
পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়তে বাড়তে ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (পিবিএস)। পাকিস্তান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস (পিবিএস) সংবেদনশীল দাম সূচকের (এসপিআই) নিরিখে এই পরিসংখ্যান পেয়েছে।
পিবিএসের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানে পেট্রোলিয়াম দ্রব্যের বিপুল মূল্যবৃদ্ধি হওয়ার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসেরই দাম বেড়েছে। তবে ময়দা আর ডিমের মতো গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত জিনিসের তিন গুণ দাম বেড়েছে।
দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকট গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। মানুষের মধ্যে বেকারত্ব বাড়ছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
পিবিএসের ট্র্যাক করা ৫১টি পণ্যের মধ্যে ২৬টি পণ্যের দাম বেড়েছে, ১৩টি পণ্যের দাম কমেছে। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টি পণ্যের।
প্রতিবেদন অনুসারে, গত কয়েক দিন পাকিস্তানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে (২২৮.২৮ শতাংশ), সিগারেট (১৬৫.৮৮ শতাংশ), গমের আটা (১২০.৬৬ শতাংশ), ডিজেল (১০২.৮৪ শতাংশ), চা (৯৪.৬০ শতাংশ), কলা (৮৯.৮৪ শতাংশ), বাসমতি ভাঙ্গা চাল (৮১.২২ শতাংশ), পেট্রল (৮১.১৭ শতাংশ), ডিম (৭৯.৫৬ শতাংশ)।
ইতোমধ্যে আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১১০ কোটি ডলারের ঋণের দিকে চেয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তবে ওই ঋণ পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে আইএমএফ। তার মধ্যে একটি হলো পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর দামকে নির্দিষ্ট একটি অংকে রাখতে হবে।
পাকিস্তান শুধু নয় উপমহাদেশে এখন অন্যতম আলোচিত চরিত্র পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গুলির মুখ থেকে ফিরে আসা, গ্রেপ্তার হওয়া, পরে আবার জামিন পাওয়া-সাম্প্রতিক সময়ে এত ঘটনার মুখোমুখি আর কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়েছেন কি না খোঁজ নিতে হয়।
ইমরান খান সব সময় যেন প্রধান চরিত্র হয়ে থাকতে চান। ক্রিকেট মাঠে যেমন ছিলেন আলোচিত, একের পর এক বিয়ে আর ভাঙনের খেলায়ও তিনি নায়ক। এরপর পাকিস্তানের মতো অনিশ্চিত ও বিদসংকুল দেশের রাজনীতিতে নেমে হয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রীও। সেটাও টিকল না তিন বছরের বেশি। প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়ে হয়ে গেলেন বিরোধী শিবিরের প্রধান সেনাপতি। বলতে গেলে পাকিস্তানের রাজনীতি এখন ঘুরছে তাকে কেন্দ্র করে।
কিন্তু যাকে নিয়ে এত কিছু তিনি নাকি একটা ডিমও সেদ্ধ করে খেতে জানেন না, অতিথি আপ্যায়ন কাকে বলে জানেন না সেটাও।
আর এসব তথ্য জানিয়েছেন আতিকা রেহমান। তিনি পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ডন’-এর কূটনীতি প্রতিবেদক।
বিভিন্ন সময়ে ইমরান খানের সাক্ষাৎকার নিতে যান তিনি। সেখানে ব্যক্তি ইমরানকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা হয় তার।
যেমন তিনি ২০১৩ সালে ইমরান খানের সাক্ষাৎকার নিতে যান তার লাহোরের বাসায়। সেদিন সকালবেলা ছিল। ইমরান তার সামনেই ডোবা তেলে ভাজা পুরি খাচ্ছিলেন। তবে তাকে সামান্য পানীয় ছাড়া আর কিছু খাওয়ার অনুরোধ জানাননি।
আতিকা ইমরানের এক বন্ধুর বরাত দিয়ে আরো জানান, ইমরান যখন জেমিমার (খান) সঙ্গে ছিলেন, তখন কেউ তাদের বাসায় গেলে আতিথ্য পেতেন। আর ইমরান, তিনি জানেনও না কীভাবে একটা ডিম সেদ্ধ করতে হয়, তিনি কখনো কাউকে এক গ্লাস পানিও পান করার অনুরোধ জানাবেন না, আর এটাই তার স্বভাব।
প্রসপেক্ট ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আতিকা লিখেছেন, একজন সাংবাদিক যখন কোনো রাজনীতিবিদের কাছে যাবেন, তাকে বিস্কুট থেকে শুরু করে খামে ভরা টাকা পর্যন্ত সাধা হবে। কিন্তু ইমরান এসবের ধার ধারেন না। তার কাছে গেলে শুধু তাকেই পাওয়া যাবে।
আতিকার সঙ্গে ইমরান খানের কথা হয় তার তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবিকে নিয়েও। যিনি পাঞ্জাব শহরের একটি রক্ষণশীল জমিদার পরিবারের মেয়ে। সুফি সাধকদের প্রভাবাধীন এলাকায় বুশরা বিবির বেড়ে ওঠা। যিনি ‘পিরনি’ হিসাবে এলাকায় বিখ্যাত। সুফি ঐতিহ্যে আধ্যাত্মিক গুরুদের দেওয়া উপাধি ‘পিরনি’।
৪৮ বছর বয়সী বুশরা বিবি প্রার্থনার মাধ্যমে সমস্যাগ্রস্ত আত্মাদের সাহায্য করে থাকেন বলে জানা যায়।
২০১৪ প্রথম স্ত্রী জেমিমার সঙ্গে ইমরানের বিচ্ছেদ হয়। এর এক দশক পর তিনি রেহাম খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। রেহাম খান ছিলেন একজন ব্রিটিশ-পাকিস্তানি। তিনি সংবাদমাধ্যম বিবিসির আবহাওয়া উপস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। তবে বিচ্ছেদের পর তিনি ইমরান খানের যৌনতা ও মাদক গ্রহণ নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
নিজের বিয়ে ও সংসারজীবন নিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘সহজভাবে বলতে আমি আসলে কখনো ‘আত্মার সঙ্গী’ (সোলমেট) পাব সেটা বিশ্বাস করিনি। কিন্তু আমি এখন জানি একজন আত্মার সঙ্গী কী। আমি আমার জীবনের বেশির ভাগ সময় একা ছিলাম, অনেক বিয়ে ভেঙে যেতে দেখেছি… আমি বিয়ে করতে চাইনি আর, কারণ আমি ভেবেছিলাম এ কাজ আর করব না। মাঝে মাঝে, আমি এই শব্দটি 'আত্মার সঙ্গী' শুনতাম... এবং আমি ভাবতাম, আমি কি কখনো সেই সৌভাগ্য পাব?"
তিনি জানান, নেলসন ম্যান্ডেলা একবার তাকে এবং জেমিমাকে তহবিল সংগ্রহের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানে ম্যান্ডেলা এবং তার শেষ স্ত্রী গ্রাসা মিশেলকে একসঙ্গে বসে থাকতে দেখেন। তাদের ভেতরের প্রেম ওই অবস্থায়ও বোঝা যাচ্ছিল। ইমরান তখন মনে মনে ভাবছিলেন, ‘আমার কি কখনো একজন ‘আত্মার সঙ্গী’ হবে? তবে এখন আমার একজন (বুশরা বিবি) আছে’।
জানা যায়, আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনার জন্য খান যখন বুশরার কাছে ‘গোপনে’ যেতে শুরু করেন তখন মিডিয়া এ সম্পর্ক নিয়ে কথা তোলে। তখন প্রচার করা হয় যে, বুশরা ইমরানকে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করতে পারেন। পরে তাকে বিয়ে করে ইমরান নিজেকে নতুন রাজনৈতিক উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। অবশেষে বুশরা তার তার পাঁচ সন্তানের জনক স্বামীকে তালাক দেন এবং ২০১৮ সালে ইমরান খানকে বিয়ে করেন।
বুশরাকে নিয়ে প্রচলিত গুজব হলো, যে তিনি জাদু জানতেন এবং মাংস খাওয়া জিনদের একটি বাহিনীকে পালতেন।
বুশরাকে বিয়ের পর ইমরান খান দাফনে যোগ দেওয়া করা বন্ধ করে দেস। তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা সহযোগী হলেও দাফনে উপস্থিত হতেন না। অনেকের সন্দেহ, ইমরান খান বিশ্বাস করছেন যে, মৃত ব্যক্তির সঙ্গে একই ঘরে থাকলে দুর্ভাগ্য বাড়বে তার। এমনকি ২০২১ সালে তিনি বেলুচিস্তানে ইসলামিক স্টেটের হাতে নিহত সংখ্যালঘু হাজারা জাতির খনি শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিতর্কিত হন।
এমনকি এটাও শোনা যায় যে, ইমরান খানের এসব ‘কুসংস্কার’ সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্কে প্রথম ফাটলের জন্ম দেয়। আর সেটি ছিল গোয়েন্দা প্রধান নিয়োগে তার অতিরিক্ত সময় নেয়া। একজন মন্ত্রীর দাবি, জনৈক নারী (বুশরা বিবি) তাকে উপযুক্ত সময়ে গোয়েন্দা প্রধান নিয়োগের ঘোষণা দিতে বলেছিলেন। যার কারণে বিলম্ব ঘটে।
ইমরান খান যদিও বর্তমানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন, তবে অনেকে মনে করেন তাদের সঙ্গে যোগসাজশেই ইমরান ক্ষমতায় আসেন। কারণ পাকিস্তান পিপলস পার্টি জুলফিকার আলি ও বেনজির ভুট্টো) ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ শরিফ) দুর্নীতিতে পর্যুদস্ত। তাদের বাইরে ইমরান খানকে দিয়ে দুর্নীতি যদি কমানো যায়। তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী খুশি হয় যখন ইমরান ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ১৩৭ আসন না পেয়ে ১১৫ আসন পায়। ঘাটতি আসনগুলোর মাধ্যমে সেনাবাহিনী ইমরানের কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপের সুযোগ পায়। তবে উচ্চ শ্রেণির দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ইমরান খান সরকারকে ব্যবস্থা নিতে দেখা গেল না। পরে তিনি ক্ষমতাচ্যুতও হন।
ইমরান সব সময়ে বলে আসছেন, পাকিস্তান হবে ধনী-গরিব সবার। তিনি ‘ভিআইপি’ কালচারকে অপছন্দ করতেন, চাইতেন এসব উঠে যাক। কিন্তু নিজে যখন চলাচল করতেন তখন আবার ‘ভিআইপি’ সুবিধা পেতে অস্থির হয়ে উঠতেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, এ বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠেয় মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তার দল। আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন অনুসারে,মধ্যপ্রদেশে আমরা ১৫০টি আসন পেতে যাচ্ছি।
সোমবার (২৯ মে) রাজধানী নয়া দিল্লির এক সংবাদ সম্মেলনে মধ্যপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নিয়ে একথা বলেন রাহুল।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতে বিধানসভা নির্বাচন চলছে। দেশটির মধ্যাঞ্চালের রাজ্য মধ্যপ্রদেশে এ নির্বাচন হতে এখনও চার মাস বাকি। সদ্য কর্নাটক রাজ্যে জয় পেয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। এরইমধ্যে মধ্যপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে সোমবার বৈঠকে বসে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধীও।
বৈঠকের পর এক সংবাদসম্মেলনে রাহুল দাবি করেন, মধ্যপ্রদেশে ১৫০টি আসনে জয় পেতে চলেছে কংগ্রেস। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা কর্নাটকে ১৩৬টি আসন পেয়েছিলাম। মধ্যপ্রদেশে আমরা ১৫০টি আসন পেতে চলেছি।’
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৩০। এর মধ্যে কংগ্রেস ১৫০টি আসন পেলে রাজ্যটিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে ক্ষমতায় আসবে তারা।
মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরুদ্ধে জোর হওয়া চলায় জয়ের আশা দেখছে কংগ্রেস। দেশটির রাজনীতিবিদদের একাংশের অভিমত,কর্নাটকে আশাতীত সাফল্যের পরে নির্বাচনমুখী রাজ্যগুলোর কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। যার প্রতিফলন দেখা গেছে রাহুলের কথায়।
চলতি বছরেই আরও তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্যগুলো হলো, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড় এবং তেলেঙ্গানায়। এদিকে রাজস্থান এবং ছত্রিশগড় ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস তাই এ দুই রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখাতে প্রাণপণ লড়বে তারা। তেলেঙ্গানায় তাদের লড়াই হবে বিআরএস-এর সঙ্গে।
সহিংসতা-বিধ্বস্ত রাজ্য মণিপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের ঠিক আগ মুহূর্তে আবারও নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে। এতে করে একজন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত পাঁচজন নিহত এবং ১২ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
কথিত সন্ত্রাসীরা রাজ্যের সেরু এবং সুগুনু এলাকায় অনেক বাড়িতে আগুন দেওয়ার পরে রাজ্যের বেশ কয়েকটি অংশে নতুন করে এই সহিংসতার খবর পাওয়া যায়।
আজ সোমবার মণিপুর সফরে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি মেইতেই ও কুকি উভয় জনগোষ্ঠীকেই শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডেও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গতকাল ২ দিনের সফরে মণিপুর পৌঁছেছেন।
সহিংসতা বৃদ্ধি এড়াতে সরকার বেশ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ এবং ইন্টারনেট ব্যবহার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং গতকাল রবিবার জানান, মণিপুর রাজ্যে গত তিন-চারদিনের সহিংসতায় ৪০ জন সন্দেহভাজন কুকি সন্ত্রাসী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা এম-১৬ ও একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল ও স্নাইপার গান নিয়ে বেসামরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তারা অনেক গ্রামে ঢুকে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে খুব কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছি। এতে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী ও অপর নিরাপত্তাবাহিনী।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান এবং দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আদালত কর্তৃক অযোগ্য ঘোষিত হলে দলের পরবর্তী নেতৃত্ব দিবেন পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশি।
গতকাল শনিবার নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানী গণমাধ্যম জিও নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
লাহোরের জামান পার্কের বাড়িতে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সঙ্গে এক বৈঠকে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি আমাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়, সে ক্ষেত্রে শাহ মাহমুদ কুরেশি দল চালাবেন।’
ইমরান খানের সরকারে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কুরেশি।
৯ মে পাকিস্তানজুড়ে ভাংচুরের ঘটনায় তার দল থেকে নেতাদের গণপ্রস্থানের বিষয়ে মন্তব্য করে পিটিআই প্রধান বলেন, “পরিস্থিতি শীঘ্রই পরিবর্তন হতে চলেছে, আগামী দিনে আমি একটি বড় চমক দেব।“
তিনি আরও বলেন, দলের কিছু নেতা বাধ্য হয়ে দল ত্যাগ করছেন আবার কেউ কেউ প্রকাশ্যে এসেছেন। তবে নেতাদের দলত্যাগ সত্ত্বেও পিটিআই পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় জনগণের মধ্যে তার দলের জনপ্রিয়তা পরিমাপ করতে একটি গণভোট আয়োজনেরও আহ্বান জানান ইমরান খান।
বৈঠকে পিটিআই প্রধান দাবি করেন যে "গ্রেপ্তার, অযোগ্য ঘোষণা এবং এমনকি তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
তিনি তার দলের কর্মীদের সামরিক স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দিয়েছেন এমন অভিযোগের জবাবে ইমরান খান এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন যে তিনি কখনো সহিংসতা ও ভাঙচুরের নির্দেশ জারি করেননি।
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসানের পর ভারতে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করা হলো। রোববার সকালে পূজা পাঠ শুরু মাধ্যমে নতুন এই সংসদ ভবন উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে এ তথ্য।
এনডিটিভি জানায়, রোববার সংসদ ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে সকাল সোয়া ৭টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি। সংসদ চত্বরে এসে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সাথে নতুন ভবনের উদ্বোধনের জন্য পূজায় অংশ নেন।
এ সময় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক সোনার রাজদণ্ড বা সেঙ্গল স্পিকারের আসনের পাশে স্থাপন করা হয়। পবিত্র বেদমন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে এই সেঙ্গল স্থাপন করা হয়।
এদিকে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের আওতায় তৈরি এই ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি খোদ দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। তার আমন্ত্রণ না পাওয়ায় এ নিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ক্ষমতাসীন বিজেপি ও বিরোধী দলের নেতারা। গত বুধবার ১৯টি বিরোধী দল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটেরও ঘোষণা দিয়েছিলেন।
নয়া দিল্লিতে অবস্থিত নতুন সংসদ ভবনটি ত্রিভুজাকার আকৃতির ডিজাইনে নির্মিত হয়েছে। মোট নয় হাজার শ্রমিক দ্বারা নতুন সংসদ ভবন নির্মাণে খরচ হয়েছে ১২০০ কোটি রুপি। এই ভবনের আর্কিটেক্ট ডিজাইন করেন স্থপতি বিমল প্যাটেল। স্থাপত্য সংস্থা হলো এইচসিপি ডিজাইনের প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড এবং প্রধান ঠিকাদার টাটা প্রজেক্টস লিমিটেড।
নতুন পে-স্কেল কিংবা মহার্ঘ ভাতা নয়, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়বে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট অনুযায়ী। তাদের বেতন প্রতি বছর যতটা বাড়ার কথা এবার তার চেয়ে বেশি বাড়বে। আর তা চলতি বছরের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বাড়ানো হবে। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশের বাইরে বাড়ানো হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত প্রায় এক বছর ধরে দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের বেশিরভাগের একমাত্র আয় বেতন-ভাতা। বৈশি^ক মন্দার কারণে সরকারও খানিকটা সংকটে আছে। এ পরিস্থিতিতে পে-স্কেল দেওয়ার মতো বড় ধরনের ব্যয় বাড়ানো সরকারের পক্ষে কঠিন হবে। ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হলে সরকারের ওপর চাপ বেশি হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সরকারি কর্মরতদের খানিকটা স্বস্তি দিতে কোন খাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় এমন প্রস্তাব চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বাজেটবিষয়ক বিভিন্ন বৈঠকে সরকারি নীতিনির্ধারকরাও এ বিষয়ে আলোচনা করেন। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাই করে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করে। চলতি মাসে গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী এ বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী ওই বৈঠকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে কত বাড়তি ব্যয় হবে তা হিসাব করে পরের বৈঠকে উপস্থাপন করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বড় ধরনের ব্যয় না বাড়িয়ে একটা উপায় বের করতেও বলেন। শেষ পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে নিজেই জানিয়েছেন।
বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা ২০১৫ সালের বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এ বেতন কমিশন প্রণীত হয়েছিল। এ কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, আর নতুন বেতন কমিশন গঠন করা হবে না। প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট বা বেতন বাড়ানো হবে। এ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তা হয়ে আসছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি হিসাব অনুযায়ী, দেশে সরকারি কর্মচারী ১৪ লাখ। বিভিন্ন করপোরেশন এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে হিসাব করলে প্রায় ২২ লাখ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটে নিয়মিত ইনক্রিমেন্টের বাইরে আরও কতটা বাড়ানো যায় তা হিসাব করে নির্ধারণ করা হবে। এ কাজ করতে বাজেট প্রস্তাব পেশ করার পর আলাদা কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে যাচাই-বাছাই শেষে ইনক্রিমেন্টের হার সুপারিশ করবে। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করে বিদ্যমান ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে প্রতি মাসে বেতন বাড়ানো হবে, নাকি গড় মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করে ইনক্রিমেন্টের হার বাড়ানো হবে, তা খতিয়ে দেখা হবে। ২০তম গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেড পর্যন্ত সবার জন্য একই হারে বেতন বাড়নো হবে কি না, তা আরও খতিয়ে দেখা হবে। চূড়ান্ত হিসাব অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে প্রকাশ করা হবে। যে তারিখেই প্রকাশ করা হোক না কেন, আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকরী ধরা হবে।
এখানে মহার্ঘ ভাতা ১০ শতাংশ দেওয়া হলে এ হিসাবে ৪ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে হবে। ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ৬ হাজার কোটি এবং ২০ শতাংশ দেওয়া হলে ৮ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে হবে। অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে আগামী অর্থবছরে সরকারের ব্যয় বাড়বে। আর এতে সরকার ব্যয় কমিয়েও সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তুষ্টিতে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো পথে হেঁটেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি কর্মরতদের বেতন-ভাতা বাবদ রাখা হয়েছে ছিল ৭৪ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। খরচ না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ১ হাজার ৯৩ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা বাজেট হওয়ার কথা আছে। এ বাজেট সরকারি কর্মরতদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ ৭৭ হাজার কোটি টাকা রাখা হতে পারে। সরকারি কর্মকর্তাদের অনেক পদ এখনো খালি আছে। এতে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো হলেও সরকারের ব্যয়ে বড় ধরনের চাপ বাড়বে না।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) নির্মিত হয়েছে বিশেষ কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান ‘ও ভোরের পাখি’। ঈমাম হোসাইনের প্রযোজনায় এটি উপস্থাপনা করেছেন তামান্ন তিথি। অনুষ্ঠানটিতে আবৃত্তি করেছেন আশরাফুল আলম, মীর বরকত, রফিকুল ইসলাম, পলি পারভিন, শাকিলা মতিন মৃদুলা, মাসকুর-এ সাত্তার কল্লোল, আসলাম শিশির, সংগীতা চৌধুরী, আহসান উল্লাহ তমাল। প্রচারিত হয় ২৫ মে সকাল সাড়ে ৯টায়।
এছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘আমারে দেবো না ভুলিতে’। অনুষ্ঠানটিতে গান, কবিতা ও আলোচনার সমন্বয়ে কবিকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বাচিকশিল্পীদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। ইয়াসমিন মুসতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, শেলু বড়ুয়া, ছন্দা চক্রবর্ত্তী ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন প্রফেসর মুন্সী আবু সাইফ। মনিরুল হাসানের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে ২৫ মে দুপুর ১ টা ০৫ মিনিটে। আরও প্রচারিত হবে সংগীতানুষ্ঠান ‘দোলনচাঁপা’ ও ‘সন্ধ্যামালতী’। রাত ৯টায় প্রচারিত হবে নাটক ‘বনের পাপিয়া’ (পুনপ্রচার)।