মহানবীকে কটুক্তি: দর্জি কানহাইয়া লাল হত্যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
অনলাইন ডেস্ক | ২৯ জুন, ২০২২ ১৭:৫৬
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নুপুর শর্মার সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের উদয়পুরে এক হিন্দু দর্জিকে গলা কেটে হত্যার পর সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। উত্তেজনা প্রশমনে স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে কারফিউ জারি এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার ওই দর্জিকে ধারাল ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন দুই মুসলিম যুবক।
এ ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গেছে ভারতের পুরো রাজস্থান প্রদেশ। নিন্দার ঝড় বইছে ভারতজুড়ে। ওই দুজন হামলাকারী হত্যার পুরো ঘটনা ভিডিও করে। এসময় তারা নরেন্দ্র মোদিকেও হত্যার হুমকি দেন।
তবে হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পরই গ্রেপ্তার করা হয় গাউস মোহাম্মদ ও রিয়াজ আখতারি নামের ওই দুজনকে। এরইমধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার দেয়া হয়েছে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএকে। তবে তদন্ত শুরু হতেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দর্জি কানহাইয়া লালের ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য করা হয়েছিল। ওই দুই অভিযুক্তের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের বিষয়টিও উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
তিনি বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে বুধবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং কঠোর সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী গেহলট হিন্দিতে করা এক টুইট বার্তায় বলেন, এনআইএ অধিকতর তদন্ত করবে। তাদের পুরোপুরি সহযোগিতা করবে রাজস্থানের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)। পুলিশ ও প্রশাসনের উচিত পুরো রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং যারা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
আরও পড়ুন...
মহানবীকে কটুক্তি: রাজস্থানে দর্জিকে গলা কেটে হত্যায় চরম উত্তেজনা
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৯ জুন, ২০২২ ১৭:৫৬

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নুপুর শর্মার সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের উদয়পুরে এক হিন্দু দর্জিকে গলা কেটে হত্যার পর সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। উত্তেজনা প্রশমনে স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে কারফিউ জারি এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার ওই দর্জিকে ধারাল ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন দুই মুসলিম যুবক।
এ ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গেছে ভারতের পুরো রাজস্থান প্রদেশ। নিন্দার ঝড় বইছে ভারতজুড়ে। ওই দুজন হামলাকারী হত্যার পুরো ঘটনা ভিডিও করে। এসময় তারা নরেন্দ্র মোদিকেও হত্যার হুমকি দেন।
তবে হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পরই গ্রেপ্তার করা হয় গাউস মোহাম্মদ ও রিয়াজ আখতারি নামের ওই দুজনকে। এরইমধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার দেয়া হয়েছে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএকে। তবে তদন্ত শুরু হতেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দর্জি কানহাইয়া লালের ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য করা হয়েছিল। ওই দুই অভিযুক্তের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের বিষয়টিও উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
তিনি বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে বুধবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং কঠোর সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী গেহলট হিন্দিতে করা এক টুইট বার্তায় বলেন, এনআইএ অধিকতর তদন্ত করবে। তাদের পুরোপুরি সহযোগিতা করবে রাজস্থানের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)। পুলিশ ও প্রশাসনের উচিত পুরো রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং যারা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
আরও পড়ুন...
মহানবীকে কটুক্তি: রাজস্থানে দর্জিকে গলা কেটে হত্যায় চরম উত্তেজনা