আমতলীতে স্কুলের ওয়েবসাইট তৈরি করল ক্ষুদে প্রোগ্রামাররা
অনলাইন ডেস্ক | ১০ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:২০
চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার বরগুনার আমতলী উপজেলার প্রদর্শনীতে আমতলী একে পাইলট সরকারি স্কুলের স্টলে স্কুলের নিজস্ব যে ওয়েবসাইটটি প্রদর্শিত হচ্ছে, সেটি ওই স্কুলের ক্ষুদে প্রোগামাররাই তৈরি করেছে। এরা সকলেই ওই স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
একান্তই নিজেদের চিন্তা ভাবনা, ডিজাইনিং এবং এইচটিএমএল ও সিএসএস প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে নবম শ্রেণির মেধাবি ক্ষুদে শিক্ষার্থী নাবিল, আকাশ, আবুবকর ও নিলয় এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছে বলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান জানিয়েছেন। খবর: বাসস।
এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমতলী সরকারি কলেজের আইটিসি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম তালুকদার তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে জানান, বর্তমানে এমন একটি ওয়েবসাইট সবার পক্ষে কিংবা একজন দক্ষ প্রোগ্রামার ছাড়া তৈরি করা সম্ভব নয়।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, স্থানীয় ডাব্লিউডাব্লিউআইটি নামক কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে তারা প্রোগামিং-এর দীক্ষা নিয়ে তা খুব সহজেই আয়ত্ব করেছে।
‘ডাব্লিউডাব্লিউআইটি’র নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান বাপ্পী জানান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন। সে জন্য গনিত, বিজ্ঞান ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং শিক্ষায় নতুন প্রজন্মকে প্রশিক্ষিত হতে হবে।
আমতলী একে পাইলট সরকারি স্কুলের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির শিক্ষক মো. শাহআলম জানান, তাদের স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা আগামী ২১ অক্টোবরের জাতীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
উন্নয়ন মেলায় অংশ নেয়া একে পাইলট সরকারি স্কুলের স্টলটি পরিদর্শন করে বরগুনার সাবেক সাংসদ ও জেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রোগ্রমিং এ দক্ষ একজন ব্যক্তির চাকরির জন্য বসে থাকতে হয় না। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রোগ্রামিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার পাশপাশি প্রোগ্রামিং শেখা দরকার।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১০ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:২০

চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার বরগুনার আমতলী উপজেলার প্রদর্শনীতে আমতলী একে পাইলট সরকারি স্কুলের স্টলে স্কুলের নিজস্ব যে ওয়েবসাইটটি প্রদর্শিত হচ্ছে, সেটি ওই স্কুলের ক্ষুদে প্রোগামাররাই তৈরি করেছে। এরা সকলেই ওই স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
একান্তই নিজেদের চিন্তা ভাবনা, ডিজাইনিং এবং এইচটিএমএল ও সিএসএস প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে নবম শ্রেণির মেধাবি ক্ষুদে শিক্ষার্থী নাবিল, আকাশ, আবুবকর ও নিলয় এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছে বলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান জানিয়েছেন। খবর: বাসস।
এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমতলী সরকারি কলেজের আইটিসি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম তালুকদার তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে জানান, বর্তমানে এমন একটি ওয়েবসাইট সবার পক্ষে কিংবা একজন দক্ষ প্রোগ্রামার ছাড়া তৈরি করা সম্ভব নয়।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, স্থানীয় ডাব্লিউডাব্লিউআইটি নামক কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে তারা প্রোগামিং-এর দীক্ষা নিয়ে তা খুব সহজেই আয়ত্ব করেছে।
‘ডাব্লিউডাব্লিউআইটি’র নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান বাপ্পী জানান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন। সে জন্য গনিত, বিজ্ঞান ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং শিক্ষায় নতুন প্রজন্মকে প্রশিক্ষিত হতে হবে।
আমতলী একে পাইলট সরকারি স্কুলের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির শিক্ষক মো. শাহআলম জানান, তাদের স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা আগামী ২১ অক্টোবরের জাতীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
উন্নয়ন মেলায় অংশ নেয়া একে পাইলট সরকারি স্কুলের স্টলটি পরিদর্শন করে বরগুনার সাবেক সাংসদ ও জেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রোগ্রমিং এ দক্ষ একজন ব্যক্তির চাকরির জন্য বসে থাকতে হয় না। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রোগ্রামিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার পাশপাশি প্রোগ্রামিং শেখা দরকার।’