মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদে নামাজ বন্ধের আরজি আদালতে
অনলাইন ডেস্ক | ১৮ মে, ২০২২ ১২:৩৭
এর আগেও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মথুরার আদালতে মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি পিটিশন দাখিল করে
ভারতের হিন্দুদের তীর্থস্থান কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্কের মাঝেই মন্দিরনগরী মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদে নামাজ বন্ধের দাবি তুলল আইনজীবী এবং আইন পাঠরত ছাত্রদের একাংশ। আদালতে তাদের আবেদন, অতি সত্বর যেন এ মসজিদে নামাজ পড়তে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, আবেদনকারীদের দাবি শাহী ঈদগাহ মসজিদ আসলে কৃষ্ণের জন্মস্থান। মসজিদের আগে ওই স্থানে একটি মন্দির ছিল।
আবেদনকারী এক আইনজীবী শৈলেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘মসজিদের এই কাঠামো একটি হিন্দু মন্দিরের অবশিষ্টাংশের ওপর তৈরি হয়েছে। এটি একটি মন্দির এবং এই কাঠামোর ওপর মসজিদ হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।’
তাই এই কাঠামো ব্যবহারে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন জানিয়ে তারা আদালতের দ্বারস্থ হন বলেও তিনি জানান।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোও অনেক দিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব কৃষ্ণ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে তৈরি করেছিলেন ওই মসজিদ। ফলে ওই মসজিদ সরিয়ে দিতে হবে।
এর আগেও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মথুরার আদালতে মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি পিটিশন দাখিল করেছিল। এই মসজিদ লাগোয়া একটি কৃষ্ণ মন্দিরও রয়েছে, কাটরা কেশব দেব মন্দির। এই মসজিদের এলাকা আগে কেশব দেব মন্দিরের ছিল বলেও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর দাবি।
এই বছরে হওয়া উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ নজর ছিল ভারতবাসীর। বিজেপির দাবি ছিল, তাদের দল ক্ষমতায় ফিরলে মন্দিরও ফিরবে। মথুরা বিধানসভা কেন্দ্রেও জয়ী হয় বিজেপি। এক লাখেরও বেশি ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের প্রদীপ মাথুরকে হারিয়ে জয়ী হন বিজেপির শ্রীকান্ত শর্মা। মথুরায় বিজেপি জিতলে এই শহরেও মন্দির-মসজিদ বিতর্ক মাথাচাড়া দিতে পারে বলে আগেই মনে করেছিলেন দেশটির রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৮ মে, ২০২২ ১২:৩৭

ভারতের হিন্দুদের তীর্থস্থান কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্কের মাঝেই মন্দিরনগরী মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদে নামাজ বন্ধের দাবি তুলল আইনজীবী এবং আইন পাঠরত ছাত্রদের একাংশ। আদালতে তাদের আবেদন, অতি সত্বর যেন এ মসজিদে নামাজ পড়তে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, আবেদনকারীদের দাবি শাহী ঈদগাহ মসজিদ আসলে কৃষ্ণের জন্মস্থান। মসজিদের আগে ওই স্থানে একটি মন্দির ছিল।
আবেদনকারী এক আইনজীবী শৈলেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘মসজিদের এই কাঠামো একটি হিন্দু মন্দিরের অবশিষ্টাংশের ওপর তৈরি হয়েছে। এটি একটি মন্দির এবং এই কাঠামোর ওপর মসজিদ হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।’
তাই এই কাঠামো ব্যবহারে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন জানিয়ে তারা আদালতের দ্বারস্থ হন বলেও তিনি জানান।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোও অনেক দিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব কৃষ্ণ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে তৈরি করেছিলেন ওই মসজিদ। ফলে ওই মসজিদ সরিয়ে দিতে হবে।
এর আগেও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মথুরার আদালতে মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি পিটিশন দাখিল করেছিল। এই মসজিদ লাগোয়া একটি কৃষ্ণ মন্দিরও রয়েছে, কাটরা কেশব দেব মন্দির। এই মসজিদের এলাকা আগে কেশব দেব মন্দিরের ছিল বলেও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর দাবি।
এই বছরে হওয়া উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ নজর ছিল ভারতবাসীর। বিজেপির দাবি ছিল, তাদের দল ক্ষমতায় ফিরলে মন্দিরও ফিরবে। মথুরা বিধানসভা কেন্দ্রেও জয়ী হয় বিজেপি। এক লাখেরও বেশি ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের প্রদীপ মাথুরকে হারিয়ে জয়ী হন বিজেপির শ্রীকান্ত শর্মা। মথুরায় বিজেপি জিতলে এই শহরেও মন্দির-মসজিদ বিতর্ক মাথাচাড়া দিতে পারে বলে আগেই মনে করেছিলেন দেশটির রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।