ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৭০০ যাত্রীর মধ্যে উদ্ধার ৫০, নিহত ছয়
অনলাইন ডেস্ক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৩৫
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক রয়েছেন ১৫ জন।
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির দোমোহনি এলাকায় স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আনন্দবাজার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আহত অবস্থায় ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৭ জনকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে এবং ১৬ জনকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পাঁচজনকে জলপাইগুড়ি হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ট্রেনটির ইঞ্জিনের পর থেকে ১২টি কামরা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৭টি কামরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ওই ট্রেনটি ছাড়ার সময় প্রায় ৭০০ যাত্রী ছিলেন। পরে আরও বিভিন্ন স্টেশন থেকে যাত্রীরা নামা-ওঠা করেন।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ কর্মকর্তা নীলাঞ্জন দেব বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নিউ ময়নাগুড়ি এবং নিউ দোমোহনি সেকশনে এই ঘটনা ঘটেছে। রিলিফ ভ্যান যাচ্ছে। ডিআরএম-রাও যাচ্ছেন। বাকি তথ্য এখনো জানতে পারিনি।
সিগন্যাল ব্যবস্থা ঠিক ছিল বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। রেলের কর্মকর্তাদের প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, লাইনে ফাটল থেকেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে রেল মন্ত্রণালয় হতে জানানো হয়, দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে এককালীন ক্ষতিপূরণ দেবে রেল। এ ছাড়া গুরুতর আহতদের ১ লাখ টাকা ও সামান্য আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৩৫

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক রয়েছেন ১৫ জন।
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির দোমোহনি এলাকায় স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আনন্দবাজার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আহত অবস্থায় ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৭ জনকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে এবং ১৬ জনকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পাঁচজনকে জলপাইগুড়ি হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ট্রেনটির ইঞ্জিনের পর থেকে ১২টি কামরা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৭টি কামরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ওই ট্রেনটি ছাড়ার সময় প্রায় ৭০০ যাত্রী ছিলেন। পরে আরও বিভিন্ন স্টেশন থেকে যাত্রীরা নামা-ওঠা করেন।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ কর্মকর্তা নীলাঞ্জন দেব বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নিউ ময়নাগুড়ি এবং নিউ দোমোহনি সেকশনে এই ঘটনা ঘটেছে। রিলিফ ভ্যান যাচ্ছে। ডিআরএম-রাও যাচ্ছেন। বাকি তথ্য এখনো জানতে পারিনি।
সিগন্যাল ব্যবস্থা ঠিক ছিল বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। রেলের কর্মকর্তাদের প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, লাইনে ফাটল থেকেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে রেল মন্ত্রণালয় হতে জানানো হয়, দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে এককালীন ক্ষতিপূরণ দেবে রেল। এ ছাড়া গুরুতর আহতদের ১ লাখ টাকা ও সামান্য আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।