ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগকে গুজব বলল হোয়াটসঅ্যাপ
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৪৭
নিরাপত্তা ইস্যুতে গত কয়েক দিনে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়েছে। এ নিয়ে অনলাইনে চলছে তুমুল বিতর্ক।
গত বৃহস্পতিবার সকালে হোয়াটসঅ্যাপ খোলামাত্র তাদের ফোনে পপ-আপ করে একটি মেসেজ, যাতে জানানো হয় হোয়াটসঅ্যাপ তাদের ইউজার ডেটা ফেইসবুক ও তার প্রোডাক্টগুলোর সঙ্গে শেয়ার করে যাবে।
সেখান থেকে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, মেসেজিং অ্যাপটি থেকে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। যার ফলে মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়তে শুরু করে।
বিভিন্ন দেশ থেকে আড়াই কোটির মানুষ মানুষ অ্যাপটি ছেড়ে সিগনাল বা টেলিগ্রামে যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে ভারত থেকেই আছেন কয়েক লাখ।
তবে এর মধ্যে এক বিবৃতিতে ফেসবুক মালিকানাধীন অ্যাপটি জানিয়েছে, তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। বরং এ নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে।
টুইট করে ইউজারদের উদ্দেশে হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, ‘আমাদের নতুন পলিসি নিয়ে একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আশ্বস্ত করছি, আপনাদের মেসেজ ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত। অযথা আতঙ্কিত হবেন না’।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা করে মেসেজিং অ্যাপটি আরও জানায়, হোয়াটসঅ্যাপের কর্মীরা কারও ব্যক্তিগত মেসেজ দেখতে পারে না বা হোয়াটসঅ্যাপ কলের কথাবার্তাও শুনতে পারে না। এমনকি ফেসবুকও নয়।
এ ছাড়া কল ও মেসেজের কোনও রেকর্ড রাখে না হোয়াটসঅ্যাপ। গ্রাহকদের শেয়ার করা লোকেশন বা অবস্থান দেখতে পারে না হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক। ফেসবুকে ইউজারদের কোনও ফোন নম্বর শেয়ার করে না হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সব তথ্যই গোপন থাকে। কোনও মেসেজ সরিয়ে দেওয়ার জন্য ‘ডিসঅ্যাপিয়ার’ অপশনও বেছে নিতে পারেন গ্রাহকেরা। নিজের তথ্য ডাউনলোড করে নিতে পারবেন গ্রাহকেরা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৪৭

নিরাপত্তা ইস্যুতে গত কয়েক দিনে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়েছে। এ নিয়ে অনলাইনে চলছে তুমুল বিতর্ক।
গত বৃহস্পতিবার সকালে হোয়াটসঅ্যাপ খোলামাত্র তাদের ফোনে পপ-আপ করে একটি মেসেজ, যাতে জানানো হয় হোয়াটসঅ্যাপ তাদের ইউজার ডেটা ফেইসবুক ও তার প্রোডাক্টগুলোর সঙ্গে শেয়ার করে যাবে।
সেখান থেকে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, মেসেজিং অ্যাপটি থেকে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। যার ফলে মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়তে শুরু করে।
বিভিন্ন দেশ থেকে আড়াই কোটির মানুষ মানুষ অ্যাপটি ছেড়ে সিগনাল বা টেলিগ্রামে যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে ভারত থেকেই আছেন কয়েক লাখ।
তবে এর মধ্যে এক বিবৃতিতে ফেসবুক মালিকানাধীন অ্যাপটি জানিয়েছে, তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। বরং এ নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে।
টুইট করে ইউজারদের উদ্দেশে হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, ‘আমাদের নতুন পলিসি নিয়ে একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আশ্বস্ত করছি, আপনাদের মেসেজ ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত। অযথা আতঙ্কিত হবেন না’।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা করে মেসেজিং অ্যাপটি আরও জানায়, হোয়াটসঅ্যাপের কর্মীরা কারও ব্যক্তিগত মেসেজ দেখতে পারে না বা হোয়াটসঅ্যাপ কলের কথাবার্তাও শুনতে পারে না। এমনকি ফেসবুকও নয়।
এ ছাড়া কল ও মেসেজের কোনও রেকর্ড রাখে না হোয়াটসঅ্যাপ। গ্রাহকদের শেয়ার করা লোকেশন বা অবস্থান দেখতে পারে না হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক। ফেসবুকে ইউজারদের কোনও ফোন নম্বর শেয়ার করে না হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সব তথ্যই গোপন থাকে। কোনও মেসেজ সরিয়ে দেওয়ার জন্য ‘ডিসঅ্যাপিয়ার’ অপশনও বেছে নিতে পারেন গ্রাহকেরা। নিজের তথ্য ডাউনলোড করে নিতে পারবেন গ্রাহকেরা।