মোবাইলের ফাইল ট্রান্সফারের সহজ উপায়
অনলাইন ডেস্ক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০৯:৪২
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আসে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও মোবাইল। আমরা সবাই কমবেশি কয়েকবার নিশ্চয়ই মোবাইল বদলাই। এক মডেল বদলে অন্য মডেল নেই। অ্যান্ড্রয়েড বদলে নেই আইফোন। আমাদের যাবতীয় তথ্য, ছবি, যোগাযোগের জন্য ফোন নম্বর, ঠিকানা এখন সবকিছুই থাকে মোবাইলের মধ্যেই।
মোবাইল বদলের ক্ষেত্রে ফাইল ট্রান্সফারের বিষয়টি খুব ঝামেলায় ফেলে। বদল করলেই হারিয়ে যায় মোবাইলের সবকিছু। তবে আশার কথা হলো, মোবাইলে থাকা প্রয়োজনীয় সব কিছু ট্রান্সফার করার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। খুব সহজেই আপনি এসব করতে পারবেন।
‘ক্লাউড’ নামে নতুন একটি সেবা চালু আছে এখন। ক্লাউডে তথ্য রাখলে তথ্য চুরি, হার্ড ড্রাইভ অচল হয়ে যাওয়া বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পায়। যেকোনো স্থান থেকে লগইন করে এটি ব্যবহার করা যাবে। যেকোনো স্থান থেকে সার্ভারে ডেটা সংগ্রহ এবং নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ফাইল ট্রান্সফার করার সময় এই ক্লাউড সার্ভিস আপনার ফাইলের ব্যাকআপ রাখবে। আপনি যদি গুগলের বিভিন্ন সার্ভিস নিয়মিত ব্যবহার করেন, তবে এটা আপনার জন্য সব থেকে ভালো হবে।
আপনি যদি আইফোন থেকে অ্যান্ড্রয়েডে ট্রান্সফার করতে চান, তবে তার ব্যবস্থাও আছে। আইফোনে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে গুগল ড্রাইভ ডাউনলোড করুন। গুগলে অ্যাকাউন্ট থাকলে সাইন ইন করুন। না থাকলে নতুন অ্যাকাউন্ট করে নিন। এরপর ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখুন। এরপর অ্যান্ড্রয়েডে একই অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করুন। সব পেয়ে যাবেন।
আর যদি অ্যান্ড্রয়েড থেকে আইফোনে ট্রান্সফার করতে চান, গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ‘গড়াব ঃড় রঙ’ অ্যাপ ডাউনলোড করুন। এরপর কী করতে হবে ধাপে ধাপে সেটার নির্দেশনা সেখানেই দেওয়া আছে।
প্রতিটি অ্যাপ ডাউনলোড করে চালু করার আগে সাইন ইন করতে হয়। এই সাইন ইন করারও একটা নিরাপদ ও সহজ ব্যবস্থা রয়েছে। কারণ বারবার বিভিন্ন জায়গায় সাইন ইন করলে আপনার পাসওয়ার্ড চুরি হতে পারে। নিরাপত্তার ঝুঁকি থেকে যায়। তাই আপনি ব্যবহার করতে পারেন পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ‘লাস্টপাস’। এই লাস্টপাস আপনার পাসওয়ার্ডের একটি ইনক্রিপটেড কপি ক্লাউডে সংরক্ষিত রাখে। তা ছাড়া অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের রয়েছে ‘টু ফ্যাক্টর ভেরিফিকেশন’ সিস্টেম।
কিছু বিষয় মাথায় রাখলে ফাইল ট্রান্সফার করা খুব সহজ হয়ে যায়। যেমন : যখন ছবি তুলবেন সেটা যেন গুগল ফটোতে সেভ হয়। গুগল ফটোর অ্যাপ প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েট ফোনেই থাকে। নতুন ফোনে শুধু অ্যাপ ডাউনলোড করে সাইন ইন করলেই কাজ শেষ।
এ ছাড়া আপনি গুগল সার্চ করে এ রকম আরো অনেক সুবিধা পাবেন। তবে যদি খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনি ক্লাউড সার্ভারে রাখতে চান, তবে ফ্রি সুবিধা বাদ দিন। পেইড সার্ভিস নিন। কারণ পেইডের মতো সুবিধা কোথাও ফ্রিতে পাবেন না।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০৯:৪২

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আসে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও মোবাইল। আমরা সবাই কমবেশি কয়েকবার নিশ্চয়ই মোবাইল বদলাই। এক মডেল বদলে অন্য মডেল নেই। অ্যান্ড্রয়েড বদলে নেই আইফোন। আমাদের যাবতীয় তথ্য, ছবি, যোগাযোগের জন্য ফোন নম্বর, ঠিকানা এখন সবকিছুই থাকে মোবাইলের মধ্যেই।
মোবাইল বদলের ক্ষেত্রে ফাইল ট্রান্সফারের বিষয়টি খুব ঝামেলায় ফেলে। বদল করলেই হারিয়ে যায় মোবাইলের সবকিছু। তবে আশার কথা হলো, মোবাইলে থাকা প্রয়োজনীয় সব কিছু ট্রান্সফার করার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। খুব সহজেই আপনি এসব করতে পারবেন।
‘ক্লাউড’ নামে নতুন একটি সেবা চালু আছে এখন। ক্লাউডে তথ্য রাখলে তথ্য চুরি, হার্ড ড্রাইভ অচল হয়ে যাওয়া বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পায়। যেকোনো স্থান থেকে লগইন করে এটি ব্যবহার করা যাবে। যেকোনো স্থান থেকে সার্ভারে ডেটা সংগ্রহ এবং নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ফাইল ট্রান্সফার করার সময় এই ক্লাউড সার্ভিস আপনার ফাইলের ব্যাকআপ রাখবে। আপনি যদি গুগলের বিভিন্ন সার্ভিস নিয়মিত ব্যবহার করেন, তবে এটা আপনার জন্য সব থেকে ভালো হবে।
আপনি যদি আইফোন থেকে অ্যান্ড্রয়েডে ট্রান্সফার করতে চান, তবে তার ব্যবস্থাও আছে। আইফোনে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে গুগল ড্রাইভ ডাউনলোড করুন। গুগলে অ্যাকাউন্ট থাকলে সাইন ইন করুন। না থাকলে নতুন অ্যাকাউন্ট করে নিন। এরপর ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখুন। এরপর অ্যান্ড্রয়েডে একই অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করুন। সব পেয়ে যাবেন।
আর যদি অ্যান্ড্রয়েড থেকে আইফোনে ট্রান্সফার করতে চান, গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে ‘গড়াব ঃড় রঙ’ অ্যাপ ডাউনলোড করুন। এরপর কী করতে হবে ধাপে ধাপে সেটার নির্দেশনা সেখানেই দেওয়া আছে।
প্রতিটি অ্যাপ ডাউনলোড করে চালু করার আগে সাইন ইন করতে হয়। এই সাইন ইন করারও একটা নিরাপদ ও সহজ ব্যবস্থা রয়েছে। কারণ বারবার বিভিন্ন জায়গায় সাইন ইন করলে আপনার পাসওয়ার্ড চুরি হতে পারে। নিরাপত্তার ঝুঁকি থেকে যায়। তাই আপনি ব্যবহার করতে পারেন পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ‘লাস্টপাস’। এই লাস্টপাস আপনার পাসওয়ার্ডের একটি ইনক্রিপটেড কপি ক্লাউডে সংরক্ষিত রাখে। তা ছাড়া অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের রয়েছে ‘টু ফ্যাক্টর ভেরিফিকেশন’ সিস্টেম।
কিছু বিষয় মাথায় রাখলে ফাইল ট্রান্সফার করা খুব সহজ হয়ে যায়। যেমন : যখন ছবি তুলবেন সেটা যেন গুগল ফটোতে সেভ হয়। গুগল ফটোর অ্যাপ প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েট ফোনেই থাকে। নতুন ফোনে শুধু অ্যাপ ডাউনলোড করে সাইন ইন করলেই কাজ শেষ।
এ ছাড়া আপনি গুগল সার্চ করে এ রকম আরো অনেক সুবিধা পাবেন। তবে যদি খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনি ক্লাউড সার্ভারে রাখতে চান, তবে ফ্রি সুবিধা বাদ দিন। পেইড সার্ভিস নিন। কারণ পেইডের মতো সুবিধা কোথাও ফ্রিতে পাবেন না।