স্ন্যাপচ্যাটে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ট্রাম্প
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:০২
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করেছে স্ন্যাপচ্যাট।
প্রতিষ্ঠানটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘গত সপ্তাহে আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করি। এখন আমাদের মনে হচ্ছে স্ন্যাপচ্যাট কমিউনিটির জন্য দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি জরুরি।’
৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের হামলার পর থেকে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তার বিচরণ অনেকাংশে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
টুইটার প্রথমে ব্যবস্থা নেয়। এরপর তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ফেইসবুক। পরে ইউটিউবও তার চ্যানেল বন্ধ করে দেয়।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ২০ জানুয়ারির শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহার করে ট্রাম্প আরও সহিংসতা উসকে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এখন স্ন্যাপচ্যাট কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের কথা জানাল।
স্ন্যাপচ্যাট কর্তৃপক্ষ বলেছে, ট্রাম্পের ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা, বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা ও সহিংসতা প্ররোচিত করার প্রয়াস তাদের প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই বিষয়গুলোর পাশাপাশি জননিরাপত্তার স্বার্থে তারা ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচনের আগে থেকে রীতিমতো ত্রাস ছড়াতে থাকেন ট্রাম্প। টুইটার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আগেভাগে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়। ভোট শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগেই ট্রাম্পের ভুয়া পোস্টগুলোতে ল্যাবেল জুড়ে দেয়া হয়। তাদের দেখাদেখি ফেইসবুকও একই কাজ করে।
বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেইসবুককেই একটু ‘ট্রাম্পপন্থী’ হিসেবে এত দিন দেখা গেছে। নির্বাচনে হারার পর সেই তারা এখন ট্রাম্পের বড় সমালোচক।
মার্ক জাকারবার্গ ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রাম্প পোস্ট করতে পারবেন না।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:০২

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করেছে স্ন্যাপচ্যাট।
প্রতিষ্ঠানটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘গত সপ্তাহে আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করি। এখন আমাদের মনে হচ্ছে স্ন্যাপচ্যাট কমিউনিটির জন্য দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি জরুরি।’
৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের হামলার পর থেকে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তার বিচরণ অনেকাংশে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
টুইটার প্রথমে ব্যবস্থা নেয়। এরপর তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ফেইসবুক। পরে ইউটিউবও তার চ্যানেল বন্ধ করে দেয়।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ২০ জানুয়ারির শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহার করে ট্রাম্প আরও সহিংসতা উসকে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এখন স্ন্যাপচ্যাট কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের কথা জানাল।
স্ন্যাপচ্যাট কর্তৃপক্ষ বলেছে, ট্রাম্পের ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা, বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা ও সহিংসতা প্ররোচিত করার প্রয়াস তাদের প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই বিষয়গুলোর পাশাপাশি জননিরাপত্তার স্বার্থে তারা ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচনের আগে থেকে রীতিমতো ত্রাস ছড়াতে থাকেন ট্রাম্প। টুইটার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আগেভাগে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়। ভোট শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগেই ট্রাম্পের ভুয়া পোস্টগুলোতে ল্যাবেল জুড়ে দেয়া হয়। তাদের দেখাদেখি ফেইসবুকও একই কাজ করে।
বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেইসবুককেই একটু ‘ট্রাম্পপন্থী’ হিসেবে এত দিন দেখা গেছে। নির্বাচনে হারার পর সেই তারা এখন ট্রাম্পের বড় সমালোচক।
মার্ক জাকারবার্গ ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রাম্প পোস্ট করতে পারবেন না।