ওমিক্রন রুখতে ১৫ পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
অনলাইন ডেস্ক | ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:৫৮
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ‘উদ্বেগজনক’ ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ রুখতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশগুলো।
ভারতের বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, শুধু সীমান্ত বন্ধ করে দিলেই ওমিক্রন সমস্যা মিটবে না। আরও অনেক কিছু করতে হবে।
তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে কী কী করতে হবে সেটা অবিলম্বে চূড়ান্ত করে নিতে হবেই। তা ছাড়াও আগেভাগেই ভেবে নিতে হবে কী কী করা এখন আর উচিত হবে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রনের সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারকে এখন দ্রুত ১০টি কাজ করতে হবে। আর পাঁচটি কাজ না করার ব্যাপারে খুব সতর্ক হতে হবে।
প্রথমত, ঘরোয়া জমায়েতের ওপরেই এখন একমাত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। দেশের সর্বত্র প্রকাশ্য জমায়েতের ওপর সেই নিষেধাজ্ঞা জারি করাটা এখন আর কাজের কাজ হবে না। তাতে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হবে। সেটা আগের তিনটি তরঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া উচিত হবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, গুটিকয়েক দেশে বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের গতিতে লাগাম টানা যায়নি।
এমন কোনো নীতি ঘোষণা করা উচিত নয় সরকারের যা চট করে শিথিল করা যাবে না।
দু’টি পর্বের টিকাকরণের সুযোগ যত বেশি মানুষের কাছে যত তাড়াতাড়ি পৌঁছে দেওয়া যায় সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
সংক্রমণের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে সার্বিক স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা (হার্ড ইমিউনিটি) গড়ে উঠবে এই ধারণা থেকেও সরকারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেরিয়ে আসতে হবে।
এই মুহূর্তে কী কী করণীয় তার ১০টি পরামর্শ
নতুন সংক্রমণের ধাক্কা সইতে দেশের হাসপাতালগুলোর শয্যাসংখ্যা পর্যাপ্ত কি না তা আগেভাগে বুঝে নেওয়া।
সবাইকে দু’টি পর্বের টিকা দেওয়া। দেশের সব রাজ্যে যাওয়া আসার জন্য টিকা পাসপোর্ট চালু করা।
আর যারা টিকা নিতে চাননি বা টিকা নেননি কোনো কারণে, তাদের যেভাবেই হোক বুঝিয়ে টিকা দেওয়া। বুস্টার টিকা দেওয়া যে যে ক্ষেত্রে তা জরুরি। টিকাদানের ব্যাপারে স্বাস্থ্যকর্মীদের সচেতনতা বাড়ানো।
প্রতিটি রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সম্ভাব্য কোভিড রোগীদের জন্য কতটি শয্যা রয়েছে তা আগেভাগেই বুঝে নেওয়া।
আগের ঢেউগুলোতে করা ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া আর রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বিজ্ঞানকেই প্রাধান্য দেওয়া।
এই ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই যে আমাদের আরও অনেক দিন বাঁচতে হবে তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:৫৮

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ‘উদ্বেগজনক’ ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ রুখতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশগুলো।
ভারতের বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, শুধু সীমান্ত বন্ধ করে দিলেই ওমিক্রন সমস্যা মিটবে না। আরও অনেক কিছু করতে হবে।
তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে কী কী করতে হবে সেটা অবিলম্বে চূড়ান্ত করে নিতে হবেই। তা ছাড়াও আগেভাগেই ভেবে নিতে হবে কী কী করা এখন আর উচিত হবে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রনের সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারকে এখন দ্রুত ১০টি কাজ করতে হবে। আর পাঁচটি কাজ না করার ব্যাপারে খুব সতর্ক হতে হবে।
প্রথমত, ঘরোয়া জমায়েতের ওপরেই এখন একমাত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। দেশের সর্বত্র প্রকাশ্য জমায়েতের ওপর সেই নিষেধাজ্ঞা জারি করাটা এখন আর কাজের কাজ হবে না। তাতে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হবে। সেটা আগের তিনটি তরঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া উচিত হবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, গুটিকয়েক দেশে বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের গতিতে লাগাম টানা যায়নি।
এমন কোনো নীতি ঘোষণা করা উচিত নয় সরকারের যা চট করে শিথিল করা যাবে না।
দু’টি পর্বের টিকাকরণের সুযোগ যত বেশি মানুষের কাছে যত তাড়াতাড়ি পৌঁছে দেওয়া যায় সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
সংক্রমণের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে সার্বিক স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা (হার্ড ইমিউনিটি) গড়ে উঠবে এই ধারণা থেকেও সরকারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেরিয়ে আসতে হবে।
এই মুহূর্তে কী কী করণীয় তার ১০টি পরামর্শ
নতুন সংক্রমণের ধাক্কা সইতে দেশের হাসপাতালগুলোর শয্যাসংখ্যা পর্যাপ্ত কি না তা আগেভাগে বুঝে নেওয়া।
সবাইকে দু’টি পর্বের টিকা দেওয়া। দেশের সব রাজ্যে যাওয়া আসার জন্য টিকা পাসপোর্ট চালু করা।
আর যারা টিকা নিতে চাননি বা টিকা নেননি কোনো কারণে, তাদের যেভাবেই হোক বুঝিয়ে টিকা দেওয়া। বুস্টার টিকা দেওয়া যে যে ক্ষেত্রে তা জরুরি। টিকাদানের ব্যাপারে স্বাস্থ্যকর্মীদের সচেতনতা বাড়ানো।
প্রতিটি রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সম্ভাব্য কোভিড রোগীদের জন্য কতটি শয্যা রয়েছে তা আগেভাগেই বুঝে নেওয়া।
আগের ঢেউগুলোতে করা ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া আর রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বিজ্ঞানকেই প্রাধান্য দেওয়া।
এই ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই যে আমাদের আরও অনেক দিন বাঁচতে হবে তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।