তাজমহলের সেই ২২ ‘গোপন কুঠুরির’ ছবি প্রকাশ
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ মে, ২০২২ ২৩:১০
তাজমহলের নিচে তালাবন্ধ ২২ ‘গোপন কুঠুরির’ ছবি প্রকাশ করেছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই)। এএসআই জানিয়েছে, ঘরগুলিতে কোনো গোপনীয়তা নেই।
সোমবার এএসআই এই ‘গোপন’ কুঠুরি গুলির ছবি প্রকাশ করে। এই ‘গোপন’ কুঠুরিগুলি খোলার দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হিন্দুত্ববাদীরা।
এএসআই কর্মকর্তারা জানান, ওই কুঠুরিগুলিতে কোনো গোপনীয়তা নেই। এগুলো মূল কাঠামোর অংশমাত্র। শুধু তাজমহল নয়, এমন কুঠুরি অনেক যুগের স্থাপত্যেই রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে দিল্লিতে মুঘল সম্রাট হুমায়ূনের সমাধির কথা।
তাজমহল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসআই-এর ‘আগরা সেল’ জানিয়েছে, ২০২১-এর ডিসেম্বর থেকে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যমুনা নদী খাত লাগোয়া ওই ভূগর্ভস্থ ঘরগুলিতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়েছিল। সে সময়ই ছবিগুলো তোলা হয়। প্রকাশিত চারটি ছবি গত ডিসেম্বরে তোলা হয়েছিল।
তাজমহল আসলে ‘তেজো মহালয়’ নামে একটি শিব মন্দির বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির। বিজেপির অযোধ্যা জেলার ‘মিডিয়া ইনচার্জ’ রজনীশ সিংহ এএসআই-এর বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে তাজমহলের ‘আসল ইতিহাস’ অনুসন্ধানের দাবিতে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। পাশাপাশি, তাজমহলের অন্দরে দীর্ঘ দিন ধরে তালাবন্ধ ওই ২২টি ঘর খোলারও দাবি জানান তিনি। তবে, গত ১২ মে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট।
সূত্র: আনন্দবাজার।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ মে, ২০২২ ২৩:১০

তাজমহলের নিচে তালাবন্ধ ২২ ‘গোপন কুঠুরির’ ছবি প্রকাশ করেছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই)। এএসআই জানিয়েছে, ঘরগুলিতে কোনো গোপনীয়তা নেই।
সোমবার এএসআই এই ‘গোপন’ কুঠুরি গুলির ছবি প্রকাশ করে। এই ‘গোপন’ কুঠুরিগুলি খোলার দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হিন্দুত্ববাদীরা।
এএসআই কর্মকর্তারা জানান, ওই কুঠুরিগুলিতে কোনো গোপনীয়তা নেই। এগুলো মূল কাঠামোর অংশমাত্র। শুধু তাজমহল নয়, এমন কুঠুরি অনেক যুগের স্থাপত্যেই রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে দিল্লিতে মুঘল সম্রাট হুমায়ূনের সমাধির কথা।
তাজমহল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসআই-এর ‘আগরা সেল’ জানিয়েছে, ২০২১-এর ডিসেম্বর থেকে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যমুনা নদী খাত লাগোয়া ওই ভূগর্ভস্থ ঘরগুলিতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়েছিল। সে সময়ই ছবিগুলো তোলা হয়। প্রকাশিত চারটি ছবি গত ডিসেম্বরে তোলা হয়েছিল।
তাজমহল আসলে ‘তেজো মহালয়’ নামে একটি শিব মন্দির বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির। বিজেপির অযোধ্যা জেলার ‘মিডিয়া ইনচার্জ’ রজনীশ সিংহ এএসআই-এর বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে তাজমহলের ‘আসল ইতিহাস’ অনুসন্ধানের দাবিতে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষ্ণৌ বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। পাশাপাশি, তাজমহলের অন্দরে দীর্ঘ দিন ধরে তালাবন্ধ ওই ২২টি ঘর খোলারও দাবি জানান তিনি। তবে, গত ১২ মে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট।
সূত্র: আনন্দবাজার।