিষ্টান ব্যক্তির শেষকৃত্যের ঘোষণা মসজিদের মাইক থেকে দেওয়া হোক।
পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তিরা ইমামকে গালাগালি করেন। তারা মসজিদের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়েছে ও ইসলামকে অপমান করেছে।
‘ব্লাসফেমি’ পাকিস্তানে খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। এই আইনের আওতায় মৃত্যুদণ্ড থেকে নানান মেয়াদের শাস্তির বিধান রয়েছে।
পাকিস্তানের পেনাল কোডের ২৯৫ ও ২৯৮ সেকশনের আওতায় এ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের দুই বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
এ আইনে এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। তবে ১৯৯০ সাল থেকে এ ধরনের ঘটনায় কমপক্ষে ৭৯ জন মানুষ গণপিটুনি বা স্বতন্ত্র আক্রমণ মারা গেছে।
ওই চার ব্যক্তির গ্রেপ্তারের ঘটনায় পাকিস্তানের মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিন্দা জানিয়েছে।