ফেসবুকের আরেক কেলেঙ্কারি
অনলাইন ডেস্ক | ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৬:৪৩
নিজেদের রিসার্চ অ্যাপ ইনস্টল করতে নির্দিষ্ট বয়সী ব্যবহারকারীকে প্রতি মাসে ২০ ডলারের গিফট কার্ড দেয় ফেসবুক। এরপর ওই অ্যাপ দিয়ে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি! প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ মঙ্গলবার এমন খবর দিয়েছে।
গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য পাচারের অভিযোগে কয়েক বছর ধরে টালমাটাল ফেসবুক। ওয়াশিংটন ডি সি’র অ্যাটর্নি জেনারেল কার্ল রেসেইন গত ডিসেম্বরে ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলাও করেন।
নতুন অভিযোগ ওঠার পর ফেসবুক জানিয়েছে বিতর্কিত এই অ্যাপটি তারা আইওএস থেকে সরিয়ে নেবে। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডে থাকবে।
টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিসার্চ অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য ১৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের টার্গেট করে ফেসবুক। এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীর ওয়েব কার্যক্রম, ব্যক্তিগত মেসেজ ফেসবুককে পাঠিয়ে দেয়।
এর আগে অনাভো সিকিউরিটি অ্যাপের মাধ্যমে একই কাজ করতো ফেসবুক। বিষয়টি অ্যাপল ধরে ফেলায় হইচই শুরু হয়। পরে অ্যাপটি অ্যাপস্টোর থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় ফেসবুক।
রিসার্চ অ্যাপ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে ফেসবুক। বরাবরের মতো নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়েছে তারা, ‘বিষয়টি নিয়ে লুকানোর কিছু নেই। এটি দিয়ে কারো ওপর নজরদারি করা হয় না। ইনস্টলের সময় ব্যবহারকারীর অনুমতি চাওয়া হয়।’
ফেসবুকের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রথম আলোচনা শুরু হয় ২০১৬ সালের দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে গ্রাহকের তথ্য বিক্রি করে তারা। সেই তথ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ট্রাম্পকে নির্বাচনী প্রচারে সহায়তা করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হলে জাকারবার্গ বিপাকে পড়েন। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্ষমা পর্যন্ত চাইতে হয়। শুধু তাই নয়, গ্রাহকের তথ্যের অপব্যবহার করায় ব্রিটিশ এমপিদের কাছে ব্যাখ্যাও দিতে হয় তাকে।
সম্প্রতি পিউ রিসার্চ জানায়, একজন ব্যবহারকারী কোন কোন পেজে বেশি সময় কাটান, কী বেশি খোঁজেন, তার পছন্দের তালিকায় কী রয়েছে এসব তথ্য ফেসবুক নিয়মিত সংগ্রহ করে। তারপর সেটি বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানের কাছে সরবরাহ করে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে ফেসবুকে নিজেদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৬:৪৩

নিজেদের রিসার্চ অ্যাপ ইনস্টল করতে নির্দিষ্ট বয়সী ব্যবহারকারীকে প্রতি মাসে ২০ ডলারের গিফট কার্ড দেয় ফেসবুক। এরপর ওই অ্যাপ দিয়ে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি! প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ মঙ্গলবার এমন খবর দিয়েছে।
গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য পাচারের অভিযোগে কয়েক বছর ধরে টালমাটাল ফেসবুক। ওয়াশিংটন ডি সি’র অ্যাটর্নি জেনারেল কার্ল রেসেইন গত ডিসেম্বরে ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলাও করেন।
নতুন অভিযোগ ওঠার পর ফেসবুক জানিয়েছে বিতর্কিত এই অ্যাপটি তারা আইওএস থেকে সরিয়ে নেবে। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডে থাকবে।
টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিসার্চ অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য ১৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের টার্গেট করে ফেসবুক। এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীর ওয়েব কার্যক্রম, ব্যক্তিগত মেসেজ ফেসবুককে পাঠিয়ে দেয়।
এর আগে অনাভো সিকিউরিটি অ্যাপের মাধ্যমে একই কাজ করতো ফেসবুক। বিষয়টি অ্যাপল ধরে ফেলায় হইচই শুরু হয়। পরে অ্যাপটি অ্যাপস্টোর থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় ফেসবুক।
রিসার্চ অ্যাপ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে ফেসবুক। বরাবরের মতো নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়েছে তারা, ‘বিষয়টি নিয়ে লুকানোর কিছু নেই। এটি দিয়ে কারো ওপর নজরদারি করা হয় না। ইনস্টলের সময় ব্যবহারকারীর অনুমতি চাওয়া হয়।’
ফেসবুকের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রথম আলোচনা শুরু হয় ২০১৬ সালের দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে গ্রাহকের তথ্য বিক্রি করে তারা। সেই তথ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ট্রাম্পকে নির্বাচনী প্রচারে সহায়তা করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হলে জাকারবার্গ বিপাকে পড়েন। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্ষমা পর্যন্ত চাইতে হয়। শুধু তাই নয়, গ্রাহকের তথ্যের অপব্যবহার করায় ব্রিটিশ এমপিদের কাছে ব্যাখ্যাও দিতে হয় তাকে।
সম্প্রতি পিউ রিসার্চ জানায়, একজন ব্যবহারকারী কোন কোন পেজে বেশি সময় কাটান, কী বেশি খোঁজেন, তার পছন্দের তালিকায় কী রয়েছে এসব তথ্য ফেসবুক নিয়মিত সংগ্রহ করে। তারপর সেটি বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানের কাছে সরবরাহ করে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে ফেসবুকে নিজেদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয় প্রতিষ্ঠানগুলো।